বেনাপোল কাস্টমসে কলমবিরতি শুরু, স্থবির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুটি পৃথক সংস্থায় বিভক্ত করার অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কলমবিরতি শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কলমবিরতি পালন করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য খালাস কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআরের সামনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে তিনদিনের কলমবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ভেঙে দুটি পৃথক প্রতিষ্ঠান—আয়কর ও শুল্ক—গঠনের সরকারি উদ্যোগের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করছেন। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপ রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে এবং সরকারি সেবার মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলমবিরতিতে যাওয়ায় পুরো বন্দর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। আমদানি-রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।”
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রাজন হোসেন জানান, “আমরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলমবিরতি পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে ১৭ মে থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এই কর্মসূচির ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০-৭০০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে, যা আজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আমদানি-রপ্তানিকারক, পরিবহন সংস্থা এবং ব্যবসায়ীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
উল্লেখ্য, এনবিআর ভেঙে আলাদা দুই সংস্থা গঠনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সরকারি রাজস্ব বিভাগের বিভিন্ন স্তরে প্রতিবাদ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।
