শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

যুদ্ধের দিনগুলি ছিল জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার। গোটা নীলফামারী জেলায় এক নামেই পরিচিত। জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৪৪ ইং সালে চিকনমাটি ধনীপাড়ায়। ডোমারে শৈশব জীবন কাটালেও লেখা পড়া করেন নীলফামারীর স্কুল ও কলেজে। লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলা ধুলায় ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল এবং সংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিলেন তার অলরাউন্ডার পদচারণা। তৎকালীন রাজশাহী বিভাগের মধ্যে ছিলেন সেরা দৌড়বীদ। ফুটবলে ছিলো অসাধারণ দক্ষতা। এক পর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন সংসার জীবনে।

সংসার আর জীবন যুদ্ধে যখন তিনি ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পড়লেন ঠিক তখনই সেই সময় শুরু হলো দেশে গন্ডগোল। সেটা ১৯৭১ সাল। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাঙ্গালীদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রত্যেক বাঙ্গালীকে মাঠে ঝাপিয়ে পরতে বলেন তখন আব্দুল জব্বারের বয়স ২৭ বছর। পরিবার পরিজন ত্যাগ করে তিনি দেশের জন্য যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হন। যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে তিনি ভারতের মিডলি ঝারকানে (চিন দেশের সিমান্ত সংলগ্ন) ১মাস সাধারণ ও ২য় মাস উন্নত ট্রেনিং গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি জন্ম ভূমিতে এসে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।

পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, জগদল, ওমরখানা, হাড়িভাসা, পেয়াদা পাড়া,পানিমাছ পুকুরী, মামা ভাগিনা, টাকা হারা ব্রীজসহ অসংখ্য স্থানে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশন চালান। তার সঙ্গে অন্যতম ও সাহসী সহযোদ্ধা ছিলেন মোঃ মাহবুব আলম, সাবেক সচিব, আহিদার রহমান বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী ও পিন্টু রংপুর।

জীবনের বড় এক ভয়ংকর অধ্যায়ের মাধ্যমে স্বাধীন হলো বাংলাদেশ। আজ স্বাধীনতার অর্ধযুগ পেরিয়ে গেছে। যতদিন যাচ্ছে পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে তার মনে যেন কোন এক ধরনের ক্ষোভ, হতাশা আর ভয়ের সঞ্চালন হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা জানতে চায়ের এক আড্ডায় তিনি প্রকাশ করলেন তার ক্ষোভ আর হতাশার কথা।

বিরবির করে বলতে লাগলেন, পাকিস্থানীদের শিকল থেকে বাঙ্গালী জাতীকে মুক্ত করতে, জাতীর জনক এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমার তার মেধা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। তিনি সকল বাঙ্গালীদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে যার যা আছে তাই নিয়ে এদেশ কে স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিচয় দিতে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশনা দেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃজব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমরা পিছনে না তাকিয়ে যুদ্ধের ময়দানে ঝাপিয়ে পরি। ৯ মাস যুদ্ধের পর এ দেশে বাংলাদেশের পতাকা উড়ার ইতিহাস সৃষ্টি হয়। অথচ চক্রান্তকারীরা বঙ্গ বন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি। কিন্তু তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষতার সঙ্গে।

তিনি বলেন, যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইতিহাস আর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানে নজির সৃষ্টি করেছেন। শুধু তাই নয় মুক্তিযোদ্ধা ,তাদের সন্তান. নাতী নাতনীদের জন্য যা করেছেন তা অতিতের রেকর্ড ভঙ্গ করে বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। অথচ যখন দেখি আমার সামনে দিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর ভুয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা সরকারের সকল সুবিধা ভোগ করে মিটিমিটি হাসে। তখন হতাশা গ্রাস করে।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, আমি দির্ঘদিন যাবত ডোমার থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলাম তখন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলো ১০০ জনের কিছু বেশি এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ছিলো মাত্র ৫ জন। তারা হলেন ১.শহীদ জহুরুল হক ২.শহীদ আহাদুল প্রধান ৩.শহীদ মোজাম্মেল হক ৪.শহীদ ধীরাজ ও ৫.শহীদ মিজান। অথচ এতো বছর পর শুনতেছি ডোমারে মুক্তিযোদ্ধা ২৫৬ জন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাও বৃদ্ধি পেয়েছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম সংযুক্তি বিযুক্তিও হয়েছে। এমন অনেক ঘটনা। এমনটা কি করে হয়? এটা কি করে সম্ভব?

তিনি বলেন, একটা বিষয় সকলেরই মনে রাখা উচিৎ যে এটা কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়, যারা ভুয়া পরিচয় দিয়ে সরকারী সুবিধা ভোগ করছে তারা কোন দলের হতে পারে না, তারা মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের কিংবা কোন দলের নয়, এরা সুবিধাবাদী। যা প্রকৃত মক্তিযোদ্ধাদের জন্য কলঙ্ক।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্শন করে তিনি বলেন, সর্ব্বোত্তম তদন্ত ও যাচাই বাছাই করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বাতিল করে কলঙ্ক মুক্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সকলের কাম্য।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বার বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ শুনে আমরা যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রত্যেকটি দিন ছিল আতঙ্কের। মৃত্যু ভয়কে তুচ্ছ বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। তাই বর্তমান সরকারের নিকট তিনি আবেদন করেছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করার।
এএজেড

Header Ad

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

কোটা আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। সেই সময় ভিসি স্যার আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন।

এ ছাড়া পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানায় আবু সাঈদের পরিবার।

মকবুল হোসেন আরও বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিল আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় আমার সংসার চলতো। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। বাবা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া।

এখন শুধু সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান বৃদ্ধ এ বাবা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় যোগাযোগ রাখছে। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সম্মুখে থেকে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনার পর আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলাজুড়ে। নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০৯টি। নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২০৯টি মামলায় ২৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সারাদেশে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। অভিযানে ঢাকায় ৬৩ ও ঢাকার বাইরে ২০৩ জনসহ মোট ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এদিকে আজ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।

যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’

বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা শতকরা পাঁচ ভাগ রেখেছে। এটি মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু পরিষ্কার হওয়া দরকার, বাকি পদে কাদের নেওয়া হবে। আমরা বাকি ৯৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় বোঝাপড়া করব।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনায় সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনাসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এই পাঁচদোনা মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্মৃতিধন্য এই স্থানে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। দুঃখের বিষয়, সেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেই হামলা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী ও বিএনপির ক্যাডাররা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে।

এসময় তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত গ্রহণের জন্যও আদালতকে অনুরোধ জানানো হবে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটিও আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। বিএনপি, জামায়াত ও রাজাকারের দল এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যারা আঘাত করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে’, মমতাকে কড়া বার্তা দিল্লির
বাজারে সরবরাহ বাড়লেও সবজির দামে এখনো অস্বস্তি