শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

'টিপ' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত কথা

 

শিক্ষিকাকে টিপ পরায় পুলিশের খারাপ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তারই কিছু খণ্ড চিত্র তুলে ধরা হলো-  

আনিসুল হক

আয় আয় চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা,
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।

ড. আসিফ নজরুল

টিপ পরা স্বাধীনতা, হিজাব করাও স্বাধীনতা।
আবার টিপ না পরা বা হিজাব না করা এগুলোও ব্যক্তি স্বাধীনতা।
কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার বিষয় না।

তসলিমা নাসরিন

তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার তাঁর গ্রীন রোডের বাড়ি থেকে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটেছে। এক পরহেজগার পুলিশ তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। করেছেন কারণ প্রভাষক কপালে টিপ পরেছেন। পরহেজগার পুলিশ টিপ একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। তিনি মনে করেন, টিপ জিনিসটা ইসলামবিরোধী। লোকটি এই দেশে ইসলামবিরোধী কিছুই ঘটতে দেবেন না বলে পণ করেছেন। লোকটির মুখে লম্বা দাড়ি। গোঁফ নেই, কিন্তু দাড়ি আছে। এ তো পুরো আইসিসের চেহারা। তাহলে দেশের পুলিশবাহিনীতে আইসিসপন্থী বেশ আছে!
--নিশ্চয়ই আছে।
--এরা বাংলাদেশকে কী বানাতে চায়?
--দ্য ল্যান্ড অব ইসলাম।
--তাহলে তো বাংলাদেশের পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত কিছুই আর থাকবে না?
--নাহ। উড়বে ইসলামের পতাকা, কালো কাপড়ে লাইলাহা লেখা পতাকা।
--জাতীয় সঙ্গীত?
--সঙ্গীত হারাম। কলেমা আওড়াতে হবে ক্বলব থেকে।
--পুলিশবাহিনী সে কাজে নেমে গেছে?
--পুলিশবাহিনী শুধু নয়। সকলে।
--তারপরও যদি মেয়েরা টিপ পরে?
--মুণ্ডু কেটে ফেলা হবে।
--তাহলে ঠিক আছে।
--কী ঠিক আছে?
--বাংলাদেশ সঠিক পথেই যাচ্ছে।

তসলিমা নাসরিন (২)

টিপ টিপ টিপ। মেয়েরা কত রকম ভাবে সাজতে পারে। বেচারা ছেলেদের সাজগোজের বেশি কিছু নেই। নানা রকম অলংকার, শাড়ি মিনিস্কার্ট হাইহিল, এমন কী টিপটাও পরতে পারে না। মুসলমান পুরুষেরা তো কল্পনার ঈশ্বরের উদ্দেশে কল্পনার বেহেস্তের লোভে মাথা ঠুকতে ঠুকতে কালো দাগ বানিয়ে ফেলেছে কপালে। ওটিই তাদের কালো টিপ।

লীনা পারভিন

লীনা মানেই বড় টিপ। এটা মোটামুটি আমাকে যারা চিনে তারা এভাবেই চিনে। আমার কপালে টিপ না থাকলে ইভেন অফিসের কলিগরাও জানতে চায় আমি ঠিক আছি কি না। আমাকে নাকি টিপ ছাড়া মানায় না। আমার সাজগোজের একমাত্র অস্ত্র এই টিপ। একদম কুট্টি থেকে এক্সট্রা লার্জ সব সাইজের শত শত টিপ আমার কালেকশনে। অথচ এই টিপ নিয়ে আমি কম কথা শুনি নাই। কেন বড়ই পরা লাগবে? আরেকটু ছোট পরলেওতো পারি। আমার প্রতিটা কলামের নিচে এই টিপ নিয়ে চলে গালিগালাজের বন্যা। মাগী, হিন্দুর দালাল এইগুলাতো নর্মাল ভাষা। অনলাইনে এই টিপ নিয়ে যে নিউজ আসছে তার নিচে যান, পড়ে আসেন সেখানে কী চলছে আলোচনা। সমস্যাটা অনেক গভীরে। এতো হালকায় সমাধান মনে করলে আমরা অন্ধকারেই রয়ে যাব। সংসদে সুবর্ণা মোস্তফা আলোচনা করেছেন। আমরা খুশী কিন্তু আর কেউ কী এই নিয়ে টু শব্দ করেছে বা তালি দিয়ে সূবর্ণাকে সমর্থন দিয়েছে? কেন আজকে বাংলাদেশে বাঙালি সংস্কৃতির উপর হামলা আসছে বা এই যে গত কয়দিন ধরে হিজাবী নারীরা সামনে আসছে বা কেন টিপের জন্য নারীকে হেনস্তা করা হবে এই নিয়ে কথা বলেছে? স্পিকার কী কোন মন্তব্য করেছেন? আমার জানা নাই। সুতরাং বগল বাজানোর কিছু নাই।

বিভু রঞ্জন সরকার

টিপ ও একজন সনজীদা খাতুন
সেদিন একজন কলেজ শিক্ষক টিপ পরার কারণে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তির দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার খবর শুনে প্রথমেই আমার সনজীদা আপার কথা মনে হয়েছিল।
প্রশ্ন জেগেছিল, আচ্ছা, ওই নালায়েক পুলিশ সনজীদা আপার কপালে টিপ দেখলেও কি খিস্তিখেউর করতো? বলা যায় না, এদের যেভাবে আস্কারা দেওয়া হচ্ছে, এরা যেকোনো অঘটন ঘটাতেই পারে!
আমি সনজীদা আপাকে টিপ ছাড়া ভাবতেও পারি না। কপালের একটি টিপ যেন আপার ভেতরের জ্ঞানের উজ্জ্বলতাকেই বাইরে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
আজ ৪ এপ্রিল সনজীদা আপা, অধ্যাপক সনজীদা খাতুনের জন্মদিন। সনজিদা খাতুনের নামের আগে বিশেষণ বসিয়ে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি পরিচিত তাঁর আলোছড়ানো সব কাজের জন্য। রবীন্দ্রনাথকে তিনি আঁকড়ে আছেন জীবন-সাধনার অংশ হিসেবে।
আপা আমর সরাসরি শিক্ষক।
নব্বই ছুঁয়েও সক্রিয় আছেন অন্ধকার দূর করার কাজে।
আরো আরো দীর্ঘদিন সুস্থ ও সক্রিয় থেকে তিনি আলোর ঝরনাধারা ছড়িয়ে যান আমাদের মাঝে - তাঁর জন্মদিনে এটাই প্রত্যাশা।
জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই আপাকে।

ড. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ

এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিপের ছবিতে সয়লাব। এ এক অভিনব প্রতিবাদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ প্রতিবাদ সমর্থন করি। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি দাবী করি।
টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার নামের এক নারীকে ইউনিফর্ম পরিহিত এক পুলিশ সদস্য কটুক্তি করায় তার প্রতিবাদে অনেক নারী ফেসবুকে নিজের টিপ পরা ছবি দিচ্ছেন। বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এমন কী জাতীয় সংসদেও তোলা হয়েছে।
কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের এক ঘটনায়ও ফেসবুক ছাড়িয়ে রাস্তায় সারাদেশে এক অভিনব প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জে এক প্রভাবশালী নেতা একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে উঠবস করালেন। দেখা গেল, অনেক মানুষ রাস্তায় লাইন দিয়ে নিজেরা নিজেদের কান ধরে উঠবস করা শুরু করলেন। অভিনব প্রতিবাদ বটে। কিন্ত সেই নেতার কি কোন শাস্তি হয়েছিল? হয়নি।
মাঝখানে কতো রকম নারী অবমাননার ঘটনা ঘটল। থানায় আইনি আশ্রয় চাইতে গিয়ে পুলিশের দ্বারাই ধর্ষণের শিকার পর্যন্ত হলেন নারী।
নববিবাহীতা স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হলেন।
পার্কে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ছাত্রীদের কান ধরিয়ে উঠবস করালেন প্রশাসনের কর্তারা।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ খুনোখুনির মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাত্র কিছুদিন আগেই মারা গেলেন কলেজ ছাত্রী দরিদ্র ঘরের মেয়ে প্রীতি। সেও তো নারীই ছিল!
এমনি বহু অঘটন ঘটেই চলেছে। কয়টার ক্ষেত্রে আমরা এমন প্রতিবাদ দেখেছি? ভেবে দেখুন, প্রীতি যদি কোন প্রভাবশালীর মেয়ে হতো তবে প্রতিবাদ কেমন হতে পারতো? খুনি যদি বিএনপি বা জামায়াতের কেউ হত তবে?
শ্রেণী, ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয় যখন প্রতিবাদের জন্য বিবেচ্য হয় সে প্রতিবাদও সার্বজনীন হতে পারে না। ফলে অপরাধী পার পেয়ে যায়।
অসংখ্য অঘটনের কয়টার ক্ষেত্রে নারী সাংসদ (সংরক্ষিত আসনের) সুবর্ণা মুস্তাফা জাতীয় সংসদে প্রতিবাদ করেছেন জানি না। কয়টার বিচার হয়েছে তাও জানি না। এই পুলিশ সদস্যের শাস্তি হবে কী না তাও জানি না। তবে যারা বেছে বেছে বিশেষ অঘটনের প্রতিবাদ করেন, আবার কখনো চুপ থাকেন তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয় বরং ভণ্ডামি, এটা বুঝি।
নারীর সাজ পোশাক তার অধিকার। নিরাপত্তা পাওয়া তার অধিকার। এমনি নারী পুরুষ নির্বিশেষে "মানুষ "-এর কিছু অধিকার আছে। তাকে আমরা বলি "মানবাধিকার "। এই দেশে সেই সব অধিকারের ভয়াবহ লংঘন ঘটে চলেছে। এমন কী যে সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা আজ এই প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন সেই সংসদটিও গঠিত হয়েছে অসংখ্য মানুষের অধিকার হরণের মাধ্যমে। সুবর্ণাও তা জানেন। কিন্ত সেই সংসদে একটি সংরক্ষিত আসন নিতে তার বাধেনি।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাই। শুধু নারী বলে কাউকে হেনস্থা করে যে, সে মানুষের পর্যায়েই পড়ে না। মানুষ হলে মাথায় রাখত, সে একজন নারীর গর্ভেই জন্মেছে।
তবে যারা সামগ্রিকভাবে নারীর অবমাননার ও মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদ না করে তার ধান্দা বুঝে চুজ এন্ড পিক পদ্ধতিতে করেন তাদের উদ্দেশ্য যে সৎ নয় এটা নিশ্চিত বলতে পারি।

এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান

সুবর্ণা মোস্তফা সংসদে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না।' ওনার বক্তব্য সমর্থনযোগ্য। কেউ টিপ পরুক বা হিজাব পরুক, সরকারের সেইটা নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নাই।
এই প্রসঙ্গে আমি আরও কিছু প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি যেগুলো সুবর্ণা মোস্তফা সংসদে দাঁড়িয়ে করতে পারেন-
০১) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে মাত্র তিন বছরে এক হাজার মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুন করবে?
০২) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে ছয়শোর বেশি নাগরিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুম করবে?
০৩) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশ থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ছয় লক্ষ কোটি টাকা পাচার করবে?
০৪) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের মানুষকে বেশি দামে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল-ডালসহ সকল খাবার বেশি দামে কিনতে সরকার বাধ্য করবে?
০৫) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন কিশোরকে আওয়ামী লীগের নাম বিকৃত করায় দশ বছরের জেল দেয়া যাবে?
০৬) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দিনের ভোট রাতে করা যাবে?
০৭) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে সরকারি কর্মকর্তা সরকারের কোন সমালোচনামূলক পোস্ট শেয়ার করলে তাকে চাকরিচ্যূত করা যাবে?
০৮) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর নিঃসঙ্গ অবস্থায় কারাবন্দী রাখা যাবে?
০৯) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে জয়ের প্রজেক্টের নামে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা যাবে?
১০) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের মানুষ যখন খেতে না পেয়ে রাস্তায় ঘুরছে তখন কোটি কোটি খরচ করে এআর রহমানের কনসার্ট আয়োজন করতে হবে?
১১) সবচেয়ে বড় কথা, কোন সংবিধানের কোন আইন অনুযায়ী আপনারা নাইটকুইন এমপি হয়েছেন?
এগুলো চিন্তা করে দেখতে পারেন কিন্তু সুবর্ণা মোস্তফা।

মিলি সুলতানা

একজন শিক্ষিকাকে অপমান করা মানে গোটা জাতিকে অপমান করা। টিপ নিয়ে তোদের চুলকানি কেন? হোক প্রতিবাদ শত সহস্র প্রতিবাদ। আইনের পোশাক পরা জানোয়ারটার মুন্ডুপাত হোক। সামাজিক প্রাণী সেজে থাকা জন্তুদের বিরুদ্ধে চলুক প্রতিবাদ। টিপ পরা হিজাব পরা যার যার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। কে টিপ পরবে আর হিজাব পরবে এগুলো চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। আমরা একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে বাস করছি, আফগানিস্তানে নয়।

লীনা দিলরুবা

এক. নারীদের টিপ পরা নিয়ে অনেকের পোস্ট দেখছি। টিপ নিয়ে আমার অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে। আমি টিপ পরি। আগে রোজ পরতাম, এখন কালেভদ্রে। একবার টিপ পরেছি, এক ক্লায়েন্ট, নারী তিনি, আমাকে বললেন, ‘নাম তো দেখি মুসলমানের, হিন্দুর মতো টিপ পরেন কেন?’ এই মৌলবাদী দেশে মেয়েগুলোকে জন্মের পর গলা টিপে মেরে ফেললেই ভাল ছিল। নারী হয়ে কত গ্লানি সয়েছি; কত কত কত, বলে শেষ করা যাবে না।
দুই. আজকে রমজানের প্রথমদিন। ভাস্তে গালিবকে বলেছিলাম আমাদের সঙ্গে ইফতার করতে। গালিব সাত-সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে, বনানী থেকে এল। একসঙ্গে খেলাম।
তিন. ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর ওকে বললাম, চল হেঁটে আসি। দুজনে হাঁটছি, হঠাৎ দেখি উলটোদিক থেকে আমার ভাগ্নী নিশির জামাই আসছে। ইফতারের পর সেও হাঁটতে বেরিয়েছে। ওকে হাই-ফাইভ দিলাম আমি আর গালিব। ফয়সাল চলে গেল। এক চক্কর দিয়ে ফের ওকে পেলাম। আবারও কলকল করে কথা বলা। হাসি বিনিময়।
তিন. গালিবকে ঘরে পাঠিয়ে আমি আবার বের হলাম। এবার সাইকেল নিয়ে। লোকজন নাই। শুনশান রাস্তা।
তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে
আমায় শুধু ক্ষণেক তরে।
আজি হাতে আমার যা কিছু কাজ আছে
আমি সাঙ্গ করব পরে…
জীবনকে মনে করবেন স্বাভাবিক দুঃখের নদী। মনে করবেন এই স্বাভাবিক দুঃখ নদী মোকাবেলা করতে করতে জীবন চলবে। জীবনে দুঃখ থাকবে, কষ্ট থাকবে, তবু পাখি ডাকে। তবু ফুল গন্ধ ছড়ায়।
কেউ গলা টিপে মেরে ফেলবে এটা হতে দেয়া যাবে না। টিপ পরবোই। তালেবানী মৌলবাদী চিন্তা পরিহার করে বাঁচার মতো বাঁচতে হবে।

শেখ রাসেল

টিপ পরা ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সাধারণ মানুষ কি বলছে এই ব্যাপারে!
বিবিসি বাংলার "টিপ ইস্যু" সংবাদের কয়েকটি পাঠক মন্তব্য তুলে ধরছি।
মামুন হাসান লিখেছেন;
"টিপ পরা নিয়ে যেভাবে সংসদের ভিতরে বাহিরে সরকারদলীয় এমপি মন্ত্রীরা আলোচনা-সমালোচনা করতেছেন এভাবে যদি দেশের দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আলোচনা করতেন!!! তাহলে দেশের মানুষ দু'মুঠো খাবার খেতে পারতো"
ইসলাম হোসাইন সোহাগ লিখেছেন;
"শাহজাহানপুরে নিজেদের অভ্যন্তরীন কোন্দলে নিরাপরাধ মেয়েটাকে গুলি খেয়ে মরতে হলো সুবর্ণা মুস্তফা একটা বাক্য উচ্চারণ করলেন না অথচ সামান্য এক টিপ নিয়া ঘটনায় সংসদে কাউল লাগায়া দিলেন...!
আহাহ! বাংলাদেশ "
মোঃ করিম হাসির ইমোজি ইউজ করে লিখেছেন;
"আজ প্রথম জানলাম সুবর্ণা মোস্তফা একজন এমপি "
ছবিটি এড করে দিলাম ইতিহাসের স্বাক্ষী করে রাখতে। আগামী প্রজন্ম একদিন জানবে, দেশ যখন রসাতলে যাচ্ছিলো, তখন ভণ্ডামিতে ব্যস্ত ছিলো এই দেশের সুশীল সমাজ।।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ

ছবি: সংগৃহীত

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ। সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে আনন্দমুখর পরিবেশে ৯ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৫ জুলাই বিকেল ৩টায় উল্টো রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হবে। এ বছর ঢাকাসহ সারা দেশে ইসকনের ১২৮টি মন্দির ও আশ্রমে এদিন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের উপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

শুভ রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আয়োজিত ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালায় রয়েছে, হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন।

ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানান, ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমে শুক্রবার সকাল ৮টায় বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুভ রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে দুপুর দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে বিকেল ৩টায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হবে।

ঢাকায় রথযাত্রার রুট উল্লেখ করে তিনি জানান, স্বামীবাগ আশ্রম থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে জয়কালী মন্দির, ইত্তেফাক মোড়, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, পলাশী মোড় হয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গিয়ে পৌঁছবে। পরে আগামী ৫ জুলাই বিকেল ৩টায় উল্টোরথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা একই পথে বিপরীত দিক থেকে অর্থাৎ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে স্বামীবাগ আশ্রমে আনা হবে।

এছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দির ও দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সঙ্গে সমঝোতায় গোপনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা এবং মার্কিনদের কথামতো চালাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নানাভাবে চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে চারটি সূত্র সিএনএনকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র মতে, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে বেসামরিক-শক্তি উৎপাদনকারী পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে সহায়তা করার জন্য ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ প্রদান, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা এবং বিশ্বব্যাপী ইরানের ফ্রিজ হওয়া তহবিলের বিলিয়ন ডলার মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে। আর এ সবই করা হচ্ছে অত্যন্ত গোপনে।

যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের মূল খেলোয়াড়রা গত দুই সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলে সামরিক হামলার মধ্যেও পর্দার আড়ালে ইরানিদের সঙ্গে কথা বলেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এই সপ্তাহেও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। এগুলো প্রাথমিক ও ক্রমবর্ধমান। তবে একটি অ-আলোচনাযোগ্য শর্ত বহাল রয়েছে। তা হলো, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শূন্য হতে হবে। যদিও ইরান ধারাবাহিকভাবে বলেছে, তাদের প্রয়োজনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করা হচ্ছে তবুও চাপ প্রয়োগকারীরা এ শর্তে ছাড় দিতে নারাজ। দুটি সূত্র সিএনএনকে অন্তত একটি প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাব সরবরাহ করেছে। এতে ইরানের জন্য বেশ কয়েকটি প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং উপসাগরীয় অংশীদারদের মধ্যে একটি গোপন বৈঠকে কিছু বিবরণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। মার্কিন সামরিক হামলার আগের দিন ছিল কয়েক ঘণ্টার সেই বৈঠক সম্পর্কে জানা দুটি সূত্র সিএনএনকে এসব নিশ্চিত করেছে।

আলোচিত শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইরানের একটি নতুন অ-সমৃদ্ধকরণ পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য আনুমানিক ২০-৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এ কেন্দ্র বেসামরিক শক্তি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং প্রস্তাব সম্পর্কে জানা সূত্রগুলো সিএনএনকে জানিয়েছে, অর্থ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসবে না; বরং আরব অংশীদাররা এই বিল পরিশোধ করার পথ খোঁজা হচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সুবিধাগুলোতে বিনিয়োগের বিষয়টি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পারমাণবিক আলোচনার পূর্ববর্তী রাউন্ডগুলোতেও আলোচিত হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনাগুলোর নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক। পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে কারও না কারও অর্থ প্রদান করতে হবে। তবে আমরা সেই প্রতিশ্রুতি দেব না।

অন্যান্য প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে ইরানের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা অপসারণের সম্ভাবনা এবং ইরানকে ৬ বিলিয়ন ডলার ফ্রিজ সম্পদ ব্যবহার করতে দেওয়া, যা বর্তমানে বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে এবং তারা বহু বছর তা অবাধে ব্যবহার করতে পারছে না।

সূত্র সিএনএনকে বলেছে, বিভিন্ন মানুষের দ্বারা অনেক ধারণা উত্থাপিত হচ্ছে এবং তাদের অনেকেই সৃজনশীল হওয়ার চেষ্টা করছে। এখানে কী ঘটবে, তা সম্পূর্ণরূপে অনিশ্চিত। ইসরায়েলি ও মার্কিন হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে প্রথম পাঁচ রাউন্ডের আলোচনা সম্পর্কে জানা একটি পৃথক সূত্রও একই তথ্য দিয়েছে।

উইটকফ বুধবার সিএনবিসিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তি চুক্তি চায়। সব প্রস্তাব ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রাপ্তি থেকে বিরত রাখার জন্য নকশা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে , ইরান শান্তিপূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি চালু রাখতে পারে। তবে সেই কর্মসূচির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। পরিবর্তে ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম স্বল্প মাত্রায় আমদানি করতে পারবে। কতটুকু খরচ হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষকদের নিয়মিত জানাতে হবে।

উইটকফ বলেন, এখন ইরানের সঙ্গে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা কীভাবে ইরানকে উন্নত বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি চালু রাখার সুযোগ দেব, সেটিই মুখ্য।

 

Header Ad
Header Ad

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।

‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।

 

ছবি: সংগৃহীত

জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’

ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।

জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’

করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা। তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অন্তত ফেল করিনি।’

 

ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’

তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমায়ি জাহিদ হাসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার