মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চিংড়ি নাকি ক্যান্সারের উপাদান খাচ্ছি?

বাজারে হঠাৎ করে আবার ভেজাল চিংড়িতে সয়লাব। অনেক ক্রেতাই প্রশ্ন তুলেছেন টাকা দিয়ে চিংড়ি কিনে খাচ্ছি নাকি ক্যান্সারের উপাদান খাচ্ছি। তাদের এই কথার যুক্তিও রয়েছে।

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন চিংড়িতে যে জেলি মেশানো হয় সেটা মূলত প্লাস্টিক বা রাবার জাতীয় পদার্থ। এটি মূলত চিংড়ি মাছের ওজন বাড়াতেই ব্যবহার হয়ে থাকে। জেলি মেশানো চিংড়ি খেলে ক্যান্সারের পাশাপাশি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।

বাচ্চাদের পছন্দের খাদ্য তালিকার প্রথম দিকেই রয়েছে চিংড়ি মাছ। সে যেভাবেই হোক চিংড়ি রান্না করে দিলে অধিকাংশ বাচ্চা তৃপ্তিসহকারে খেয়ে থাকে। এর ব্যতিক্রম নয় আমার সাড়ে সাত বছরের সন্তানও। তার পছন্দ অনুযায়ী মাছ কেনা আমার অন্যতম দায়িত্ব। তবে মাছ কেনার আগে সব সময় মাথায় থাকে নির্ভেজাল মাছ কোনো বাজারে পাওয়া যাবে। এ জন্য যখনই মাছ কিনতে যাই ঘুরে ঘুরে দেখার চেষ্টা করি। রাজধানীর তিনটি বাজারের কথা অন্তত বলতে পারি যেখানে চিংড়ি মাছ কিনে ঠকীনি এই গ্যারান্টি দিতে পারব না। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, আদাবর-৬ কাঁচাবাজার ও বেড়িবাঁধ নামার বাজার এই তিন বাজারের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।

সবশেষ বেড়িবাঁধ নামার বাজারের অভিজ্ঞতার কথা দিয়ে শুরু করি। গত ৮ মার্চ সকালে নামার বাজার ঢুকেই প্রথমে রুই মাছ কিনলাম। এরপর মুরগি (পাকিস্তানি) কেনার জন্য এক দোকানে যাই। সেখান থেকে এক হালি মুরগি কেনার পর প্রসেসিং করতে দেই। তখন মুরগি দোকানির কাছে জানতে চাইলাম এই বাজারে জেলিমুক্ত চিংড়ি কোন দোকানে পাওয়া যাবে? অল্প সময় নিয়ে তিনি দেখালেন তার সামনেই এক হুজুর বসেন সেখানে নির্ভেজাল চিংড়ি পেতে পারেন। মুরগির দোকান থেকে পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি মুখে দাঁড়িভর্তি এক মাছ বিক্রেতা তার মাছগুলো ডালিতে সাজাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে প্রথমেই বললাম ভাই দাম যাই হোক জেলিমুক্ত চিংড়ি চাই। জবাবে বললেন, আমি দেখে এনেছি আপনিও দেখে নেন, চিংড়ির ভেতরে তো যেতে পারব না।

মাছ বিক্রেতার এই কথা কিছুটা আশস্থ হলাম। কারণ অন্য দুই বাজারের যখন চিংড়ি কিনেছি একই প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গে মাছ বিক্রেতা বলেন, জেলিযুক্ত মাছ বিক্রি করি না। জেলিযুক্ত মাছ এই বাজারে নাই। দেখাতে পারলে সব মাছ ফেলে দেব এরকম চটকদার কথা বলেন। কিন্তু নামার বাজারের ওই বিক্রেতা (নাম জিজ্ঞাসা করিনি) বললেন আমি দেখে এনেছি আপনিও দেখে নেন। তাতে অন্তত বোঝা গেল থাকলেও থাকতে পারে তবে সে দায় নেবে না। এরপর চিংড়ি হাতে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করলাম। একটি চিংড়ির মাথার নিচের অংশে আঙ্গুল দিয়ে জেলির মতো কিছু একটা দেখতে পেলাম তাকে বললাম এই যে জেলি জবাবে তিনি বললেন জেলি কোথায় পেলেন? এটা তো মাছের মাংস কেটে আসছে। এরপর কিছুটা কথা চালাচালি চলে পরে মনে হলো লোকটা এত করে যখন দায়িত্ব নিয়ে বলছে অন্তত অল্প করে হলেও নিয়ে যাই।

এরপর ওই মাছ বিক্রেতাকে বললাম ঠিক আছে আপনি যেহেতু আশস্থ করছেন তাহলে আঁধা কেজি দেন। পরে গুণে গুণে কয়েটা চিংড়ি দিলাম ডিজিটাল ওজন মেশিনে দেখালেন ৫০৩ টাকা দাম হয়েছে। বড় সাইজের এই চিংড়ি ছিল সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি। এরপর ৫০০ টাকা দিয়ে চিংড়িগুলো কিনে বাসায় ফিরলাম। মনে মনে ভাবতে থাকলাম যাক আজকে অন্তত মেয়েটাকে বলতে পারব তোমার পছন্দের চিংড়ি মাছ এনেছি। কিন্তু এবারও সেই হতাশা নিজ হাতে চিংড়িগুলো কাটলাম। কাটতে গিয়ে যখন মাথা পরিষ্কার করতে যাই মাথার খোলসের ভেতর স্তরে স্তরে জেলি, শুধু তাই না পুরো মাথায় মগজ তো নাই শুধু জেলি আর কোনো কোনটা ছোট ছোট সুজি জাতীয় দানা। এগুলো দেখে খুব কষ্ট পেলাম ভাবলাম এবারও ধরা খেলাম।

এটা গেল নামার বাজারের সব শেষ অভিজ্ঞতা। এর আগে কৃষি মার্কেটে কয়েক দোকান ঘুরে এক কেজি চিংড়ি কিনলাম। বাসায় গিয়ে চিংড়ি রাখতেই গৃহিনী বললেন আজও ধরা খেয়েছ। এত চিংড়ি কেন এনেছ? একদিনও তো মেয়ে খেতে পারে না এসব ভেজাল খাওয়ালে তো তোমার মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে যাবে। এই কথা শুনে নিজেকে অনেকটা অপরাধী মনে হলো। টাকা দিয়ে মাছ কিনলাম নাকি প্রজন্ম ধ্বংসের মরণাস্ত্র কিনলাম। কারণ এর আগে আদাবর বাজার থেকে চিংড়ি আনার পরও জেলি পেয়েছি।

সব শেষ ৮ মার্চ চিংড়ি কেনার পর নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু এই সিস্টেম বদলানোর ক্ষমতা আমার হাতে নেই তাই নিজেকে বদলে ফেলি। চিংড়ি আর কিনব না। চিংড়ি কিনলেও অন্তত বড় সাইজের চিংড়ি না। কারণ জেলি মেশানো হয় মূলত এই বড় চিংড়িগুলোতে। ছোট যে চিংড়ি সেগুলোর ক্ষেত্রে কোনোদিন জেলি দেখিনি।

চিংড়িতে জেলি মেশানোর বিষয়টি স্বীকার করে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এটা উৎসে অর্থাৎ যেখানে চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে সেই সকল এলাকাতে ঘরে ঘরে জেলি মেশানো হচ্ছে সেই খবর পাচ্ছি। এটা বন্ধ করতে হলে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে। আমরা বাজারে বাজারে প্রচারণা চালাচ্ছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আমাদের জনবলের সীমাবদ্ধতা আছে সব কিছু বিবেচনা করে কাজ করতে হয়।

চিংড়ির বড় মার্কেট রপ্তানি। এ কারণে অভিযানে আগ্রহ একটু কম বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, চিংড়ি আমরা রপ্তানি করি। খুব বেশি নেতিবাচক প্রচারণা হলে রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তারপরও দেশের মানুষকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিতে পারি না। এজন্য সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

জেলির ক্ষতি নিয়ে পুষ্টিবিদরা যা বললেন

ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানিয়ে পুষ্টিবিদ ইমদাদ হোসেন শপথ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মূলত মাছের ওজন বাড়ানোর জন্য জেলি দেওয়া হয়। দেখা গেছে বড় সাইজের চিংড়িতে ১০০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত জেলি পাওয়া যায়। যে জেলি পাওয়া যায় পুরোটাই প্লাস্টিক জাতীয় উপাদান। তা ছাড়া অনেক সময় সাদা পাথরও দেওয়া হয়। চিংড়িতে যে জেলি দেওয়া হয় মূলত রাবার জাতীয় পদার্থ। যে কোনো রাবার, প্লাস্টিক বা ইথিলিন প্রথমত আক্রমণ করে কিডনিতে। এই প্লাস্টিক তাৎক্ষনিকভাবে কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হল যেহেতু প্রতিটি খাবার পাকস্থলীতে হজম হয়। কাজেই পাকিস্থলীতে যখন অপ্রত্যাশিত কোনো উপাদান প্রবেশ করে সেটাকে হজম করতে পারে না। ফলে আমাদের হজমের সমস্যা হয়। আর পাকস্থলী যখন স্বাভাবিকভাবে নেবে না তখন কোষগুলা নষ্ট করে শেষ পর্যায়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।

ফরাজী হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান রুবাইয়া রীতি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিংড়িতে যে জেলি পাওয়া যায় এটা মারত্নক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। কিডনির পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতা দেখা দেবে। চিংড়ির জেলি ক্যান্সারের রূপান্তর করতে পারে।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৮

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলিদের হামলা। চলমান এই হামলায় মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে হামলার জেরে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

আল জাজিরা বলছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর মধ্যরাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে এবং আরও ৩৮ জনকে হত্যা করেছে।

এদিকে কানাডা, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা গাজায় নতুন করে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “জোরালো পদক্ষেপ” নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে ২২টি দেশ অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ১৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ হাজার ৪৮৬ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ৩৬৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৯৮ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

Header Ad
Header Ad

ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস আবারও ভয় ধরাচ্ছে ভারতসহ এশিয়ার একাধিক দেশে। সম্প্রতি হংকং ও সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব এবার ভারতেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভারতজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ২৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১২ মে থেকে ভারতে নতুন করে ১৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু রাজ্যে। কেরালায় গত সপ্তাহে নতুন করে ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৪ জন এবং তামিলনাড়ুতে ৩৪ জন।

মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। বর্তমানে সেখানে মোট ৫৬ জন কোভিড পজিটিভ রয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে একজন ৫৯ বছর বয়সী ক্যানসার আক্রান্ত নারী এবং অন্যজন ১৪ বছর বয়সী কিডনি রোগে আক্রান্ত কিশোরী। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের মৃত্যু সরাসরি করোনার কারণে হয়নি, তবে তারা দুজনই কোভিড পজিটিভ ছিলেন।

এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের মৃত্যুসনদে কেন কোভিড সংক্রান্ত কোনো উল্লেখ নেই। বিশেষ করে ৫৯ বছরের ওই নারীর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে মুম্বাইয়ের ভোইওয়াডা শ্মশানে সরকারি প্রোটোকল মেনে দাহ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র দুইজন পরিবারের সদস্য। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাবেক কর্পোরেটর অনিল কোকিল।

করোনার নতুন এই উত্থান ফের মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের ভয়াবহ দিনগুলোর কথা। যখন কোভিড-১৯ মহামারিতে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছিল, অর্থনীতি ছিল চরম চাপে, এবং সাধারণ মানুষ ছিল চরম আতঙ্কে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রশ্ন উঠছে — আবার কি সেই ভয়াবহ সময় ফিরে আসছে?

সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। প্রশাসন দুই জায়গায়ই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে এই দুই অঞ্চলের যোগাযোগ থাকায় নয়াদিল্লিতেও বেড়েছে উদ্বেগ।

তবে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কিংবা কোনো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। চিকিৎসক মহলও এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। কেউ কেউ সাবধানতার পরামর্শ দিচ্ছেন, আবার কেউ মনে করছেন আতঙ্ক না ছড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাই শ্রেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। তাই সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এখনো জরুরি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তথ্যসূত্র: এবিপি নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল কুমার বিশ্বাস ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, টি.আর ২২২/২০২২ ও টি.আর ০১/২০২৪ মামলায় সাক্ষ্য দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা-আরিজ। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন পোস্টমর্টেম ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) আবেদনের পর আদালত ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেন। পরে ডাক্তার সাদিয়া মা-আরিজকে ভিডিও মাধ্যমে যুক্ত করা হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আর আসামিপক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট মো. আফজালুল হক ও অ্যাডভোকেট মো. আত্তাব আলী।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশনা অনুসারে বিচারকাজ পরিচালিত হয়। চুয়াডাঙ্গার জেলা আদালতে এই প্রথম ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের নজির স্থাপিত হলো, যা আইনি ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৮
ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা
চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ
নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু
ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক
হঠাৎ জাপান ছাড়ার হিড়িক, জাপান সফর বাতিল করেছেন অনেকেই
অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি, ক্ষমা চাইলেন ইশরাক হোসেন
গোটা গাজা দখলের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, ব্যাপক স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ক্ষমা চাইতে হাসনাতকে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম কুমিল্লা জেলা বিএনপির
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
দাবি আদায় করবো, না-হয় মাটির নিচে শায়িত হবো: ইশরাক
১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সরকার: প্রেস সচিব
বিরামপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ!
একযোগে ১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি, ১০ জন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম
আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)
ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!
বদলে গেলো নাম, ধানমন্ডি ২৭ এখন 'শহীদ ফারহান ফাইয়াজ' সড়ক
ফার্স্ট সিকিউরিটি থেকে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলমসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা