মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কেলেঙ্কারি করলেই পদোন্নতি কূটনীতিকদের!

নারী কেলেঙ্কারি, যৌন হয়রানি, মাদক, মানব পাচার, প্রতারণাসহ নানান অভিযোগ বিদেশি মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে। কিছুদিন পর পর গুরুতর এসব অভিযোগ উঠলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কোনো নজির নেই। বরং যারা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই দ্রুতগতিতে পদোন্নতি ও পদায়ন পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার পর ঘটনা ঘটলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিদেশি মিশনে কর্মরত কূটনীতিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে নিজের বাসায় মারিজুয়ানা রাখার অভিযোগে সেই দেশের সরকারের অনুরোধে তাকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফেরত আনা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, কূটনীতিক হয়ে নাইজেরিয়ান নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে একই বাসায় থাকতেন আনারকলি। মারিজুয়ানা পাওয়ার পর কূটনীতিক হিসেবে আনারকলি দায়মুক্তি পেলেও তার নাইজেরিয়ান বন্ধু ইন্দোনেশিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন।

জানা যায়, লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেলের দায়িত্বে থাকাকালে ২০১৭ সালেও কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনার তদন্ত না করে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে লস এঞ্জেলস থেকে জাকার্তায় পোস্টিং দেয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তখন যদি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে এবার এমন ঘটনা ঘটত না। ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার কারণে দ্বিতীয়বার লজ্জায় পড়ল বাংলাদেশ।

২০১৩ সালে চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল শাহনাজ গাজীর সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তির ‘বিশেষ সম্পর্কে’র অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময় এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে শাহনাজ গাজীকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে তিনি তুরষ্কের আঙ্কারার বাংলাদেশ মিশনের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শাহনাজ গাজী

ভারতের আসামে একজন ভারতীয় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তদানীন্তন সহকারী হাইকমিশনার কাজী মুনতাসির মোর্শেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ২০১৮ সালের ওই ঘটনার পর মোর্শেদকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের পরও তাকে পদোন্নতিও দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, ঘটনার শিকার তরুণী দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের তৎকালীন হাইকমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মোর্শেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের একটি অনুলিপি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠান ওই তরুণী। অভিযোগের সঙ্গে তিনি চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশটও সংযুক্ত করে দেন।

আসামের গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই তরুণী অভিযোগে বলেন, পরিচয়ের পর থেকে কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে ২০ জানুয়ারি তাকে দূতবাসে ডেকে পাঠান মোর্শেদ এবং সেখানে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন এ কূটনীতিক।

আরেক কূটনীতিক মোহাম্মদ নুরে আলমের বিরুদ্ধেও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে। ঘটনা ২০১৫ সালের। নুরে আলম তখন টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত। দূতাবাসের এক নারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সেই সময় অভিযোগের তদন্ত তো দূরের কথা, উল্টো ওই নারী কর্মীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমনকি ওই নারী কর্মীকে পাগল বানানোর এবং তাকে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়। তাতে ব্যর্থ হয়ে ওই নারী কর্মীকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।

মোহাম্মদ নুরে আলম

ওই ঘটনার পর নুরে আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তি তো হয়ইনি, বরং তাকে পদোন্নতি দিয়ে ২০১৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বানানো হয়। নুরে আলম বর্তমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চলতি বছরে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে প্রথম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সানিউল কাদেরের বিরুদ্ধেও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। তার সঙ্গে কলকাতার আলিশা মাহমুদ নামের এক নারীর ভিডিও চ্যাট ও হোয়াটসঅ্যাপ আলাপের স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।

তবে সানিউল পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা না হওয়ায় তাকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

যৌন কেলেঙ্কারি যেন পিছুই ছাড়ছে না বাংলাদেশি কূটনীতিকদের। ২০১১ সালের জুনে টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত একেএম মুজিবুর রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগে। টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি করা একজন জাপানি নারীকে যৌন হয়রানির দায়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

কিয়াকো তাকাহাসি নামের ওই জাপানি নারী বাংলাদেশ দূতাবাসে সোশ্যাল সেক্রেটারি পদে চাকরি করতেন। অভিযোগপত্রে তাকাহাসি লিখেছেন, দূতাবাসের চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে অযাচিত আচরণ করেন। এমনকি চাকরির ইন্টারভিউয়ের দিনও তাকে আপত্তিকর প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন।

তাকাহাসি অভিযোগ করেন, ইন্টারভিউতেই রাষ্ট্রদূত তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি তাকাহাসিকে চুমু খেতে পারবেন কি না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অভিযোগপত্রে তাকাহাসি বলেন, দূতাবাসে প্রথম যোগ দেওয়ার দিন আমাকে রাষ্ট্রদূত নিজের কক্ষে ডেকে নেন এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর অবস্থায় যেতে চান।

সানিউল কাদের

বিদেশি নারীর এমন অভিযোগের পরও মুজিবুর রহমানের শাস্তি হয়নি। বরং পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাকে ইরানের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু ইরান থেকেও তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ‘নৈতিক অবক্ষয় ও আর্থিক অনিয়মের’ অভিযোগে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন। ওই তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল ফেসবুকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিককে ২০০৯ সালে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেয় সরকার। দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ভারতের পতাকা নিয়ে গাড়িতে ভ্রমণ, নারী কেলেঙ্কারি, ভিসা দিতে হয়রানি, শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিতে ঘুষ, এমনকি নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনা ২০১১ সালের।

অধ্যাপক নিমচন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে সেই সময় একটি প্রতিবেদন তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিমচন্দ্র ভৌমিকের অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারির মধ্যে বলিউড তারকা মনীষা কৈরালার সঙ্গে দেখা করতে অকূটনৈতিকসুলভ আচরণের কথাও প্রতিবেদনে স্থান পায়।

কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশি পাঁচ তরুণের একটি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছিলেন নেপালের প্রভাবশালী কৈরালা পরিবারের সদস্য মনীষা। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর সন্ধ্যায় মনীষার দেখা পেতে তার বাড়িতেও ধরনা দিয়েছিলেন নিমচন্দ্র।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত করে জানতে পারে, মনীষার বাড়িতে ঢুকতে আধা ঘণ্টা ধরে ফটকে দাঁড়িয়ে দেনদরবার চালিয়েছিলেন নিমচন্দ্র। তবে ফটক খোলা হয়নি।

এদিকে কাজী আনারকলির ঘটনার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, এই ঘটনায় সরকার খুবই বিব্রত। আমরা নিশ্চিত করতে চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। দায়ী হলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

ওএসডি হয়েছিলেন মাত্র ৩ জন

কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অসংখ্য অভিযোগের মধ্যে মাত্র তিনটি ঘটনায় সাদামাটা ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ও দুইজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার মহাপরিচালককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

ওএসডি হওয়ার আগে তিনজনই বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এক থেকে দেড় বছর আগে তাদের প্রত্যাহার করে ঢাকা আনা হয়। ওএসডি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন-মারুফ জামান, হাসিব আজিজ ও আশরাফ উদ্দিন।

মারুফ জামান ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আনার পর কয়েকদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপরই তাকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বদলি করা হয়।

আশরাফ উদ্দিনের নামেও স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ তিনি মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হয়ে যান। তিন মাসের মধ্যেই তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। এরপর তিনি ন্যাশনাল ডিফেনস কলেজে এনডিসি কোর্সে ভর্তি হন।

ওএসডি হওয়া হাসিব আজিজের বিরুদ্ধেও স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে তৃতীয় বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সর্বশেষ হাসিব আজিজ উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অভিযোগের পর তাকে সেখান থেকে ঢাকায় এনে দপ্তরবিহীন অবস্থায় মহাপরিচালক করে রাখা হয়।

এরপর হাসিব আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী ফারিম হাসিব বেবী অভিযোগ করেন, তার বিনাঅনুমতিতেই হাসিব উজবেকিস্তানে আইগুল নামের এক নারীকে বিয়ে করেন।

কূটনীতিকদের এমন অকূটনীতিসুলভ আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এসব নিয়ে প্রতিবেদন হয়। ফলে নির্দোষ কূটনীতিকদের দিকেও অনেকে সন্দেহের চোখে তাকান। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সরকারকে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে থাকতে হবে।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন