শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

২০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয়!

ইস্টার্ন রিফাইনারি

মাত্র ১৮৪ জনের বিদেশ প্রশিক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা! মিটিং খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকা! আপ্যায়ন, প্রচার বিজ্ঞাপনেও ব্যয় করা হবে চার কোটি টাকা। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিভিন্ন ভবনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনতে ১৩৫ কোটি টাকা।

এ রকম আরও অনেকগুলো খাত আছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক এই প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের বেশ কিছু বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে।

অবশ্য বিশ্ব তথা দেশের অর্থনীতির এই কঠিন সংকটময় সময়ে সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এরকম একটি বৃহৎ প্রকল্পের যৌক্তিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে সরকার সবকিছুতে ব্যয় সংকোচন নীতি নিয়েছে সেখানে এরকম একটি প্রকল্পের চাপ কতোটা সামলাতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গেছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পে (২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প) অনেকগুলো খাতে অযৌক্তিক ব্যয় ধরা হয়েছে। বিশাল অংকের এই প্রকল্পে কোনো বিদেশি ঋণ না পাওয়ায় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পক্ষে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও আগে তা করা হয়নি। বরং আমদানির নামে হরিলুট হয়েছে। আবার দেরিতে হলেও প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গ্রহণ করতে গিয়ে সূক্ষ্মভাবে প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে বেশি বেশি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি মূলত সরকারি অর্থ লোটপাটের একটা প্রক্রিয়া।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রস্তাবিত এই প্রকল্প সম্পর্কে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশের ভোক্তার জন্য যখন যা দরকার তা করা হয় না। পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এই ব্যয়ের নামে সরকারি অর্থ লুণ্ঠন করা হচ্ছে। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। অসময়েও যা করা হচ্ছে সেখানেও অর্থ লুটের পাঁয়তারা শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশে যে সংকট তাতে এতো অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইআরএল। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তারা এ কাজ করার চেষ্টা করছে। এটা পরিকল্পনা কমিশনকে শক্ত হাতে ধরা দরকার। কারণ কোনো ফাঁকফোকর পেলে তারা হাতিয়ে নেবে দেশের অর্থ।’

প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘ব্যবস্থাপনাগতভাবে কিছু সমস্যা থাকায় আগে প্রকল্পটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আমি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এমডি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ইআরএল এর বার্ষিক (ক্রুড প্রসেসিং) উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য দীর্ঘদিন আলাপ আলোচনা করে ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডিয়া লিমিটেডসহ দুই প্রতিষ্ঠানকে কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা সমীক্ষা) করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই প্রকল্পটি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। দেশি অর্থে এটা করা হবে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর প্রায় যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। ২৪ আগস্ট এর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি টেকনিক্যাল প্রকল্প। তাই বিদেশ থেকে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ডিপিপিতে প্রথমে ৩৮৯ জন ধরা হলেও কাটছাঁট করে ১৮৪ জনকে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে। পিইসি সভায় কিছু ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে। এটা স্পষ্ট করা হবে, রিভিউ হবে। সংশোধন করে আবার পরিকল্পনা কমিশনে পাঠনো হবে।’

ঠিকাদারের সঙ্গে মিটিংয়ের ব্যয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে ঠিক না। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মিটিং করতে হবে। তাতে তো খরচ হবে।’

কঠিন সময়ে দেশিয় অর্থে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মনে করলে এর অনুমোদন দেবেন। না দিলে হবে না। আমরা আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ইআরএল এর বার্ষিক (ক্রুড প্রসেসিং) উৎপাদন ক্ষমতা দেড় মিলিয়ন (১৫ লাখ) মেট্রিক টন। এই রিফাইনারিটি ৫০ বছরের পুরাতন। কিন্তু বর্তমানে দেশের পেট্রোলিয়াম পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। তাই পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে একটি প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটির পতেঙ্গায় ইআরএলের খালি ৫৯ একর জায়গা ও লিজকৃত ৬৪ একর জমিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তাতে বছরে তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ইআরএল-এর বার্ষিক ক্রুড প্রসেসিং ক্ষমতা সাড়ে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে। দেশের জ্বালানি খাতে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আসবে। পরিবেশবান্ধব গ্যাসোলিন ও ডিজেল জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হবে।

এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। অর্থাৎ ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে এনে তা কমাতে হবে বলে সভায় পিআইসি জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রকল্পের কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্টে ২০২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনেও ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া মোটরযান মেরামতে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় অত্যধিক প্রতীয়মান হওয়ায় তা যৌক্তিক পর্যায়ে কমাতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, টেলিযোগাযোগ খাতে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা অত্যধিক। প্রশাসিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণেও অত্যধিক ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। তাই এই ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে পুনঃনির্ধারণ করতে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বলা হয়েছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় ১২৩ একর জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ হলেও মৌজা, দাগ, খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। আসলে কী পরিমাণ জমি লাগবে, এই বিষয়টিও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ ধরা হয়েছে সাইট প্রিপারেশন, ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট, কনস্ট্রাকশন (সিভিল ও মেকানিক্যাল) কাজ, পিডিবি থেকে ইলেকট্রিক্যাল লাইন স্থাপন এবং ন্যাচারাল গ্যাস সংযোগ স্থাপন।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

গাজায় ১ দিনে নিহত ৬১, মোট নিহত ছাড়াল ৪২ হাজার ১০০

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ৬১ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৩১ জন। এতে গত এক বছরে অঞ্চলটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ১২৬ জনে এবং আহতের সংখ্যা ৯৮ হাজার ১১৭ জনে পৌঁছেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত গাজা উপত্যকার অন্তত ৪টি এলাকায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলা এবং রকেট।

“নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ অনেক মৃতদেহ এবং আহত ব্যক্তি এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছে। পথ-ঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জামের অভাব থাকার কারণে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না," বলা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে আসে তারা।

এই জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাসকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করতে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ভয়াবহ এ অভিযান থামানো এবং হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতার জন্য গত এক বছরে ব্যাপকভাবে চেষ্টা করেছে মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশ কাতার, মিসর. যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু সেসব চেষ্টার প্রায় সবই ব্যর্থ হয়েছে।

কারণ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার আগ পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে এবং নিজের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে ইসরায়েল কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।

তবে পরিসংখ্যান বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর এক বছরের অভিযানে গাজায় নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী এবং বেসামরিক লোকজন।

Header Ad

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশনে আটকানোর গুজব না ছড়ানোর আহ্বান আজহারীর

ফাইল ছবি

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরেছিলেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। সপ্তাহখানিক কাটিয়ে গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আবারও মালয়েশিয়ায় চলে যান । তবে মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়ার খবর জানা যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেশটির স্থানীয় সময় রাত ২টার পর তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়।

এবার ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন মাওলানা আজহারী। এ ঘটনায় গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি জানান, ‘মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ভেরিফিকেশনে একটু সময় নিয়েছিল। আমি ঠিক আছি। অযথা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন’।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন মিজানুর রহমান আজহারী। তবে কয়েকদিনের মাথায় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ফের দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া চলে যান তিনি।

আজহারীকে বহনকারী বিমান মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাকে বিমানবন্দরের ওয়েটিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আজহারীর বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ এখনও দেশটির ইমিগ্রেশন সার্ভারে রয়ে গেছে। এ কারণে তাকে আটকে দেয় পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় এই ইসলামি বক্তা।

ফেসবুকে তিনি লেখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।

আজহারী আরও লেখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ত কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে, সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।

Header Ad

নদী ও সাগরে মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

ছবি: সংগৃহীত

মা ইলিশ রক্ষা করতে দেশের সাগর ও নদীগুলোতে মাছ শিকারের ক্ষেত্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

আজ (শনিবার, ১২ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীগুলোতে জারি থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা। এ সময়ে সাগর ও নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার, মজুত ও পরিবহন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।

বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে সামনে রেখে এই ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখার পাশাপাশি মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানও বাস্তবায়ন করা হবে। ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইতোমধ্যে নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জামাদী তীরে ওঠাচ্ছেন উপকূলের জেলেরা।

আইন অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

প্রতি বছর এই সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। আগামী ২২ দিন চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। ইতোমধ্যে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলেরা জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নিচ্ছেন।

এদিকে কর্মহীন এ মৌসুম নিয়ে বরাবরের মতোই দুশ্চিন্তা ভর করেছে উপকূলবর্তী জেলেদের মাথায়। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরন-পোষন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

সূত্রমতে, অর্ধ লক্ষাধিক জেলে রয়েছেন চাঁদপুরে। এর মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধনকৃত। শুধু নিবন্ধনকৃত জেলেরাই সরকারি সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন কর্মহীন এ মৌসুমে। তাই সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি এখানকার জেলেদের।

চাঁদপুরের মেঘনা পাড়ের বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, কিছু কিছু জেলে আইন মানছে না। ২২ দিন মাছ ধরতে পারবো না কিন্তু পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন কাটে সে খবর কেউ রাখে না। আমাদের যে চাল দেয়, সেটি দিয়ে কিছুই হয় না। চালের সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস লাগে। সে খরচ কীভাবে পাবো? ধারদেনা ও কিস্তির টাকা দিয়ে আমাদের চলতে হয়। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারি না। অভাবে পরে অনেক জেলে বাধ্য হয়েই নদীতে নামে।

চাঁদপুরের নদীকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার দিদার বলেন, এবার ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এবারও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করেন তিনি।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু জেলে নয়, কোনো সাধারণ ক্রেতার হাতে ইলিশ পাওয়া গেলে, তাকেও আইনের আওয়তায় আনা হবে। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশের পাশাপাশি এবার সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ১ দিনে নিহত ৬১, মোট নিহত ছাড়াল ৪২ হাজার ১০০
মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশনে আটকানোর গুজব না ছড়ানোর আহ্বান আজহারীর
নদী ও সাগরে মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু
গণহত্যার বিচার শুরু হলে অনেক দ্বিধা-প্রশ্ন দূর হবে : আসিফ নজরুল
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে যুবককে হত্যা
পূজায় সব ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে : সেনাপ্রধান
চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত মদ্পানে হরিজন সম্প্রদায়ের একজনের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ী মুসলিম হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামির বাবা মর্তুজ আলী গ্রেফতার
সংবিধান বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা
ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ঘোষণা শিগগিরই : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
মারধর করে ভিক্ষা করতে বাধ্য করতো সন্তানরা, কষ্টে বাবা-মায়ের পানির ট্যাঙ্কে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা
বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
ককপিটে পাইলটের অকাল মৃত্যু: জরুরি অবতরণের ঘটনা
মিয়ানমার দূতাবাসে জেলে হত্যার কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের
মালয়েশিয়া ফিরে গেলেন মিজানুর রহমান আজহারি, ফেসবুকে যা জানালেন
শান্তিতে নোবেল পেল জাপানি সংস্থা 'নিহন হিডানকিও'
পূজা উদযাপন পরিষদের এক কর্মকর্তার আমন্ত্রণে গান করেছিলেন শিল্পীরা: পুলিশ
ভারতে হিযবুত তাহ্‌রীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
এক প্রজ্ঞাপনেই ১৭ বছরে করা ৪ লাখ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে: মির্জা আব্বাস