২০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয়!

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৩৮ পিএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৫২ এএম


২০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয়!
ইস্টার্ন রিফাইনারি

মাত্র ১৮৪ জনের বিদেশ প্রশিক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা! মিটিং খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকা! আপ্যায়ন, প্রচার বিজ্ঞাপনেও ব্যয় করা হবে চার কোটি টাকা। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিভিন্ন ভবনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনতে ১৩৫ কোটি টাকা।

এ রকম আরও অনেকগুলো খাত আছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক এই প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের বেশ কিছু বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে।

অবশ্য বিশ্ব তথা দেশের অর্থনীতির এই কঠিন সংকটময় সময়ে সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এরকম একটি বৃহৎ প্রকল্পের যৌক্তিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে সরকার সবকিছুতে ব্যয় সংকোচন নীতি নিয়েছে সেখানে এরকম একটি প্রকল্পের চাপ কতোটা সামলাতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গেছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পে (২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প) অনেকগুলো খাতে অযৌক্তিক ব্যয় ধরা হয়েছে। বিশাল অংকের এই প্রকল্পে কোনো বিদেশি ঋণ না পাওয়ায় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পক্ষে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও আগে তা করা হয়নি। বরং আমদানির নামে হরিলুট হয়েছে। আবার দেরিতে হলেও প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গ্রহণ করতে গিয়ে সূক্ষ্মভাবে প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে বেশি বেশি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি মূলত সরকারি অর্থ লোটপাটের একটা প্রক্রিয়া।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রস্তাবিত এই প্রকল্প সম্পর্কে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশের ভোক্তার জন্য যখন যা দরকার তা করা হয় না। পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এই ব্যয়ের নামে সরকারি অর্থ লুণ্ঠন করা হচ্ছে। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। অসময়েও যা করা হচ্ছে সেখানেও অর্থ লুটের পাঁয়তারা শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশে যে সংকট তাতে এতো অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইআরএল। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তারা এ কাজ করার চেষ্টা করছে। এটা পরিকল্পনা কমিশনকে শক্ত হাতে ধরা দরকার। কারণ কোনো ফাঁকফোকর পেলে তারা হাতিয়ে নেবে দেশের অর্থ।’

প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘ব্যবস্থাপনাগতভাবে কিছু সমস্যা থাকায় আগে প্রকল্পটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আমি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এমডি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ইআরএল এর বার্ষিক (ক্রুড প্রসেসিং) উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য দীর্ঘদিন আলাপ আলোচনা করে ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডিয়া লিমিটেডসহ দুই প্রতিষ্ঠানকে কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা সমীক্ষা) করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই প্রকল্পটি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। দেশি অর্থে এটা করা হবে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর প্রায় যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। ২৪ আগস্ট এর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি টেকনিক্যাল প্রকল্প। তাই বিদেশ থেকে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ডিপিপিতে প্রথমে ৩৮৯ জন ধরা হলেও কাটছাঁট করে ১৮৪ জনকে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে। পিইসি সভায় কিছু ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে। এটা স্পষ্ট করা হবে, রিভিউ হবে। সংশোধন করে আবার পরিকল্পনা কমিশনে পাঠনো হবে।’

ঠিকাদারের সঙ্গে মিটিংয়ের ব্যয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে ঠিক না। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মিটিং করতে হবে। তাতে তো খরচ হবে।’

কঠিন সময়ে দেশিয় অর্থে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মনে করলে এর অনুমোদন দেবেন। না দিলে হবে না। আমরা আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ইআরএল এর বার্ষিক (ক্রুড প্রসেসিং) উৎপাদন ক্ষমতা দেড় মিলিয়ন (১৫ লাখ) মেট্রিক টন। এই রিফাইনারিটি ৫০ বছরের পুরাতন। কিন্তু বর্তমানে দেশের পেট্রোলিয়াম পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। তাই পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে একটি প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটির পতেঙ্গায় ইআরএলের খালি ৫৯ একর জায়গা ও লিজকৃত ৬৪ একর জমিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তাতে বছরে তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ইআরএল-এর বার্ষিক ক্রুড প্রসেসিং ক্ষমতা সাড়ে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে। দেশের জ্বালানি খাতে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আসবে। পরিবেশবান্ধব গ্যাসোলিন ও ডিজেল জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হবে।

এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। অর্থাৎ ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে এনে তা কমাতে হবে বলে সভায় পিআইসি জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রকল্পের কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্টে ২০২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনেও ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া মোটরযান মেরামতে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় অত্যধিক প্রতীয়মান হওয়ায় তা যৌক্তিক পর্যায়ে কমাতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, টেলিযোগাযোগ খাতে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা অত্যধিক। প্রশাসিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণেও অত্যধিক ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। তাই এই ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে পুনঃনির্ধারণ করতে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বলা হয়েছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় ১২৩ একর জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ হলেও মৌজা, দাগ, খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। আসলে কী পরিমাণ জমি লাগবে, এই বিষয়টিও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ ধরা হয়েছে সাইট প্রিপারেশন, ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট, কনস্ট্রাকশন (সিভিল ও মেকানিক্যাল) কাজ, পিডিবি থেকে ইলেকট্রিক্যাল লাইন স্থাপন এবং ন্যাচারাল গ্যাস সংযোগ স্থাপন।

এনএইচবি/আরএ/


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ পিএম


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।

কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ পিএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 

অনুসরণ করুন