
সরকারি পুকুর গিলে খেলেন গোলাম মাওলা ও তার সন্তানরা!
১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩০ পিএম

২২ শতকের সরকারি একটি আস্ত ‘পুকুর’ গিলে খেয়েছেন মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল) নামে এক ব্যক্তি! ঘটনাস্থল একেবারে রাজধানীর বুকে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ১ নং খতিয়ানভুক্ত পুকুরটির অবস্থান মোহাম্মদপুরের ওয়াশপুর মৌজার বসিলায়। এখন সেখানে পুকুরের বদলে জায়গা করে নিয়েছে পাকা দালানকোটা ও টিনশেড বাড়ি। দখলদারের ছেলেরা সেই বাড়ি থেকে ভাড়া উঠাচ্ছেন। বর্তমানে এই জমির বাজারমূল্য হচ্ছে প্রায় ১১ কোটি টাকা।
পুকুরটি উদ্ধারে কাজ করছেন পরিবেশ কর্মীরা। সরকারের ভূমি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, এটি ছিল আস্ত পুকুর এবং সরকারের সম্পত্তি। তারপরও উদ্ধার হয়নি দখলদারদের হাত থেকে।
সরেজমিন অনুসন্ধান এবং সরকারি বিভিন্ন নথি থেকে পুকুর গিলে খাওয়ার এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, রাজধানীর মোহম্মদপুরের ওয়াশপুর মৌজার বসিলায় কাগজে-কলমে ২২ শতক জমির সরকারি পুকুর থাকলেও বাস্তবে এখন সেখানে পুকুরের কোনো অস্তিত্ব নেই। বরং সেখানে রয়েছে বসতবাড়ি। সরকারি পুকুর অবৈধভাবে দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত তিন বছর ধরে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত থাকলেও পুকুর দখলমুক্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুরো পুকুরটি গিলে খেয়েছেন দখলদার মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল)। সরকারি সমস্ত কাগজে জায়গাটি প্রথম শ্রেণির পুকুর হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কোনো প্রকার ইজারা বা অনুমতি ছাড়াই প্রায় আট বছর আগে পুকুরটি ভরাট করেন স্থানীয় মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল) নামে এক ব্যক্তি। এই আট বছরে সে জায়গার এক অংশে দুটি পাকা দালান ও অপর অংশে বেশ কয়েকটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন গোলাম মাওলা। ২০২১ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার চার সন্তান সে জায়গার কর্তৃত্ব নিয়েছেন। বর্তমানে সে জায়গার দাম প্রায় ১১ কোটি টাকারও বেশি। ছেলেদের মধ্যে কবির বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন দখলকৃত জায়গাটি বৈধ করতে। কবিরের ভাই মুকুলের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশ এর এই প্রতিবেদকের।
মুকুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমার তিন নম্বর ভাই কবির সব জানে। কাগজপত্র সব কবিরের কাছে আছে। আমার আব্বা আমাদের দিয়ে গেছেন। মালিক আমার আব্বা। সেই ঘর তুলে দিয়েছে আমরা ভাড়া দিয়ে খাই। কাগজপত্র যা আছে সব আমার তিন নম্বর ভাইয়ের কাছে আছে। অনেক আগে পুকুর ছিল। সম্ভবত ১৯৮৬ সালে আমার আব্বা পুকুর লিজ নিয়েছিল। আব্বা মারা যাওয়ার পর আমরা আবার আবেদন করেছি। মোটামুটি কাগজপত্র ক্লিয়ার হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের মন্তব্য পেতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পির সঙ্গে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়, ফোনে রিং হলেও তিনি রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইলে এসএমএস করা হয় ‘ওয়াশপুর মৌজার আরএস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের প্রথম শ্রেণির একটি পুকুর অবৈধভাবে দখল হয়েছে। পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে পেতে আপনার অফিসে একটি আবেদনও করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার একটি মন্তব্য দরকার।’ এরপরও তার কোনো সাড়া মেলেনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় এই পুকুর ভরাট করার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে কোনোটিই মানা হয়নি।
এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘অবৈধ দখলে থাকলে অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে যদি আমাদের চিঠি দেয় আমরা অবশ্যই দখলদারদের উচ্ছেদ করব।’
পরিবেশকর্মী সৈয়দ সাইফুল আলম পুকুরটি উদ্ধারে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জানিয়েছেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, পর্চা অনুযায়ী প্রয়াত মিঞা লালের দখলকৃত জায়গাটির প্রকৃত মালিক ঢাকা জেলা প্রশাসক। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বছিলা এলাকার ওয়াশপুর মৌজার আর এস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের ২২ শতক জায়গাটি পুকুর শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। সেই পুকুরের চারদিকে ইটের প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। ভেতরে একটি সেমি পাকা ঘর ও গাছগাছালিতে ভরপুর। প্রতিমাসে সেখান থেকে ভাড়া আদায় করছেন গোলাম মাওলার ছেলেরা।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সব নথিতেই জায়গাটি পুকুর হিসেবে চিহ্নিত। ওয়াশপুর মৌজার আর এস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের পুকুরটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছেন কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিঞা লাল। একই সঙ্গে তার সন্তানরাও বর্তমানে পিতার মতো প্রভাব বিস্তার করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও জায়গাটিতে পুকুর ছিল। প্রয়াত গোলাম মাওলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও কেরানীগঞ্জ ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সহায়তায় অবৈধভাবে এই পুকুর ভরাট করে নিজের দখলে নিয়েছিলেন। তবে এলাকাবাসীদের কেউই কোনো সরকারী কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেননি।
সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, 'বর্তমানে বর্ণিত পুকুরটি উক্ত মো. গোলাম মাওলা এক অংশে একতলা পাকা দালান অপর অংশে টিনশেড ঘর নির্মাণপূর্বক তাতে ভাড়াটিয়া দ্বারা অবৈধ দখলে রেখেছেন। এমতাবস্থায় পুকুরটির দখলদার উচ্ছেদ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।'
এ বিষয়ে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সমস্ত কাগজেই জায়গাটি পুকুর হিসেবে চিহ্নিত। আমি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি এবং সেখানে দেখেছি জনৈক গোলাম মাওলা পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়িঘর তৈরি করেছেন। আমরা দখলদার উচ্ছেদ করে পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি।’
এদিকে পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাট করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের ফলে সরকারি সম্পদ বেদখল হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এ পুকুরটি ভরাটের ফলে বর্ষা মৌসুমে আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে তাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। পর্চা অনুযায়ী এই পুকুরের মালিক ঢাকা জেলা প্রশাসক।
এনএইচবি/আরএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৭ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫১ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫০ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।