
ফরিদপুরের পর্দা কেলেঙ্কারির নায়ক এবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে!
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:৫১ এএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৯ এএম

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি রীতিমত জেঁকে বসেছে। এবার একটি মেশিন নিয়ে চলছে নানা তেলেসমাতি। হাসপাতালের আগের পরিচালক জার্মানির তৈরি মেশিন নিয়েছিলেন। আর বর্তমান পরিচালক সেটিকে বিদায় দিয়ে নিজের পছন্দের কাউকে রি-এজেন্ট করতে চায়নিজ মেশিন ঢুকিয়েছেন হাসপাতালে। সেই মেশিন আবার সরবরাহ করেছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্দা কেলেঙ্কারির হোতা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন। আর এই মেশিন কেলেঙ্কারিতে ত্রাহি অবস্থা সেবা নিতে আসা রোগীদের।
জানা গেছে, বিশেষ স্বার্থ হাসিলের জন্য ডাইমেনশন আরএক্স মেশিন যেটি বর্তমানে সচল রয়েছে, সেটি বাইরে ফেলে রেখে চীনের তৈরি একই মেশিন হাসপাতালে ঢুকিয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিতর্কিত এক ঠিকাদারের মাধ্যমে চীনা এই মেশিনটি আনিয়েছে। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সিন্ডিকেট ভাঙতেই এটা করা হয়েছে।
কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে নতুন এই মেশিন বসানোর পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট আসছে।
জানা গেছে, জার্মানির তৈরি মেশিন দেশের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্ভুলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই সচল মেশিনটি বারান্দায় ফেলে রেখে নতুন মেশিন বসিয়েছে। এ নিয়ে খোদ হাসপাতালের ভেতরেই বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কানাঘুষা চলছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই চীনের মেশিন হাসপাতালে ঢুকিয়েছে।
জার্মানির তৈরি ডাইমেনশন আরএক্স মেশিনটি সচল থাকা সত্ত্বেও বারান্দায় ফেলে রেখে নতুন যে চাইনিজ মেশিনটি বসানো হয়েছে তাতে টিএসএইচ এবং এফটি-৪ রিপোর্টে ভুল এসেছে। এ ছাড়া ক্রিটিনিন পরীক্ষাতেও ভুল রিপোর্ট এসেছে। যা রোগীর জন্য মারত্নক ক্ষতি হতে পারত। এনিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা মিটিংও করেছে।
গত ২৮ জুলাই শারমিন নামের এক রোগীর টিএসএইচ পরীক্ষা করা হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে। সেখানে টিএসএইচ ০.২৪ এবং এফটি-৪ ফলাফল দেখানো হয়েছে ১৭.০। ডাক্তার সেই রিপোর্টকে ভুল বলায় নতুন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে এফটি-৪ ফলাফল আসে ১৩.৭৮ এবং টিএসএইচ রিপোর্টে ফলাফল আসে ৩ দশমিক ৯৬। এটা ওই রোগীর জন্য মারাত্নক ক্ষতি হতে পারত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জার্মান মেশিনটি গিফটের। এই মেশিন গিফট দেওয়ার পেছনে বড় কারণ রি এজেন্ট ব্যবসা। অর্থাৎ যতদিন এই মেশিন এখানে থাকবে ততদিন ওই প্রতিষ্ঠান এখানে রি-এজেন্ট দিতে পারবে। এতে করে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেও সফল হবে।
অন্যদিকে যে প্রতিষ্ঠান এখন রি-এজেন্ট ব্যবসা করছে তাদেরকে তাড়িয়ে নতুন ঠিকাদার সোহরাওয়ার্দী হাসাপাতালে মেশিনারিজ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। সে জন্য তারা চায়নিজ একটি মেশিন সরবরাহ করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্দা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন ডাইমেনশন আরএক্স মেশিন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সরবরাহ করতে চান। তিনি চাকরির পাশাপাশি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
জার্মান মেশিনের বদলে চায়নিজ যে যন্ত্রটি উঠানো হয়েছে তার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাহিদা এন্টারপ্রাইজ ও এসএল ট্রেডার্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠান এই যন্ত্র সরবরাহ করেছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানই মুন্সি সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারের সদস্যদের। তাদের কাছে চাহিদা ছিল জার্মানির মেশিনের। কিন্তু তারা সেটি না দিয়ে চায়নিজ মেশিন সরবরাহ করেছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বাৎসরিক চাহিদাপত্র থেকে জানা গেছে, পরীক্ষা নিরীক্ষার এই যন্ত্রটির জন্য যে টেন্ডার করা হয়েছিল তার গ্রুপ নং-৪ কেমিক্যাল রি-এজেন্ট। (সূত্র স.ম.ক.হ: এমএসআর ও বিবিধ/২০২১/২০২২/২৫৬১। তারিখ ২১.০৯.২০২১।) দরপত্র দাখিলের তারিখ ২৫.১০.২০২১। বাজেট ২০২১-২০২২ অর্থবছর।
দেশের ৮০ ভাগ হাসপাতালে জার্মানির এই মেশিন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মো. মইনউদ্দিন রুবেল। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমার মেশিন সচল, তারা সেটা বাইরে ফেলে রেখেছে। কিন্তু কি কারণে মেশিন বাইরে ফেলে রাখা হয়েছে তা তিনি জানেন না।
তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতেই এটা করা হয়েছে। দুইটা মেশিনের একটা মেশিন অচল আর একটা চালু আছে। জার্মানি মেশিনের কথা বলে সিন্ডেকেট করে সরকারের যে টাকা অপচয় করেছে তারা সিঙ্গেল অথরাইজেশন এনে সেটা ভাঙতেই এটা করা হয়েছে। জার্মানির যে রি-এজেন্টের দাম ১০ টাকা, সেটা তারা ১০০ টাকা করেছে, বাধ্য হয়ে তাদের কাছে যেতে হতো। এতো উচ্চমূল্যে আমরা কিনতে পারি না। বাধ্য হয়ে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন তারা পায়নি বলে একটু রিউমার তো দেবেই। আমরা তো জনগণের স্বার্থে কাজ করেছি।
নতুন মেশিনে যে ভুল রিপোর্ট এসেছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমতা আমতা করে এই পরিচালক বলেন, ‘ভুল কোনো ই না, যে কোন ভুল অ্যা… অ্যা…। এখন আগের চেয়ে পরীক্ষার হার কত বেড়েছে, ২০ গুণ পরীক্ষা বেড়েছে। আগের পরিচালক হাই দামে কিনে জার্মানি ঢুকিয়েছেন।’
অনেক পরীক্ষা হয় না এ বিষয়ে তিনি বলেন, রি-এজেন্ট শেষ হলে টেন্ডার ছাড়া তো আনতে পারি না।
সরকারি ক্রয় বিধিমালা না মেনে এটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালায় (পিপিআর) ২০০৮- এ বলা আছে, টেন্ডারে কোম্পানির নাম উল্লেখ করতে পারবেন না। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘হিউম্যান’ উল্লেখ করে দিয়েছে। এটা ওই কোম্পানির ব্রান্ডের নাম। সাধারণত টেন্ডারে দেশের নাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়। এখানে সেই বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত রয়েছে। এদের মধ্যে স্টোর কিপার দেলোয়ার হোসেন, জাকির এবং ফার্মাসিস্ট আমিনুলও যুক্ত আছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘মেশিন ঢুকছে কথা সত্য। চায়না মেশিনও ঢুকছে, জার্মানিরটাও ঢুকছে। হিউম্যানের যে চায়না মেশিন ঢুকছে সেটা সত্য। তবে আমার জড়িত থাকার যে অভিযোগ সেটা একদমই সত্য না‘।
জানতে চাইলে মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন সাহিদা এন্টারপ্রাইজ ও এসএল ট্রেডার্স দুটিই তার প্রতিষ্ঠানই স্বীকার করে বলেন, ‘আমি মেশিন সরবরাহ করিনি। আমি এমএসআর প্রোডাক্ট সরবরাহ করেছি। এখানে মেশিন সরবরাহ করেছে আলম নামে একজন।’
এনএইচবি/আরএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।