বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আগামী কাউন্সিলেই দ্বাদশ সংসদের প্রস্তুতি নিতে চায় আওয়ামী লীগ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সামনে এখন দুটি চ্যালেঞ্জ। দলের জাতীয় কাউন্সিল ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই দুটি সামনে রেখে আওয়ামী লীগে চলছে নানামুখী হিসাব-নিকাশ। বিশেষ করে নতুন নেতৃত্ব এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

আগামী ডিসেম্বরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৩তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ঠিক এক বছর পর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সঙ্গত কারণে আগামী জাতীয় কাউন্সিলেই জাতীয় নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতিও শেষ করতে চায় আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব মনে করছে, বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যতটা সহজে বৈতরণী পার করেছে, আগামী নির্বাচনে সেটি অতটা সহজ হবে না। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিশেষ করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে যেকোনো রকম সহিংসতা, নৈরাজ্য মোকাবিলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেভাবেই দলকে প্রস্তুত করতে চায় দলটি। এজন্য আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের কমিটি আপডেট করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড।

সাংগঠনিক নেতারা যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে ওয়ার্ড, থানা, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে কমিটি করার কাজ সেরে ফেলতে ঘাম ঝরাচ্ছেন। পাশাপাশি যেসব আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এমপিরা নিজেদের গ্রুপ ভারী করার জন্য বিতর্কিত লোকদের দলে টেনেছেন, পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়েছেন তাদের বিষয়ে সতর্ক আওয়ামী লীগ কড়া বার্তা দিতে চায় আগামী কাউন্সিলেই।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, যেসব আসনে দুর্বল প্রার্থী রয়েছে সেসব আসনে একজন শক্তিশালী প্রার্থী বাছাই করার কাজও ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলেই শেষ করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। একই সঙ্গে কাউন্সিলেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের শক্তির পরীক্ষা দেখতে চায়। কোন প্রার্থী কেমন জনপ্রিয় তার একটি ওয়ার্ম আপ হয়ে যাবে কাউন্সিলে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে যেভাবে সরব হচ্ছে সেখানে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রেখে সতর্কতার সঙ্গে বিরোধী শক্তিকে মোকাবিলা করতে কারা পারদর্শী সেটাও দেখবে আওয়ামী লীগ।

এদিকে আগামী নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে মাঠ জরিপের কাজ চলছে অনেক দিন আগ থেকেই। বিশেষ করে যেসব সংসদ সদস্য নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ করছেন, দলকে বিতর্কিত করছেন তাদের বিষয়ে কেন্দ্রের কড়া বার্তা থাকবে আগামী কাউন্সিলেই। আগামী নির্বাচনে কোনোভাবেই বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না, এমনটাই বলছেন দলের নেতারা। এজন্য বিতর্কিতদের আসনে বিকল্প সৎ ও যোগ্য শক্তিশালী প্রার্থীর সন্ধানে রয়েছে আওয়ামী লীগ।

যারা নিজেদের জনপ্রিয়তা দিয়ে ভোটে জয়ী হতে পারবেন, এমন সব প্রার্থী আগামী নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে পারেন বলে দলের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক থেকে ফেরার পর দলের নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করতে পারেন। সেসব বৈঠকে গুরুত্ব পাবে আগামী দিনে রাজনৈতিক মাঠে কিভাবে আওয়ামী লীগ মোকাবিলা করবে। বিরোধী পক্ষ নানা ইস্যুতে উস্কানিমূলক কথা বলে সংঘাতে জড়াতে পারে। এসব বিষয়ে সতর্ক থেকে মোকাবিলা করার নির্দেশনা আসতে পারে বলে জানা গেছে। কোনো নেতার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আওয়ামী লীগকে নিয়ে যেন কেউ কথা বলতে না পারে সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারেন দলীয় সভানেত্রী।

দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বিভ্রান্তিতে গা না ভাসিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

তবে গায়ে পরে কোন দল সংঘাতে জড়ালে তাদের সমুচিত জবাব দিতে চায় আওয়ামী লীগ। এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফাঁকা মাঠে তাফালিং করবেন আর আওয়ামী লীগ আঙুল চুষবে, তা হবে না। আওয়ামী লীগ কর্মীরা সংযমী হয়ে সতর্ক অবস্থানে মাঠে থাকবে। আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

দলের কাউন্সিল ও আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ দিন এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি সবই ভালো করে জানেন এবং বোঝেন। সব সময়, সময় উপযোগী করে দল সাজিয়ে থাকেন এবারও সেভাবেই সাজাবেন। সংসদ নির্বাচনের আগে দলের জাতীয় কাউন্সিল হওয়ায় এবারের কাউন্সিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের পূর্বে সারাদেশকে যেমন আমরা সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছি, তেমনি কেন্দ্রীয়ভাবে দলকে ঢেলে সাজানোর ব্যাপার তো রয়েছেই। আগামী দিনে এই কেন্দ্রীয় কমিটি (নতুন যে কমিটি হবে) নির্বাচনকে নেতৃত্ব দেবে।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছায়ের কাজটি কীভাবে দেখছে দল- এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘একেবারে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। অবশ্যই তাকে সৎ ও নির্ভীক হতে হবে, এমন প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়ে একটি সার্ভে চলছে। কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কেউ রেহাই পাবে না, কেউ না। সে যত বড় নেতাই হোক, আর যত বড় যেই হোক, কেউ রেহাই পাবে না।’

ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, এরইমধ্যে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক দলের জাতীয় কাউন্সিলের একটা সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। তাই আমরা সাংগঠনিকভাবে জেলা, উপজেলা, থানার কমিটি প্রস্তুত করতে পুরোদমে কাজ করছি। দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নভেম্বরের আগেই সব মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন করে গঠন করতে হবে।’

এনএইচবি/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া। এটি দিয়েই শুরু করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত রচনা করা হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ভারতের উচিত পোস্ট-৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা। এটা ৭৫-পরবর্তী পরিস্থিতি নয়। জুলাই বিপ্লব ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক ও দায়িত্বশীল সংগ্রাম। আর এই সংগ্রাম চলবে দীর্ঘ সময় ধরে।

তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশি জনগণ আগের মতো নেই, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাবান। তারা মরার আগ পর্যন্ত তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করবে। বাংলার এই অংশে ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা ভাবছে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লব এবং ফ্যাসিবাদীদের নৃশংসতাকে এড়িয়ে গেলে তাদের কিছুই হবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। মানুষ সব দেখছে!

ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দু-বিরোধী, এবং ইসলামপন্থীদের ক্ষমতা দখল হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লেখেন, দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা! স্বদেশ না, শাহাদাত!—এই স্লোগানগুলো বাংলাদেশকে একক অঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এদেশের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

তিনি সতর্ক করে লেখেন, আর ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাবান ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু না করে।

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ বিনা বাধায় গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে-উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্য এসেছে... মিথ্যা ধ্বংস হবে। চিরকাল!

উপদেষ্টা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে লেখেন, ৭১-এর পর রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয়! আল্লাহ ভরসা!

Header Ad
Header Ad

‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছেন বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা বেশ সুরক্ষিত। তারা শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে এখন বেশি নিরাপদে আছেন। আমরা সব স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমরা লিঙ্গ, জাতি, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি বাংলাদেশির মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

গত আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার বিষয়ে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে আসছে ভারত সরকার। এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে বিভিন্ন খবরও প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বরাবরই ভারতের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সরকার বলছে, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রচুর অপতথ্য বা ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আমরা এসব স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমরা লিঙ্গ, জাতি, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি বাংলাদেশির মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি।

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। তবে সেই সময় কোনো গণমাধ্যমে একটি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়নি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সময় এটা ঘটেছিল বলে ভারতীয় কোনো গণমাধ্যমে একটি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়নি। কোনো প্রবাসী সংগঠন এ নিয়ে কথা বলেনি এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেনি।

ইসকনের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল আলম বলেন, সরকার বরং ওই ধর্মীয় সংগঠনের কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার জন্য সেনা পাঠিয়েছিল। আমরা নিশ্চিত করেছি যে হিন্দুরা দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে। আমরা কি ইসকনকে নিষিদ্ধ করেছি? আমরা বরং তাদের মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য সেনা পাঠিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বেদান্ত প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের উপযুক্ত আইনি সুযোগ দিতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে আচরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানানো হয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কথিত সহিংসতার বিষয়ে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই উদ্বেগের সমাধান করার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চান।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা প্রতিটি সরকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করি, যাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে – আমরা স্পষ্ট করেছি- মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান থাকা দরকার; ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। যেকোনও ধরনের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত এবং যে কোনও ধরনের ক্র্যাকডাউন – এমনকি ক্র্যাকডাউন না হলেও – সকল দেশের সরকারকে আইনের শাসনকে সম্মান করতে হবে এবং এর অংশ হিসাবে মৌলিক মানবাধিকারকেও সম্মান করতে হবে। আর এই বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ চালিয়ে যাব।

পরে ওই প্রশ্নকারী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশে ইসকনের নেতা। এছাড়াও ইউএস ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রস্তাবিত পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডও ইসকনের সদস্য। চিন্ময় দাসকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কারাগারে রাখা হয়েছে এবং বাংলাদেশের কোনও আইনজীবী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি নয়, কারণ তার আইনজীবীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা কি কোনও ব্যবস্থা নেবেন?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমার কাছে এই মামলার কোনও বিবরণ নেই। কিন্তু আবারও বলব, আমরা জোর দিয়ে যাচ্ছি এবং ইতোমধ্যেই জোর দিয়েছি, যারা আটক আছে তাদের পক্ষেও উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব করতে দিতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সাথে আচরণ করা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম
‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
বাসায় চুরি, পুলিশের দ্বারস্থ ওমর সানী
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শীত জেঁকে বসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়
আবারও সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয়
বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর
যমুনার চর কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়