মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কেজির দরে বিক্রি হচ্ছে লঞ্চ, বন্ধের পথে ব্যবসা

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই ঢাকা নদীবন্দরে (সদরঘাটে) কমেছে যাত্রীর আনাগোনা। সেই আনাগোনা আরও কমিয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। দাম বাড়ার পর থেকেই লঞ্চ হারিয়েছে তার চিরচেনা রূপ।

সদরঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। এক সময়ে লোককথা প্রচলিত ছিল ‘উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’ সেই লোককথা হারিয়েছে তার যথার্থতা। যাত্রী সংকটে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। কাজ হারাচ্ছেন লঞ্চ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) থেকে লঞ্চযোগে যাতায়াত করে থাকে বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, কুয়াকাটা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গার লঞ্চ। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অন্যতম যাতায়াতের পথ নৌপথ হলেও সদরঘাটে আগের চেয়ে যাত্রীর আনাগোনা কমেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রীই ঝুকেছে সড়কপথে। অধিকাংশ লঞ্চই পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী। লঞ্চের ব্যবসায় লোকসান গুণনছেন বেশিরভাগ লঞ্চমালিক।

ব্যবসা খারাপ হওয়ায় কমেছে আয় এজন্যই অনেক লঞ্চেই ছাঁটাই হচ্ছে বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মী। লঞ্চে শুধু কর্মী ছাঁটাইই নয়, ব্যবসায় লোকসান হওয়াতে অনেক মালিকই লঞ্চ কেটে বিক্রি করছেন কেজি দরে।

জানা যায়, ঢাকা-বরিশাল রুটে ডেকের ভাড়া আগে ছিল ৩৫২ টাকা বর্তমানে নতুন ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে ৪৫৯ টাকা কিন্ত লঞ্চে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ছিল ১২০০ টাকা, বাড়িয়ে বর্তমানে করা হয়েছে ১৮৩৬ টাকা কিন্ত লঞ্চে নেওয়া হচ্ছে ১০০০ টাকা। ডাবল কেবিনের পূর্বের ভাড়া ছিল ২২০০ টাকা বর্তমান নতুন ভাড়া কার্যকর করে করা হয়েছে ৩৬৭২ টাকা তবে বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ২০০০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাড়া কমিয়েও যাত্রী পাচ্ছে না লঞ্চগুলো। লঞ্চের চেয়ে কম ভাড়ায় যাওয়া যায় বাসে, বাচে সময়ও তাই যাত্রীদের পছন্দ সড়কপথ।

ব্যবসা আগের মতো না হওয়ায় কাজ হারানোর শঙ্কায় রয়েছে বেশিরভাগ শ্রমিক। ঢাকাপ্রকাশ-কে তারা জানান, এখন তো ব্যবসাই নেই, মালিকের আয় নেই। মালিকের আয় না থাকলে আমাদের বেতন দেবে কী করে। কাজ আমাদের এখন চলে যাবে। বেতন ঠিকঠাক মতো পাচ্ছি না। কীভাবে এই পেশায় থাকব?

সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্তগোলার শ্মশান ঘাটে কাটা হচ্ছে লঞ্চ, কেজি ধরে বিক্রি করবেন মালিকরা। এক সময়ের জনপ্রিয় লঞ্চ কীর্তণখোলার নাম বদলে হয়েছে কামাল-১। কাজ চলছে সেটি কাটার। লোহা বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। বিক্রি করে দেওয়া হবে ইঞ্জিনও। কেটে বিক্রি হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে প্রিন্স সাকিন-৪। রাজধানী নামের আরেকটি লঞ্চ কাটা হয়েছে কিছুদিন আগে।

অধিকাংশ মালিকরা জানান, তেলের দাম বাড়ার পর যাত্রী নেই লঞ্চগুলোতে। অধিকাংশ যাত্রীই এখন সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। ব্যবসা আগের মতো নেই, তাই লঞ্চগুলো কেটে বিক্রি করছি। কোটি কোটি টাকা লস যাচ্ছে আমাদের। ৪০-৫০ কোটি টাকার লঞ্চ আমরা ৫-৬ কোটিতে বিক্রি করছি।

লঞ্চ কাটার ইজারা নেওয়া ককন্ট্রাক্টর হাসান বলেন, ‘আমরা মূলত ইজারা নিয়ে লঞ্চ কাটি। প্রতিটি লঞ্চে গড়ে ১০-১২ লাখ টাকার মজুরি খরচ হয়। আগে লঞ্চ মেরামত করতাম, এখন কাটাকাটির কাজ করছি, সামনে আরও লঞ্চ আসবে। একটা লঞ্চ কাটতে ৪০-৫০ দিনের মতো সময় লাগে। সাধারণত এসব লঞ্চ বানাতে ৫০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছিল। এখন এভাবে বিক্রি করে ২-৫ কোটি টাকা পাওয়া যায়।’

কামাল-১ কাটার কাজ করছেন সাজেদুর নামের এক শ্রমিক। তিনি বলেন, ‘আমরা প্লেন শিট কাটছি, লোহা কাটছি, ইঞ্জিন আলাদা করছি, সব বিক্রি করে দেওয়া হবে। ইঞ্জিন ব্যবহার হবে অন্য কোনো লঞ্চে, লোহা আর প্লেন শিট রিফাইন করে রড বা গ্রিল বানানোতে লাগবে।’

সাইফুদ্দিন নামের আরেক শ্রমিক জানান, ‘এখন আর নতুন লঞ্চ বানানো হচ্ছে না। তেলের দাম বাড়ার পর সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। যাত্রীও নেই। নতুন লঞ্চ বানিয়ে কী করবে? বরং যেসব লঞ্চ তৈরি হচ্ছিল সেগুলো বন্ধ আছে। একটা ভিআইপি লঞ্চ বানানোর কাজ শুরুর পর সেটা আবার কেটে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।’

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন আগের মতো যাত্রী আসেন না। পদ্মা সেতু চালু হয়েছে, এ ছাড়া নানা কারণ। লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের আশা ছিল, আরামে যাত্রার জন্য আবারও লঞ্চমুখী হবেন যাত্রীরা। তবে যাত্রী ফিরলেও আগের অবস্থা ফেরেনি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যেখানে শ্রনিকদের বেতন বাড়ার কথা, সেখানে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না তারা। আছে চাকরি হারানোর ভয়।

সুরভি লঞ্চের কেরানি রহমান বলেন, ‘লঞ্চ এখন রোটেশন করে চলে। ৭-৮টার জায়গায় ৩টা চলে। কখন চাকরি চলে যায় আতঙ্কে আছি আনরা। মালিকপক্ষের তো সক্ষমতা থাকতে হবে, তেলের দাম বেড়েছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।’

মালিকপক্ষ বলছেন, আগের মতো এখন ব্যবসা নেই। সবকিছুর দাম বাড়লেও ভাড়া বেশি দিতে চায় না। আমরা অনেকেই ভাবছি ব্যবসা বন্ধ করে দেব। অনেকেই ইতিমধ্যে লঞ্চ কাটতে শুরু করেছে। লস দিয়ে ব্যবসা চালানো সম্ভব না।

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের ব্যবসায় লোকসানের অন্যতম কারণ করোনায় মানুষের আর্থিক অবস্থা বাজে হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কারণ তেলের দাম বেড়ে যাওয়া। আমার মনে হয় যেই ডিজেল ও মবিল দেশে আসছে এসব বিশুদ্ধ নয়। অনেক লঞ্চ এখন কাটা হচ্ছে,বড় লঞ্চগুলোও হয়তো কাটা শুরু হবে।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন