কেজির দরে বিক্রি হচ্ছে লঞ্চ, বন্ধের পথে ব্যবসা

০১ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৫১ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৯ এএম


কেজির দরে বিক্রি হচ্ছে লঞ্চ, বন্ধের পথে ব্যবসা

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই ঢাকা নদীবন্দরে (সদরঘাটে) কমেছে যাত্রীর আনাগোনা। সেই আনাগোনা আরও কমিয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। দাম বাড়ার পর থেকেই লঞ্চ হারিয়েছে তার চিরচেনা রূপ।

সদরঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। এক সময়ে লোককথা প্রচলিত ছিল ‘উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’ সেই লোককথা হারিয়েছে তার যথার্থতা। যাত্রী সংকটে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। কাজ হারাচ্ছেন লঞ্চ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) থেকে লঞ্চযোগে যাতায়াত করে থাকে বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, কুয়াকাটা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গার লঞ্চ। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অন্যতম যাতায়াতের পথ নৌপথ হলেও সদরঘাটে আগের চেয়ে যাত্রীর আনাগোনা কমেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রীই ঝুকেছে সড়কপথে। অধিকাংশ লঞ্চই পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী। লঞ্চের ব্যবসায় লোকসান গুণনছেন বেশিরভাগ লঞ্চমালিক।

ব্যবসা খারাপ হওয়ায় কমেছে আয় এজন্যই অনেক লঞ্চেই ছাঁটাই হচ্ছে বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মী। লঞ্চে শুধু কর্মী ছাঁটাইই নয়, ব্যবসায় লোকসান হওয়াতে অনেক মালিকই লঞ্চ কেটে বিক্রি করছেন কেজি দরে।

জানা যায়, ঢাকা-বরিশাল রুটে ডেকের ভাড়া আগে ছিল ৩৫২ টাকা বর্তমানে নতুন ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে ৪৫৯ টাকা কিন্ত লঞ্চে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ছিল ১২০০ টাকা, বাড়িয়ে বর্তমানে করা হয়েছে ১৮৩৬ টাকা কিন্ত লঞ্চে নেওয়া হচ্ছে ১০০০ টাকা। ডাবল কেবিনের পূর্বের ভাড়া ছিল ২২০০ টাকা বর্তমান নতুন ভাড়া কার্যকর করে করা হয়েছে ৩৬৭২ টাকা তবে বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ২০০০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাড়া কমিয়েও যাত্রী পাচ্ছে না লঞ্চগুলো। লঞ্চের চেয়ে কম ভাড়ায় যাওয়া যায় বাসে, বাচে সময়ও তাই যাত্রীদের পছন্দ সড়কপথ।

ব্যবসা আগের মতো না হওয়ায় কাজ হারানোর শঙ্কায় রয়েছে বেশিরভাগ শ্রমিক। ঢাকাপ্রকাশ-কে তারা জানান, এখন তো ব্যবসাই নেই, মালিকের আয় নেই। মালিকের আয় না থাকলে আমাদের বেতন দেবে কী করে। কাজ আমাদের এখন চলে যাবে। বেতন ঠিকঠাক মতো পাচ্ছি না। কীভাবে এই পেশায় থাকব?

সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্তগোলার শ্মশান ঘাটে কাটা হচ্ছে লঞ্চ, কেজি ধরে বিক্রি করবেন মালিকরা। এক সময়ের জনপ্রিয় লঞ্চ কীর্তণখোলার নাম বদলে হয়েছে কামাল-১। কাজ চলছে সেটি কাটার। লোহা বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। বিক্রি করে দেওয়া হবে ইঞ্জিনও। কেটে বিক্রি হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে প্রিন্স সাকিন-৪। রাজধানী নামের আরেকটি লঞ্চ কাটা হয়েছে কিছুদিন আগে।

অধিকাংশ মালিকরা জানান, তেলের দাম বাড়ার পর যাত্রী নেই লঞ্চগুলোতে। অধিকাংশ যাত্রীই এখন সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। ব্যবসা আগের মতো নেই, তাই লঞ্চগুলো কেটে বিক্রি করছি। কোটি কোটি টাকা লস যাচ্ছে আমাদের। ৪০-৫০ কোটি টাকার লঞ্চ আমরা ৫-৬ কোটিতে বিক্রি করছি।

লঞ্চ কাটার ইজারা নেওয়া ককন্ট্রাক্টর হাসান বলেন, ‘আমরা মূলত ইজারা নিয়ে লঞ্চ কাটি। প্রতিটি লঞ্চে গড়ে ১০-১২ লাখ টাকার মজুরি খরচ হয়। আগে লঞ্চ মেরামত করতাম, এখন কাটাকাটির কাজ করছি, সামনে আরও লঞ্চ আসবে। একটা লঞ্চ কাটতে ৪০-৫০ দিনের মতো সময় লাগে। সাধারণত এসব লঞ্চ বানাতে ৫০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছিল। এখন এভাবে বিক্রি করে ২-৫ কোটি টাকা পাওয়া যায়।’

কামাল-১ কাটার কাজ করছেন সাজেদুর নামের এক শ্রমিক। তিনি বলেন, ‘আমরা প্লেন শিট কাটছি, লোহা কাটছি, ইঞ্জিন আলাদা করছি, সব বিক্রি করে দেওয়া হবে। ইঞ্জিন ব্যবহার হবে অন্য কোনো লঞ্চে, লোহা আর প্লেন শিট রিফাইন করে রড বা গ্রিল বানানোতে লাগবে।’

সাইফুদ্দিন নামের আরেক শ্রমিক জানান, ‘এখন আর নতুন লঞ্চ বানানো হচ্ছে না। তেলের দাম বাড়ার পর সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। যাত্রীও নেই। নতুন লঞ্চ বানিয়ে কী করবে? বরং যেসব লঞ্চ তৈরি হচ্ছিল সেগুলো বন্ধ আছে। একটা ভিআইপি লঞ্চ বানানোর কাজ শুরুর পর সেটা আবার কেটে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।’

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন আগের মতো যাত্রী আসেন না। পদ্মা সেতু চালু হয়েছে, এ ছাড়া নানা কারণ। লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের আশা ছিল, আরামে যাত্রার জন্য আবারও লঞ্চমুখী হবেন যাত্রীরা। তবে যাত্রী ফিরলেও আগের অবস্থা ফেরেনি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যেখানে শ্রনিকদের বেতন বাড়ার কথা, সেখানে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না তারা। আছে চাকরি হারানোর ভয়।

সুরভি লঞ্চের কেরানি রহমান বলেন, ‘লঞ্চ এখন রোটেশন করে চলে। ৭-৮টার জায়গায় ৩টা চলে। কখন চাকরি চলে যায় আতঙ্কে আছি আনরা। মালিকপক্ষের তো সক্ষমতা থাকতে হবে, তেলের দাম বেড়েছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।’

মালিকপক্ষ বলছেন, আগের মতো এখন ব্যবসা নেই। সবকিছুর দাম বাড়লেও ভাড়া বেশি দিতে চায় না। আমরা অনেকেই ভাবছি ব্যবসা বন্ধ করে দেব। অনেকেই ইতিমধ্যে লঞ্চ কাটতে শুরু করেছে। লস দিয়ে ব্যবসা চালানো সম্ভব না।

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের ব্যবসায় লোকসানের অন্যতম কারণ করোনায় মানুষের আর্থিক অবস্থা বাজে হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কারণ তেলের দাম বেড়ে যাওয়া। আমার মনে হয় যেই ডিজেল ও মবিল দেশে আসছে এসব বিশুদ্ধ নয়। অনেক লঞ্চ এখন কাটা হচ্ছে,বড় লঞ্চগুলোও হয়তো কাটা শুরু হবে।

এমএমএ/


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পিএম


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।

কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ পিএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 

অনুসরণ করুন