শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সরকারবিরোধী বক্তব্যেই মকবুলের পতন!

সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে নিয়ে এখানো আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। আকস্মিক এই অবসরের নেপথ্যের কাহিনী নিয়ে চলছে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা। মুখরোচক অনেক কথাও ছড়িয়েছে নানাভাবে।

কিন্তু আসলে কী কারণে মেয়াদ পূর্তির এক বছর আগেই তথ্য ও সম্প্রচার সচিবকে সরকার আকস্মিকভাবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো। তার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে অনেক তথ্য।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে অন্তত পাঁচটি কারণে সরকার তথ্য সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে সরকার।

বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ যেসব তথ্য পেয়েছে তাতে সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে-সম্প্রতি সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া সচিবের একটি বক্তব্য। যা সরাসরি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া, আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা সম্প্রচার নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বড় অঙ্কের একটা চুক্তির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করা, মন্ত্রণালয়ের সবকাজে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার করা, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ফিল্ম আর্কাইভসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নথি দিনের পর দিন আটকে রাখা, পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে অধিক আগ্রহসহ আরও অনেকগুলো কারণে সরকারের খড়গ নামে তথ্য ও সম্প্রচার সচিবের উপর। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সচিবের সরকার বিরোধী বক্তব্যই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক সূত্র জানায়, গত ৪ অক্টোবর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন। সেখানে মন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত চার জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ওই সভায় সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সচিব মকবুল হোসেন সরকারের সমালোচনা করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কড়া ভাষায় নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সেখানে মকবুল হোসেন বলেন,‘আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমরা কোনো দলের কর্মচারী না। সরকার আসবে সরকার যাবে, আমরা আমাদের মত কাজ করব। আমরা কারো কথা মত কাজ করব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমলাতন্ত্র এখনো মরে যায়নি। আমলাতন্ত্র এখনো আছে। আপনারা সবাই আমলাতন্ত্রের কথা মত কাজ করবেন।’

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সচিবের এই বক্তব্য সভায় উপস্থিত অনেকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কিন্তু কেউ কোনো কথা বলেননি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়ার পেছনে তার এই বক্তব্য মূখ্য ভূমিকা রেখেছে। সরকারের শেষ সময়ে এসে সচিবের এমন বক্তব্য কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান বলে মনে করছেন তারা।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এই সচিবের বিরুদ্ধে আরও অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর অগোচরে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি একক ভূমিকা রেখেছেন। যা মন্ত্রী ও সচিবের মধ্যে এক ধরনের শীতল সম্পর্ক তৈরি করে।

সূত্র জানায়, মকবুল হোসেন গত কয়েক মাসে নিজেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সর্বেসর্বা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

একজন কর্মকর্তা জানান, সচিব বেতার, টেলিভিশন, ফিল্ম আর্কাইভসহ প্রায় সব দপ্তরের গুরুত্ত্বপূর্ণ নথি দিনের পর দিন কোনো কারণ ছাড়াই আটকে রাখতেন। এতে মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরগুলোতে কাজের গতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ রেখে সচিব মকবুল হোসেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের পদোন্নতি দিতেই বেশি আগ্রহ দেখাতেন। কেউ কেউ বলছেন, এতে তার ইন্টারেস্ট আছে।

এসব কিছুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখানোর ঘটনা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়,বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সচিব মকবুল হোসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে পাশ কাটিয়ে একাই একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিটিভিতে খেলা সম্প্রচারের বিষয়ে এমওইউ স্বাক্ষর করেছেন।

শুধু তাই নয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে থেকে টাকা ছাড় করার বিষয়ে একজন সিনিয়র সচিবের শরণাপন্ন তথ্য সচিব। এই ঘটনা এবং মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এডিপি সভায় দেওয়া বক্তব্য সচিবের বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তকে তরান্বিত করে।

সূত্র জানায়, ফিফা বিশ্বকাপ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে কথা বলেন তথ্য সচিব মকবুল হোসেন। মন্ত্রী তাতে সায় দেন। কিন্তু মন্ত্রীর সায় পাওয়ার পর এ বিষয়ে সচিব এককভাবেই সব সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রীকে আর কোনো কিছু জানানোর প্রয়োজন অনুভব করেননি।

সূত্র জানায়, ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা সম্প্রচারের স্বত্ত্ব ফিফা থেকে কিনে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান ভায়াকম। তারা সেটি বিক্রি করে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এভামোর এর কাছে। সেখান থেকে সম্প্রচার স্বত্ত্ব ক্রয় করে বাংলাদেশের এনডব্লিউও-কে স্পোর্টস।

তথ্যসচিব মকবুল হোসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অন্তত দুই জন প্রভাবশালী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে ১০৪ কোটি টাকায় খেলা সম্প্রচারের জন্য তমা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেন। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি সচিব সম্পন্ন করেন তথ্যমন্ত্রীকে অন্ধাকারে রেখে। অবশ্য মন্ত্রী জানার পর সেটি আর সামনে এগোয়নি।

এ ছাড়া, মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি যখন চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরে ছিলেন তখনো তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে। সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর পর অধ্যাপক ইদ্রস আলী নামে চট্টগ্রামের এক পরিবেশকর্মী তার ফেসবুক ওয়ালে সেই ঘটনা তুলে ধরেন।

এর বাইরে মকবুল হোসেনর বিরুদ্ধে আগেই একাধিক বিভাগীয় মামলা হয়েছিল অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য। এত কিছুর পরও তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গত বছরের ৩১ মে।

১৬ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরের পর মকবুল হোসেন যখন নিজ দপ্তরে কাজ করছিলেন ঠিক তখনই তার বাধ্যতামূলক অবসরের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাকি থাকতেই তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণে বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়।

অবশ্য ১৭ অক্টোবর দুপুরের পর সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে গিয়েছিলেন সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে অবসর দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি এও দাবি করেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে কখনো অনৈতিক কাজ করেননি। কোনো রকম আর্থিক অনিয়মের সঙ্গেও তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এমএমএ/

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ

ডিপজল। ছবি: সংগৃহীত

রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নিয়ে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ বইছে। এরইমধ্যে ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামে এক অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে ভিডিও প্রমাণসহ এমন অভিযোগ করেন সাদিয়া মির্জা নামক এক প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি। এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানান বর্তমান নির্বাচন কমিশনার খসরু।

এছাড়াও যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের।

এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা এমনটি আভাস পেয়েছি নির্বাচনের আগেই একটি পক্ষ নির্বাচন বাঞ্চালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাইবো সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও অনেক পেয়েছি কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেইনি।

তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই মহৎ মানুষ এমনিতেই দানবীর, সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না।

তবে এ বিষয় নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলেক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং- জুয়ারোধ, চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন এবং সর্বাধিক ওয়ারেন্ট তামিল লক্ষ্য পূরণ করাসহ ভালো কাজের বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আহসান উল্লাহ্। তিনি জেলার ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এ নিয়ে জেলার মধ্যে চতুর্থবারের মতো সেরা ওসি নির্বাচিত হলেন তিনি। একইসাথে ভূঞাপুর থানাও শ্রেষ্ঠ হয়েছে এবং থানার এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ ৯ জন ক্রেস্ট সম্মাননা পেয়েছেন। তার এই অর্জনে উপজেলার সুধীজন, বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত মাসের কল্যাণ সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ সময় ওসি আহসান উল্লাহ্’র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট (পুরস্কার) তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার (বিপিএম) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। এতে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয় (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংরোধ ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারসহ বিশেষ অবদানের জন্য চতুর্থ বার আমাকে শ্রেষ্ঠ ওসি ও ভূঞাপুর থানাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।

ওসি আহসান উল্লাহ্ আরও বলেন- ভূঞাপুর থানার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং উপজেলার সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ভূঞাপুর থানার এমন এক সাফল্যময় গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন সকলের। তাছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ও থানা নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। ভূঞাপুর থানা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো কিছু করতে ভূঞাপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা সহযোগিতা কামনা করছি।

ক্যাপশন: সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্।

দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি

সড়ক দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

দেশে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ফরিদপুরে ঈদের পরদিন সড়কে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। এই রেশ কাটতে না কাটতেই ঝালকাঠিতে সড়কে প্রাণ ঝরে আরও ১৪ জনের। গত তিন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ঝরছে ১৬ জনের বেশি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৬৩০টি। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ জনের। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৯২০ জন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩৭টি, এতে মৃত্যু হয়েছে ৪০৪ জনের আর আহত হয়েছেন ৫১৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬৯টি। এতে মারা গেছেন ৫২৩ জন আরও আহত হয়েছেন ৭২২ জন।

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে হয় ৬২৪টি। এতে আহত হন ৬৮৪ জন। মারা গেছেন ৫৫০ জন। এপ্রিল মাসের ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬৯টি আর মৃত্যু হয়েছে ২৮৪ জনের। গড়ে প্রতিদিন সড়কে মৃত্যু হচ্ছে ১৬ জনেরও বেশি।

গত ৩ মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে, যার সংখ্যা ৫৫৪টি, আর এতে মৃত্যু ৫০৪ জনের। আর সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু চট্টগ্রাম বিভাগে।

বিআরটিএ বলছে, গেল বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু দুটোই এবছর প্রথম তিন মাসে বেড়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ
টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার
দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি
টানা তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট অ্যালার্ট জারি
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছুটি ঘোষণা
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের 'প্রিমিয়াম টিম': সেনাপ্রধান
আগামীকাল ঢাকা মাতাবেন আতিফ আসলাম
এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আ.লীগের নির্দেশনা
নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন
বিএনপি এখনও টার্গেটে পৌঁছাতে পারেনি: রিজভী
বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ল, কমল খোলা তেলের
মুস্তাফিজের বদলে ইংল্যান্ড পেসারকে দলে নিল চেন্নাই!
যে কারণে দুবাইয়ে এমন ভারী বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যা
গায়েব হয়ে গেল জোভান-মাহির ফেসবুক ফ্যানপেজ!
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট: চীন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি হারালেন ২৮ কর্মী
আইপিএল থেকে বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে ম্যাক্সওয়েল