মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সরকারবিরোধী বক্তব্যেই মকবুলের পতন!

সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে নিয়ে এখানো আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। আকস্মিক এই অবসরের নেপথ্যের কাহিনী নিয়ে চলছে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা। মুখরোচক অনেক কথাও ছড়িয়েছে নানাভাবে।

কিন্তু আসলে কী কারণে মেয়াদ পূর্তির এক বছর আগেই তথ্য ও সম্প্রচার সচিবকে সরকার আকস্মিকভাবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো। তার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে অনেক তথ্য।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে অন্তত পাঁচটি কারণে সরকার তথ্য সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে সরকার।

বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ যেসব তথ্য পেয়েছে তাতে সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে-সম্প্রতি সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া সচিবের একটি বক্তব্য। যা সরাসরি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া, আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা সম্প্রচার নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বড় অঙ্কের একটা চুক্তির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করা, মন্ত্রণালয়ের সবকাজে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার করা, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ফিল্ম আর্কাইভসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নথি দিনের পর দিন আটকে রাখা, পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে অধিক আগ্রহসহ আরও অনেকগুলো কারণে সরকারের খড়গ নামে তথ্য ও সম্প্রচার সচিবের উপর। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সচিবের সরকার বিরোধী বক্তব্যই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক সূত্র জানায়, গত ৪ অক্টোবর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন। সেখানে মন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত চার জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ওই সভায় সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সচিব মকবুল হোসেন সরকারের সমালোচনা করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কড়া ভাষায় নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সেখানে মকবুল হোসেন বলেন,‘আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমরা কোনো দলের কর্মচারী না। সরকার আসবে সরকার যাবে, আমরা আমাদের মত কাজ করব। আমরা কারো কথা মত কাজ করব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমলাতন্ত্র এখনো মরে যায়নি। আমলাতন্ত্র এখনো আছে। আপনারা সবাই আমলাতন্ত্রের কথা মত কাজ করবেন।’

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সচিবের এই বক্তব্য সভায় উপস্থিত অনেকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কিন্তু কেউ কোনো কথা বলেননি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়ার পেছনে তার এই বক্তব্য মূখ্য ভূমিকা রেখেছে। সরকারের শেষ সময়ে এসে সচিবের এমন বক্তব্য কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান বলে মনে করছেন তারা।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এই সচিবের বিরুদ্ধে আরও অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর অগোচরে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি একক ভূমিকা রেখেছেন। যা মন্ত্রী ও সচিবের মধ্যে এক ধরনের শীতল সম্পর্ক তৈরি করে।

সূত্র জানায়, মকবুল হোসেন গত কয়েক মাসে নিজেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সর্বেসর্বা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

একজন কর্মকর্তা জানান, সচিব বেতার, টেলিভিশন, ফিল্ম আর্কাইভসহ প্রায় সব দপ্তরের গুরুত্ত্বপূর্ণ নথি দিনের পর দিন কোনো কারণ ছাড়াই আটকে রাখতেন। এতে মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরগুলোতে কাজের গতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ রেখে সচিব মকবুল হোসেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের পদোন্নতি দিতেই বেশি আগ্রহ দেখাতেন। কেউ কেউ বলছেন, এতে তার ইন্টারেস্ট আছে।

এসব কিছুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখানোর ঘটনা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়,বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সচিব মকবুল হোসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে পাশ কাটিয়ে একাই একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিটিভিতে খেলা সম্প্রচারের বিষয়ে এমওইউ স্বাক্ষর করেছেন।

শুধু তাই নয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে থেকে টাকা ছাড় করার বিষয়ে একজন সিনিয়র সচিবের শরণাপন্ন তথ্য সচিব। এই ঘটনা এবং মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এডিপি সভায় দেওয়া বক্তব্য সচিবের বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তকে তরান্বিত করে।

সূত্র জানায়, ফিফা বিশ্বকাপ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে কথা বলেন তথ্য সচিব মকবুল হোসেন। মন্ত্রী তাতে সায় দেন। কিন্তু মন্ত্রীর সায় পাওয়ার পর এ বিষয়ে সচিব এককভাবেই সব সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রীকে আর কোনো কিছু জানানোর প্রয়োজন অনুভব করেননি।

সূত্র জানায়, ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা সম্প্রচারের স্বত্ত্ব ফিফা থেকে কিনে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান ভায়াকম। তারা সেটি বিক্রি করে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এভামোর এর কাছে। সেখান থেকে সম্প্রচার স্বত্ত্ব ক্রয় করে বাংলাদেশের এনডব্লিউও-কে স্পোর্টস।

তথ্যসচিব মকবুল হোসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অন্তত দুই জন প্রভাবশালী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে ১০৪ কোটি টাকায় খেলা সম্প্রচারের জন্য তমা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেন। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি সচিব সম্পন্ন করেন তথ্যমন্ত্রীকে অন্ধাকারে রেখে। অবশ্য মন্ত্রী জানার পর সেটি আর সামনে এগোয়নি।

এ ছাড়া, মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি যখন চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরে ছিলেন তখনো তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে। সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর পর অধ্যাপক ইদ্রস আলী নামে চট্টগ্রামের এক পরিবেশকর্মী তার ফেসবুক ওয়ালে সেই ঘটনা তুলে ধরেন।

এর বাইরে মকবুল হোসেনর বিরুদ্ধে আগেই একাধিক বিভাগীয় মামলা হয়েছিল অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য। এত কিছুর পরও তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গত বছরের ৩১ মে।

১৬ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরের পর মকবুল হোসেন যখন নিজ দপ্তরে কাজ করছিলেন ঠিক তখনই তার বাধ্যতামূলক অবসরের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাকি থাকতেই তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণে বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়।

অবশ্য ১৭ অক্টোবর দুপুরের পর সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে গিয়েছিলেন সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে অবসর দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি এও দাবি করেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে কখনো অনৈতিক কাজ করেননি। কোনো রকম আর্থিক অনিয়মের সঙ্গেও তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন