মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘দানব’ হয়ে ওঠা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গলদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

দানব হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে প্রতিদিন। হঠাৎ করে ডেঙ্গুর এমন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেজ্ঞরা।

তারা মনে করছেন, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গলদ রয়েছে। শুধু মশক নিধনকর্মীদের উপর নির্ভরশীল না থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনকে স্বেচ্ছাসেবীদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ, পর্যাপ্ত কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ দেওয়া ও হটস্পট ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো সফল করতে পারলেই শুধু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যেই অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে সেই অক্টোবরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সবচেয়ে বেশি ৮৬ জন। নভেম্বরের সাত দিনেই মারা গেছেন ৩৬জন মানুষ। কাজেই ডেঙ্গুর গতিপ্রকৃতিও পরিবর্তিত হয়ে শক্তিশালী হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা নানা তৎপরতা শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ ছিটানো, সরকারি অফিসের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল, বিনামূল্যে অ্যারোসল বিতরণ এবং সেলিব্রেটিদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করা ইত্যাদি। কিন্তু এসব উদ্যোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারছে না বলেই অভিযোগ অনেকের।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই কলকাতার উদাহরণ টেনে বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কলকাতায় নেওয়া পদক্ষেপের দিকে তাকালে এবং একই রকম পদক্ষেপ নিলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের ভয়াবহতা প্রশমিত হতে পারে। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে, সিটি করপোরেশনের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মচারী রয়েছে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচারের কাজ চালায়, অন্যরা পানি জমে আছে কি না সেদিকে নজর রাখে। কোথাও ডেঙ্গু হলে তারা খুব দ্রুত সেখানে পৌঁছে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

করপোরেশনের মনিটরিং কর্মীরা পানি জমে আছে এমন ভবনকে ১ লাখ রুপি পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন এমন আইন করা হয়েছে। কলকাতার এই উদ্যোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলেই দাবি সংশ্লিষ্টদের।

কিন্তু ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম মূলত মশক নিধনকর্মীদের উপর নির্ভরশীল। যদিও কিছু ব্যতিক্রমও আছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম মাঝে মাঝে নগরবাসীদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করছেন। কিন্তু আদতে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীদের সংযুক্ত করে এডিস নিধনের কাজ করলে সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের একটি বড় শক্তি হলো জাতীয় দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার লোকের অভাব নেই। অতীতে বহুবার দেখা গেছে কীভাবে মানুষ বিভিন্ন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের ডেঙ্গুর উৎস নির্মূলের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। সরকার উদ্যোগ নিলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এ কাজে আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামও সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এডিস নিয়ন্ত্রণে জনসম্পৃক্ততার তাগিদ দিয়ে বলেন, এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার সরকারি প্রচেষ্টায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ ঢাকাপ্রকাশে-কে বলেন, মশক নিধনে দুই সিটি করপোরেশন মুলত মশক নিধন কর্মীদের উপর নির্ভরশীল। অথচ পর্যাপ্ত কীটতত্ত্ববিদ নাই। আগে তো একেবারেই ছিল না। এ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হওয়ার পর হাতেগোণা কয়েকজন কীটতত্ত্ববিদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই পরিচালক বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যপকমাত্রায় জনসম্পৃক্ততা ঘটাতে না পারলে এক্ষেত্রে আদৌ সফলতা আসবে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব এলাকায় এক সঙ্গে মশা নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন ওয়ার্ডভিত্তিক মশক নিধন কার্যক্রম গ্রহণ করে।

এ প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন, একক কোনো পন্থা দিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। একাধিক পন্থায় কাজ করতে হবে। একসঙ্গে যদি সব এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় তাহলে এটি সুফল বয়ে আনবে।

আরেকটি বিষয় হলো হটস্পট ব্যবস্থাপনা। হটস্পট ধরে ক্রাশ প্রোগ্রাম করার তাগিদ দেন সংশ্লিষ্টরা। উদাহরণ হিসেবে তারা বলছেন, কোনো বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলে আশেপাশে আধা কিলোমিটার এলাকায় যাতে উড়ন্ত মশা না বেঁচে থাকে সেই ব্যবস্থা করা। কিন্তু এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের এমন উদ্যোগের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, হটস্পট ধরে ক্রাশ প্রোগ্রাম করতে হবে। এসব হটস্পট ব্যবস্থাপনায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন