সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সমুদ্রপথে মানব পাচারের অধিকাংশ মামলা ঝুলে থাকে

মানব পাচারের রুট সমুদ্রপথে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করেন বিদেশগামীরা। সবাই জানেন এ পথে রয়েছে মৃত্যুর হাতছানি। তারপরও অনেকেই জেনে বুঝে এই পথ দিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয় নিয়ে কোস্ট গার্ড বলছে, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে অনেক মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। শুধু যে আমাদের দেশের মানুষ যাচ্ছে বিষয়টি এমন না, রোহিঙ্গারাও বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

অবশ্য এ সব বিষয় নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য বলছে, মানব পাচারের বড় রুট হলো সমুদ্রপথ। এই পথেই ঘটে বেশি মৃত্যুর ঘটনা। তবে এ সব ঘটনায় অনেক মামলা হয়, যা বেশির ভাগ আদালতে ঝুলে থাকে।

গত মাসে বঙ্গোপসাগর দিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী পুরুষ ও শিশুসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় প্রায় ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। তাদের উদ্ধারের পর কোস্ট গার্ড জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক শক্তিশালী মানবপাচারকারী চক্র গড়ে উঠেছে। চক্রটি রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

কোস্ট গার্ড বলছে, এ পথে পাচার হওয়া দুই ব্যক্তি জয়নাল ও রাবেয়া জানান, সমুদ্রপথে তাদের নোয়াখালীর অনেক মানুষ বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানসহ ইউরোপের দেশগুলোতে গেছেন এবং তারা বর্তমানে অনেক ভালো আছেন। তা ছাড়া টাকাও কম লাগে, এজন্য তারাও এই পথ বেছে নিয়েছেন।

সম্প্রতি র‌্যাব-৩ এর অভিযানে মানব পাচার চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব বলছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে টার্গেট করে তারা সমুদ্রপথে পাচার করে আসছে। র‌্যাব বলছে, বড় একটি চক্রের সদস্য মাহবুব উল হাসান ও মাহমুদ করিম। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। তারা সমুদ্রপথে অনেক মানুষকে বিদেশে পাচার করার কথা স্বীকার করেছেন। দেশের বাইরে অবস্থানরত মানুষকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন তারা। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর আরও বেশ কয়েকটি চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

জানতে চাইলে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালে মানব পাচারকারী সর্বমোট ৫৯ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করি। ১২ জন ভিকটিমকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করেছি।

তিনি বলেন, মানব পাচার চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক লোকজনের কাছ থেকে আগে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন। ভিকটিমদের প্রথমে বিমানের কথা বলে পরে সমুদ্রপথে পাচার করার চেষ্টা করেন। আমরা নিয়মিত এ সব অপরাধ দমন করতে বিভিন্ন অভিযান চলমান রেখেছি।

আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, সমুদ্রপথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই মানব পাচারকারীদের হাতে পড়েন এবং বিভিন্ন নিযার্তনের শিকার হয়ে কোনোভাবে জীবন নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। আবার এ পথেই অনেকের মৃত্যু হয়।

এদিকে একটি গোয়েন্দা তথ্য বলছে, অবৈধভাবে সড়কপথে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার রুটটি মূলত ঢাকা থেকে শুরু। এরপর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হয়ে মিয়ানমারের মান্দালয়। সেখান থেকে থাইল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে মালয়েশিয়ার রানং শহরে পৌঁছাতে হয়। এ যাত্রায় একদিকে যেমন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাঁধা, অন্যদিকে আছে দেশগুলোর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা। তবে সড়কপথের এ রুটটির জন্য এখন সবচেয়ে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ অবস্থা। তাই এ সব বিষয় বিবেচনায় মানব পাচারকারীদের কাছে গত কয়েক বছর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাত্রা।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছর-২০২২ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানব পাচার মামলা দেশের বিভিন্ন আদালতে ঝুলে আছে। ওই তথ্যটি বলছে, তবে অনেক মামলার সাক্ষীও নেই। যে কারণে বছরের পর বছর ঝুলে রয়েছে এ সব মামলা।

এদিকে পুলিশের আরেকটি তথ্য বলছে, ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে ৪২২টি। এ সব মামলায় আসামি করা হয়েছে দুই হাজার ৮৯ জনকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৫০ জনকে। পাচারের সময় উদ্ধার করা হয়েছে তিন হাজার ২২৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে। ওই তথ্যটি বলছে, ২০১৮ সালের পর মানব পাচার মামলার সংখ্যা বেড়েছে তবে সুনির্দিষ্ট জরিপ পাওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তথ্য বলছে, ২০২১ থেকে চলতি বছর-২০২২ পর্যন্ত লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায় প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ সমুদ্রেপথে পাচার হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সোহেলী সাবরিন বলেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে এক হাজারেরও বেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে বেশ কিছু নারী রয়েছে, তা ছাড়া ফেরত আসা ব্যক্তিদের আমরা আটক করে কয়েক দিনের কাউন্সিলিং করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাসে ভারতে পাচার হওয়া প্রায় ৩০০ জন নারী ও শিশুকে উদ্ধারের পর সরকারিভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এ ছাড়াও সীমান্তপথে বিভিন্ন সময় বিজিবির হাতে উদ্ধার হয়েছে পাচারের শিকার নারী-পুরুষ।

ভুক্তভোগীরা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাদের জীবননাশের হুমকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা ঘৃণ্য এ ব্যবসা সচল রেখেছে। তবে পুলিশের দাবি, সীমান্তপথে পাচার প্রতিরোধে তারা বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি আন্তরিক হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বৈধ পথে পাচারের কোনো সুযোগ নেই।

পাচারবিরোধী সংস্থাগুলোর দাবি মানবপাচারকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলেই এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। তাদের সঙ্গে কথা হলে বেরিয়ে এসেছে পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সূত্রে জানা যায়, গোটা দেশজুড়েই পাচারকারীদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। তাদের মূল টার্গেট দরিদ্র কিশোরী, তরুণী, স্বামী পরিত্যাক্তা নারী এবং শিশু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মানব পাচার রোধে আমাদের বিভিন্ন অভিযান চলমান রয়েছে। এই অপরাধ দমন করতে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন একত্রিত হয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তের দায়িত্বে থাকা- কোস্ট গার্ড- বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা মানব পাচার রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) মো. মনজুর রহমান বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে সর্বাত্মকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে এ সব বিষয়ে সবাইকে সর্তক হতে হবে। মানুষ যদি তার জীবনের মূল্য বোঝে এবং এ পথে তার যে কোনো সময় মৃত্যু হতে পারে এটা বোঝে তাহলে অনেকটা সে সর্তক থাকবে। পরিবারের কথা ও মৃত্যু ঝুঁকি চিন্তা করলে এ সব পথে বিদেশ যাওয়া মানুষরা বুঝতে পারবে যে এটা তাদের ভুল পথ। তবে এ সব প্রতিরোধে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পরিবার ও সবাই সচেতন হলে এ সব ঘটনা কমে আসবে এবং সুমদ্রপথে মৃত্যুর হারও কমে আসবে।

এদিকে মানব পাচার ও অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে সমুদ্রপথে ও সীমান্তে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টহল এবং নজরদারি বৃদ্ধি করেছে এমনটা জানিয়ে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, নাফ নদী থেকে বঙ্গোপসাগরে ঢুকে ছেঁড়া দ্বীপ হয়ে পাচারের চেষ্টা করা হয় সাধারণ মানুষকে। অনেকে ভালো থাকার জন্য এই পথ বেছে নিচ্ছেন। শুধু বাংলাদেশের নাগরিক নয় রোহিঙ্গারাও এই পথ দিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, মানব পাচার রোধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। সে অনুযায়ী নিয়মিত মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শীতকেন্দ্রিক সমুদ্রপথের অবৈধ যাত্রা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে।

জানতে চাইলে নিম্ন আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল সুলতানা বলেন, মানব পাচারের অধিকাংশ মামলা ঝুলে থাকার কারণ হলো মামলার সাক্ষী এবং আলামত যথাযথভাবে না পাওয়া। দেখা গেছে, অনেক সময় সাক্ষীরা আসেন না। প্রমাণ না থাকায় বিচারকরা এ সব মামলার রায় দিতে পারে না। যার কারণে এ সব মামলা ঝুলে থাকে।

কেএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি

ছবি: সংগৃহীত

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনায় পরিণত হয়। ৭ মে রাতে ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের ৯টি অবস্থানে হামলা চালিয়ে তার কোড নাম দেয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় বাহিনী তাদের ড্যাসল্ট রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে প্রায় ২৩ মিনিটের জন্য হামলা চালায়, যা পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার লক্ষ্যে ছিল।

পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও তাদের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট ব্যবহার করে। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ৮৭ ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তান ভারতের ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান এবং ১২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে। এই সময়ে উভয় দেশের অর্থনীতি এবং পুঁজিবাজারেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভারতের ক্ষতির পরিসংখ্যান:

- ভারতীয় পুঁজিবাজারে প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- বিমান চলাচল খাত প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে।

- আইপিএল বন্ধ হয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে।

- সামরিক খরচ বাবদ ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।

- যুদ্ধবিমান হারানোর কারণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- বাণিজ্য এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্নের কারণে আরও ২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

পাকিস্তানের ক্ষতির পরিসংখ্যান:

- পাকিস্তান ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

- পাকিস্তানের শেয়ারমার্কেট ৪.১ শতাংশ পতন ঘটিয়ে ২.৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।

- বিমান পরিবহণ খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- পিএসএল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

- সামরিক খরচ বাবদ ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।

এই ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ শুধু আকাশপথে সীমাবদ্ধ ছিল না, এর মাধ্যমে উভয় দেশের পুঁজিবাজারে ধস এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের কারণে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন এবং বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষতি হয়েছে, যা দুই দেশকেই ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে।

Header Ad
Header Ad

আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে

ছবি: সংগৃহীত

বিগত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের মধ্যে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল গরমের তীব্রতা অনুভব করছে, যার ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪২ ডিগ্রিতে। এই অবস্থায়, যখন জনজীবন অসহ্য হয়ে উঠেছে, তখন দেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ।

রোববার (১১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে 'শক্তি', যা শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম।

মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে এর স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।

এর আগে, আবহাওয়া অধিদপ্তরও জানিয়েছিল যে, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১ অথবা ২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিতে এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদেরও সাবধান থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পরিচালিত পাকিস্তানের সাহসী সামরিক প্রতিরোধ ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে দেশটির জনগণ। রোববার (১১ মে) সারাদেশে ‘শোকরিয়া দিবস’ পালন করছে পাকিস্তান। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়, সশস্ত্র বাহিনীর অতুলনীয় সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং জাতির ঐক্য ও দৃঢ় মনোবলকে সম্মান জানাতেই এই দিবস পালন করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ ছিল শত্রুর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী, সমন্বিত ও কার্যকর জবাব। এ অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান কৌশলগত, কূটনৈতিক এবং সামরিক সব পর্যায়েই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। “মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা সাফল্য ও সম্মান অর্জন করেছি,” বলেন তিনি।

শাহবাজ শরিফ তার বক্তব্যে আরো জানান, শত্রু পক্ষের একের পর এক উসকানিমূলক আচরণের পরও পাকিস্তান সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়েছে এবং পূর্ণ প্রস্তুতির মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও জাতীয় স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছিয়ে থাকবে না।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
একদিনে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী
সংগঠন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন
শ্রীলঙ্কায় বাস খাদে পড়ে ২১ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু
আলোচনার টেবিলে ভারত-পাকিস্তান, গুরুত্ব পাচ্ছে সিন্ধু চুক্তি ও কাশ্মির ইস্যু
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক
আ. লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার পত্র দিয়েছে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইলে গ্রেফতার আতঙ্কে ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেননি আ.লীগের দুই নেতা
বিরামপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, ছেলে আহত
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল
রাজধানীতে বিদেশি অস্ত্র-বোমাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার (ভিডিও)
আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের
লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ