বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সমুদ্রপথে মানব পাচারের অধিকাংশ মামলা ঝুলে থাকে

মানব পাচারের রুট সমুদ্রপথে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করেন বিদেশগামীরা। সবাই জানেন এ পথে রয়েছে মৃত্যুর হাতছানি। তারপরও অনেকেই জেনে বুঝে এই পথ দিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয় নিয়ে কোস্ট গার্ড বলছে, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে অনেক মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। শুধু যে আমাদের দেশের মানুষ যাচ্ছে বিষয়টি এমন না, রোহিঙ্গারাও বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

অবশ্য এ সব বিষয় নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য বলছে, মানব পাচারের বড় রুট হলো সমুদ্রপথ। এই পথেই ঘটে বেশি মৃত্যুর ঘটনা। তবে এ সব ঘটনায় অনেক মামলা হয়, যা বেশির ভাগ আদালতে ঝুলে থাকে।

গত মাসে বঙ্গোপসাগর দিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী পুরুষ ও শিশুসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় প্রায় ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। তাদের উদ্ধারের পর কোস্ট গার্ড জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক শক্তিশালী মানবপাচারকারী চক্র গড়ে উঠেছে। চক্রটি রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

কোস্ট গার্ড বলছে, এ পথে পাচার হওয়া দুই ব্যক্তি জয়নাল ও রাবেয়া জানান, সমুদ্রপথে তাদের নোয়াখালীর অনেক মানুষ বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানসহ ইউরোপের দেশগুলোতে গেছেন এবং তারা বর্তমানে অনেক ভালো আছেন। তা ছাড়া টাকাও কম লাগে, এজন্য তারাও এই পথ বেছে নিয়েছেন।

সম্প্রতি র‌্যাব-৩ এর অভিযানে মানব পাচার চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব বলছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে টার্গেট করে তারা সমুদ্রপথে পাচার করে আসছে। র‌্যাব বলছে, বড় একটি চক্রের সদস্য মাহবুব উল হাসান ও মাহমুদ করিম। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। তারা সমুদ্রপথে অনেক মানুষকে বিদেশে পাচার করার কথা স্বীকার করেছেন। দেশের বাইরে অবস্থানরত মানুষকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন তারা। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর আরও বেশ কয়েকটি চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

জানতে চাইলে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালে মানব পাচারকারী সর্বমোট ৫৯ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করি। ১২ জন ভিকটিমকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করেছি।

তিনি বলেন, মানব পাচার চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক লোকজনের কাছ থেকে আগে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন। ভিকটিমদের প্রথমে বিমানের কথা বলে পরে সমুদ্রপথে পাচার করার চেষ্টা করেন। আমরা নিয়মিত এ সব অপরাধ দমন করতে বিভিন্ন অভিযান চলমান রেখেছি।

আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, সমুদ্রপথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই মানব পাচারকারীদের হাতে পড়েন এবং বিভিন্ন নিযার্তনের শিকার হয়ে কোনোভাবে জীবন নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। আবার এ পথেই অনেকের মৃত্যু হয়।

এদিকে একটি গোয়েন্দা তথ্য বলছে, অবৈধভাবে সড়কপথে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার রুটটি মূলত ঢাকা থেকে শুরু। এরপর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হয়ে মিয়ানমারের মান্দালয়। সেখান থেকে থাইল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে মালয়েশিয়ার রানং শহরে পৌঁছাতে হয়। এ যাত্রায় একদিকে যেমন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাঁধা, অন্যদিকে আছে দেশগুলোর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা। তবে সড়কপথের এ রুটটির জন্য এখন সবচেয়ে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ অবস্থা। তাই এ সব বিষয় বিবেচনায় মানব পাচারকারীদের কাছে গত কয়েক বছর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাত্রা।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছর-২০২২ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানব পাচার মামলা দেশের বিভিন্ন আদালতে ঝুলে আছে। ওই তথ্যটি বলছে, তবে অনেক মামলার সাক্ষীও নেই। যে কারণে বছরের পর বছর ঝুলে রয়েছে এ সব মামলা।

এদিকে পুলিশের আরেকটি তথ্য বলছে, ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে ৪২২টি। এ সব মামলায় আসামি করা হয়েছে দুই হাজার ৮৯ জনকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৫০ জনকে। পাচারের সময় উদ্ধার করা হয়েছে তিন হাজার ২২৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে। ওই তথ্যটি বলছে, ২০১৮ সালের পর মানব পাচার মামলার সংখ্যা বেড়েছে তবে সুনির্দিষ্ট জরিপ পাওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তথ্য বলছে, ২০২১ থেকে চলতি বছর-২০২২ পর্যন্ত লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায় প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ সমুদ্রেপথে পাচার হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সোহেলী সাবরিন বলেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে এক হাজারেরও বেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে বেশ কিছু নারী রয়েছে, তা ছাড়া ফেরত আসা ব্যক্তিদের আমরা আটক করে কয়েক দিনের কাউন্সিলিং করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাসে ভারতে পাচার হওয়া প্রায় ৩০০ জন নারী ও শিশুকে উদ্ধারের পর সরকারিভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এ ছাড়াও সীমান্তপথে বিভিন্ন সময় বিজিবির হাতে উদ্ধার হয়েছে পাচারের শিকার নারী-পুরুষ।

ভুক্তভোগীরা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাদের জীবননাশের হুমকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা ঘৃণ্য এ ব্যবসা সচল রেখেছে। তবে পুলিশের দাবি, সীমান্তপথে পাচার প্রতিরোধে তারা বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি আন্তরিক হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বৈধ পথে পাচারের কোনো সুযোগ নেই।

পাচারবিরোধী সংস্থাগুলোর দাবি মানবপাচারকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলেই এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। তাদের সঙ্গে কথা হলে বেরিয়ে এসেছে পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সূত্রে জানা যায়, গোটা দেশজুড়েই পাচারকারীদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। তাদের মূল টার্গেট দরিদ্র কিশোরী, তরুণী, স্বামী পরিত্যাক্তা নারী এবং শিশু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মানব পাচার রোধে আমাদের বিভিন্ন অভিযান চলমান রয়েছে। এই অপরাধ দমন করতে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন একত্রিত হয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তের দায়িত্বে থাকা- কোস্ট গার্ড- বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা মানব পাচার রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) মো. মনজুর রহমান বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে সর্বাত্মকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে এ সব বিষয়ে সবাইকে সর্তক হতে হবে। মানুষ যদি তার জীবনের মূল্য বোঝে এবং এ পথে তার যে কোনো সময় মৃত্যু হতে পারে এটা বোঝে তাহলে অনেকটা সে সর্তক থাকবে। পরিবারের কথা ও মৃত্যু ঝুঁকি চিন্তা করলে এ সব পথে বিদেশ যাওয়া মানুষরা বুঝতে পারবে যে এটা তাদের ভুল পথ। তবে এ সব প্রতিরোধে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পরিবার ও সবাই সচেতন হলে এ সব ঘটনা কমে আসবে এবং সুমদ্রপথে মৃত্যুর হারও কমে আসবে।

এদিকে মানব পাচার ও অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে সমুদ্রপথে ও সীমান্তে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টহল এবং নজরদারি বৃদ্ধি করেছে এমনটা জানিয়ে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, নাফ নদী থেকে বঙ্গোপসাগরে ঢুকে ছেঁড়া দ্বীপ হয়ে পাচারের চেষ্টা করা হয় সাধারণ মানুষকে। অনেকে ভালো থাকার জন্য এই পথ বেছে নিচ্ছেন। শুধু বাংলাদেশের নাগরিক নয় রোহিঙ্গারাও এই পথ দিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, মানব পাচার রোধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। সে অনুযায়ী নিয়মিত মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শীতকেন্দ্রিক সমুদ্রপথের অবৈধ যাত্রা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে।

জানতে চাইলে নিম্ন আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল সুলতানা বলেন, মানব পাচারের অধিকাংশ মামলা ঝুলে থাকার কারণ হলো মামলার সাক্ষী এবং আলামত যথাযথভাবে না পাওয়া। দেখা গেছে, অনেক সময় সাক্ষীরা আসেন না। প্রমাণ না থাকায় বিচারকরা এ সব মামলার রায় দিতে পারে না। যার কারণে এ সব মামলা ঝুলে থাকে।

কেএম/আরএ/

Header Ad

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর কখনোই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ এবং প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, তাতে তাদের আর রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে, তবে তা হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেব না।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, যা স্পষ্ট। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা। এ অবস্থায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কিনা, তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। একটি ফ্যাসিস্ট দল কখনোই গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজনীতি করতে পারে না।"

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, "ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে ফ্যাসিবাদী শাসনের সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে ছাত্র নেতৃত্বের উত্থান ঘটে। সরকার এই আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে দমন করতে চেয়েছিল। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হলে জনগণ রুখে দাঁড়ায়। আমাদের লড়াই ছিল আত্মমর্যাদা ও সম্মানের লড়াই।"

তিনি আরও বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করা ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। কিন্তু এবারকার সরকারকে সংস্কার করতে হবে। না হলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা মসৃণ হবে না।"

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

দিনের ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত সচিব হিসেবে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর একদিন আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (পরিচিতি নং ২০৯), মহাপরিচালক এবং মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন, বাংলাদেশ দূতাবাস, চীন-কে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তার চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক বর্তমানে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। তার পেশাগত জীবনে চীনে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও মেক্সিকো ও যুদ্ধকবলিত লিবিয়ায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

Header Ad

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে প্রকাশিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় বিশেষ করে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাধিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। এসব ঘটনায় দেশের প্রধান গণমাধ্যমে প্রমাণ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু মামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর আক্রমণ করে। এতে শতাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকের জীবন বিপন্ন হয়। এ বিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার
আলোচিত সাবেক ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আটক
বিরামপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: দেশের চার বন্দরের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে
হাসপাতালেও দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকায় আসছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল
সচিবালয়ে ঢুকে পড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক
দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কিউই ব্যাটার
সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে জনগণ: রিজভী
রোমানিয়া থেকে ৯ মাসে ২৬৮ বাংলাদেশিকে ফেরত
৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নেতানিয়াহুর বেডরুমে এবার হিজবুল্লাহর ড্রোনের আঘাত
ঢাবিতে কালো মুখোশ পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
কথা দিচ্ছি ‘কেজিএফ থ্রি’ অবশ্যই হবে: যশ
১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দেশে নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হোক সেটা চায় না বিএনপি: নজরুল ইসলাম