শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

উজ্জীবিত তৃণমূলকে চাঙা রাখাই বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ

সরকারবিরোধী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসমর্থন আদায়ে সারাদেশে বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে গণসমাবেশ শেষ করেছে দলটি। বাকি আছে সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীর বিভাগীয় গণসমাবেশ। এরপর ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সেই লক্ষ্যে অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করেছে দলটি।

সম্পূর্ণ এককভাবে গণসমাবেশগুলো করছে বিএনপি, যাকে ‘কৌশলগত’ বলছেন দলটির নেতারা। বাধা সত্ত্বেও বিভাগীয় গণসমাবেশে জনস্রোত প্রমাণ করে বিএনপি এককভাবেই অনেক শক্তিশালী ও জনপ্রিয় একটি দল। প্রতিটি সমাবেশে প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি নেতা-কর্মীর সমাগম হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও বেড়েছে বলে মনে করছেন নেতারা। এমনকি গণসমাবেশের আগে যারা আন্দোলন ইস্যুতে বিএনপিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলতেন, এখন আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তারাও এগিয়ে আসতে চাইছে। যদিও আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জোটে থাকা ভোট সঙ্গী জামায়াতকে বাদ দিয়ে একক আন্দোলন রাজনৈতিক কৌশলেরই অংশ কি না তা নিয়েও নানা মহলে আলোচনা চলছে। হঠাৎ করে বিদেশি কূটনীতিকদেরও যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে দেখা গেছে।

বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এখন অনেকটাই চাঙা মনোভাবে। দাবি আদায়ে বিভেদ ভুলে আত্মত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সবাই রাজপথে নামছেন বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াকেও কর্মীদের উজ্জীবিত হওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন বিএনপির হাইকমান্ড। তবে শেষ পর্যন্ত এদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ধরে রাখাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছেন কেউ কেউ। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এবার দাবি আদায় ছাড়া ঘরে ফিরবে না কেউ। আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ায় উজ্জীবিত বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, জনসমাগম বাড়লেও আগামী দিনের কর্মসূচি ও ধরন নিয়ে সতর্ক বিএনপি। আগামী নির্বাচনের এখনো প্রায় ১৩ মাসের বেশি সময় আছে। ফলে, এই মুহূর্তে বড় কর্মসূচি দিয়ে দীর্ঘ সময় টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর এ ধরনের কর্মসূচি দিলে সরকারের দমন-নিপীড়নও বাড়বে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের দাবি, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি।

১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এ সময়ে একাধিকবার নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিলেও সফল হতে পারেনি দলটি। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। এর নেপথ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দায়ী করে আসছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত তৃণমূলের কর্মসূচিতে সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলায় জেলায় দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। শুধু কর্মসূচি পালন নয়, তৃণমূলের কোথাও কোনো কোন্দল রয়েছে কি না- তা নিরসনেরও দায়িত্ব দেওয়া হয় তাদের। প্রতিটি কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাহস জোগাচ্ছে। যারা দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ছিল তারাও কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের ইউনিয়ন পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সিনিয়র নেতারা। এতেও তাদের মধ্যে একটা উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। অতীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে আহত ও নিহত নেতা-কর্মীদের পরিবারের পাশে সেভাবে দাঁড়ায়নি কেন্দ্র। কিন্তু এবারের চিত্র উলটো। বিগত সময় যারা নিহত ও আহত হয়েছে তাদের প্রত্যেক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে হাইকমান্ড। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে অনেকে ঝুঁকি নিয়েই নামছেন রাজপথে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি এককভাবে বিভাগীয় গণসমাবেশের কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছে। এতে একদিকে বিদেশি শক্তিগুলো বিএনপির দিকে নজর রাখছে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের (বিএনপি) দিকে ঝুঁকবে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, বিভেদ ভুলে আত্মত্যাগের মানসিকতা তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে। দীর্ঘ বিরতি ভেঙে রাজপথে ফিরেছে বলেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা চাঙা, উজ্জীবিত। এটি হতে পারে আগামীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রসদ। চলমান গণসমাবেশ কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করেছে। সমাবেশে লুটপাটসহ ব্যর্থতার দায়ে এখনই ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের যেমন বার্তা রয়েছে, তেমনি আন্দোলন-সংগ্রামের বিষয়েও নতুন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার জন্য আপাতত সরকারবিরোধী সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সরকার পতনের কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে বিএনপি। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনসম্পৃক্ত করার উপর জোর দিচ্ছে দলটি। হামলা-মামলার শিকার ও হতাহত হওয়ার পরেও মাঠ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

তৃণমূলের নেতারা বলছেন, গণসমাবেশের মধ্যে দিয়ে নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে তাও জনগণের দাবিতে পরিণত করতে পেরেছে। ফলে জনগণ এখন বিএনপির ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। তবে সমাবেশের পরই বাড়ছে মামলার সংখ্যা।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ বলেন, গণসমাবেশ শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মী মাঝে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। সরকার কর্মসূচিতে নানাভাবে উসকানি ও উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আশা করি নেতা-কর্মীরা সরকারের কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নেতা-কর্মীদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি চলে আসছে। সেটাতো দমানো যায় না। কোনো শক্তি সেটাকে দমাতে পারে না। এ সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে থাকবে বলেও প্রত্যাশা করছি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দাবি আদায়ে অবিচল থেকে তৃণমূল থেকে দলকে সুসংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ রাখা বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ। এবার তৃণমূলে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বেশিরভাগ জায়গায় কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হচ্ছে। ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৫২টিতে এরই মধ্যে কমিটি করে পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সাবেক ছাত্রদল নেতাদের উচ্চপদে আনা হয়েছে। তৃণমূল বিএনপির বড় ভরসা। এত বাধা-সংকটের পরও তারা সফল গণসমাবেশ করছেন। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা পায়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশস্থলেই রাত কাটান। এমন বড় জমায়েত সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই সম্ভব হচ্ছে। তৃণমূল আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। যেকোনো সময় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে উজ্জীবিত বিএনপি। চাঙা নেতা-কর্মীরা। হামলা-নির্যাতন সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে বাড়ছে তাদের উপস্থিতি। গণসমাবেশ রূপ নিচ্ছে জনস্রোতে। এতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস।

বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বলেন, দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যারা ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও চাপ আছে। নেতা-কর্মীরা চান সাংগঠনিক জেলা শাখায় যেন সঠিক নেতৃত্ব দেওয়া হয়। তা না হলে নেতা-কর্মীদের কাজে গতি আসে না। এতে করে দলও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবকিছু বিবেচনা করেই নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছেন বিএনপি হাইকমান্ড।

দুই মাসের বেশি সময় দেশব্যাপী লাগাতার কর্মসূচির পর গত ১২ অক্টোবর থেকে বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও সবশেষ ফরিদপুরে গণসমাবেশ করে দলটি। ওই গণসমাবেশের পর বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিএনপির।

এসএন

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ

ডিপজল। ছবি: সংগৃহীত

রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নিয়ে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ বইছে। এরইমধ্যে ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামে এক অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে ভিডিও প্রমাণসহ এমন অভিযোগ করেন সাদিয়া মির্জা নামক এক প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি। এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানান বর্তমান নির্বাচন কমিশনার খসরু।

এছাড়াও যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের।

এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা এমনটি আভাস পেয়েছি নির্বাচনের আগেই একটি পক্ষ নির্বাচন বাঞ্চালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাইবো সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও অনেক পেয়েছি কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেইনি।

তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই মহৎ মানুষ এমনিতেই দানবীর, সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না।

তবে এ বিষয় নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলেক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং- জুয়ারোধ, চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন এবং সর্বাধিক ওয়ারেন্ট তামিল লক্ষ্য পূরণ করাসহ ভালো কাজের বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আহসান উল্লাহ্। তিনি জেলার ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এ নিয়ে জেলার মধ্যে চতুর্থবারের মতো সেরা ওসি নির্বাচিত হলেন তিনি। একইসাথে ভূঞাপুর থানাও শ্রেষ্ঠ হয়েছে এবং থানার এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ ৯ জন ক্রেস্ট সম্মাননা পেয়েছেন। তার এই অর্জনে উপজেলার সুধীজন, বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত মাসের কল্যাণ সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ সময় ওসি আহসান উল্লাহ্’র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট (পুরস্কার) তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার (বিপিএম) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। এতে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয় (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংরোধ ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারসহ বিশেষ অবদানের জন্য চতুর্থ বার আমাকে শ্রেষ্ঠ ওসি ও ভূঞাপুর থানাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।

ওসি আহসান উল্লাহ্ আরও বলেন- ভূঞাপুর থানার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং উপজেলার সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ভূঞাপুর থানার এমন এক সাফল্যময় গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন সকলের। তাছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ও থানা নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। ভূঞাপুর থানা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো কিছু করতে ভূঞাপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা সহযোগিতা কামনা করছি।

ক্যাপশন: সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্।

দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি

সড়ক দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

দেশে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ফরিদপুরে ঈদের পরদিন সড়কে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। এই রেশ কাটতে না কাটতেই ঝালকাঠিতে সড়কে প্রাণ ঝরে আরও ১৪ জনের। গত তিন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ঝরছে ১৬ জনের বেশি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৬৩০টি। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ জনের। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৯২০ জন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩৭টি, এতে মৃত্যু হয়েছে ৪০৪ জনের আর আহত হয়েছেন ৫১৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬৯টি। এতে মারা গেছেন ৫২৩ জন আরও আহত হয়েছেন ৭২২ জন।

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে হয় ৬২৪টি। এতে আহত হন ৬৮৪ জন। মারা গেছেন ৫৫০ জন। এপ্রিল মাসের ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬৯টি আর মৃত্যু হয়েছে ২৮৪ জনের। গড়ে প্রতিদিন সড়কে মৃত্যু হচ্ছে ১৬ জনেরও বেশি।

গত ৩ মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে, যার সংখ্যা ৫৫৪টি, আর এতে মৃত্যু ৫০৪ জনের। আর সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু চট্টগ্রাম বিভাগে।

বিআরটিএ বলছে, গেল বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু দুটোই এবছর প্রথম তিন মাসে বেড়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ
টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার
দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি
টানা তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট অ্যালার্ট জারি
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছুটি ঘোষণা
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের 'প্রিমিয়াম টিম': সেনাপ্রধান
আগামীকাল ঢাকা মাতাবেন আতিফ আসলাম
এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আ.লীগের নির্দেশনা
নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন
বিএনপি এখনও টার্গেটে পৌঁছাতে পারেনি: রিজভী
বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ল, কমল খোলা তেলের
মুস্তাফিজের বদলে ইংল্যান্ড পেসারকে দলে নিল চেন্নাই!
যে কারণে দুবাইয়ে এমন ভারী বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যা
গায়েব হয়ে গেল জোভান-মাহির ফেসবুক ফ্যানপেজ!
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট: চীন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি হারালেন ২৮ কর্মী
আইপিএল থেকে বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে ম্যাক্সওয়েল