ডোপ টেস্ট: চাকরি ফেরত পেতে মরিয়া পুলিশ সদস্যরা!

০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২৮ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৪ এএম


ডোপ টেস্ট: চাকরি ফেরত পেতে মরিয়া পুলিশ সদস্যরা!

ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি ফেরত পেতে মরিয়া। ইতিমধ্যে তাদের অন্তত ৫০ জন চাকরি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছেন।

অপরদিকে পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের সময় যেমন ডোপ টেস্ট করা হবে, তেমনি চাকরি চলাকালীন সময় কারও ব্যাপারে সন্দেহ জাগলে ডোপ টেস্ট করা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশের অবস্থান পরিস্কার।

এদিকে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ডোপ টেস্ট শুধু সাধারণ পুলিশ সদস্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ না করে সবার ক্ষেত্রে সকল পর্যায়ে প্রয়োগ করা উচিত। তাহলে অনেক বড় কর্মকর্তাও তাতে আটকে যাবেন। তারা বলছেন, আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। না হলে আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত সবচেয়ে বড় বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

ডোপ টেস্ট কাজে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডোপ টেস্টের কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি, ফ্রেব্রুয়ারি এবং মার্চে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রায় দুই শতাধিক সদস্য চাকরি হারিয়েছেন। একইসঙ্গে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ৬৮ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে চাকরি হারিয়েছেন ৩৭ পুলিশ সদস্য। ফেব্রুয়ারিতে মাদকাসক্তির কারণে চাকরি হারিয়েছে ডিএমপির ১০৬ জন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া, ডোপ টেস্টের ফলাফল পজেটিভ হওয়ায় এ পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় এক হাজারের মতো পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অনেকের নামে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, সেগুলো বিচারাধীন।

ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা বলছেন, যে দেশে মাদক সেবনের পারমিশন দেওয়া হয়, আবার সেই দেশে সামান্য মাদক সেবন করলে চাকরি চলে যায় আজব বিষয়। তাদের দাবি, শুধু সাধারণ পুলিশ সদস্য না, উপরের কর্মকর্তাদেরও এই টেস্টের আওতায় আনা জরুরি। অন্যথায় একই পুলিশের জন্য দুই নিয়ম হবে।

জানা যায়, ডোপ টেস্টের পজিটিভ হওয়ায় চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যদের অনেকে চাকরি ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত অবস্থায় চাকুরি হারানো হওয়া এসআই মো. কামাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের দেশে মদ খাওয়ার পারমিশন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আনন্দ করে সমান্য কিছু সেবন করলে সমস্যটা কোথায় বুঝতে পারি না! তিনি বলেন, আমি চাকরি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছি। দেখা যাক মামলা কতদিন চলে এবং কি রেজাল্ট আসে।’

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসলে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডোপ টেস্টে জানুয়ারিতে মোট ৩৭ জন পুলিশকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এরপরেও অনেক পুলিশের চাকরি গেছে। এটা নিয়মিত চলছে। এ কারণে পুলিশে অনেক শৃঙ্খলাও ফিরে এসেছে।

পুলিশ সদস্য ও সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অস্তুষ্টি প্রকাশ করে বলছেন-শুধু পুলিশের নিচের লেভেলে নয় উপরের লেভেলেও ডোপ টেস্ট করা হোক। তাদের দাবি, পুলিশের সব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনা উচিত। কাউকে ছোট করে দেখা ঠিক না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা বিভাগে কর্মরত পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শুধু পুলিশ সদস্যদের নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় আনা উচিত। কারণ, আমরা সবাই পুলিশের পোশাক পরা এক কাতারের মানুষ। অন্যথায় ছোট-বড় থেকে যায়।’

জানা গেছে, মেট্রোপলিটন পুলিশে ডোপ টেস্টে মোট পজিটিভ হয়েছেন তিন শতাধিকেরও বেশি। যার মধ্যে সাধারণ পুলিশ সদস্য ছাড়া ৫০ জন আছেন পুলিশের নায়েক। বাকিরা সাব-ইন্সপেক্টর। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ২৮ জনকে। ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মাদকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ১০ জন চাকরিচ্যুত বরখাস্ত করা হয়েছে।

ডোপ টেস্টে চাকরি হারানো এক পুলিশ কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, চাকরিতো হারিয়েছি, সঙ্গে একটি মামলাও হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি ফেরতের জন্য আদালতে মামলা করেছি। আদালত যে বিচার করে সেটাই হয়তো মেনে নিতে হবে।

এসব বিষয়ে নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ডোপ টেস্টের মাধ্যমে মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্য শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদস্যদের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট হলো একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। মাদকাসক্ত হিসেবে কেউ প্রমাণিত হলে প্রথমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ সদস্যের কেউ অপকর্মে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, যেসব পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে তাদের কেউ যদি পজেটিভ হয় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী আমরা তাদের পুলিশ থেকে বের করে দিচ্ছি। বিভাগীয় তদন্তের পর তাদের নামে মামলাও হচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে, পুলিশকে জনবান্ধব করতে পুরোনো সব ধ্যান ধারণাকে পিছনে ঠেলে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসুক এটা কোনো ভাবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি পুলিশে ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে। এজন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। পুলিশের যেসব সদস্য মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

এনএইচবি/এমএমএ/

 


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পিএম


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।

কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ পিএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 

অনুসরণ করুন