মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন মঙ্গলবার, শীর্ষ পদে এগিয়ে যারা

শোভন-রাব্বানী’র পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই শীর্ষ পদে জয়-লেখক পদায়িত হওয়ার দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ৩০তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে এক ধরনের উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া, আওয়ামীলীগ ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ৩০তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি পদে ৯৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন পদপ্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। শেষ মুহূর্তে পদ প্রত্যাশীরা সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছেন।

ছাত্রলীগের একটি সূত্র বলছে, শেষ মুহূর্তে এ সংখ্যা দুটো পরিবর্তন ঘটার সম্ভবনা অনেক বেশি। কারণ, অনেক অনেক পদপ্রত্যাশীই আছেন যারা নিজেদের পরিচয় ঘটানোর জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন। তা ছাড়া, শীর্ষ দুই পদে তারা কিছুটা লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।

প্রাধান্য দেওয়া হবে যাদের

শ’খানেক পদ-প্রত্যাশীদের মাঝে শীর্ষ দুই ক্লিন-ইমেজ, শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গে আপোষহীন এবং নেতৃত্বের গুণাবলি, পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত কি না এসব দেখা হচ্ছে। নেতৃত্ব নির্বাচনে বিতর্কমুক্তদের বেছে নেওয়া হবে, বলে জানা গেছে।

বয়সসীমা নিয়ে বিতর্ক: সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে সংগঠনটির ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে হিসেবে ৪ বছরের বেশি সময়ের পর অনুষ্ঠিত হবে ৩০তম জাতীয় সম্মেলন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ধারা ৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৯ থাকলেও আসন্ন সম্মেলনে তা বাড়িয়ে ৩০ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। সে হিসেবে পদপ্রত্যাশীদের বয়সের ছাড় দেওয়া হলেও অধিকাংশেরই থাকবে না ছাত্রত্ব।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে বয়সসীমা রয়েছে অনূর্ধ্ব ২৭ বছর। কিন্তু নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় গত তিন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বিবেচনায় ছাত্রলীগের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে অনূর্ধ্ব ২৯ বছর করা হয়। ১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বয়সের ব্যাপারটি অনানুষ্ঠানিকভাবে স্পষ্ট করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি অন্য নেতাদের জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বয়সের ব্যাপারে তার আলোচনা হয়েছে। এবারও এই বয়সসীমা হবে ২৯ বছর। এটা বাড়ানো হবে না।

বয়সসীমার কারণে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দৌঁড়ে ছিটকে পড়ার আশঙ্কা

শীর্ষ এ দুই পদে বয়স জটিলতার পড়ে অনেকেই ছিটকে পড়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে জুনিয়র নেতারা প্রাধান্য পেতে পারেন। তবে বয়সের বিবেচনা আমলে আনলেও আনা হতে পারে, যেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর নির্ভর করছে। এমনটা দলীয় সূত্রে জানা গেছে। ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, তিনজন প্রার্থীর বয়স সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৩০ বছর হওয়ায় তারা বয়স জালিয়াতি অভিযোগ উঠছে। এই তিনজনের ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বয়স জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। যারা এটি করবে, তাদের ব্যাপারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পেছনের কমিটি বনাম আঞ্চলিকতা প্রীতি

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ১৯৮১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ৪১ বছরে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন-খ ম জাহাঙ্গীর (১৯৮১-১৯৮৩), আব্দুল মান্নান-জাহাঙ্গীর কবির নানক (১৯৮৩-১৯৮৫), সুলতান মুহাম্মদ মনসুর-আব্দুর রহমান (১৯৮৬-১৯৮৮), হাবিবুর রহমান-অসীম কুমার উকিল (১৯৮৮-১৯৯২), মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী-ইকবালুর রহিম (১৯৯২-১৯৯৪), এ কে এম এনামুল হক শামীম-ইসহাক আলী খান পান্না (১৯৯৪-১৯৯৮), বাহাদুর বেপারি-অজয় কর খোকন (১৯৯৮-২০০২), লিয়াকত শিকদার-নজরুল ইসলাম বাবু (২০০২-২০০৬), মাহমুদ হাসান রিপন-মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন (২০০৬-২০১১), এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ-সিদ্দিকী নাজমুল আলম (২০১১-২০১৫), সাইফুর রহমান সোহাগ-এস এম জাকির হোসেন (২০১৫-২০১৮), রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন-গোলাম রাব্বানী (২০১৮-২০১৯), আল-নাহিয়ান খান জয়-লেখক ভট্টাচার্য (২০১৯- ২০২২)।

এই সময়ে যে ২৭ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়জন ফরিদপুর অঞ্চলের। এরপরই রয়েছে বরিশাল অঞ্চলের চারজন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের তিনজন, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের দুই বিভাগের পাঁচজন। আর চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা অঞ্চলের মাত্র দুজন করে আটজন। এবারও ধারণা করা হচ্ছে এবারের কমিটিতে শীর্ষ দুই পদে আঞ্চলিক প্রীতির বিষয়টি আবারো দৃশ্যমান হবে।

শীর্ষ পদে আলোচনায় যারা

ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, কর্মসংস্থান সম্পাদক রনি মুহাম্মদ, উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন।

বরিশাল অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, সৈয়দ আরিফ হোসেন, তিলোত্তমা শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়, গণশিক্ষা বিষয়ক উপ সম্পাদক সোলাইমান ইসলাম মুন্না এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার।

উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু।

ঢাকা অঞ্চলের প্রার্থীদের মধ্যে গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শামীম শেখ তুর্জ, উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহসান উল্লাহ পিয়াল এবং সিলেট অঞ্চল থেকে আল আমিন রহমান আলোচনায় রয়েছেন।

ময়মনসিংহ থেকে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, উপ-প্রচার সম্পাদক সুরাপ মিয়া সোহাগ, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপসম্পাদক রাশিদ শাহরিয়ার উদয় এবং স্কুল ছাত্র বিষয়ক উপ-সম্পাদক শাকের আহমেদ আল আমিন।

খুলনা বিভাগ থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন, মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন এবং উপবিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আহসান হাবিব আলোচনায় আছেন।

নারী নেতৃত্ব আসার সম্ভবনা

এবারের কমিটিতে নারীর নেতৃত্ব সামনে আসার বেশ সম্ভবনা দেখা হচ্ছে। নারী নেতৃত্বের মাঝে রয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তিলত্তমা শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক রনক জাহান রাইন। পারিবারিকভাবেও তারা আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

নতুন নেতৃত্বের কাছে গঠনতন্ত্র অনুসরণের প্রত্যাশা

গত ৪১ বছরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইউনিটগুলোতে দুই বছর পরপর কমিটি হলে ২১টি কমিটি হওয়ার কথা, সেখানে হয়েছে মাত্র ১৩টি। কর্মীদের প্রত্যাশা সামনে যারা নেতৃত্বে আসবে, আশা করি সামনের নেতৃত্বগুলোতে এমন জটিলতা ঘুচে যাবে। এ ছাড়া, প্রেস রিলিজ কমিটির প্রথা বাতিল করে নিয়মিত সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দিবেন সামনের নেতৃত্ব; তেমনটিই প্রত্যাশা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা-কর্মীর।

ঐতিহ্য ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন বলেন, আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শুধু ছাত্রলীগের না পুরো ছাত্র সমাজের প্রত্যাশা অনেক বেশি। যেহেতু সামনে একটি জাতীয় নির্বাচন রয়েছে, সে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীচক্র অপশক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হবে। তারা অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার চেষ্টা করবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এমন নেতৃত্ব আসুক যারা একাধারে দক্ষ, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘ দিন সংগঠন করেছেন। একই সঙ্গে যে সংকট আসতে পারে বলে অনুমান করা যাচ্ছে, সেই সংকট মোকাবিলায় তারা যোগ্যতার প্রমাণ দেবে; এমন নেতৃত্বের প্রত্যাশা রাখি।

আরেক সহ সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে সামনে আসবে যারা ছাত্রলীগের আরও বেশি গতিশীল করবে। এ ছাড়া, সামনের নেতৃত্বের মধ্যমে দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেই পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে আসবে বলে তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে।

এদিকে মাস্টার দ্য’ সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বলেন, শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এমন যোগ্য নেতৃত্ব আসবে বলে প্রত্যাশা রাখি।

সার্বিক বিষয় গণমাধ্যমে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা সম্মেলনের সর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের আবেদনপত্র নিয়েছি। সেগুলো দায়িত্বশীলরা যাচাই-বাছাই করছেন। বয়স নিয়ে নেত্রীর চিন্তাভাবনা আছে। তিনিই সম্মেলনের দিন বিষয়টি জানিয়ে দেবেন। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নতুন কমিটি হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই শীর্ষ পদে শোভন-রাব্বানী আসে। এর দুই মাস পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ গঠিত হয়েছিল। দুই বছর মেয়াদী ওই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের মেয়াদ শেষ হবার কথা ছিল ২০২১ সালের ৩১ জুলাই। এক বছরের মাথায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সংগঠনের শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং বিতর্কমুক্ত করতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এক নম্বর সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে সভাপতি ও এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দুই শীর্ষ নেতাকে ‘ভারমুক্ত’ করে পূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠার সময় ছিলো পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের পরিবর্তে হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন