সমঝোতার লক্ষণ নেই, মাঠে থাকবে বিএনপি

০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৪ এএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৯ এএম


সমঝোতার লক্ষণ নেই, মাঠে থাকবে বিএনপি

আপাতত বিএনপির লক্ষ্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়। বিএনপি নেতারা বলছেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখছেন না তারা।

বিএনপি নেতারা এখন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা ও রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফার ভিত্তিতে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চলমান পরিস্থিতিতে দলের কর্মীদের সাংগঠনিকভাবে চাঙা মনোভাব ধরে রাখতে চলতি বছর ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিতে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত বিএনপি নেতৃত্বের। আপাতত এর বাইরে কিছু ভাবছে না— বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ চায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। কোনো কারণে বিএনপি যদি ভোটে নাও আসে সে ক্ষেত্রে নিবন্ধিত বেশিরভাগ দলকে ভোটে এনে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি নির্বাচনীমুখী দল। নির্বাচনের জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না। এখন কথা হচ্ছে নির্বাচনটা কীভাবে হবে? কার অধীনে হবে? শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচনে যাবো না বলেই তো আমরা আন্দোলন করছি, মামলা হামলার শিকার হচ্ছি, গ্রেপ্তার হচ্ছি। ইতোমধ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে বেশকয়েকজন প্রাণ দিয়েছে। যদি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেই বিএনপি নির্বাচনে যায় তাহলে তো আন্দোলন করার প্রয়োজন পড়ে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি আবার অংশগ্রহণও করেছি। অতীত অভিজ্ঞতা বলে দিচ্ছে যে, দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা শেখ হাসিনা। সেই কারণেই আমরা বলছি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ হলো আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত। এই পূর্বশর্ত পূরণ হলে আমাদের সব শর্তই পূরণ হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আশা করছি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে এই সরকারের পতন করে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেব। তারপর দেশের মানুষ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। এ লক্ষ্যে আমরা আন্দোলনে রয়েছি। আশা করি আমরা এই আন্দোলনে জয়লাভ করব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির নেতৃত্বে এই মুহূর্তে কোনো জোট নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও তাদের ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যজোট বিলুপ্ত। দলটি যুগপৎ কর্মসূচির মাধ্যমে সমমনাদের নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির পথে হাঁটছে। সেক্ষেত্রে বিতর্কিত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটে না থাকতে কৌশল নিয়েছে বিএনপি। যাতে জামায়াতের কারণে অন্য কয়েকটি দলের যুগপৎ আন্দোলনে আসতে সমস্যা না হয়।

চলতি বছর রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় থাকবে জাতীয় নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম। নির্বাচনের বাকি এক বছর। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন নিজেদের অবস্থান পুনরায় পাকাপোক্ত করতে এবং বিএনপি পনেরো বছরের খরা কাটাতে মরিয়া। গত বছর দেশব্যাপী গণ-সমাবেশ, গণ-মিছিলের মতো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়েছে বিএনপি। চলতি বছরও ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবি ও ২৭ দফা রূপরেখার সঙ্গে ইতোমধ্যে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ৩৩টি রাজনৈতিক দল। দাবি আদায়ে তারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দিয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনে আসার জন্য বিএনপি সব দলকেই আহ্বান জানাচ্ছে। সমমনা অনেক দলই সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করছে। তারাও যুগপৎ আন্দোলনে নেমে আসুক সেটেই চায় বিএনপি।

তৃণমূলে বিএনপি নেতারা

গত সোমবার (২ জানুয়ারি) থেকে শুরু করে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী ৭১টি জেলা ও মহানগরে এই কর্মসূচি চলবে।

১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা প্রদান করতে গত ৩ জানুয়ারি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঠাকুরগাঁও, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামালপুর, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ফেনী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ঝিনাইদহ, ৪ জানুয়ারি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নীলফামারী ও সৈয়দপুর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নওগাঁ এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স শেরপুরের কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এ ছাড়া ৫ জানুয়ারি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান মানিকগঞ্জ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বগুড়া, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-নোমান নরসিংদী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান টাঙ্গাইল, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন দিনাজপুর, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বরগুনা, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া খাগড়াছড়ি, ৬ জানুয়ারি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন হবিগঞ্জ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম পটুয়াখালী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান গাজীপুর মহানগর, উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু নাটোর, ইসমাইল জবিউল্লাহ রাজবাড়ী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মুন্সিগঞ্জ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী-খান সোহেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত নড়াইলের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।

অন্যান্য জেলা ও মহানগরে ৭ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে এবং কেন্দ্রীয় নেতারা সে সব কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এনএইচবি/আরএ/


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৩৯ এএম


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর ‍দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।

এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।

তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।

এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?

এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

 

 


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৯ এএম


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।ফাইল ছবি

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।

দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৮ এএম


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি সংগৃহিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।

মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।

তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।

তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

অনুসরণ করুন