শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তারপরও কাটছে না ডলার সংকট

নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কাটছে না ডলার সংকট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ব পরিস্থিতি টালমাটাল হতে শুরু করলে অস্থির হয়ে উঠে ডলারের বাজার। ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে গিয়ে ঠেকে ১০৭ টাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে। কিন্তু তাতেও সংকট কাটেনি। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানিতেও হ্রাস টানা হয়। গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে রেকর্ড ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে পৌঁছায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে রেমিট্যান্স বাড়িয়ে এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করেই ডলার সংকট দূর করা হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি নিয়ন্ত্রণ কোনো সমাধান নয়। এটা চলতে থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আব্দুর রউফ তালুকদার সম্প্রতি জানিয়েছেন, ডলার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।

এদিকে গত বছর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১১ লাখ বাংলাদেশি গিয়েছেন কর্মসংস্থানের উদ্দেশে। কিন্তু সেই তুলনায় দেশে রেমিট্যান্স আসার পরিমান অনেক কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হুন্ডির কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে না। নানরকম ঝামেলার কারণে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা অবৈধ পথে অর্থাৎ ব্যাংকের চেয়ে হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

রেমিট্যান্স কম আসার কারণে বাধ্য হয়েই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। তারপরও ডলার সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে বিলাসী পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সহনীয় মাত্রায় ডলার বিক্রি করতে বললেও বিভিন্ন ব্যাংক বেশি দামে ডলার বিক্রি করেছে। এই সুযোগে ব্যাংকগুলো হাজার কোটি টাকার বেশি অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। এ নিয়ে হইচই পড়লে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্নভাবে পরিদর্শন করে ১২টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।

ডলার সংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, হুন্ডির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক মাস থেকে রেমিট্যান্স কমে যায়। এ জন্য সরকারি আমদানি ব্যয় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গত বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন (১২০০ কোটি) ডলার বিক্রি করা হয়েছে।

এই সময়ে আমদানি ব্যয়ও প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। আগে প্রতি মাসে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার আমদানিতে ব্যয় হলেও তা কমে সাড়ে চার বিলিয়নে নেমে এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেখেন আমেরিকা ডিপোজিটে (আমানত) ৭ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। কাজেই সবাই ইউএসএ তে চলে যাচ্ছে। তাদের চাহিদাও বাড়ছে। এরফলে ব্রিটেন, শ্রীলঙ্কা. জার্মানিসহ সারা বিশ্বে ডলার সংকটের প্রভাব পড়েছে। তাই আমাদের একমাত্র উপায় হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি ব্যয় কমানো। এ জন্য আমরা সেই পথে যাচ্ছি। বিলাসী পণ্যের ব্যবহারে কঠোর হচ্ছি, যাতে ডলারের চাহিদা কমে যায়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ টাকায় ডলার বিক্রি করছে। রেমিট্যান্সে ১০৭ টাকা ও রপ্তানিতে ১০৩ টাকা দিতে বলা হয়েছে। যাতে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠায়। হুন্ডি কম হয়।

এদিকে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও বলেছেন, জুলাই মাসে আমদানি কমাতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। বেশি দামে ঋণপত্র যেন খোলা না হয়, সে জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব পদক্ষেপের ফলে আমদানি কমেছে। এখন প্রতি মাসে আমদানিতে যে খরচ হচ্ছে, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় তার চেয়ে বেশি। তবে আগের আমদানি দায় এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ জন্য ডলারের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদ বৃদ্ধি ও করোনার ওপর নির্ভর করছে ডলার–সংকট সুরাহার বিষয়টি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, করোনার সময় দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে। এরফলে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। এরপর থেকেই রেমিট্যান্স কমতে থাকে। রেমিট্যান্স কম আসায় রিজার্ভও কমে যাচ্ছে। কারণ সরকারি আমদানির জন্য ডলার বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার বিক্রি করতে থাকায় ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় গত বছরের আগস্টের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বর্তমানে ৩৩ বিলিয়নের কম দাঁড়িয়েছে।

ডলার সংকট কিভাবে দূর হবে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ডলারের দাম ফ্রি করে দিতে হবে। তা না করলে সংকট দূর হবে না। কারণ বর্তমানে ডলারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমদানি কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা কোনো সমাধান নয়। এটা চলতে থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। বিনিয়োগ কমে যাবে। সামনে নির্বাচন। এ জন্য হুন্ডি বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন দুর্বলতার কারণেই অর্থ পাচার হচ্ছে। বাণিজ্যের নামে আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। মানে ডলার চলে যাচ্ছে। এ জন্য ডলার সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এনএইচবি/এএস

Header Ad

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ সব ভিসাধারী ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন। এছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।

নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নিহত জাওহার আমিন লাদেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে আরও এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারালেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়

নিহত জাওহার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যায় তিন ভাই। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হন তারা। পথে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামাতো ভাই আকিব হাসান (১৫) ও খায়রুল বাশার ছাগির (১৭) মারা যায়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই জাওহারের মৃত্যু হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন মামাতো-ফুফাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনই মারা গেছেন।

জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়