শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

প্রতারণা করে বিক্রি হচ্ছে ‘বিষ’ মেশানো লাল চিনি

চিনির তুমুল সংকটের মধ্যে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সাদা চিনিতে লাল রং মিশিয়ে দেশীয় চিনি পরিচয়ে চড়া মূল্যে বাজারে বিক্রি করছে। বিষয়টি ধরা পড়েছে সরকারের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানেও। তারপরও বন্ধ হয়নি প্রতারণা।

তারা বলছেন, চিনির সংকটকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু চক্র সাদা চিনিতে বিষাক্ত রং মিশিয়ে ‘দেশি লাল’ চিনির নামে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। যা আসলে লাল চিনি না। কারণ সরকারি লাল চিনির প্রতি কেজির খুচরা বিক্রয় মূল্য ১১২ টাকা। তারপরও লাল চিনির নামে গাংচিল, সতেজ ফুড, মাশিরা বিডি, সেবা মার্কেটিং এর চিনিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

অন্যদিকে সরকারের বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য করপোরেশন (বিএসএফসি) কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিলারদেরকে দেওয়ার মতো তাদের পর্যাপ্ত চিনিই নেই। তা ছাড়া তাদের চিনির প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ১১২ টাকা। এর চেয়ে বেশি দামে যেমন কেউ এটা বিক্রি করতে পারবে না, তেমনি এই চিনি নিয়ে কেউ অন্য নামে প্যাকেট করেও বিক্রি করতে পারবে না।

অথচ বাজার সয়লাব লাল চিনিতে! ভোক্তাকে শুধু ঠকানোই হচ্ছে না। প্রতারণা করে রং মেশানো বিষাক্ত চিনি যেমন পাওয়া হচ্ছে, তেমনি সাধারণ ক্রেতাদের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চিনি প্রতারক চক্র।

সরকার প্রতি কেজি প্যাকেট চিনির দাম ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও সিটি, মেঘনা, দেশবন্ধু, ইগলুসহ ৫টি রিফাইনারি কোম্পানি ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের চিনি দিচ্ছে না। স্বাভাবিক সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোক্তারাও চিনি পাচ্ছেন না। রমজানের আগে চিনির বাজারের অস্থিরতা ডিলার-পাইকার তো বটে, সাধারণ ক্রেতাদেরকেও রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে চিনির বিষয়ে ডিলার, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেও পাওয়া যায় চিনি নিয়ে জাল-জালিয়াতির সত্যতা। তারা বলছেন, এসব অসাধু ও প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

ঢাকাপ্রকাশ-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুচরা বাজারে সাদা চিনির সংকটের সুযোগে প্রতারকচক্র বিভিন্ন নামে লাল চিনি বেশি দামে বিক্রি করে কাঁচা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন বলছে, আগে প্যাকেট লাল চিনির প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ছিল ৯৯ টাকা। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ টাকা দাম বাড়িয়ে এখন বিক্রি করা হচ্ছে ১১২ টাকা। আর খোলা চিনির কেজি ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি দামে কেউ বিক্রি করলে তা প্রতারণা হিসেবে ধরে নিতে হবে। এরকম প্রতারণা করায় ঢাকার এসপি ফুড প্রোডাক্টস, গ্রামীণ ফুড প্রোডাক্টস ও ফেয়ারডিল কনজুমার প্রোডাক্টস ও গাংচিল নামে কথিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিএসএফসির প্রধান মো. মাযহার উল হক খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার পর করপোরেশনের হাতে চিনি তেমন একটা থাকে না।

তিনি বলেন, মাসে একজন ডিলারকে পাঁচ বস্তা অর্থাৎ ২৫০ কেজি চিনি দেওয়া হয়। আমরা ডিলারদের কাছে ১০৭ টাকা কেজি বিক্রি করি। তারা খুচরা বাজারে ১১২ টাকায় বিক্রি করে। কাজেই কোনো ডিলার ১১২ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারে না। কেউ করলে বুঝতে হবে তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। কারণ কোনো অনুমোদিত ডিলার বিএসএফসির প্যাকেট ছাড়া অন্য কোনো নামে চিনি বিক্রি করতে পারে না।

মাশিরা, গাংচিলসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের নামে প্যাকেট করে সরকারি চিনি বলে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, এটা করলে বুঝতে হবে তারা প্রতারণা করছে। মাশিরা আমাদের ডিলার হলেও ১১২ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা জেলায় ৬০৬ জন হোলসেল ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে মাশিরার নাম পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ আমাদের প্যাকেটও ব্যবহার করতে পারে না।

লাল চিনির নামে বিষ

ঢাকাপ্রকাশ-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাংচিল, সতেজ ফুড,মাশিরা, সিবা ফুডসহ সেসব নামে প্যাকেট করে লাল চিনি নামে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে তার পুরোটাই প্রতারণা। কারণ চিনির উৎপাদন কম হওয়ায় চিনি করপোরেশন লাল চিনি সরবরাহই করতে পারছে না।

বাজার ঘুরে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, মাশিরা বিডি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাকেটজাত চিনি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ১৫৫ টাকা। যা একেবারেই অস্বাভাবিক। আর এসব প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার।

শুধু মাশিরা নয়, গত দুই সপ্তাহ আগেও বাজারে একইভাবে সেবা ফুড, গাংচিল ও সতেজ ফুড তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ করেছে লাল চিনি বলে। প্যাকেটের গায়ে দাম চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার উল্লেখ করে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৫৫ টাকা বিক্রি করা হয়েছে।

লাল চিনির রহস্য জানতে গত তিন দিন ধরে মাশিরা বিডি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে সোমবার পাওয়া গেল প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার এস এম শহিদুল্লাহ ইমরানকে।

তিনি ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে দাবি করেন, আমি প্রতারণা করছি না। আমি চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার। অন্য ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে ডিও কিনে থাকি। ১৭০০ ডিলারকে মাসে ২৫০ কেজি চিনি দেওয়া হয়। কিন্তু এই চিনিতে একজন ডিলারের হয় না। তখন আমরা অন্য ডিলারের কাছ থেকে ডিও কিনি। প্রতিটি ডিও কিনতে হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকায়। এত দাম দিয়ে কেনার পর ১১২ টাকায় আর বিক্রি করা যায় না।

এসময় তিনি বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। আমি সাংবাদিকতা লাইনের লোক। আপনি ভোক্তা অধিদপ্তরে, চিনি করপোরেশনে যান। সব জানতে পারবেন। আমার ১০০ টন লাগে। প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা বেশি দিতে হয়। তাই দাম বেশি। ১১২ টাকা খুচরা রেট। ১০৭ টাকা কেজি কেনা হয়। আমি কি কম দামে লস করে বিক্রি করব নাকি?

আপনি তো ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরান বলেন, আমরা বেশি দামে কিনি তাই খুচরা বিক্রয় মূল্য ১৫৫ টাকা করেছি। আমরা কোনো জালিয়াতি করি না। কারণ আমরা বিএসটিআই থেকে ট্রেডমার্ক লাইসেন্স নিয়ে মাশিরা ব্রান্ডের নামে ধানমন্ডি, ঢাকা ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যবসা করছি।

এসময় তিনি পাশে থাকা তার সহযোগী কামরুল হাসানকে ফোন ধরিয়ে দেন। কামরুল হাসান বলেন, আমরা দুই জনে মিলে কারখানা করেছি। সেখানে চিনি প্যাকেট করি, তারপর বাজারজাত করি। এতে অনেক খরচ। বেশি করে চিনি বিক্রি করতে না পারলে কারখানা চলবে না। সরকার ২৫০ কেজি করে বরাদ্দ দেয়। তা দিয়ে তো কারখানা চলে না। তাই বেশি দামে ডিও কিনি।

চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) আবার ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নিজে ডিলার না। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়েছি এক ডিলারের কাছ থেকে। সে আমাকে চিনি বিক্রি করার পাওয়ার দিয়েছে। সেই ডিলারের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিনি করপোরেশন কত বরাদ্দ (অ্যালটমেন্ট) দেয় তার উপর নির্ভর করে। তবে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন চিনি বিক্রি করা হয়। পুলিশ লাইন, কচুক্ষেত থেকে প্রতি বস্তা (৫০কেজি) চিনি ৬ হাজার ২০০ টাকা বা প্রতি কেজি কেনা হয় ১২০ টাকা করে। এর সঙ্গে অফিস খরচও রয়েছে। এজন্য দাম বেশি।

ভোক্তা অধিকার যা বলছে

চিনি নিয়ে আসলে হচ্ছে কী? ১১২ টাকার লাল চিনি কেউ ১৫৫ বা ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে? জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিউজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা তথ্য প্রমাণ পেলে অবশ্যই অ্যাকশনে যাব। সরকারের বেঁধে দেওয়া রেটের বেশি কেউ কোনো পণ্য বিক্রি করতে পারে না। এর আগেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাদা চিনিতে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে ‘লাল চিনি’ নামে বেশি দামে বিক্রি করায় সতেজ এবং গাংচিলের লাল চিনি ধ্বংস করা হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্যাকেট চিনি ও খোলা চিনির রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি নিলে অবশ্যই তা দেখা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে। চিনির সংকট চলছে। এটা কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির প্রতারক চক্র। তারা ভিন্ন ভিন্ন নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণা করছে।

এ ব্যাপারে ক্যাবের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, এটা অবশ্যই প্রতারণা। এ অনিয়মগুলো দীর্ঘদিন থেকে চলছে। বিশেষ করে তেল ও চিনির ক্ষেত্রে। এজন্য কয়েকটা ফ্যাক্টরিতে অভিযানও হয়েছে। এর সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা সরকারকে অ্যাকশনে যেতে বলেছি।

প্রতারণা করলে রক্ষা নেই

বিএসএফসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, আমাদের ডিলার হলে বাজারে তাদের ১১২ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করতে হবে। তারা আমাদের প্যাকেটে অন্য নামে লাল প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি করতে পারবে না। আবার আলাদা প্যাকেট করে সরকারের কোনো চিনিও বিক্রি করতে পারে না। করলে তা প্রতারণা। আর খোলা চিনিও ১০৫ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমাদের কাছেও তথ্য এসেছে কয়েকটা কোম্পানি বিভিন্ন দামে চিনি বিক্রি করছে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/এসজি

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫

চক্রের পাঁচজন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে বসে ‘জেট রোবোটিক’ নামে একটি অ্যাপস ও নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়িত্ব নিতেন কুমিল্লার শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। ২০২০ সাল থেকে তিনি দুবাইয়ে থাকেন। গত তিন থেকে সাড়ে তিন মাসে জেট রোবোটিক অ্যাপসের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার সমমূল্যের রেমিট্যান্স ব্লক করেছেন মামুন।

তবে তিনি ঠিকই চাহিদা অনুযায়ী গন্তব্যে টাকা পাঠিয়েছেন। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের মোবাইল ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসকে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮টি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট সিমে আগে থেকেই সমপরিমাণ বা বেশি অনলাইনে টাকা সংগ্রহ করে রাখা হয়। এরপর সংগ্রহ করা টাকা এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপের ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি বলে দাবি করেছে সিআইডি।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হুন্ডির কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোন, সিমকার্ড ল্যাপটপ ও ২৮ লাখ ৫১ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি বলছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রায় এক মাস ধরে অনুসন্ধান করে এই চক্রের সন্ধান পায়। এই চক্রের কারণে রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ। অনেকের অবৈধ উপার্জনের টাকা এই চক্রের মাধ্যমে বৈধ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নাসির আহমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২), মো. কামরুজ্জামান (৩৩), খায়রুল ইসলাম (৩৪) ও জহির উদ্দিন (৩৭)। তাদের মধ্যে নাসির ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের মালিক। ফজলে রাব্বি ও মো. কামরুজ্জামান ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে কাজ করেন। আর পরের দুজন দুবাই থেকে শহিদুলের পাঠানো প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতেন।

সিআইডির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই চক্র দুই ভাগে হুন্ডির কাজ পরিচালনা করে। দুবাইয়ে থাকা চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। আর দেশে থাকা চক্রের সদস্যরা ওই প্রবাসীর দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এতে প্রবাসীদের মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স আসত, সেটা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের কালোটাকার মালিকেরা এই চক্রের মাধ্যমে তাদের অবৈধ উপার্জন বৈধ করছেন। আর এই পুরো কাজটি পরিচালিত হতো জেট রোবোটিকস অ্যাপের মাধ্যমে।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান আরও বলেন, চক্রের সঙ্গে এমএফএস কোম্পানির চট্টগ্রামের তাসনিমা অ্যাসোসিয়েট নামের একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের লোকজন জড়িত। তাদের কাছ থেকে কম লেনদেন হয় এমন এমএফএস এজেন্ট অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করতেন চক্রের সদস্যরা। বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের লোকজন হুন্ডির লাভের টাকার একটি ভাগ পেতেন।

সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া। ছবি: সংগৃহীত 

 

মোহাম্মদ আলী বলেন, এই চক্রের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাই বসবাস করেন। মালয়েশিয়ান একটি সফটওয়্যার কোম্পানির মাধ্যমে অ্যাপটি তৈরি করে দুবাই বসে শহিদুল হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই অ্যাপের সঙ্গে একটি এমএফএস কোম্পানির ৪১টি অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংযোগ ছিল। গত তিন মাসে ওই ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের প্রায় ১৫০টি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চক্রটি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী বলেন, একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের অধীন প্রায় ১ হাজার ১০০ এজেন্ট থাকে। যেসব এজেন্ট অ্যাকাউন্টে লেনদেন কম হয়, সেই সব অ্যাকাউন্ট হুন্ডির কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমএফএস কোম্পানির নজরদারির ঘাটতি রয়েছে।

নতুন নতুন অ্যাপসের মাধ্যমে কৌশলে এ ধরনের ডিজিটাল হুন্ডি কার্যক্রম চলতে পারে উল্লেখ করে সিআইডি প্রধান বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমরোধে সিআইডিসহ সব দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানকে ইন্টেলিজেন্স, মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে।

তিন মাস ধরে অস্বাভাবিক লেনদেন, রেমিট্যান্স ব্লক হলো অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক টের পেল না? তাদের তো একটা শক্তিশালী মনিটরিং সেল আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কি-না জানতে চাইলে সিআইডিপ্রধান বলেন, ব্যর্থতা বলবো না, সার্ভিলেন্স সিস্টেমকে কতটা পেট্রলিং করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের পেট্রলিংয়ে এটা ধরতে পেরেছি। এর দায়িত্ব শুধু সিআইডি’র নয়, ডিবি, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংকেরও।

হুন্ডি তো আগেও হতো, এটাকে ডিজিটাল হুন্ডি বলছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সিস্টেম আসলেই ডিজিটাল হুন্ডি। আগে ফোন করে বলে দিতো অমুকের টাকা অমুককে দিয়ে দাও। এটা ম্যানুয়াল সিস্টেমে। কিন্তু এখন এসবের দরকার নেই। ফোন বা লোকাল এজেন্ট অথবা ডিস্টিবিশন হাউজ দরকার পড়ে না। অ্যাপস যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেবে সেভাবে নম্বরে নম্বরে টাকা চলে যায়।

দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন, হাইজিন, বায়ু ও সীসা দূষণ বছরে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যুর কারণ। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ঘরে ও বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ নামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সিসা দূষণ বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকালমৃত্যুর কারণ। এর ফলে বছরে ৫.২ বিলিয়ন দিন অসুস্থতায় অতিবাহিত হয়। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭.৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘরের এবং বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮.৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

এতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশদূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সিসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাষ্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সিসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ুদূষণ কমাতে পারে।

এছাড়া পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্র্যকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ

নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত

যোহরের নামাজ চলাকালীন বরিশালে জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম সড়ক চকবাজার এলাকার জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদের দ্বিতীয় তলায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে দ্রুত আগুন আনে তারা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মুসল্লিদের দাবি, এসি বিস্ফোরণ মধ্য দিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত না করলেও এসি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানিয়েছেন, বেলা দেড়টার দিকে মুসলিরা জোহরের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর তখন মসজিদের দোতলার একটি এসি চালুর জন্য মুয়াজ্জিন বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করতেই স্পার্ক করে। পরে তিনি সেটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন। এরপর সবাই নামাজে দাঁড়ালে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট শব্দ হয়। পরে পাশের ইমামের কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হলে দেখা যায় সেখানে এসির কাছাকাছি আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস ও থানায় বিষয়টি জানানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, হতাহতের ঘটনা ছাড়াই স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুসলিরা নিরাপদে মসজিদ থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের চারটি ইউনিট অল্প সময়ের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। আগুনে ইমাম সাহেবের রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কিছু বই ও আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরিশাল সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানান, মুসল্লিদের তথ্যানুযায়ী একটি এসি থেকে বিকট শব্দ হওয়ার পরপরই আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে এসি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস পাশে থাকায় ব্যস্ততম এই ব্যবসায়িক এলাকাটিতে বড় ধরনের বিপদ ঘটেনি, অল্পতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।

রাস্তা সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে কিছুটা বেগ পেতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, চকবাজারের সব রাস্তাগুলো সব সময় চালু রাখা উচিত, কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলো অপসারণের জন্য আমরা মসজিদ ও ব্যবসায়িক কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, চকবাজারের রাস্তা সরু হওয়ায় এখানে সব সময় যানজট লেগে থাকে, আর যেটুকু জায়গা খালি থাকে তা পার্কিং নয়তো হকরদের দখলে থাকে। এমনকি গোটা চকবাজারের ফুটপাতও দখলে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের পসরায়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি) নাফিছুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক সারা দেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, এমনকি নামাজের সময় হওয়ায় মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরে থাকলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ৪ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৮৯ শতাংশই ফেল
ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
৮ বছর পর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা
‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলব, এটুক অন্যায় করবোই’
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
শিগগিরই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ