মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রতারণা করে বিক্রি হচ্ছে ‘বিষ’ মেশানো লাল চিনি

চিনির তুমুল সংকটের মধ্যে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সাদা চিনিতে লাল রং মিশিয়ে দেশীয় চিনি পরিচয়ে চড়া মূল্যে বাজারে বিক্রি করছে। বিষয়টি ধরা পড়েছে সরকারের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানেও। তারপরও বন্ধ হয়নি প্রতারণা।

তারা বলছেন, চিনির সংকটকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু চক্র সাদা চিনিতে বিষাক্ত রং মিশিয়ে ‘দেশি লাল’ চিনির নামে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। যা আসলে লাল চিনি না। কারণ সরকারি লাল চিনির প্রতি কেজির খুচরা বিক্রয় মূল্য ১১২ টাকা। তারপরও লাল চিনির নামে গাংচিল, সতেজ ফুড, মাশিরা বিডি, সেবা মার্কেটিং এর চিনিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

অন্যদিকে সরকারের বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য করপোরেশন (বিএসএফসি) কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিলারদেরকে দেওয়ার মতো তাদের পর্যাপ্ত চিনিই নেই। তা ছাড়া তাদের চিনির প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ১১২ টাকা। এর চেয়ে বেশি দামে যেমন কেউ এটা বিক্রি করতে পারবে না, তেমনি এই চিনি নিয়ে কেউ অন্য নামে প্যাকেট করেও বিক্রি করতে পারবে না।

অথচ বাজার সয়লাব লাল চিনিতে! ভোক্তাকে শুধু ঠকানোই হচ্ছে না। প্রতারণা করে রং মেশানো বিষাক্ত চিনি যেমন পাওয়া হচ্ছে, তেমনি সাধারণ ক্রেতাদের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চিনি প্রতারক চক্র।

সরকার প্রতি কেজি প্যাকেট চিনির দাম ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও সিটি, মেঘনা, দেশবন্ধু, ইগলুসহ ৫টি রিফাইনারি কোম্পানি ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের চিনি দিচ্ছে না। স্বাভাবিক সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোক্তারাও চিনি পাচ্ছেন না। রমজানের আগে চিনির বাজারের অস্থিরতা ডিলার-পাইকার তো বটে, সাধারণ ক্রেতাদেরকেও রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে চিনির বিষয়ে ডিলার, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেও পাওয়া যায় চিনি নিয়ে জাল-জালিয়াতির সত্যতা। তারা বলছেন, এসব অসাধু ও প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

ঢাকাপ্রকাশ-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুচরা বাজারে সাদা চিনির সংকটের সুযোগে প্রতারকচক্র বিভিন্ন নামে লাল চিনি বেশি দামে বিক্রি করে কাঁচা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন বলছে, আগে প্যাকেট লাল চিনির প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ছিল ৯৯ টাকা। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ টাকা দাম বাড়িয়ে এখন বিক্রি করা হচ্ছে ১১২ টাকা। আর খোলা চিনির কেজি ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি দামে কেউ বিক্রি করলে তা প্রতারণা হিসেবে ধরে নিতে হবে। এরকম প্রতারণা করায় ঢাকার এসপি ফুড প্রোডাক্টস, গ্রামীণ ফুড প্রোডাক্টস ও ফেয়ারডিল কনজুমার প্রোডাক্টস ও গাংচিল নামে কথিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিএসএফসির প্রধান মো. মাযহার উল হক খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার পর করপোরেশনের হাতে চিনি তেমন একটা থাকে না।

তিনি বলেন, মাসে একজন ডিলারকে পাঁচ বস্তা অর্থাৎ ২৫০ কেজি চিনি দেওয়া হয়। আমরা ডিলারদের কাছে ১০৭ টাকা কেজি বিক্রি করি। তারা খুচরা বাজারে ১১২ টাকায় বিক্রি করে। কাজেই কোনো ডিলার ১১২ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারে না। কেউ করলে বুঝতে হবে তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। কারণ কোনো অনুমোদিত ডিলার বিএসএফসির প্যাকেট ছাড়া অন্য কোনো নামে চিনি বিক্রি করতে পারে না।

মাশিরা, গাংচিলসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের নামে প্যাকেট করে সরকারি চিনি বলে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, এটা করলে বুঝতে হবে তারা প্রতারণা করছে। মাশিরা আমাদের ডিলার হলেও ১১২ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা জেলায় ৬০৬ জন হোলসেল ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে মাশিরার নাম পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ আমাদের প্যাকেটও ব্যবহার করতে পারে না।

লাল চিনির নামে বিষ

ঢাকাপ্রকাশ-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাংচিল, সতেজ ফুড,মাশিরা, সিবা ফুডসহ সেসব নামে প্যাকেট করে লাল চিনি নামে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে তার পুরোটাই প্রতারণা। কারণ চিনির উৎপাদন কম হওয়ায় চিনি করপোরেশন লাল চিনি সরবরাহই করতে পারছে না।

বাজার ঘুরে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, মাশিরা বিডি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাকেটজাত চিনি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ১৫৫ টাকা। যা একেবারেই অস্বাভাবিক। আর এসব প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার।

শুধু মাশিরা নয়, গত দুই সপ্তাহ আগেও বাজারে একইভাবে সেবা ফুড, গাংচিল ও সতেজ ফুড তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ করেছে লাল চিনি বলে। প্যাকেটের গায়ে দাম চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার উল্লেখ করে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৫৫ টাকা বিক্রি করা হয়েছে।

লাল চিনির রহস্য জানতে গত তিন দিন ধরে মাশিরা বিডি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে সোমবার পাওয়া গেল প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার এস এম শহিদুল্লাহ ইমরানকে।

তিনি ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে দাবি করেন, আমি প্রতারণা করছি না। আমি চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার। অন্য ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে ডিও কিনে থাকি। ১৭০০ ডিলারকে মাসে ২৫০ কেজি চিনি দেওয়া হয়। কিন্তু এই চিনিতে একজন ডিলারের হয় না। তখন আমরা অন্য ডিলারের কাছ থেকে ডিও কিনি। প্রতিটি ডিও কিনতে হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকায়। এত দাম দিয়ে কেনার পর ১১২ টাকায় আর বিক্রি করা যায় না।

এসময় তিনি বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। আমি সাংবাদিকতা লাইনের লোক। আপনি ভোক্তা অধিদপ্তরে, চিনি করপোরেশনে যান। সব জানতে পারবেন। আমার ১০০ টন লাগে। প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা বেশি দিতে হয়। তাই দাম বেশি। ১১২ টাকা খুচরা রেট। ১০৭ টাকা কেজি কেনা হয়। আমি কি কম দামে লস করে বিক্রি করব নাকি?

আপনি তো ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরান বলেন, আমরা বেশি দামে কিনি তাই খুচরা বিক্রয় মূল্য ১৫৫ টাকা করেছি। আমরা কোনো জালিয়াতি করি না। কারণ আমরা বিএসটিআই থেকে ট্রেডমার্ক লাইসেন্স নিয়ে মাশিরা ব্রান্ডের নামে ধানমন্ডি, ঢাকা ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যবসা করছি।

এসময় তিনি পাশে থাকা তার সহযোগী কামরুল হাসানকে ফোন ধরিয়ে দেন। কামরুল হাসান বলেন, আমরা দুই জনে মিলে কারখানা করেছি। সেখানে চিনি প্যাকেট করি, তারপর বাজারজাত করি। এতে অনেক খরচ। বেশি করে চিনি বিক্রি করতে না পারলে কারখানা চলবে না। সরকার ২৫০ কেজি করে বরাদ্দ দেয়। তা দিয়ে তো কারখানা চলে না। তাই বেশি দামে ডিও কিনি।

চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) আবার ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নিজে ডিলার না। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়েছি এক ডিলারের কাছ থেকে। সে আমাকে চিনি বিক্রি করার পাওয়ার দিয়েছে। সেই ডিলারের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিনি করপোরেশন কত বরাদ্দ (অ্যালটমেন্ট) দেয় তার উপর নির্ভর করে। তবে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন চিনি বিক্রি করা হয়। পুলিশ লাইন, কচুক্ষেত থেকে প্রতি বস্তা (৫০কেজি) চিনি ৬ হাজার ২০০ টাকা বা প্রতি কেজি কেনা হয় ১২০ টাকা করে। এর সঙ্গে অফিস খরচও রয়েছে। এজন্য দাম বেশি।

ভোক্তা অধিকার যা বলছে

চিনি নিয়ে আসলে হচ্ছে কী? ১১২ টাকার লাল চিনি কেউ ১৫৫ বা ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে? জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিউজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা তথ্য প্রমাণ পেলে অবশ্যই অ্যাকশনে যাব। সরকারের বেঁধে দেওয়া রেটের বেশি কেউ কোনো পণ্য বিক্রি করতে পারে না। এর আগেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাদা চিনিতে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে ‘লাল চিনি’ নামে বেশি দামে বিক্রি করায় সতেজ এবং গাংচিলের লাল চিনি ধ্বংস করা হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্যাকেট চিনি ও খোলা চিনির রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি নিলে অবশ্যই তা দেখা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে। চিনির সংকট চলছে। এটা কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির প্রতারক চক্র। তারা ভিন্ন ভিন্ন নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণা করছে।

এ ব্যাপারে ক্যাবের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, এটা অবশ্যই প্রতারণা। এ অনিয়মগুলো দীর্ঘদিন থেকে চলছে। বিশেষ করে তেল ও চিনির ক্ষেত্রে। এজন্য কয়েকটা ফ্যাক্টরিতে অভিযানও হয়েছে। এর সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা সরকারকে অ্যাকশনে যেতে বলেছি।

প্রতারণা করলে রক্ষা নেই

বিএসএফসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, আমাদের ডিলার হলে বাজারে তাদের ১১২ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করতে হবে। তারা আমাদের প্যাকেটে অন্য নামে লাল প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি করতে পারবে না। আবার আলাদা প্যাকেট করে সরকারের কোনো চিনিও বিক্রি করতে পারে না। করলে তা প্রতারণা। আর খোলা চিনিও ১০৫ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমাদের কাছেও তথ্য এসেছে কয়েকটা কোম্পানি বিভিন্ন দামে চিনি বিক্রি করছে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন