
বাংলাদেশ গুরুত্ব দিচ্ছে আন্তঃসীমান্ত নদীর উপর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৫ এএম

জাতিসংঘের পানি সম্মেলনে এবার বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আন্তঃসীমান্ত এবং আন্তর্জাতিক পানি সহযোগিতা ও ক্রস সেক্টরাল সহযোগিতার উপর। পানির জন্য সহযোগিতা এই থিমে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের এজেন্ডা জুড়ে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা চায়।
আগামী ২২ থেকে ২৪ মার্চ তিন দিন নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ পানি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এই সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পাঁচটি ইস্যুতে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আন্তঃসীমান্ত এবং আন্তর্জাতিক পানি সহযোগিতার উপর। এই ইস্যুতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে ভয়েস রেইস করতে চাচ্ছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুলে মোমেন এর নেতৃত্বে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান পত্র তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে পাঁচটি থিম ঠিক করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। যেগুলো আগামী ২২-২৪ মার্চ পানি সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে যেসব আন্তর্জাতিক নদী প্রবেশ করেছে তার সবকটিই হচ্ছে নেপাল, ভারত ও চীন থেকে আসা। কিন্তু এ সব নদীর উজানে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে বাঁধ তৈরি করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ফলে বাংলাদেশ তার ন্যায্য পানির হিস্যা পাচ্ছে না। এই অবস্থায় এবারের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নদীসমূহের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বেশি জোর দিচ্ছে।
বাংলাদেশ বলছে, আন্তঃসীমান্ত নদীকে বাঁচিয়ে রেখে নদীর পানিসহ যেসব সম্পদ রয়েছে ওই নদী সংশ্লিষ্ট সকল দেশ সেগুলো তার সর্বোচ্চটা ব্যবহার করবে। আন্তর্জাতিক নদীর পানি নিয়ে সবার জন্য সমান সহযোগিতা নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে ক্রস সেক্টরাল সহযোগিতা করবে। নেপাল, ভারত ও চীনের সমন্বিত সহযোগিতায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নদী যেগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সেগুলোর পানিসহ অন্যান্য সবকিছুর সর্বোচ্চ সুবিধা যেন বাংলাদেশ পায় তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এবারর পানি সম্মেলনে নিজেদের অবস্থানপত্র উপস্থাপন করবে।
এবারের পানি সম্মেলনে বাংলাদেশ তার অবস্থানপত্রে আন্তঃসীমান্ত ও আন্তর্জাতিক পানি সহযোগিতার জন্য নেপাল, ভারত ও চীনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নদীকে বাঁচিয়ে রেখে কীভাবে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায় সে জন্য এই তিন দেশের সঙ্গে আলোচনা করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী পানি একটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে। পানির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুরো বিশ্বকেই নজর দিতে হচ্ছে। এই ইস্যু থেকে বাংলাদেশ তথা এই অঞ্চলও বাদ যাচ্ছে না। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ পানি ইস্যুতে ভয়েস রেইস করতে চায়।
বিশিষ্ট পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, জেনারেলি যদি বলি তাহলে বলতে হচ্ছে, পৃথিবীতে পানির সম্পদের পরিমান ফিক্সড। এটা বাড়বেও না, কমবেও না। কিন্তু মানুষ বাড়ছে। মানুষের পানির চাহিদা বাড়ছে। সেচের জন্য পানির চাহিদা বড়েছে। খাবারের জন্য পানির চাহিদা বাড়ছে। শিল্পের জন্য পানির চাহিদা বাড়ছে।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে, বছরের একসময় প্রচুর পানি আছে। অন্যসময় পানির প্রবাহ কম। এই সমস্যা যে নদীটা দুই বা তিন দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তাদের সকলের জন্যই। কিন্তু অববাহিকাভিত্তিক পরিকল্পনা করে এ সমস্যাটা বহুলাংশে সমাধান করা সম্ভব।
তৃতীয়ত হচ্ছে, অভিন্ন নদীর ব্যবস্থাপনাতে দুই দেশের মধ্যে কিংবা দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সিদ্ধান্তটাই প্রধান। আর দুই দেশের মধ্যে শক্তি যদি অসম হয় তহালে বিষয়টা আরও জটিল হয়। সেজন্য কিছু বৈশ্বিক নিয়মকানুন থাকলে ভাটির দেশের জন্য সুবিধা হবে। বৈশ্বিক নিয়মকানুন তো নাই। এটা খুব প্রয়োজন। সবকিছু নির্ভর করে রাজনীতির উপরে। সেটার সঙ্গে যদি কিছু গাইডলাইন থাকে তাহলে সমস্যা সমাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, আর সর্বশেষ হচ্ছে নদীর পানির সঙ্গে জীববৈচিত্র্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কাজেই শুধুমাত্র সেচের জন্য পানি কিংবা উজানের দেশ, ভাটির দেশ তাদের পানির চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিরও একটা পানির চাহিদা আছে। এটা ধরে রাখা উচিত। প্রকৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
এনএইচবি/আরএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২২ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৯ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।