রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

খালেদা জিয়ার রাজনীতি: সরকারের ভেতরেই দুই মত

খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত। সরকারের একাধিক মন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ নিজ নিজ অবস্থান থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

সম্প্রতি রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না শর্তে সেটা আছে কি না সেটা আমার মনে পড়ছে না। তবে যতদূর মনে পড়ছে, শর্তে এ রকম কিছু নেই।’

তার এই বক্তব্যের পর গত কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকারি দলের নেতাদের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা জবাব দিচ্ছেন।

অবশ্য দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, প্রথমে যে শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা করার ‍সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে তার রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। যদি না এই শর্ত শিথিল হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা সঠিক। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন। যদি কোনো শর্ত না থাকে। তবে নির্বাচন করতে পারবেন না।’

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা কৃষিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। তিনি জেলে থেকেও দল পরিচালনা করতে পারবেন, বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচনী আইনে যা আছে, তাই মানতে হবে। এখানে সরকার বা নির্বাচন কমিশনসহ কারও কিছু করার নেই।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে একটি অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের কাছে সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি খালেদা জিয়া যে শর্তে বাসায় আছেন তাতে তার রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘কে কী বললেন সেটা বিষয় না, তাকে যে শর্তসাপেক্ষে বাসায় থেকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাতে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নেই।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কেউ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে তার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন সেটা আইনমন্ত্রী বলেননি। তার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিলস্) এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আবারও বলেছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার বিষয়ে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ‘আইনগত বাধা কোথায় থাকে? খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। তার কারণ তিনি দণ্ডিত। কিন্তু রাজনীতি করতে পারবেন না, এ রকম কথা তো কোথাও নাই। বাস্তব অবস্থা হলো তিনি তার যে দণ্ডাদেশ সেটা স্থগিত করেছিলেন। কারণ তিনি অসুস্থ। এটা মনে রাখতে হবে। এখন বাস্তব অবস্থাটা কী সেটাও আপনারা জানেন।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, তার ভাই যে আবেদনটা করেছেন; সে আবেদনের মধ্যে বলা আছে তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার যদি আরও ভালো চিকিৎসা না হয় তার জীবন বিপন্ন। তখন মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দিয়েছেন। যিনি অসুস্থ তিনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না সেটা আমি বার বার আপনাদের বলছি। সেটা আপনারা বিবেচনা করে দেখেন। স্বাভাবিকভাবে মানুষ মনে করে তিনি অসুস্থ রাজনীতি করতে পারবেন না। এটাই হচ্ছে বাস্তব অবস্থা।’

তিন মন্ত্রীর তিন রকম বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নানান আলোচনা হচ্ছে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না। চলছে বিতর্ক।

শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে কারাগারের বদলে বাসায় থাকা খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার তানজিব-উল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আইনগতভাবে তার সাজা স্থগিত রেখে জেলে না রেখে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছে সরকার। সরকারের সেই ক্ষমতাটা আছে এবং সেটা করতে হলে যেকোনো ধরনের শর্ত আরোপ করা যায়।

জানা মতে, তার সাজা যখন স্থগিত করে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তখন যে শর্তটা আরোপ করা হয়েছিল তাতে উল্লেখ ছিল যে, তিনি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন না। আমার জানা মতে, সরকারের পক্ষ থেকে সে শর্তটা শিথিল করা হয়নি। এখন যদি শিথিল করা হয়ে থাকে সেটা আমার জানা নেই। তবে আমি যত দূর জানি, আগের শর্তটা এখনো আছে, যোগ করেন তিনি। 

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। সাজাপ্রাপ্ত আসামি নির্বাচন করতে পারেন না।’

অপরদিকে, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আমিন উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন কি, করবেন না সেটা তিনি যে জামিনে মুক্ত আছেন তার শর্তের উপর নির্ভর করে। যেহেতু আইনমন্ত্রী বলেছেন ও আমি তার বক্তব্য শুনেছি তাতে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘৪০১-এ তাকে প্যারোলে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি শর্ত দেওয়া থাকে তাহলে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ, তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। যেটা নৈতিক স্খলনজনিত।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য