
খালেদা জিয়ার রাজনীতি: সরকারের ভেতরেই দুই মত
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫৫ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ এএম

খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত। সরকারের একাধিক মন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ নিজ নিজ অবস্থান থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
সম্প্রতি রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না শর্তে সেটা আছে কি না সেটা আমার মনে পড়ছে না। তবে যতদূর মনে পড়ছে, শর্তে এ রকম কিছু নেই।’
তার এই বক্তব্যের পর গত কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকারি দলের নেতাদের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা জবাব দিচ্ছেন।
অবশ্য দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, প্রথমে যে শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে তার রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। যদি না এই শর্ত শিথিল হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা সঠিক। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন। যদি কোনো শর্ত না থাকে। তবে নির্বাচন করতে পারবেন না।’
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা কৃষিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। তিনি জেলে থেকেও দল পরিচালনা করতে পারবেন, বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচনী আইনে যা আছে, তাই মানতে হবে। এখানে সরকার বা নির্বাচন কমিশনসহ কারও কিছু করার নেই।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে একটি অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের কাছে সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি খালেদা জিয়া যে শর্তে বাসায় আছেন তাতে তার রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘কে কী বললেন সেটা বিষয় না, তাকে যে শর্তসাপেক্ষে বাসায় থেকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাতে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নেই।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কেউ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে তার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন সেটা আইনমন্ত্রী বলেননি। তার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিলস্) এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আবারও বলেছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার বিষয়ে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ‘আইনগত বাধা কোথায় থাকে? খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। তার কারণ তিনি দণ্ডিত। কিন্তু রাজনীতি করতে পারবেন না, এ রকম কথা তো কোথাও নাই। বাস্তব অবস্থা হলো তিনি তার যে দণ্ডাদেশ সেটা স্থগিত করেছিলেন। কারণ তিনি অসুস্থ। এটা মনে রাখতে হবে। এখন বাস্তব অবস্থাটা কী সেটাও আপনারা জানেন।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, তার ভাই যে আবেদনটা করেছেন; সে আবেদনের মধ্যে বলা আছে তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার যদি আরও ভালো চিকিৎসা না হয় তার জীবন বিপন্ন। তখন মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দিয়েছেন। যিনি অসুস্থ তিনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না সেটা আমি বার বার আপনাদের বলছি। সেটা আপনারা বিবেচনা করে দেখেন। স্বাভাবিকভাবে মানুষ মনে করে তিনি অসুস্থ রাজনীতি করতে পারবেন না। এটাই হচ্ছে বাস্তব অবস্থা।’
তিন মন্ত্রীর তিন রকম বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নানান আলোচনা হচ্ছে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না। চলছে বিতর্ক।
শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে কারাগারের বদলে বাসায় থাকা খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার তানজিব-উল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আইনগতভাবে তার সাজা স্থগিত রেখে জেলে না রেখে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছে সরকার। সরকারের সেই ক্ষমতাটা আছে এবং সেটা করতে হলে যেকোনো ধরনের শর্ত আরোপ করা যায়।
জানা মতে, তার সাজা যখন স্থগিত করে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তখন যে শর্তটা আরোপ করা হয়েছিল তাতে উল্লেখ ছিল যে, তিনি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন না। আমার জানা মতে, সরকারের পক্ষ থেকে সে শর্তটা শিথিল করা হয়নি। এখন যদি শিথিল করা হয়ে থাকে সেটা আমার জানা নেই। তবে আমি যত দূর জানি, আগের শর্তটা এখনো আছে, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। সাজাপ্রাপ্ত আসামি নির্বাচন করতে পারেন না।’
অপরদিকে, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আমিন উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন কি, করবেন না সেটা তিনি যে জামিনে মুক্ত আছেন তার শর্তের উপর নির্ভর করে। যেহেতু আইনমন্ত্রী বলেছেন ও আমি তার বক্তব্য শুনেছি তাতে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘৪০১-এ তাকে প্যারোলে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি শর্ত দেওয়া থাকে তাহলে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ, তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। যেটা নৈতিক স্খলনজনিত।’
এনএইচবি/এমএমএ/

ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৭ পিএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।
কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৭ পিএম

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।
পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।
ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।
যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’
এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।
তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ পিএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।