শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

উত্তেজনায় ভরা ম্যাচে সিলেটের কাছে আবারও হার বরিশালের

আক্রমণের পর পাল্টা আক্রমণ। ফরচুন বরিশালের মোহাম্মদ ওয়াসিমের বোালিং মিসাইলের পর সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর অশান্ত হয়ে উঠে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের এমন উত্তেজনাকর চিত্তাকর্ষক লড়াইয়ের এটি ছিল প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে ছিল সিলেটের ১৭৩ রান অতিক্রম করতে গিয়ে পথ হারানো বরিশালের দফায় দফায় ম‌্যাচে ফিরে আসা।

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম‌্যাচ দর্শকদের জন‌্য বিনোদনের পসরা সাজিয়ে এনে তবেই হয়েছে ফলাফল। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে সিলেট। জিতেছে মাত্র ২ রানে। যা ছিল এবারের বিপিএলের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ম‌্যাচ। বরিশাল করে ৮ উইকেটে ১৭১ রান।

এবারের বিপিএলে বরিশালের ৭ ম‌্যাচে এটি ছিল দ্বিতীয় হার। প্রথম ম‌্যাচে তারা সিলেটের কাছে হারের পর জিতেছিল টানা ৫ ম‌্যাচ। ম‌্যাচ শুরুর আগে দুই দলের পয়েন্ট সমান ছিল। এই জয়ে সিলেট ৭ ম‌্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের শীর্ষ স্থান ধরে রাখার পাশাপাশি শেষ চারে খেলাও অনেকটা নিশ্চিত করেছে।

সিলেটের ১৭৩ রানের জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও ইব্রাহিম জাদরানের ধীরগতির সূচনার কারণে রান রেটে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে বরিশাল। ব‌্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান আসে ১ উইকেটে ৪৪। ৭ ওভারে ২ উইকেটে ৪৬। এসময় বরিশালকে ম‌্যাচে রাখার চেষ্টা করেন সাকিব ও জাদরান। তারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে আক্রমণাত্মক ব‌্যাটিং করে ৬.৩ ওভারে ৬১ রান যোগ করে রানের সঙ্গে বলের ব‌্যবধান কমিয়ে আনেন। কিন্তু এক ওভারে তানজিম হাসান সাকিব দুইজনকেই ফিরিয়ে দিলে বরিশাল আবার চাপে পড়ে যায়। প্রথমে আউট হন সাকিব ১৮ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৯ রান করে। পরে আউট হন জাদরান ৩৭ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৪২ রান করে। এসময় তাদের জয়ের জন‌্য প্রয়োজন ছিল ৬৭ রানের। ওভার বাকি ছিল ৬.৩টি।

সাকিব ও জাদরান আউট হওয়ার পর ইফতিখার ও করিম জানাত জুটি বাঁধেন। ৪ বলে ৩ রান করা করিম জানাত হঠাৎ করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে মাশরাফিকে পরপর ৩ ছক্কা মেরে রান ও বলের ব‌্যবধান অনেক কমিয়ে আনেন। ১২ বলে ২১ রান করে মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হওয়ার সময় বরিশালের জয়ের জন‌্য প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। ওভার বাকি ৪টি। করিম আউট হওয়ার পর তানজিম হাসান সাকিবের পরের ওভারে ইফতিখার হয়ে উঠেন আক্রমণাত্মক। ২ চার ও ১ ছক্কায় তিনি ১৮ রান নিয়ে খেলাকে ফিফটি-ফিফটি পজিশনে নিয়ে আসেন। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২৩ রানের। মোহাম্মদ আমিরের ১৯তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর উইকেট হারিয়ে বরিশাল ৮ রান সংগ্রহ করলে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রানের।

শেষ ওভার করতে আসেন রেজাউর। স্ট্রাইকে ইফতিখার। কিন্তু প্রথম বল ওয়াইড দেওয়ার পর পরের বলেই তাকে আউট করে দেন রেজাউর। ১৩ বলে ১৭ রান করেন ইফতিখার। এসময় ম‌্যাচ আবার হেলে পড়ে সিলেটের দিকে। পরের বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকেও রেজাউর আউট করলে সিলেটের জয় সময়ের ব‌্যাপার হয়ে উঠে। শেষ ২ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৩ রানের। পঞ্চম বলে ওয়াসিম ছক্কা মারলে ম‌্যাচ টাই হওয়ার সম্ভাবনা জেগে উঠে। তার জন‌্য প্রয়োজন পড়ে শেষ বলে ছক্কার। কিন্তু মোহাম্মদ ওয়াসিম মারেন বাউন্ডারি। শেষ হয় এবারের বিপিএলে চরম নাটকীয়তায় ও সবচেয়ে বেশি টানটান উত্তেজনায় ভরা একটি ম‌্যাচ। সিলেট জয় পায় ২ রানে।

রেজাউর ৪১ রানে ৩ উইকেট, মোহাম্মদ আমির ২৪ ও তানজিম হাসান সাকিব ৪২ রানে নেন ২টি করে উইকেট।

এর আগে সিলেটের ইনিংস শুরু হয়েছিল মোহাম্মদ ওয়াসিম ঝড়ে। তার প্রথম ওভারেই (ইনিংসের দ্বিতীয়) তিনি একে একে তুলে নেন তিন তিনটি উইকেট। যেখানে শিকার ছিল ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তৌহিদ হৃদয়সহ (৪) ওপেনার জাকির (০) ও মুশফিকুর রহিম (০)। কিন্তু ওয়াসিম ঝড় খুব বেশি সময় স্থায়ী হতে দেননি প্রথমবারের মতো খেলতে নামা টম মরিস ও ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশেষ করে শান্ত। বলা যায় ওয়াসিম ঝড় থামিয়ে দিয়ে মিরপুরে মঞ্চস্থ হয় শান্ত ঝড়।

মরিস ও শান্ত দুইজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১.৫ ওভারে ৮১ রান যোগ করেন। জুটি ভাঙে টম মরিস ৩০ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৪০ রান করে আউট হলে। তাকে শিকার করেন সাকিব। কিন্তু তিনি আউট হলেও শান্ত ছিলেন অশান্ত। থিসারা পেরেরাকে নিয়ে তিনি ৫.৪ ওভারে ৬৮ রান যোগ করেন। এবারও জুটি ভাঙে শান্ত অটুট থাকলে। থিসারা আউট হন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে। তিনি ১৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রান করেন। নাজমুল ৪৮ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে হাফ সেঞ্চুরি করার পর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৬ বলে ১ ছক্কা ও ১১ চারে ৮৯ রান করে। হাফ সেঞ্চুরি করার পর তিনি পরের ৩৯ রান যোগ করেন মাত্র ১৮ বলে ৭ চারে। শেষ ৫ ওভারে সিলেটের রান আসে যথাক্রমে ১৪, ১০, ১৪, ১১ ও ১৪।

মোহাম্মদ ওয়াসিম শুরুতে ঝড় তুললেও পরে আর ঝড় তুলতে পারেননি। পরের তিন ওভারে তিনি শুধু রানই দিয়ে গেছেন। কোনো উইকেট নিতে পারেননি। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সাকিব ১১ ও কামরুল ৩১ রানে নেন ১টি করে উইকেট।

এমপি/এসজি

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস শনাক্ত। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ আইসোলেশনে আসেনি এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৬৬ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫১ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। টানা চারদিন ধরে ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র তাপপ্রবাহে শুকিয়ে গেছে পুকুরের পানি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট ওয়েভ অ্যালার্ট জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে বলা হয়, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

গরম থেকে বাঁচতে পানিতে নেমেছেন শিশু-কিশোররা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।’

২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছেন ক্লান্ত মানুষজন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আশু মিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে মাঠে জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।
কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, সকালে কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। সড়ক থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে বেশি সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না।

উথলী গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মেটানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য বাজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে প্রতিদিন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গাতে বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ অ্যালার্ট (তীব্র তাপদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই গণসংযোগ চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজপথের আন্দোলনে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কেউই আমাদের দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। আর সর্ব প্রথম দাওয়াত হবে নিজের নফসের প্রতি। আমাদের কথা ও কাজে যেন অমিল না থাকে। যেটা মানুষকে করতে বলব, সেটা যেন আমি নিজে আগে আমল করি।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি জনশক্তির কথাবার্তা, লেনদেন, সামাজিক কাজকর্ম আল্লাহর দ্বীন বা কোরআন অনুযায়ী হতে হবে। যতই বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে অনলাইন মাধ্যম জুম, ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ-এ ঈদপুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। যারা রমজানে তাকওয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মূলত তাদের জন্যই ঈদের আনন্দ। আমীরে জামায়াতের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ চলবে।

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস, প্রকৌশলী নিহত
১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ
হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান
আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
স্বচ্ছতার সাথে অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তীব্র গরমের মধ্যেই ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহত
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন