বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৭ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইংল্যান্ডের স্বপ্ন ভেঙে এক যুগ পর ইউরো কাপ জিতল স্পেন

এক যুগ পর ইউরো কাপ জিতল। ছবি: সংগৃহীত

অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ফাইনালে ওঠেছিল স্পেন। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে সেই ধারা অব্যাহত রেখে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে স্প্যানিশরা। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১২ ইউরোপ সেরার মুকুট নিজেদের করে নিলো স্পেন।

বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাড়ম্যাড়ে প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলের দেখা পায়নি। তবে বিরতির পর ফিরেই জাল কাঁপায় স্পেন। তারপর কয়েকটি মুহুর্মুহু আক্রমণ। সেগুলো জালের দেখা পায়নি। সুপার সাবের সৌজন্যে গোল শোধ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। কিন্তু এবার সুপার সাবে সাফল্যের মুখ দেখলো স্পেন। তাতে টানা দ্বিতীয়বার ইউরো ফাইনালে উঠেও শিরোপা খরা ঘুচাতে পারলো না ইংল্যান্ড। ২-১ গোলে তাদেরকে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থ ইউরো শিরোপা জিতলো স্পেন।

পঞ্চম মিনিটে স্পেনের ফরোয়ার্ড নিকো উইলিয়ামসের ক্রস আলভারো মোরাতার কাছে পৌঁছানোর আগে ব্লক করে কর্নার বানান জন স্টোন্স। ১৩ মিনিটে সতীর্থের হেড ক্রসে মোরাতার বাইসাইকেল কিক লক্ষ্যে ছিল না। ইংল্যান্ড প্রথম আক্রমণে যায় ১৬ মিনিটে। বুকায়ো সাকা ডান দিকে বল বাড়ান। তার পাস ধরে কাইল ওয়াকার সামনে আগান। বক্সের মধ্যে তার পাস ব্লক করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।

২৫ মিনিটে রুইজকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কেইন। ২৮ মিনিটে ফ্যাবিয়ান রুইজের শট গুয়েহির গায়ে লেগে সহজেই পিকফোর্ডের হাতে ধরা পড়ে। চার মিনিট পর ডেকলান রাইসকে চ্যালেঞ্জ করে হলুদ কার্ড দেখেন ড্যানি ওলমো।

৪৪ মিনিটে লাপোর্তের থ্রু বল বক্সের মধ্যে পান মোরাতা। স্পেন অধিনায়ক গুয়েহিকে কাট পাস করে কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ইংলিশ ডিফেন্ডার তাকে প্রতিহত করেন। স্টোন্স বল ক্লিয়ার করে কর্নার বানান। পেলের ৬৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় লামিনে ইয়ামাল এই অর্ধে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯ সেকেন্ডে ইংল্যান্ডের জাল কাঁপায় স্পেন। দানি কারভাহালের বানিয়ে দেওয়া বলে ইয়ামাল ডান দিক দিয়ে বক্সের বাঁ প্রান্তে পাস দেন। উইলিয়ামস বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে জালে বল জড়ান।

দুই মিনিট পর আরেকটি সুযোগ তৈরি করে স্পেন। উইলিয়ামসের পাসে ওলমো বক্সের মাঝখান থেকে শট নেন, কিন্তু বল ডানপোস্টের অনেক সামনে দিয়ে মাঠের বাইরে যায়।

৫৫ মিনিটে কারভাহাল বল দেন মোরাতাকে। কিন্তু স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড উইলিয়ামসকে পাস না দিয়ে নিজেই শট নেন। গুয়েহি ভালো অবস্থানে থেকে শট ব্লক করেন। পরের মিনিটে মোরাতার আরেকটি শট ক্লিয়ার করেন স্টোন্স। কয়েক সেকেন্ড পর উইলিয়ামসের শট বাঁ পাশের পোস্ট দিয়ে বাইরে চলে যায়।

৬০ মিনিটে কাইল ওয়াকারকে আর্মব্যান্ড দিয়ে মাঠ ছাড়েন কেইন। অধিনায়কের বদলি হন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের নায়ক ওলি ওয়াটকিন্স।

চার মিনিট পর সাকার বাড়ানো বলে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন বেলিংহ্যাম। তার বাঁ পায়ের শট বাঁদিকের পোস্টের বেশ দূর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৬৭ মিনিটে সাকাকে দেওয়া পিকফোর্ডের পাসে বাগড়া দেন কুকুরেল্লা। বল পেয়ে যান মোরাতা, তার পাস ধরে ডানদিক থেকে ইয়ামাল বাঁ দিকে সরে শট নেন। চমৎকার সেভে স্পেনকে আরও এগিয়ে যেতে দেননি পিকফোর্ড। এরপরই মিকেল ওয়ারজাবালের বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন মোরাতা। তার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড ওঠে কারভাহালের হাতে।

৬৯ মিনিটেস স্পেনের কর্নার পাঞ্চ করে ফেরান পিকফোর্ড। রুইজ বক্সের বাইরে বল পেয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন।

পরের মিনিটে মাইনুর বদলি নামা কোল পালমার ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। মাঠে নামার চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রকেট গতির শটে জাল কাঁপান তিনি। ৭৩ মিনিটে সাকা ডানপাশ দিয়ে বক্সের মধ্যে বল বাড়ান। বেলিংহ্যাম বক্সের বাইরে ফাঁকা জায়গায় থাকা পালমারকে বল পাঠান। বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের জোরালো নিচু শট নেন, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বল আটকাতে পারেননি সিমন। আরেকবার সুপার সাব এসে বাঁচিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় দলটি।

গোল হজম করে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। ৮২ মিনিটে উইলিয়ামস বল নিয়ে সামনে আগান। ওলমোকে দিয়ে বল বানিয়ে দেন ইয়ামালকে। ১৭ বছর বয়সী উইঙ্গারের শট দুই হাত দিয়ে রুখে দেন পিকফোর্ড।

খেলা শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠে স্পেন। কুকুরেল্লার সঙ্গে ওয়ান টু পাসে বল পেয়ে গোলমুখের সামনে থেকে জাল কাঁপান ওয়ারজাবাল। সুপার সাবে এবার স্পেন ঘুরে দাঁড়ায়।

৯০ মিনিটেই গোল শোধ দিতে বসেছিল ইংল্যান্ড। পালমারের কর্নার বক্সের মধ্যে খুঁজে পায় রাইসকে, গোলমুখে নেওয়া তার শক্তিশালী হেড ফিরিয়ে দেন সিমন। খুব কাছ থেকে ফিরতি হেড করেন গুয়েহি। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় ছিলেন ওলমো। গোললাইন থেকে হেড করে বল ক্লিয়ার করে স্পেনকে বাঁচান তিনি।

যোগ করা চার মিনিটে আর ভাগ্য পাল্টাতে পারেনি ইংল্যান্ড। গতবার ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারের পর আরেকবার ফাইনালে আক্ষেপে পুড়তে হলো তাদেরকে।

১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়ন হলো স্পেন। জার্মানিকে ছাপিয়ে এখন তারাই ইউরোপের সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী। এছাড়া প্রথম ইউরোপিয়ান দল হিসেবে বিশ্বকাপ কিংবা ইউরোতে সাত ম্যাচের সবগুলো জিতলো লা রোহারা, তবে সব মিলিয়ে দ্বিতীয়বার এমন কীর্তি গড়লো কেউ। ২০০২ সালে ব্রাজিল এমন রেকর্ড গড়েছিল। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন স্পেনের ম্যানসিটি তারকা রদ্রি। আর চার অ্যাসিস্ট ও এক গোলে ইয়াং প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন ইয়ামাল।

Header Ad

টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক

ছবি: সংগৃহীত

কোনো রকম দরপত্র আহ্বান না করেই ২০২১ সালে জাতীয় ডাটা সেন্টারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার বিনিময়ে ক্লাউড সেবার দায়িত্ব দিয়েছিল সরকার।অভিযোগ উঠেছে, এতে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপ করে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন।

দৈনিক একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০৭ কোটি টাকার বিনিময়ে তিন বছর ক্লাউড সেবা দেওয়ার কথা ওরাকলের। তবে রহস্যজনক কারণে চুক্তি স্বাক্ষরের আড়াই বছর পর ক্লাউড সেবা চালু করে ওরাকল।

ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন পলক। তারচেয়ে প্রভাবশালী একটি পক্ষও সেই টাকার ভাগ পেয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়ার পরিকল্পনাকারী ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) তৎকালীন পরিচালক তারিক এম বরকতউল্লাহ। পলকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইকরামুল হক এই লেনদেনের সহযোগী ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালের দিকে সরকারি সংস্থাগুলোর উপাত্ত সংরক্ষণে সরকারের একটি কেন্দ্রীয় ক্লাউড সেবা ব্যবস্থার প্রয়োজন দেখা দেয়। এর আগে সংস্থাগুলো নিজেদের মতো অর্থ খরচ করে ক্লাউড সেবা নিত। সেই সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে ক্লাউড ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা নেয়। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ক্লাউড ব্যবস্থা তৈরি করে সরকারি সংস্থাগুলোকে ভাড়ায় দিয়ে অর্থ উপার্জন এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়। এমন একটি ক্লাউড সেবার প্রস্তাব সে সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীন জাতীয় ডাটা সেন্টারকে (এনডিসি) দেয় ওরাকল। তবে বিসিসির তৎকালীন পরিচালক তারিক এম বরকতউল্লাহ সেই প্রস্তাব ঘুরিয়ে দেন বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) দিকে।

সূত্র বলছে, পলককে প্রভাবিত করে ডাটা সেন্টারে ওরাকলের ক্লাউড ব্যবস্থা স্থাপনের মূল ‘মাস্টারমাইন্ড’ এই তারিক বরকতউল্লাহ। প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির সদস্যরা এই ক্লাউড সেবার বিরুদ্ধে মত দিয়েছিলেন। শুধু তারিক বরকতউল্লাহ ওই কমিটির প্রতিবেদনে এককভাবে ভেটো দেন।

পরবর্তী সময়ে পলকের সরাসরি হস্তক্ষেপে ওরাকলের সঙ্গে বিডিসিসিএল ‘ডেডিকেটেড রিজিওনাল ক্লাউড’ স্থাপনে চুক্তিবদ্ধ হয়। এই ক্লাউড থেকে তিন বছরের সেবা নিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে যথাক্রমে ৩০, ৬০ এবং ৯০ লাখ ডলার পরিশোধ করার কথা বিডিসিসিএলের। বিদ্যুৎ খাতের কুইক রেন্টালের সঙ্গে তুলনা করলে ওরাকলের সঙ্গে বিডিসিসিএলের এই অসম চুক্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

অনুসন্ধান বলছে, কোনোরকম প্রতিযোগিতামূলক অথবা আন্তর্জাতিক টেন্ডার ছাড়াই ‘ডিরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড (ডিপিএম)’-এ ওরাকলকে কাজটি দিয়েছেন পলক। তবে ৪৯ কোটি টাকা মূল্যের বেশি দরপত্র একনেকে পাস করিয়ে নেওয়ার নিয়মও ওরাকলের ক্ষেত্রে কৌশলে এড়িয়েছেন পলক। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিডিসিসিএলের সরাসরি ক্রয়ক্ষমতার সুযোগ নিয়েছেন তিনি। এজন্যই এনডিসির বদলে বিডিসিসিএলের মাধ্যমে ক্লাউড স্থাপনের পক্ষপাতী ছিলেন তারিক বরকতউল্লাহ। তবুও বিডিসিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের অন্তত তিন সদস্য এই প্রস্তাবের মৌখিক বিরোধিতা করেছিলেন বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

একটি সূত্রের ভাষ্য, ক্লাউড হয়তো প্রয়োজন ছিল; কিন্তু এমন সেবা দেয় সেরকম আরও প্রতিষ্ঠান ছিল। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা যেত।

সেই সময়কার পর্ষদের আরেক সদস্য বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলক বোর্ডসভায় উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করছিলেন যে, ওরাকলের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে দেরি হচ্ছিল কেন। কয়েকজন মৌখিকভাবে ওরাকল ক্লাউডের বিরোধিতা করি। সবশেষে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ওরাকলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করে বিডিসিসিএল। চুক্তি স্বাক্ষরকালে অন্যদের মধ্যে তারিক বরকতউল্লাহও ছিলেন। অবশ্য গত মে মাসে অর্থাৎ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় আড়াই বছর পর এই ক্লাউড চালু করে ওরাকল। গত ৬ মে সালমান এফ রহমানের উপস্থিতিতে পাঁচতারকা হোটেলে বেশ জাঁকজমকভাবে এর উদ্বোধন হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর আর কার্যক্রম শুরুর মাঝের সময় নিয়ে পাওয়া যায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। চুক্তির পর থেকেই ওরাকলের সিঙ্গাপুর ক্লাউডে উপাত্ত সংরক্ষণ শুরু করে বিডিসিসিএল। এক বছরের সেবার জন্য ওরাকলকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এই লেনদেনের ৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার (ডলারের দাম ১১৫ টাকা হিসেবে) একটি অর্ডার ডকুমেন্ট রয়েছে কালবেলার কাছে।

সেখানে দেখা যায়, ভিন্ন কোনো টেন্ডার বা চুক্তি না করে, পূর্বের চুক্তি মূলেই ওরাকল সিঙ্গাপুর থেকে সেবা নেওয়ার নামে ওই অর্থ পরিশোধ করা হয়। উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, পলক যখন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল ডাটা সিঙ্গাপুরে রাখছিলেন, তখনই ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২’ নামে একটি আইনের খসড়াও করছিল তার অধীন আইসিটি বিভাগ। সেই খসড়ার অন্যতম বিষয় ছিল বাংলাদেশের ডিজিটাল উপাত্ত বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেই সংরক্ষণ করা। অর্থাৎ একদিকে তথ্য স্থানীয়করণের আইন তৈরি আর অন্যদিকে নিজেই তথ্য দেশের বাইরে পাঠাচ্ছিলেন পলক।

এসব কর্মকাণ্ডের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ওরাকলের বাংলাদেশে ক্লাউড স্থাপন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সিঙ্গাপুর থেকে উপাত্ত দেশে ফিরিয়ে আনলেই উপাত্ত সুরক্ষা আইন পাস করতেন তিনি। তবে ওরাকলের যন্ত্রাংশ আমদানিবিষয়ক জটিলতায় বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়।

এই যন্ত্র আমদানিতেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন পলক। ওরাকলের ক্লাউড বসবে গাজীপুরের হাইটেক পার্কে অবস্থিত বিডিসিসিএল ডাটা সেন্টারে। নিয়ম অনুযায়ী, হাইটেক পার্কের বিনিয়োগকারীরা বিনাশুল্কে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারে। পলকের পরামর্শে ওরাকল কাস্টমসকে ফাঁকি দিয়ে বিনাশুল্কে ক্লাউড যন্ত্রাংশ খালাসের চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি ধরা পড়ায় কাস্টমস যন্ত্রাংশগুলোর খালাস আটকে দেয়। এ ঘটনার কারণেই রাজস্ব বোর্ডের তখনকার চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় পলকের।

পরে মোটা অঙ্কের রাজস্ব দিয়েই যন্ত্রাংশ খালাস করে ওরাকল। এজন্য পলক নিজের কমিশনে কিছুটা ছাড় দিয়েছিলেন বলেও বিডিসিসিএলে প্রচলিত রয়েছে। আর পলকের পক্ষে এসব লেনদেন দেখভাল করতেন তার এক সময়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইকরামুল হক। বিশ্বস্ততার পুরস্কারস্বরূপ, ১৬ হাজার টাকার বেতন স্কেলের ইকরামকে সরাসরি ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলে বিডিসিসিএলের ব্যবস্থাপক (লজিস্টিকস) পদে বসান পলক। উদ্দেশ্য ছিল আস্থাভাজন ইকরামের মাধ্যমে বিডিসিসিএল আর ওরাকলের মধ্যকার লেনদেন থেকে শেয়ার বুঝে নিতে নিজের লোককে বসানো।

এ বিষয়ে ওরাকলের বক্তব্য জানতে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রুবাবা দৌলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি জনসংযোগ শাখার সংশ্লিষ্টদের মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা পাঠাবেন বললেও পরে আর সাড়া দেননি।

সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি

ছবি: সংগৃহীত

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের পথে নাফ নদীর নাইক্ষ্যদীয়া মোহনার ঘোলার চরে ফের যাত্রীবাহী ট্রলারে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। ট্রলারটির মালিক আব্দুর রশিদ বলে জানা গেছে।

ওই ট্রলারের থাকা যাত্রী নাছির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সকালে ‘সেন্টমার্টিন থেকে অসুস্থ মাকে নিয়ে টেকনাফ আসছিলাম। মাঝপথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলার চরের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ মিয়ানমার থেকে গুলি গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৫০-৬০ যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, ‘ট্রলারে গুলি করার বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে’।

তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নাকি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, এর আগেও মিয়ানমারের দিকে থেকে দফায় দফায় টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী নৌযানে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ফলে অনেক দিন এই রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩৪ জন

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ জনে। এ সময় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ৫৩৪ জন। এতে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮১৯ জনে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ১৯৯ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৯০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৩ জন, খুলনায় ৫৯ জন, ময়মনসিংহে ১৭ জন ও বরিশালে ৩৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৬ হাজার ৮১৯ জন। যাদের মধ্যে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

১ জানুয়ারি থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃত ১০২ জনের মধ্যে ৫২ শতাংশ নারী এবং ৪৮ শতাংশ পুরুষ।

সর্বশেষ সংবাদ

টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক
সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩৪ জন
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস
৩ বছরে ৫৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিতাসের সাবেক এমডি হারুন!
চট্টগ্রামে নতুন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম
সালমান এফ রহমান ও এস আলমের শেয়ার কারসাজি তদন্তে কমিটি গঠন
আইডিয়ালের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন গৌতম আদানি
ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা
জেনে নিন ফেসবুক পোস্টের রিচ কমার কারণ ও তা বাড়ানোর কৌশল
মণিপুরে কারফিউ জারি, ৫ দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ
২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের: রিজভী
শিবলী রুবাইয়াত ও তার সহযোগী ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে গণঅভ্যুত্থানের দ্বারপ্রান্তে মণিপুর
৩২,৬৬৬ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, নামাজের সময় বন্ধ থাকবে বাদ্যযন্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্গাপূজায় স্বেচ্ছাসেবক হতে চায় মাদ্রাসা ছাত্ররা: ধর্ম উপদেষ্টা
সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে জামায়াত
মণিপুর নিয়ে মোদির উদাসীনতা ক্ষমার অযোগ্য: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী