শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিজনিল্যান্ডে ২, ৯, ৯৫ দিন টানা বেড়িয়ে জেফ রেইটজের বিশ্বরেকর্ড

ডিজনিল্যান্ডে বেড়াতে আসা অনেকেই আছেন ও তাদের সবার ওপরে আছেন জেফ রেইটজ। ৫০ বছরের এই মানুষটি ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। একটানা ২ হাজার ৯শ ৯৫টি দিন বেড়িয়েছেন বিশ্বখ্যাত এই ভুবনে। এসেছেন ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত। একটি দিনও বাদ দেননি। ফলে থিমপার্কটিতে সবচেয়ে বেশিদিন ভ্রমণের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন রেইটজই।

এক দশক আগে রেইটজের অভিযানের শুরু হয়েছে। তখন কেবল চাকরি হারিয়েছেন মানুষটি। ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে তার হাতে অনেকটা সময় কর্মহীন এসে গেল। একদিনের সফরের পর আরেকটি দিন বেড়াতে এলেন। এভাবে ডিজনিল্যান্ডে বেড়াতে ভালো লাগা বাড়তে লাগলো তার। ফলে হাজার দিনে পৌঁছে গেলেন তিনি এবং ডিজনিল্যান্ডের জন্য তার খোলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজার, হাজার অনুসরণকারী হয়ে গেল। ২০১২ সালটি তার জীবনে আরো একটি অনন্য দিন এ কারণে যে, বছরটি ছিল একটি লিপ ইয়ার। এর মধ্যে তিনি ডিজনিল্যান্ডের বার্ষিক পাস নিয়েছেন। ২০২০ সালের শুরুর দিকের মহামারির সময়ে তার এই অবিশ্বাস্য সফর থেমে যেত। তবে এর মধ্যেই তিনি ইতিহাস গড়ে ফেললেন। টানা আটটি বছর প্রতিটি দিন ডিজনিল্যান্ড বেড়ালেন তিনি। এর ফলে রেইটজ হয়ে গেলেন একজন বড় তারকা। গিনেজের গবেষকরা তার কাজ নিয়ে গবেষণা করলেন ও একটি নতুন বিশ্বরেকর্ডের মালিক হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন।
এর ফলে ডিজনিল্যান্ডের সঙ্গে একটি ইতিহাস তৈরি হয়ে গেল তার এবং ডিজনিল্যান্ডেরও। তিনি একটি ইতিহাসের মালিক হয়ে গেলেন ও ডিজনিল্যান্ডকে একটি ইতিহাস গড়ে দিলেন। যখন তিনি এই শিশুদের বিশ্বসেরা বিনোদন পার্কে বেড়াতে গেলেন বুড়ো এই পার্কটি তার একটি বন্ধু হয়ে গেল। বলেছেন তিনি, ‘আমি ক্যালিফোনিয়া অঙ্গরাজ্যের হান্টিংটন বিচ শহরে বড় হয়েছি এবং এখানের অরিগন কাউন্টির আনাহাইম শহরের ডিজনিল্যান্ডের সঙ্গে আমার ছেলেবেলা থেকেই সম্পর্ক আছে। কেননা, আমার বাবা-মা ও ভাই, বোনেরা বছরে কয়েকবার ডিজনিল্যান্ডে বেড়াতে আসতে অভ্যস্থ ছিলেন।’ আরো বলেছেন, ‘এটি একটি বেড়ানোর খুব সুন্দর জায়গা ও মানুষের সঙ্গে আলাপের জন্য অবিশ্বাস্য সুন্দর স্থান। আর আমার এখন মনে হয় সত্যিই ডিজনিল্যান্ড বেঁচে আছে। আমি এখানে অনেককিছু বদলে যেতেও দেখেছি। এছাড়াও ডিজনির মানের তুলনায় খরচ সত্যিই খুব কম।’
তবে যখন চাকরি পেয়ে গেলেন তখনো তিনি ডিজনিল্যান্ডে বেড়ানোর অভ্যাস থামালেন না। চাকরি থেকে বেরিয়ে পার্কে বেড়িয়ে তিনি বাড়িতে ফিরতেন। ‘এই কাজটি আমি মজা পেয়ে করতাম। তবে পার্কে বেড়ানোর সময় ভিন্ন, ভিন্ন জায়গাতে বেড়ানোর চেষ্টা করতাম। আমার পার্কে এখানে, সেখানেও বেড়ানো হতো। একটি কাজই কেবল নিয়মিত করেছি। সেটি হলো আমার সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে প্রতিদিন পোস্ট করেছি। আর প্রতিদিন পার্কের যেকোনো একটি আলাদা ছবি পোস্ট করার চেষ্টা করতাম’ বলেছেন তিনি।
তবে বলেছেন ২০১২ সালে যখন তিনি ইনস্ট্রাগ্রামে পোস্ট করা শুরু করলেন, তখন আজকের মতো বিশালাকায় অবস্থানে এসে পৌঁছেনি এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। আর স্মার্টফোনগুলোও আজকের মতো উন্নত ছিল না। প্রথম কয়েকটি বছর তিনি তার বø্যাক বেরি বোল্ড ৯৭০০ দিয়ে ছবি তুলতেন ও সেই ডিজনিল্যান্ডের ছবিগুলো ইনস্ট্রাগ্রামে পোস্ট করতেন।
ডিজনিল্যান্ডে রেইটজের প্রিয় জায়গাটি হলো ম্যাটারহর্ন ববসেল্ডস। একজোড়া স্টিলের রোলার কোস্টার। এই যমজ কোস্টারটি অ্যালপাইনের তৃণভূমির আদলে তৈরি জায়গাতে বানানো। কেন প্রিয় এই প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যখন ছোট ছিলাম তখন থেকে এর প্রতি আমার আকর্ষণ।’
২০১৯ সালে “স্টার ওয়ারস : গ্যালাক্সি’স এজ” নামের একটি কমপ্লেক্স, যেটি ডিজনিল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণ, সেখানে কয়েকটি ভিন্ন, ভিন্ন ধরনের রাইড আছে। আরো আগ্রহের নানা বিষয় আছে। যেকোনো ডিজনিল্যান্ডপ্রেমী জানেন যে, এখানকার আকর্ষণটি কেবল আকর্ষণ নয়, একটি আসলে একটি অভিজ্ঞতা অর্জন। এখানে কোনো রাইডে না চড়েই একটি দিন কাটিয়ে দিতে পারবেন এবং যেকোনো মানুষই পরিবেশটি উপভোগ করবেন। তার ভালো লাগতো কী, কীÑ‘এখানে একটি জাহাজ ঘাট আছে এবং বেড়াতে এলে আমি এখানে বসে বিশ্রাম নিতাম। আমার বসে থাকতে ভালো লাগতো। কখনো, কখনো আমি চলে যেতাম গ্যালাক্সি’স এজে এবং পর্দার পেছনের শব্দগুলো বসে, বসে শুনতাম। সেখানকার সঙ্গীত আমাকে খুব আগ্রহী করতো। আবার কখনো অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ডে উঠে পড়তাম। সেই গাছের বাড়িতে ঢুকে চারপাশের একটি সুন্দর দৃশ্য দেখতাম।’
তবে সমস্যা হলো এই, ডিজনিল্যান্ডে খাবারের দাম কম নয়। সহজও নয়। ফলে রেইটজকে পার্কের ‘টুমরোল্যান্ড’ বিভাগ থেকে পিৎজা পোর্ট রেস্তোরাঁ থেকে পেস্তা কিনে আসতে হতো ও নিয়ে ঢুকে পড়তেন তিনি পার্কে। এই মানুষটিকে উত্তেজনাপূর্ণ রাইডগুলো টানতো। তিনি বলেছেন, ‘কেবল এই জায়গাটি নিজে নয়, এখানে যারা কাজ করেন তারাও জাদুটি তৈরি করেন।’
বছরের পর বছর কেটে গেল ও তিনি ডিজনিল্যান্ডের একজন নিয়মিত মানুষে পরিণত হলেন। তিনি গল্পগুলো সংগ্রহ করতে লাগলেন ও ডিজনিল্যান্ডের পার্কগুলোর কর্মীদের কাছ থেকে নানা গোপন বিষয় জানতে শুরু করলেন। যেহেতু তাদের বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। তাকেও তারা নিজেদের একজন হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসলেন। জেফ রেইটজ বিশ্বরেকর্ড গড়ার দিন ডিজনিল্যান্ডের জন্য ছিল আনন্দের।
ডিজনির নিজস্ব কর্মী ড্যানি ডেকানার সঙ্গে একটি সেফলি তুলেছেন স্টার ওয়ারস : গ্যালাক্সি’স এজে। পার্কের একজন সেট পেইন্টার কর্মী তাকে তাদের বিখ্যাত লিটল ইস্টারের ডিমগুলোর বিষয়ে বলেছেন যে, ‘শিল্পীরা এগুলো নিয়ে আসলে মজা করতে চেয়েছিলেন। যেমনভাবে তারা তৈরি করেছেন ফ্রোন্টায়ারল্যান্ডের গোস্ট টাউনের কেটি বিন নিয়ে।’
২০১৩ সালে তিনি আবার যখন দেখলেন পার্কের পাশের একটি বড় গাছ আর নেই, তখন একজন কর্মী তাকে এর একটি বা দুটি গল্প শোনাবেন জানালেন। রেইটজ বলেছেন, “তিনি আমাকে বলেছেন যে, ‘আসল এই গাছটি খুব বুড়ো হয়ে গিয়েছিল। একেবারেই অসুস্থ গাছটিকে কেটে ফেলতে হয়েছিল। আর ওয়াল্ট ডিজনি যখন এই পার্কটি শুরু করলেন তখন এমন কিছু গাছ তিনিই রোপন করেছিলেন। বাকিগুলো অন্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে আলো হয়ে আছে’।”


ওএসএফ/ ডিএসএস

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত