কৃষি

ইউটিউব দেখে ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ, প্রথমবারেই কাওসারের বাজিমাত


প্রতিনিধি, বরগুনা
প্রকাশ :০৯ মে ২০২৩, ০৬:৫৮ এএম

ইউটিউব দেখে ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ, প্রথমবারেই কাওসারের বাজিমাত

ইউটিউব দেখে ঔষধি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্ল্যাক ‘ব্ল্যাক রাইস’ করে বাজিমাত করলেন বরগুনার আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কাওসার হাওলাদার। প্রথমবার চাষেই তার সাড়া ফেলে দেওয়া সাফল্য দেখে অনেকেই এ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালো চালের ধানের চাষ হলেও এ উপজেলায় এটাই প্রথম।

সংশ্লিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ব্ল্যাক রাইস ধান গাছ প্রথমে সবুজ থাকলেও পাকার সঙ্গে সঙ্গে কালো হতে শুরু করে। এ চাল দামি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। কালো ধানের চালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক এ ধানের চাল।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কাওসার জানান, তিনি ব্ল্যাক রাইসের পাশাপাশি বাসমতি, বঙ্গবন্ধু ১০০, জিয়া ৮৬, ভিয়েতনাম চায়না, ফাতেমা, পারপেল রাইসসহ মোট ৭ জাতের ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে কোনো জাতের চাল অনেক বেশি কালো, কোনোটি লাল, আবার কোনোটি লালচে লাল রঙের।

তিনি বলেন, ইউটিউবে প্রথম এ ধানের চাষাবাদের বিষয়ে দেখি ও বিস্তারিত জানি। পরে অনলাইনে সিলেট থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩ কেজি ব্ল্যাক রাইস বীজ সংগ্রহ করি। ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই ধান আবাদে। অনেক কৃষকের কাছ থেকেই প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। এরই মধ্যে ধান বীজ হিসেবে নেওয়ার জন্য কয়েকজন অর্ডার করে রেখেছেন। আমি স্বল্পমূল্যে এ বীজ দেশব্যাপী কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ব্ল্যাক রাইসকে স্বাভাবিক ধানের মতোই পরিচর্যা করতে হয়। অতিরিক্ত কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন না হলেও অন্য ধানের তুলনায় অধিক লাভবান হওয়া যাবে। যদি সরকারিভাবে সুযোগ সুবিধা পাই তাহলে আগামীতে ব্যাপকভাবে চাষ করব।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, ব্ল্যাক রাইস উচ্চ মূল্যের একটি ধানের জাত। এ উপজেলায় এ ধানের চাষ প্রথম। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস ধানের দামও বেশি। কৃষকরা এ ধান চাষ করলে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।

এসজি

কৃষি নিয়ে আরও পড়ুন