মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি

আমাদের সাধারণ মানুষ এখন মূল্যস্ফীতির চাপে আছে। এ রকম একটি সময়ে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ, এটি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই টাকাটা অর্থনীতিতে সার্কুলেট হতো। অনেকেই ঋণখেলাপি হয়েছে। দেশের টাকা বাইরে নিয়ে গিয়েছে। অনেকে ফেরত দিচ্ছে না। এই টাকা অর্থনীতিতে আসলে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ হতে পারত। এই ঋণখেলাপির টাকা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এবং ব্যাংকের উপরে বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে কারণে ব্যাংকের ‘কসট অব ফান্ড’ বেড়ে যাচ্ছে। এটির কারণে কিছু টাকা আলাদা রেখে দিতে হচ্ছে যেটি তারা লোন দিতে পারে না।

আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ। তবে এটাও ঠিক যে খেলাপি ঋণ আমাদের দেশের একার সমস্যা নয়। এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। বিশ্বের সব দেশেই খেলাপি ঋণ আছে। কোথাও বেশি, আবার কোথাও কম। মাত্র কিছুদিন আগে ভারতের ব্যাংকিং খাতে যে খেলাপি ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়েছে তা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যথেষ্ট শক্তিশালী এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তদারকি করার ক্ষেত্রে তাদের রয়েছে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা। তাই সেখানে উচ্চ হারের খেলাপি ঋণ মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না। ইউরোপের গ্রিস ও ইতালিতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও তাদের ব্যাংকিং খাত এখনো খেলাপি ঋণ সমস্যা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বিশ্বের অনেক ব্যাংকই এখন আর এই দুটি দেশের ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করতে আগ্রহ দেখায় না শুধু সেসব দেশের ব্যাংকের মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণে। বাংলাদেশও এই সমস্যায় জর্জরিত।

মূল্যস্ফীতির চাপে বিশেষ করে যারা স্থির আয়ের মানুষ আছে,তাদের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। কেবলমাত্র স্বল্প আয়ের মানুষ না, মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার উপরেও চাপ পড়েছে। বিভিন্ন পেশার কম আয়ের মানুষ যাদেরকে স্যোশাল সেফটির আন্ডারে নিয়ে স্বল্প মুল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে যেটি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এগুলো আমাদের শক্তিশালী করতে হবে।

সেজন্য আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের গভর্নেন্স ইম্প্রুভ করতে হবে। অনেকদিন থেকে আমরা ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্ম কমিশন করে তাদের পরামর্শগুলো নেওয়ার জন্য আমরা সুপারিশ করছি। সেগুলোও করতে হবে গভর্নেন্স ইমপ্রুভ করার জন্য। স্বল্প আয়ের মানুষগুলির জন্য যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া হচ্ছে, সেখানে তার ব্যাপ্তি ও প্রাপ্তি দুটিই বৃদ্ধি করতে হবে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য।

আমাদের দেশে অনেক আইন আছে। কিন্তু আইন থাকলেই শুধু হবে না। তার প্রয়োগ হল ইম্পোর্টেন্ট। আইন প্রয়োগ করা নজরদারি খবরদারি বাড়ানো, আইনের প্রয়োগ শক্তিশালী করা, প্রাতিষ্ঠানিক যেসকল সংস্থা যেগুলি এসবের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। এসব বিষয়ে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, দূর্নীতির প্রতি শূন্য সহিষ্ণুতা ইত্যাদি। এগুলো এখন কার্যকর করতে হবে। সেটি করলে যেগুলো ব্যত্যয় হচ্ছে, সেসব দূর হবে। তবে আইন প্রয়োগ আরও শক্তিশালী হতে হবে। কারণ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দূর্বলতা আমরা দেশি।

লেখক: অধ্যাপক এবং সম্মানীয় ফেলো (সিপিডি)

Header Ad

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ৭ মাস ধরে নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি। এরই মধ্যে এবার রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগামী মে মাস শেষ হওয়ার আগেই জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। খবর আল আরাবিয়া।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলন।

ইইউ প্রতিনিধি হিসেবে সেই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বরেল। সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে।

গত মার্চ মাসেই এই তিনটি দেশ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করছে তারা।

এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে ‘সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার ঘোষণা’র শামিল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের উপর প্রতিশোধস্বরূপ ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। হামাস নির্মূলের নামে টানা সাড়ে ছয় মাস ধরে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচার হামলা ও অভিযান চালাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্রের সেনারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯৭ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৯৮০ জন।

সম্পত্তি ভাগাভাগির জেরে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ছেলে-বাবার বিবাদের সূত্রপাত। এক পর্যায়ে বাবার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে বেধড়ক মারতে থাকেন তার ছেলে। নির্মম মারধরে প্রাণ যায় ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর পেরামবালুর!

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির নাম কুলন্ধাইভেলু। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানির মালিক। ছেলে সন্তোষের নির্মম মারধরের শিকার হওয়ার কয়েক দিন পর গত ১৮ এপ্রিল তিনি মারা যান। ঘটনার পর, এই মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে।

এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় প্রথমে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্যুর পর আবার সন্তোষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ইসির নির্দেশ

ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নারী ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ টহলের নির্দেশনাও দিয়েছে ইসি।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনা জানানো হয়, সব প্রকার ভোটারদের বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে যেন সব শ্রেণির ভোটার আগে থেকেই নিশ্চিত হতে পারেন তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।

ইসি আরও জানায়, এই লক্ষ্য ভোটদানের জন্য ভোটারগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সে উদ্দেশ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ দল নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রসমূহে বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

সারা দেশের মোট ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চারটি ধাপে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অবশিষ্ট ১৯টি উপজেলা পরিষদের মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে।

প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
সম্পত্তি ভাগাভাগির জেরে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু
নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ইসির নির্দেশ
‘দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায়না’
মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি
নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ