মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পার্থর দুর্নীতি ও শিক্ষা খাতের বেহাল দশা

ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো স্লোগান তুলেছে-চোর ধর, জেল ভরো। এই স্লোগানে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ বাতাস মুখরিত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাহাড়সম দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা ভারতে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে বেআইনি কার্যকলাপ চালাতে গিয়ে একজন শিক্ষামন্ত্রী কতটা নিচে নামতে পারেন তা নিয়ে নিরলস চলছে জলসা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার সঙ্গীনিকে গ্রেপ্তার করে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এনাফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই তদন্তে রোজ উঠে আসছে একের পর এক নতুন নতুন কেলেঙ্কারির কথা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি সেই কেলেঙ্কারির অক্টোপাস হন, তাহলে তার শুড় পৌঁছেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও।

সরকারি শিক্ষা বাবস্থার বরোটা তো তিনি নিজের দায়িত্বে বাজিয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও তিনি কোটি কোটি টাকার কাটমানি খেয়েছেন। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। এসএসসি নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধোই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যে দুর্নীতির পাহাড়ে বসেছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত ইডির গোয়েন্দারা ।' ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, এ ক্ষেত্রেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

২০১৪ থেকে ২০২১-একটানা সাত বছর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সময়কালে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই অনুমোদনের জন্য কোটি কোটি টাকার হাতবদল হয়েছে বলে ইডি খবর পেয়েছে। এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। তারা জানিয়েছেন, এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাবিকাঠি হলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন মেজর। তিন প্রায়ই কলকাতায় আসেন এবং বাংলাদেশ থেকে পড়ুয়াদের এপারের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রাক্তন আমলে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালুর ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুযায়ী যথেষ্ট পরিকাঠামো ছিল না। কিন্তু কাগজ-কলমে তা দেখিয়ে দেওয়া হয় কোটি কোটি টাকার । এমনকি কোর্স চালুর ক্ষেত্রেও কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে ইডির দাবি। এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন ইডির ব্যানারে।

এখানেই শেষ নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বছরের বিভিন্ন সময় প্রশ্নপত্র, মার্কশিট মিট কার্ড, বুলেট, ম্যাগাজিন, ইত্যাদি ছাপতে হয়। সাধারণত সরকারি প্রেস থেকে এগুলো ছাপা হত। কিন্তু করোনাকালে এই বিপুল সামগ্রী ছাপার বরাত পায় একাধিক বেসরকারি প্রেস। এখানেও কমিশনের বিনিময়ে

টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নথি সামনে এসেছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ কোটি টাকার একটি নথিও হাতে পেয়েছে ইডি। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ আধিকারিক ও লোকজনের নাম উঠে আসছে। কমিশনের নিয়মে অভিযান করে। তার ঘি অপি মুখোখোপাধ্যারের বাড়িতে টাকার পাহাড়ের খোঁজে । আপাতত দু'জনেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন প্রশ্ন, এই দুর্নীতির শিকড় ঠিক কতটা গভীরে? কীভাবে হয়েছে এই গোটা দুর্নীতি? অঙ্কটা ঠিক কত এবং দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই কীভাবে তা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে এবং হিমশৈলের চুড়ার খোঁজে অন্তর্তদাস্তে উঠে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারা নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুীতির অভিযোগ উঠে। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডিতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মূলত ওয়েটিং লিস্ট নিয়েই অভিযোগ ঘণীভূত হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ। ওয়েটিং লিস্টে আগে নাম থাকা ব্যক্তি চাকরি পাননি। বরং পেছনের দিক থেকে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।

এমনকি বাইরে থেকেও নাকি চাকরি হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে চাকরি প্রার্থীরা তথ্য-প্রমাণও জমা দেন। ১৯ হাজার থেকে ১২ হাজার পদে বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে। বঞ্চিতদের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত করতে জরুরি ভিন্তিতে অতিরিক্ত পদ গঠন করা হয়। যে পদগুলোর নাম দেওয়া হয় ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’।

কী এই ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’?

স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, কেবলমাত্র বঞ্চিতদের নিয়োগের জনাই এই বিশেষ পদটি তৈরি হবে। ওই চাকরি প্রার্থীরা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অতিরিক্ত ওই পদে আর কোনোদিন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কত অতিরিক্ত পদ? নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ১৯৩২ অতিরিক্ত পদ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ২৮৭ অতিরিক্ত পদ, গ্রুপ সি’র নিয়োগে ১১০২ অতিরিক্ত পদ, গ্রুপ ডি’র নিয়োগে ১৯৮০ অতিরিক্ত পদ।

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতি জেলা থেকে টাকা তোলা হয়। প্রচুর অযোগ্য ব্যাক্তি চাকরি পেয়েছেন। প্রাথীপিছু ১০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যস্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়েও অনেকে চাকরি পাননি। তব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় রোজই বলে চলেছেন, তিনি কিছুই জানতেন না। সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক বিদ্রুপাত্মক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিনি যখন কিছুই জানতেন না, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে কী করছিলেন?

তিনি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা জানতেন না। তিনি নন্দী গ্রামে শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়া মাত্র তিনি সব বুঝতে পেরেছিলেন।

রাজীব ব্যানার্জীর দপ্তরের গরমিল প্রসঙ্গেও তিনি কিছু জানতেন না. রাজীব বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবধি। তারপর রাভীব ফিরে এলেন, মমতাও এখন আবার কিছুই জানেন না। অর্জুন সিং যে গুণ্ডা তাও তিনি অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবধি জানতেন না। যেই অর্জুন বিজেপিতে গেলেন, মমতা সমস্ত শুণ্ডামি আর অন্যায়গুলো জেনে ফেললেন। এখন আবার অর্জুন তৃণমূলে চলে আদার গর উনি আর কিছুই জানেন না। ভাদু শেখের দুর্নীতি নিয়েও মমতা কিছুই জানতেন না। দশটা লোক পুড়ে মরে যাওয়ার পরে জানতে পারলেন। টেট কেলেঙ্কারির কথাও মমতা জানতেন না, এদিকে ওরই পুলিশ প্রতিবাদীদের মেরে ঠাণ্ডা করে দিতে চেয়েছিল । মইদুল মিদ্দা মারা যায় সেই ঘটনায়। মমতারই মন্ত্রিসভার সদসা পরেশ অধিকারীর মেয়ে বিনা ইন্টারভিউতেই চাকরি পেয়ে যায়। এসএসসি কেলেঙ্কারির কথাও মমতা জানতেন না। ৫০০ দিন ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের পরেও । এখানেও মমতারই পুলিশ বহুবার আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলা করেছে। মমতা জানতেন না।

চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে কুণাল ঘোষের জড়িত থাকা সম্পর্কেও মমতা কিছুই জানতেন না। না জেনেই কুণালের জন্যে মিছিল টিছিল করে ফেলেছিলেন। তারপর কুণালের দুর্নীতির কথা জানতে পেরে সাসপেন্ড করলেন। আবার কুণালকে ফিরিয়ে এনে মুখপাত্র আর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করে দিলেন। এখন আবার মমতা কিছুই জানেন না কুণাল সম্পর্কে।

পার্থ চ্যাটাজীর ঘটনা সামনে আসার পর তিনি বলছেন যে উনি এসবের কিছুই জানতেন না। অথচ পার্থ তৃণমূলের জন্ম থেকে মমতার সঙ্গে রয়েছেন, দলের মহাসচিব-রাষ্ট্রসংঘ ছাড়া যে পদ আর কারও নেই।

রাজোর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া শিক্ষা দফতরের নানা নথি এবং দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ইডি সূত্রের দাবি, শিক্ষায় সরকারি নিয়োগে দুর্নীতির শুরুটা অস্ত ১০ বছর আগে। ২০১২-র প্রাথমিক টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) থেকেই ওই দুর্নীতির শুরু বলে দাবি তদন্তকারী একটি সৃত্রের। সূত্রের আরও দাবি, চাকরি বিক্রির জন্য অতিরিক্ত পদও না কি সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে তাদের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

তদন্তকারীদের দাবি, ২০১২-তে প্রাথমিক. টেট হয়েছিল। পরবর্তী কালে ২০১৪-র টেট ২০১৫-তে হয় এবং ২০১৭-র পরীক্ষা ২০২১-এ হয়। ২০১৪-র উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষাও সময় অনুযায়ী হয়নি এবং ওই পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি), প্রাথমিক টেট এবং উচ্চ প্রাথমিকের সব নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ধোঁয়াশায় ভরা। ইডি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে পার্থ নাকি জানিয়েছেন, ২০১২-ত তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। তাই ওই বিষয়ে তার জানা নেই।

তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, তদন্ত যত এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও 'প্রভাবশালীর নাম উঠে আসছে। রাজা জুড়ে শাসক দলের মন্ত্রী বিধায়ক, সাংসদ, পুরসভার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত কর্তাদের সুপারিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। টাকার লেনদেনও হয়েছে বলে দাবি তদস্তকারীদের। তদন্তকারীদের দাবি, মূলত শাসক দলের কর্মীদেরই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে এবং তা সব ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই করা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ইডির এক কর্তা বলেন, ‘তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী এবং শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্তা-কর্মীদের যোগসাজশের তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্য ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যসহ একাধিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুর্নীতি কাণ্ডের লভ্যাংশের টাকা কোথায় পৌঁছেছে এবং সম্পন্তিসহ কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তার একাধিক সূত্র হাতে এসেছে।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

 

Header Ad

মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি

প্রতীকী ছবি। ফাইল ছবি

দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। অসহনীয় গরমে ঘরের বাইরে টেকা দায়। সূর্যের প্রখরতায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে আবারও দুঃসংবাদই দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আগামীকাল মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

৩০ এপ্রিল যেমন থাকবে আবহাওয়া:

আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ৬টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবি ও সোমবার পত্নীতলা ও বদলগাছী উপজেলায় ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৬টি ভাটার স্বত্বাধিকারীর কাছ থেকে জরিমানা অর্থ আদায় করা হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া।

তিনি বলেন, ৬টি ইটভাটার জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৭ টি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত মার্চ মাসে সদর ও মান্দা উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৬টি ইটভাটায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আত্রাই ও মহাদেবপুর উপজেলার দুটি ইটভাটার এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরিবেশ অধিদফতরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদফতরর কার্যালয়ের পরিদর্শক উত্তম কুমার। এ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে- পত্নীতলা ও বদলগাছী উপজেলা বেশ কিছু ইটভাটা গড়ে তোলে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতরের নজরে আসে। সেই সূত্র ধরে অভিযানে নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদস্যরা। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র না থাকা, খড়ি পোড়ানো ও সঠিক পদ্ধতিতে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা না করায় পত্নীতলা উপজেলার ছালিগ্রাম এলাকার মেসার্স এমএবি ব্রিকস এরে ৫০ হাজার টাকা, কাশিপুর এলাকার বিএসপি ব্রিকস এর ৫০ হাজার, বালুঘা এলাকার এসবিবি এফ ব্রিকস এর ১ লাখ ও চকদুর্গারায়াম এলাকার ফাতেমা ব্রিকস এর ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং বদলগাছী উপজেলার বুড়িগঞ্জ বাজার এলাকার আদিল ব্রিকস এর ৩ লাখ টাকা এবং এমবিএফ ব্রিকস এর ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনা শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, অবৈধ যে-সকল ইটভাটা রয়েছে সেগুলো পরিবেশ সুরক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দেশে যে-সকল অবৈধ ইটভাটা আছে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্স পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত দুইদিন থেকে নওগাঁর পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ৬টি ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরিবেশ সুরক্ষায় এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মাঝে ঘটনাস্থলে দুইজন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরো তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৩ জন। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার খোদাইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা এলাকার মৃত মফিজুর রহমান ছেলে আবু আহমেদ, একই এলাকার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম, আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সায়রা খাতুন, গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া, এবং একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল থেকে বাঁশখালী উপজেলার ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে কক্সবাজার থেকে বাঁশখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান। পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে মারা যান ৫ জন এবং বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।

চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জ এসআই মো. মোজাম্মেল হক জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর খোদাইবাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজন নারী-পুরুষকে দুপুর ১টার পর হতে পৃথক সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মাঝে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাসপাতালে আনার আগে মারা যান আরো একজন৷

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে। ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জেনেছি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি
নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী