সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মূল্যস্ফীতির নেপথ্যে সুশাসনের অভাব

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ১৯ হিসাবে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৪২ শতাংশে পৌঁছেছে। গত আট বছরের মধ্যে দেশে এটাই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির হার। দেশে মূল্যস্ফীতির একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান, আমদানিজনিত চাপ ও বাজার কারসাজি উল্লেখযোগ্য।

বাজার ব্যবস্থাপনায়ও দক্ষতা কম দেখা গেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, চলমান মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো তাদের প্রকৃত আয়, খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় খরচের ক্ষেত্রে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এর সঙ্গে কভিড-১৯ এর প্রভাব মিলে তাদের ক্ষতির বিষয়টি স্পষ্ট। এ দুয়ের ধাক্কা সামলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো অনেক পরিবারের জন্যই বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

'ইনফ্লেশন, কোপিং অ্যান্ড রিকভারি চ্যালেঞ্জেস' শিরোনামে আমাদের গবেষণায় শহরাঞ্চলের বস্তি ও গ্রামাঞ্চলের বড় জনগোষ্ঠীর উপর একাধিক সমীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্নেষণ করে দেখার চেষ্টা করা হয়-কীভাবে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রায় ৪,০০০ পরিবারের উপর করা জরিপে দেখা যায়, গত বছর দ্বিতীয় দফায় দেওয়া লকডাউন ও পরবর্তী রিকভারিতে মাথাপিছু দৈনিক আয় বেশ ভালোভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছিল। গত বছরের আগস্ট থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অনেকের আয় বৃদ্ধি পেলেও মূল্যস্ম্ফীতির কারণে জানুয়ারি এবং মে মাসের মধ্যে আয় আবার কমতে শুরু করেছে। ফলে মানুষ কভিড-পূর্বে যত আয় করত, বর্তমানে প্রকৃত আয় আশানুরূপ হচ্ছে না। কভিড-১৯ এর ধাক্কা সামলানোর সময়টিতে মূল্যস্ফীতি ঘটায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মহামারির দু’বছর পর এখনো জরিপকৃত পরিবারগুলোর গড় আয় মহামারি-পূর্ব আয়ের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ নিচে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, মূল্যস্ফীতির প্রভাব বহুবিধ। এমনিতেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পুষ্টি ও শিক্ষার যে লক্ষ্য নির্ধারিত, সেটি পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, কভিড-১৯ শহুরে বস্তিতে থাকা পরিবারগুলোর জীবন-জীবিকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আবার গ্রামের তুলনায় শহরে আয়ের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অনেক ধীরে এগিয়েছে। আর এখন মূল্যস্ম্ফীতি সেই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে আরও মন্থর করেছে। গবেষণার তথ্য বলছে, দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্তত জরিপে অংশ নেওয়া পরিবারগুলো ফেব্রুয়ারি মাস থেকে খাদ্যতালিকায় থাকা মূল খাবার যেমন- মাছ, মাংস, দুধ এবং ফল খাওয়া হয় খুব কমিয়ে দিয়েছে অথবা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলের বস্তিতে খাবারের মান ও পরিমাণ দুটোই বেশ কমেছে। মে মাসে অর্থাভাবে প্রতি পাঁচ পরিবারে একটি পরিবার অন্তত এক বেলা খাদ্য গ্রহণ করেনি। আশঙ্কার কথা হলো, এই ব্যয় সংকোচনের ভেতর চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যয়ের মতো খাতও ছিল। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এসব পরিবার কম এমনকি নিম্ন মানসম্পন্ন পণ্য দিয়ে কাজ চালিয়েছে।

যে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমেও আমরা দেখেছি, ‘টিসিবি-ওএমএসের লাইনে মধ্যবিত্তরা’। আমাদের গবেষণাও বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মে মাসে দারিদ্র্যসীমার উপরে ও নিচে থাকা উভয় জনগোষ্ঠীর মাঝেই ন্যায্যমূল্যে চাল কেনার পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে টিসিবি থেকে তারা খাদ্যপণ্য ক্রয় করা সত্ত্বেও, অনেকাংশেরই চাহিদা মেটানো যায়নি। জরিপ করা পরিবারের অর্ধেকের বেশি স্বীকার করে, তাদের টিসিবি থেকে খাদ্যপণ্য ক্রয় করা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু নানা কারণে কিনতে পারেনি। যেমন, কেনার সুযোগ না পাওয়া এবং টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড না থাকা। এক-পঞ্চমাংশ পরিবার জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার কারণে তারা খাবার কিনতে পারেনি। যদিও সামগ্রিকভাবে টিসিবি থেকে যারা ক্রয় করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা সন্তোষজনক ছিল। এদের মাঝে দুই-তৃতীয়াংশ জানিয়েছে, তাদের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই গবেষণায় বোঝা যায়, শহর ও গ্রামে দরিদ্র পরিবারের জন্য টিসিবি এবং এ ধরনের অন্যান্য কর্মসূচি সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রাসঙ্গিকভাবে সমকালের সাম্প্র্রতিক এক প্রতিবেদনের কথা বলা যায়। সেটি হচ্ছে, সময় শেষ হলেও সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়নি টিসিবি কার্ড। অথচ সাশ্রয়ী দামে স্বল্প আয়ের মানুষের হাতে টিসিবির পণ্য তুলে দিতে আরও আগেই ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের কথা ছিল। একদিকে, তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় সুবিধাভোগী পরিবারের হাতে এখনো পৌঁছেনি কার্ড। অন্যদিকে, বিক্রির জন্য সয়াবিন তেল, চিনি ও ডাল সংগ্রহের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এমন হযবরল অবস্থা প্রত্যাশিত নয়। এমনকি জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেকেরও বেশি পরিবার বিশ্বাস করে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে সরকারের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও অনুশাসনের অভাব রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই চায়, সরকার সিন্ডিকেট এবং দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনুক। যদিও এদের এক-তৃতীয়াংশের পরামর্শ ছিল মূল্য হ্রাস করা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য।

এটা স্পষ্ট-দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর মধ্যে আয়ের দিক থেকে অভিন্নতা রয়েছে। সংকটকালে দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর আয় তীব্রভাবে কমেছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায়। সে তুলনায় দারিদ্র্য থেকে পুনরুদ্ধারের গতি বেশ মন্থর, বিশেষত দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য। মহামারির পর থেকে এখন উল্লেখযোগ্য নারী কর্মহীন।

তা ছাড়া, মে মাসের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতি এবং দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হওয়ায় মূল্যস্ম্ফীতির এই পাঁচ মাস সময়ে ২১ লাখ মানুষ নতুন দরিদ্র হয়েছে। নতুন দরিদ্রদের কষ্ট লাঘবের কথা চিন্তা করার প্রয়োজন অত্যধিক। মূল্যস্ফীতির হার কমানো এ ক্ষেত্রে জরুরি। নিত্যপণ্য আমদানিতে শুল্ক এবং ভ্যাট কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে সরকার। এ ছাড়া যেসব ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ধারাবাহিকতা দরকার। এ ক্ষেত্রে টিসিবির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

মূল্যস্ফীতি কমানোর ক্ষেত্রে ওই গবেষণায় আমরা কিছু নীতিনির্ধারণ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। দীর্ঘমেয়াদে সেখানে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া দরকার। নারীসহ যারা কাজ হারিয়েছেন, তাদের পুনরায় কর্মযোগে ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে জোর দিতেই হবে। এর ক্ষেত্র গ্রাম ও শহর উভয় ক্ষেত্রেই বাড়ানো চাই। তা ছাড়া, প্রকল্প পর্যায়ে অপচয় রোধ করা জরুরি। অপচয় এবং অদক্ষতার কারণে যে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে, তার জন্য দরিদ্র ও নিম্নবিত্তের মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সর্বোপরি, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরবরাহ পর্যায়ে যাতে কোনো ঘাটতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। কৃচ্ছ্রসাধন এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। সংকটের সময়ে বিলাসী পণ্য না কেনা জরুরি। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।

লেখক: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

Header Ad

জনগণকে কবর দিয়ে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা সরকার গোটা জনগণকে কবরস্থ করে ক্ষমতা দখলে রাখতে চান ব‌লে মন্তব‌্য কা‌রে‌ছেন বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ন মহাস‌চিব অ্যাডভোকেট রুহুল ক‌বির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্র দাম বাড়ছে। মানুষ ঠিক মতো তিনবেলা খেতে পাচ্ছে না। মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা আজ জন্মগ্রহণ করছে, তার ঋণও এক লক্ষ টাকার বেশি। তারপরও শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন।

সোমবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে হাবীব উন নবী খান সো‌হেল মু‌ক্তি প‌রিষ‌দের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খা‌লেদা জিয়া, বিএন‌পির যুগ্ম মহাস‌চিব হাবীব উন নবী খান সো‌হেল, সেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কা‌দির ভূঁইয়া জ‌ি‌য়েলসহ সব রাজবন্দীর মিথ‌্যা মামলা প্রত‌্যাহার ও মু‌ক্তির দা‌বি‌তে এক মানববন্ধ‌নে তি‌নি এ সব কথা ব‌লেন।

‌রিজভী ব‌লেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেশি কথা বলছেন। তার কথা শুনে মনে হচ্ছে, তিনি বিএনপির জন্য খুব মায়া কান্না কাঁদছেন। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়া কান্না করে, ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম। তিনি মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন, বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে। বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ এবং নেতারা সবাই বিদেশ চলে যাচ্ছেন। ঘটনা কিন্তু উল্টো, তারা যে ভিতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে-সেটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলছেন।

এ সরকার বারবার জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নিচ্ছে। আর এই কারণে তাদের জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী, ঋণ খেলাপি এবং বাজার সিন্ডিকেটের লোকজন আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে, তারা সবাই গণশত্রু।

রিজভী বলেন, তাদের সাথে তো দেশের জনগণ থাকে না। তারাই যদি এই সরকার এবং শেখ হাসিনার সাথে থাকে তাহলে তো তারা জনগণের সমর্থন পাবে না। জনগণের সমর্থন পাবে না জেনে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারছে। টিনের বক্সে যদি মুড়ি না থাকে, তাহলে সেই টিন যেমন ঝনঝন করে বেশি- তেমনি আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন।

উপজেলা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা আবার একটি দামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায়, সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীর তো ২০-২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়ায় দাঁড়াতে পারে তাহলে আমরা বাদ যাব কেন?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সাজানো এই উপজেলা নির্বাচনে জনগণ তো যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের কারণে অন্য কেউ চান্সই পাচ্ছে না। অধিকাংশ আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী-আত্মীয়স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনেছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না কিন্তু তারাই এখন দখল করে আছে।

রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনার দল যে শূন্য মুড়ির টিন হয়ে গেছে, সেই টিন আগে ভরেন, তারপর বিএনপিকে নিয়ে কথা বলুন। বিএনপি দুর্বল নাকি হতাশ এটা তো টের পান প্রতি মুহূর্তে। বিএনপিকে মোকাবিলা করার সাহস আওয়ামী লীগের নাই, এজন্যই পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণকে দমন করে এত জোর গলায় আজ কথা বলছেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ এখন ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন, সব মিথ্যা। এইবার বাজেটে লাখ কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? জনগণের গলায় পাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? আজ দেশে গণতন্ত্রের শাসন নাই বলে, বৈধ সংসদ নাই বলে আপনারা জনগণের টুঁটি চেপে ধরে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি থেকে বেশি বিল নিচ্ছেন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুণীর হত্যার বিচার বিষয়ে তিনি বলেন, সাগর-রুণীর হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন আজ পর্যন্ত জমা দিতে পারেনি। ১০৯ বার এই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করার পরেও জমা দিতে পারেনি, তারিখ শুধু পিছাচ্ছে। সাংবাদিক দম্পতির ভয়ংকর হত্যার বিচার এখন পর্যন্ত করতে পারেননি। কেন পারেননি এটা দেশের জনগণ জানে। এরকম একটি ঘটনা নিয়ে অমীমাংসিত নামের একটি সিনেমা করা হয়েছিল, সেটা সেন্সর থেকে আটক করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীতে যত চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনা ঘটেছে সবগুলোরই সিনেমা হয়েছে। সেন্সর বোর্ড এতটাই মূর্খ যে তারা বলেছে এই মামলা বিচারাধীন আছে। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনই জমা দেওয়া হয়নি অথচ তারা বলছে এটার মামলা চলমান এই কারণে আমরা মুক্তি দিতে পারলাম না। কত মূর্খ তারা। অর্থাৎ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ক্ষমতাবানরা জড়িত এই কারণে ওইটা আড়াল করতে চাচ্ছে সবাই মিলে।

তিনি বলেন, এই সরকার কথিত পক্ষেই ব্যর্থ সরকার। ষড়যন্ত্রকারী সরকার। এই সরকার এদেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে আসেনি। আমাদের অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে একেবারে সাজানো মামলায়। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে রাখা হয়েছে। তারপরও তিনি এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, জনগণকে তার মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ঢাকা মহানগর দ‌ক্ষি‌ণ সেচ্ছা‌সেবক দ‌লের সা‌বেক সধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নো‌মা‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে মানববন্ধ‌নে আরও বক্তব‌্য রা‌খেন বিএন‌পির সেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদ‌লের সাধারণ সম্পাদক না‌সির উ‌দ্দিন না‌সির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাদরুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

‘মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে রিয়াল মাদ্রিদ’

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

৩৬তম লিগ শিরোপা জয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা রিয়াল মাদ্রিদ। বার্নাব্যুতে জড়ো হয়েছেন হাজারো সমথর্ক। যোগ্য দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লস ব্লাঙ্কোস মনে করছেন কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। এবার ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপায় চোখ বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির।

লিগ শিরোপা পুনরূদ্ধার করবে রিয়াল মাদ্রিদ তা নিশ্চিত ছিলো। জিরোনার কাছে বার্সেলোনার হার আর কাদিজের বিপক্ষে জয়ে চার ম্যাচ আগেই শিরোপা উল্লাসের সুযোগ পেয়েছে মাদ্রিদ। সেন্ট্রাল মাদ্রিদের সিবেলেস ফাউন্টেইন স্কয়ারে ভক্ত সমর্থকদের ভিড়। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে স্কার্ফ উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ উদযাপন সমর্থকদের।

নেচে গেয়ে স্মরণীয় করে রাখলো ৩৬তম লিগ টাইটেল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লা লিগা জয় বার্সেলোনার। তাও সেটা রিয়ালের চেয়ে ৯ শিারোপা কম। স্পেনের সফলতম ক্লাবের সমর্থক হতে পেরে গর্বিত বার্নাব্যুর বাইরে ভিড় করা অসংখ্য মানুষ। যাদের অনেকের কাছে এমন উপলক্ষ্য স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকে আবার বার্সেলোনাকে খোঁচা দিতেও ভোলেননি। কাতালানদের কোচ হিসেবে পরের মৌসুমেও চেয়েছেন জাভিকে।

রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক বলেন, সত্যি বলতে লিগ শিরোপা জয় আমাদের জন্য সাধারণ ব্যাপার। এটা এখন আর আমাদের খুব বেশি আনন্দ দেয়না। বরং আমি তাকিয়ে আছি চ্যাম্পিয়নস লিগের দিকে। আরেক ভক্ত বলেন, রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। শুধু বিশ্ব নয়, আমার মনে হয় মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে এটি। ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় আমাদের আনন্দের পূর্ণতা দেবে।

বার্নাব্যুর বাইরের উল্লাসের উপলক্ষ লসব্লাঙ্কোদের মাঠের পারফরম্যান্স। ফুটবলারদের উপর দারুণ খুশি কোচ কার্লো আনচেলোত্তি।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমরা যেমন পারফর্ম করেছি লিগ শিরোপাটা আমাদের প্রাপ্যই ছিলো। মাদ্রিদিস্তারা যেভাবে সবসময় আমাদের পাশে ছিলো সত্যি অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে আমার ধারণা তারা ট্রেবল জয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই লিগ শিরোপার আনন্দকে পাশে রেখে আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।

আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি : হানি সিং

ছবি: সংগৃহীত

পেশাগত জীবনে তুলুন সাফল্য পেলেও হানির ব্যক্তিগত জীবন দুঃখে জর্জরিত। বছর খানেক আগেই তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তার প্রাক্তন স্ত্রী শালিনী তালওয়ার হানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন গার্হস্থ্য হিংসার। এ সবে ভয়ানকভাবেই জর্জরিত ছিলেন গায়ক হানি সিং। তিনি নাকি কাউন্সেলিংও করিয়েছিলেন নিজের।

নেশা করার বিষয়টা নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা করেছিলেন। ছেড়েছিলেন গাঁজা খাওয়া। গাঁজার কুফল যে কতখানি ভয়ানক হতে পারে, তা গায়ক বেশ ভালই বুঝেছেন তার জীবন দিয়ে। তরুণ প্রজন্মের সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত কথা বলে ফেলেছেন তিনি, যা শুনে সকলেই চমকে উঠেছেন। হানি সিং বলেছেন, জীবনে যত খুশি মদ খাও, কিন্তু কখনও গাঁজা-চরস খাবে না। ওর থেকে বাজে জিনিস আর পৃথিবীতে একটাও নেই। আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি। তাই ভাই-বোনেরা গাঁজা একদম ছুবে না।

হানি সিংয়ের গানের মধ্যে অদ্ভুত এক মাদকতা রয়েছে। তার সেসব গানের মধ্যে থাকে নেশার কথাও।

সর্বশেষ সংবাদ

জনগণকে কবর দিয়ে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়: রিজভী
‘মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে রিয়াল মাদ্রিদ’
আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি : হানি সিং
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের গৃহকর্মীর বাসায় টাকার পাহাড়
স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু
এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ
অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ
টাইটানিকের সেই ক্যাপ্টেন বার্নার্ড হিল আর নেই
সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান
ফের পেছালো রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন