মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

মূল্যস্ফীতির নেপথ্যে সুশাসনের অভাব

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ১৯ হিসাবে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৪২ শতাংশে পৌঁছেছে। গত আট বছরের মধ্যে দেশে এটাই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির হার। দেশে মূল্যস্ফীতির একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান, আমদানিজনিত চাপ ও বাজার কারসাজি উল্লেখযোগ্য।

বাজার ব্যবস্থাপনায়ও দক্ষতা কম দেখা গেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, চলমান মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো তাদের প্রকৃত আয়, খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় খরচের ক্ষেত্রে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এর সঙ্গে কভিড-১৯ এর প্রভাব মিলে তাদের ক্ষতির বিষয়টি স্পষ্ট। এ দুয়ের ধাক্কা সামলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো অনেক পরিবারের জন্যই বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

'ইনফ্লেশন, কোপিং অ্যান্ড রিকভারি চ্যালেঞ্জেস' শিরোনামে আমাদের গবেষণায় শহরাঞ্চলের বস্তি ও গ্রামাঞ্চলের বড় জনগোষ্ঠীর উপর একাধিক সমীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্নেষণ করে দেখার চেষ্টা করা হয়-কীভাবে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রায় ৪,০০০ পরিবারের উপর করা জরিপে দেখা যায়, গত বছর দ্বিতীয় দফায় দেওয়া লকডাউন ও পরবর্তী রিকভারিতে মাথাপিছু দৈনিক আয় বেশ ভালোভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছিল। গত বছরের আগস্ট থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অনেকের আয় বৃদ্ধি পেলেও মূল্যস্ম্ফীতির কারণে জানুয়ারি এবং মে মাসের মধ্যে আয় আবার কমতে শুরু করেছে। ফলে মানুষ কভিড-পূর্বে যত আয় করত, বর্তমানে প্রকৃত আয় আশানুরূপ হচ্ছে না। কভিড-১৯ এর ধাক্কা সামলানোর সময়টিতে মূল্যস্ফীতি ঘটায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মহামারির দু’বছর পর এখনো জরিপকৃত পরিবারগুলোর গড় আয় মহামারি-পূর্ব আয়ের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ নিচে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, মূল্যস্ফীতির প্রভাব বহুবিধ। এমনিতেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পুষ্টি ও শিক্ষার যে লক্ষ্য নির্ধারিত, সেটি পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, কভিড-১৯ শহুরে বস্তিতে থাকা পরিবারগুলোর জীবন-জীবিকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আবার গ্রামের তুলনায় শহরে আয়ের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অনেক ধীরে এগিয়েছে। আর এখন মূল্যস্ম্ফীতি সেই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে আরও মন্থর করেছে। গবেষণার তথ্য বলছে, দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্তত জরিপে অংশ নেওয়া পরিবারগুলো ফেব্রুয়ারি মাস থেকে খাদ্যতালিকায় থাকা মূল খাবার যেমন- মাছ, মাংস, দুধ এবং ফল খাওয়া হয় খুব কমিয়ে দিয়েছে অথবা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলের বস্তিতে খাবারের মান ও পরিমাণ দুটোই বেশ কমেছে। মে মাসে অর্থাভাবে প্রতি পাঁচ পরিবারে একটি পরিবার অন্তত এক বেলা খাদ্য গ্রহণ করেনি। আশঙ্কার কথা হলো, এই ব্যয় সংকোচনের ভেতর চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যয়ের মতো খাতও ছিল। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এসব পরিবার কম এমনকি নিম্ন মানসম্পন্ন পণ্য দিয়ে কাজ চালিয়েছে।

যে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমেও আমরা দেখেছি, ‘টিসিবি-ওএমএসের লাইনে মধ্যবিত্তরা’। আমাদের গবেষণাও বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মে মাসে দারিদ্র্যসীমার উপরে ও নিচে থাকা উভয় জনগোষ্ঠীর মাঝেই ন্যায্যমূল্যে চাল কেনার পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে টিসিবি থেকে তারা খাদ্যপণ্য ক্রয় করা সত্ত্বেও, অনেকাংশেরই চাহিদা মেটানো যায়নি। জরিপ করা পরিবারের অর্ধেকের বেশি স্বীকার করে, তাদের টিসিবি থেকে খাদ্যপণ্য ক্রয় করা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু নানা কারণে কিনতে পারেনি। যেমন, কেনার সুযোগ না পাওয়া এবং টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড না থাকা। এক-পঞ্চমাংশ পরিবার জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার কারণে তারা খাবার কিনতে পারেনি। যদিও সামগ্রিকভাবে টিসিবি থেকে যারা ক্রয় করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা সন্তোষজনক ছিল। এদের মাঝে দুই-তৃতীয়াংশ জানিয়েছে, তাদের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই গবেষণায় বোঝা যায়, শহর ও গ্রামে দরিদ্র পরিবারের জন্য টিসিবি এবং এ ধরনের অন্যান্য কর্মসূচি সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রাসঙ্গিকভাবে সমকালের সাম্প্র্রতিক এক প্রতিবেদনের কথা বলা যায়। সেটি হচ্ছে, সময় শেষ হলেও সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়নি টিসিবি কার্ড। অথচ সাশ্রয়ী দামে স্বল্প আয়ের মানুষের হাতে টিসিবির পণ্য তুলে দিতে আরও আগেই ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের কথা ছিল। একদিকে, তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় সুবিধাভোগী পরিবারের হাতে এখনো পৌঁছেনি কার্ড। অন্যদিকে, বিক্রির জন্য সয়াবিন তেল, চিনি ও ডাল সংগ্রহের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এমন হযবরল অবস্থা প্রত্যাশিত নয়। এমনকি জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেকেরও বেশি পরিবার বিশ্বাস করে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে সরকারের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও অনুশাসনের অভাব রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই চায়, সরকার সিন্ডিকেট এবং দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনুক। যদিও এদের এক-তৃতীয়াংশের পরামর্শ ছিল মূল্য হ্রাস করা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য।

এটা স্পষ্ট-দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর মধ্যে আয়ের দিক থেকে অভিন্নতা রয়েছে। সংকটকালে দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর আয় তীব্রভাবে কমেছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায়। সে তুলনায় দারিদ্র্য থেকে পুনরুদ্ধারের গতি বেশ মন্থর, বিশেষত দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য। মহামারির পর থেকে এখন উল্লেখযোগ্য নারী কর্মহীন।

তা ছাড়া, মে মাসের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতি এবং দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হওয়ায় মূল্যস্ম্ফীতির এই পাঁচ মাস সময়ে ২১ লাখ মানুষ নতুন দরিদ্র হয়েছে। নতুন দরিদ্রদের কষ্ট লাঘবের কথা চিন্তা করার প্রয়োজন অত্যধিক। মূল্যস্ফীতির হার কমানো এ ক্ষেত্রে জরুরি। নিত্যপণ্য আমদানিতে শুল্ক এবং ভ্যাট কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে সরকার। এ ছাড়া যেসব ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ধারাবাহিকতা দরকার। এ ক্ষেত্রে টিসিবির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

মূল্যস্ফীতি কমানোর ক্ষেত্রে ওই গবেষণায় আমরা কিছু নীতিনির্ধারণ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। দীর্ঘমেয়াদে সেখানে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া দরকার। নারীসহ যারা কাজ হারিয়েছেন, তাদের পুনরায় কর্মযোগে ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে জোর দিতেই হবে। এর ক্ষেত্র গ্রাম ও শহর উভয় ক্ষেত্রেই বাড়ানো চাই। তা ছাড়া, প্রকল্প পর্যায়ে অপচয় রোধ করা জরুরি। অপচয় এবং অদক্ষতার কারণে যে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে, তার জন্য দরিদ্র ও নিম্নবিত্তের মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সর্বোপরি, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরবরাহ পর্যায়ে যাতে কোনো ঘাটতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। কৃচ্ছ্রসাধন এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। সংকটের সময়ে বিলাসী পণ্য না কেনা জরুরি। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।

লেখক: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

Header Ad
Header Ad

যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!

তাপস, বুবলী। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতা ও বৈচিত্র্যময় উপস্থিতি দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ‘দেয়ালের দেশ’, ‘প্রহেলিকা’র মতো গল্পনির্ভর সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি কেবল বাণিজ্যিক ধারার নায়িকাই নন, বরং একজন পরিপূর্ণ অভিনয়শিল্পী। পাশাপাশি মডেলিংয়েও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি।

তবে সিনেমার বাইরেও এক সময় আলোচনায় আসে বুবলীর ব্যক্তিজীবন। গুঞ্জন ওঠে—গানবাংলা টিভির প্রধান নির্বাহী ও সংগীতব্যক্তিত্ব কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন বুবলী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও আলোচনা ছড়ায়।

সম্প্রতি উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি সাক্ষাৎকারে তাপসকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, বুবলীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর কারণ কী? উত্তরে তাপস বলেন, “প্রেমটাকে অস্বীকার না করে বরং কাজের প্রতি প্রেম বলা ভালো হবে। বুবলী একজন মেধাবী অভিনেত্রী, তার মধ্যে একটি ‘ম্যাজিক’ আছে, যা প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ করে। ভবিষ্যতেও তাকে নিয়ে কাজ করতে আমি আগ্রহী ও আনন্দিত থাকবো।”

তবে এই প্রেমের গুঞ্জনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “গানবাংলায় আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই নানা ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়ানো শুরু হয়। আমার কাজ বা সিনেমা আলোচনায় এলেই এসব নোংরামি শুরু হয়। আমি আমার কাজ আর পরিবার নিয়েই ব্যস্ত থাকি। তাপস ভাই ও মুন্নি ভাবির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক, সৌজন্যপূর্ণ এবং পেশাদার। আমাকে কোথাও বাজে আড্ডায় পাওয়া যাবে না।”

 

বুবলী, তাপস। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বুবলী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নতুন সিনেমা ও মডেলিং নিয়ে। অন্যদিকে, কিছুদিন ধরে গানবাংলা টিভির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়, দুই পক্ষই তাদের সম্পর্ককে কাজ ও পারস্পরিক সম্মানের জায়গায় রাখতেই সচেষ্ট। গুঞ্জনের বাইরে তারা একে অন্যের প্রতি পেশাদার শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির কথাই জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আগামী বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে অবহিত করেছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ টেলিফোনালাপে এ বিষয়টি উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মার্কো রুবিও বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কর্মসূচি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য ও রেমিট্যান্সের অন্যতম শীর্ষ উৎস, ফলে দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করা সময়ের দাবি।

দুই নেতার মধ্যে এই টেলিফোন আলোচনা চলে প্রায় ১৫ মিনিট। আলোচনায় উঠে আসে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট এবং নিরাপত্তা-সহ নানা বিষয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও নিশ্চিত করেছে, ফোনালাপে উভয় পক্ষ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন কমিশন বর্তমানে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে, যা আগের সরকার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে আমাদের অনেক তরুণই প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের আগে মার্কো রুবিওর বাংলাদেশ সফর তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্পষ্ট বার্তা পৌঁছাবে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে সফল বৈঠক করেছেন। দুই দেশই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী। এছাড়া পারস্পরিক শুল্ক ব্যবস্থা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

রোহিঙ্গা ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সর্ববৃহৎ দাতা হিসেবে কাজ করছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বাস্তব সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উজ্জ্বল।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফোনালাপের বিস্তারিত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।”

এই সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই দেশের গভীর সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

Header Ad
Header Ad

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিক ও উপস্থাপক সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। মঙ্গলবার (১ জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে এই দায়িত্ব পালন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন তিনি।

সামি জানান, তিনি নিজের উদ্যোগে নয়, বরং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আহ্বানে উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী পদ। কোনো সম্মানি বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয়, শুধুমাত্র ক্রিকেটের উন্নয়নে সহযোগিতার উদ্দেশ্যেই এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি বিশেষ গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। সামির ভাষায়, “সেদিনই (দায়িত্ব ঘোষণার দিন) থেকে একটা মহল আমার রেপুটেশন খারাপ করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। কেন, তা আমি জানি না। আমি তো প্রেসিডেন্টের চাওয়াতেই এসেছিলাম।”

 

সামি জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেন। অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল নিয়ে প্রথম বৈঠকে অংশ নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রস্তাব দেন—যেমন পেসার হান্ট প্রতিযোগিতা, প্যারেন্টাল কোচিং গাইডলাইন, শিশুদের জন্য টেস্ট ক্রিকেটভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি। পরবর্তীতে দেশের চারটি বিভাগে ঘুরে গিয়ে মাঠ পর্যায়ের সমস্যা চিহ্নিত করে তা বিসিবির বিভিন্ন বিভাগে জমাও দেন।

তবে মাঠপর্যায়ের কাজের পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সামি জানান, তার পেশা হচ্ছে কনটেন্ট তৈরি, আর সেটাই বিসিবি জানত। তবুও একটি গোষ্ঠী তার কাজকে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বলে প্রচার করতে থাকে। অথচ, তিনি নিজ খরচে ক্যামেরাম্যানসহ কনটেন্ট তৈরি করেছেন এবং এর জন্য বিসিবির কোনো অর্থও গ্রহণ করেননি।

এই বিতর্কে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নিজেই—এমন মন্তব্য করে সামি বলেন, “একটা সফল কার্যক্রমের দিনশেষে প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে হাসি উড়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র আমাকে ঘিরে গড়ে ওঠা একটি কৃত্রিম সংকট তাকে ডিস্ট্র্যাক্ট করছে।”

সামি আক্ষেপ করে লেখেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই, বড় ব্যবসায়ী নই, বড় কোনো ব্যাকআপও নেই। ডার্টি পলিটিক্স আমার কাজ না। আমি শুধু কাজটাই করতে পারি—রিসার্চ, হোমওয়ার্ক, ডে রিপোর্ট, মাঠপর্যায়ে ঘুরে ঘুরে সমস্যা চিহ্নিত করা, সমাধানের চেষ্টা করা।”

তিনি বলেন, তার এই কাজের মনোভাবই গত ১০ বছর যমুনা টেলিভিশনে স্থিতিশীল ক্যারিয়ারের পেছনে মূল কারণ। সব টিভি চ্যানেল তাকে স্পোর্টস প্রোগ্রামে রাখে তার হোমওয়ার্ক ও এফোর্টের কারণে।

 

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। ছবি: সংগৃহীত

নিজের সরে দাঁড়ানোর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে সামি দেখান বিসিবি সভাপতির স্বচ্ছ, দেশপ্রেমিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি না করাই। তিনি বলেন, “বুলবুল ভাই দেশের ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের সূচনা করেছেন। আমি থাকলে হয়তো উনার পথ আরো কঠিন হয়ে যাবে। আমি বিতর্কের কারণ হতে চাই না।”

ফেসবুক পোস্টের শেষাংশে সামি লেখেন, “একটা বাস্তবতার শিক্ষা আমার স্ত্রী আমাকে বারবার দিতেন—‘বাংলাদেশে শুধু মেধা বা ট্যালেন্ট দিয়েই সব হয় না।’ আজ আবার মনে হলো, Wife is always right।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!
আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস
বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ
বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল