মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আর্থ-রাজনৈতিক 'লৌহ ত্রিভুজ' ভাঙতে হবে

আমাদের শুধু সামষ্টিক অর্থনীতির দিকে তাকালে হবে না; সামষ্টিক, মধ্যম ও ব্যষ্টিক- তিনটি পর্যায়েই মনোযোগ দেওয়া দরকার। মধ্যম ও ব্যষ্টিক অর্থনীতি উপেক্ষা করে সামষ্টিক অর্থনীতির সংকট মোকাবিলা করা কঠিন।

এটা পরিষ্কার যে, সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে নানা আলোচনাও হচ্ছে। সম্প্রতি সিপিডি আয়োজিত 'সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ: কতটা ঝুঁকিপূর্ণ' শীর্ষক আলোচনা সভায় অনেকে এ বিষয়ে জোর দিয়েছেন। আমিও সেখানে কথা বলেছি। যে বিষয়টি আরও জোর দিয়ে বলা দরকার তা হলো, মধ্যম অর্থনীতিতে সংস্কারের বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কভিড-১৯-এর ধাক্কা থেকে আমাদের এক ধরনের উত্তরণ ঘটেছে বটে, তবে সে উত্তরণ পুরোপুরি হয়নি। পিপিআরসি-বিআইজিডির ২০২২-এর মে মাসের গবেষণায় আমরা দেখেছি, মহামারির দুই বছর পরও জরিপ করা পরিবারগুলোর গড় আয় মহামারি-পূর্ব আয়ের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ নিচে।

ব্যষ্টিক পর্যায়ে অবিচারের অর্থনীতিও আলোকপাত করা দরকার। অবিচারের অর্থনীতির তিনটি চেহারা জোরালোভাবে সামনে আসছে। প্রথমটি হলো নতুন দারিদ্র্য। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কভিড থেকে উত্তরণের পরও তিন কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যে পড়েছে। সাম্প্রতিক মূল্যস্ম্ফীতির প্রভাবও এক্ষেত্রে প্রভাবক ভূমিকা পালন করেছে। দ্বিতীয়টি আরও দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ আমরা সব আলোচনা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা নিয়েই করছি। অথচ আমাদের অন্যতম লক্ষ্য এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। এ ক্ষেত্রে তিনটি লক্ষ্যমাত্রা গতিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। একটি হলো অপুষ্টি। এই খাতে আমাদের অবস্থার উন্নতি ঘটছিল। কিন্তু এখন পারিবারিক খাদ্য তালিকায় পুষ্টির বদলে উল্টোদিকে যাত্রার প্রবণতা স্পষ্ট। পরিস্থিতি এই উল্টোযাত্রায় বাধ্য করছে। অপরদিকে কোভিড-পরবর্তী সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে চাকরির বাজারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও। গৃহায়ন আরেকটি বিষয়। আমরা দেখেছি, কোভিডকালে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে, নগরে থাকা-খাওয়ার খরচের বোঝা টানতে না পেরে। অবিচারের অর্থনীতির তৃতীয় চেহারা হচ্ছে, চলমান প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক উন্নয়ননীতি কর্মসংস্থানমুখী হচ্ছে না। এর ফলে যুব বেকারত্ব আরও গভীর হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারত্ব।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের নজর থাকে তাৎক্ষণিক বিষয় সামাল দিতে। জরুরি বিষয় আগে সামাল দিতে হবে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এই মুহূর্তের সংকট যে শুধু বর্তমানে সংকট তৈরি করছে, তা নয়; একই সঙ্গে তা আমাদের নিম্নস্তরে তথা ব্যষ্টিক ও মধ্যম পর্যায়ের সমস্যাগুলোও সামনে নিয়ে আসছে। তাই এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি সামনে চলে আসা মধ্যমেয়াদি সমস্যার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।

অর্থনৈতিক এসব সংকটের কারণে সামাজিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি মানুষের সার্বিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে কি না, সেটাও দেখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কথা বলতেই হবে। এখানে শুধু অব্যবস্থাপনার বিষয়ই নয়, বরং কী ধরনের ব্যবস্থাপনা চলমান, তার চরিত্রও বোঝা দরকার।

আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের লৌহ ত্রিভুজ গেড়ে বসেছে। এখানে শুধু ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীই নয়, আরও অনেকে এর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের অর্থনৈতিক শাসনে কাঠামোগত ঘাটতি সব সময় কিছু না কিছু থেকেই যায়। কিন্তু ঘাটতিগুলো যখন গভীরে পৌঁছে, সেটাও একটা কাঠামোগত আকার ধারণ করে। সেটাই লৌহ ত্রিভুজের মতো গেড়ে বসেছে।

প্রথমটি হলো একমাত্রিক উন্নয়ন দর্শন। অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে গিয়ে আমরা সামাজিক উন্নয়নের বিষয়গুলোকে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। লৌহ ত্রিভুজের দ্বিতীয়টি হলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারঅ্যাক্ট' বা নিয়ম ও স্বজনতোষী ব্যক্তিস্বার্থের দ্বন্দ্বকে নিরন্তরভাবে উপেক্ষা করা শুধু নয়, রীতিমতো প্রশ্রয় দেওয়া। আর্থিক, জ্বালানি ও পরিবহন- অর্থনীতির এ মূল খাতগুলোর মধ্যে ব্যক্তিস্বার্থের সুবিধার্থে অনিয়মকে নিরন্তর প্রশ্রয় দেওয়াই কার্যত 'নিয়ম' পর্যায়ে উপনীত।

কয়েকটি খাতের উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যেমন বিদ্যুৎ খাত। এখানে সাময়িকভাবে 'কুইক রেন্টাল' শুরু হয়েছিল। এরপর কেন এটি চলমান রাখতে হলো? ব্যক্তিস্বার্থের সুবিধা নিশ্চিত করা ছাড়া এর কোনো অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা নেই। যেমন পরিবহন খাত। কেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ অচল? কেন সড়ক নিরাপত্তায় কিছুই করা যাচ্ছে না? নিরাপদ সড়কের জন্য ১০১টি সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছি না। এখানেও ব্যক্তিস্বার্থে অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়াই মুখ্য। যেমন ব্যাংকিং খাত। এখানেও নিয়ম করে অনিয়মের বিষয়টি ব্যাপক। আমাদের উন্নয়ন খাত বা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও এই প্রবণতার বাইরে নয়। কেন খরচ বাড়ে, কেন সময় বাড়ানো হয়? ব্যক্তি স্বার্থের সুবিধা নিশ্চিত করাটাই যেন বৃহত্তর উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লৌহ ত্রিভুজের তৃতীয় বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। এটি হচ্ছে অবিচারের অর্থনীতি, যার বোঝা সাধারণ মানুষের ওপর অব্যাহতভাবে বর্তাচ্ছে। সাধারণ মানুষ অবিরাম সংগ্রাম করছে নিজের এবং তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে। বিনিময়ে তার মূল প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে অবিচারের খাটুনি ও ন্যূনতম স্বস্তির অনুপস্থিতি। অবিচারের খাটুনি আমরা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি। সব সুখ ভোগ করছে ওপরের দিকের মানুষ, আর চাপের বোঝাটা দিচ্ছি সাধারণ মানুষের ওপর। এখানে শুধু স্বল্প আয়ের মানুষ নয়; মধ্যম আয়ের মানুষের ওপরেও চাপ বাড়ছে।

লৌহ ত্রিভুজ এই অর্থে বলছি- এ তিনটি একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত; কিংবা বলা যায় একে অন্যকে প্রভাবিত করছে। একমাত্রিক উন্নয়ন দর্শন ও নিয়মের ব্যত্যয়কে প্রশ্রয় দিয়েই যখন নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন হচ্ছে, তখন অবধারিত ফল হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে। এই লৌহ ত্রিভুজ ভাঙতে হলে একটি বড় ধাক্কার প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ কমিটির কিছু সুপারিশ দিয়ে এর সমাধান হবে না। এর সঙ্গে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, উদ্যোগ ও উপলব্ধি জরুরি। তা না হলে এটা ভাঙা সম্ভব হবে না। এ সময়ে আমরা ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদ বলে একটা পরিভাষা ব্যবহার করি। কিন্তু আমি যে লৌহ ত্রিভুজের কথা বলছি, তা এই 'ক্রোনি ক্যাপিটালিজম' ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। একে আরও বৃহত্তর চিন্তার মধ্যে আনতে হবে।

রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে- আমরা লৌহ ত্রিভুজ ভাঙতে পারব কি পারব না। আর বড় ধাক্কা ছাড়া লৌহ ত্রিভুজ ভাঙবে না। ছোট ছোট ধাক্কায় এ ত্রিভুজ নড়াচড়া করলেও আবার গেড়ে বসবে। এমনটা হলে আমাদের এসডিজির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে বটে, কিন্তু আমরা যে ধরনের মধ্যম আয়ের কথা চিন্তা করছি, ওই ধরনের দেশে পরিণত হতে পারব না। এসডিজি ও কাঙ্ক্ষিত মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হতে লৌহ ত্রিভুজ ভাঙার সময় এখনই।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

এসএন

Header Ad

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বছরও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৩ জুন আলোচনা সভায় নেতাদের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা আমাদের সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও দাওয়াত করা হবে। তবে বাস্তবতার কথা বিবেচনা করেই আমরা চিন্তাভাবনা করছি বিদেশি অতিথিদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না।’

তিনি বলেন, ‘বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা পার্টির হীরকজয়ন্তী উদযাপন করব। ব্যাপকভাবে এটা সংগঠিত করার চিন্তাভাবনা করছি। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে থাকবে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি। বিদ্যুতের সংকটের কথা বিবেচনা করে আলোকসজ্জা বাদ দিয়েছি। আনন্দ র‍্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৩ জুন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা হবে। আলোচনা সভার আগে আধাঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দুপুরে সব ধর্মালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সবুজ ধরিত্রী কর্মসূচি নিয়েছি। সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৭ মে সকালে নেতাদের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে। দুপুরে সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা হবে। বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয়ে আলোচনা সভা করা হবে। আগের দিন ১৬ মে দুপুরে অসচ্ছল গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে আলোকসজ্জার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়েছে।’

যারা দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, সময় মতো তাদের শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের নিবৃত্ত করতে দলের সাংগঠনিক বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তারা সক্রিয় উদ্যোগে রয়েছেন। যারা ডিসিপ্লিন ভাঙবে, সময় মতো তাদের কোনো না কোনো শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের একশন কোনো না কোনোভাবে থাকেই। ৭০ জনের বেশি সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়া, আগের মন্ত্রিপরিষদের ২৫ জনকে নতুন কেবিনেটে না রাখা কি এর উদাহরণ নয়?’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধ্বংস করেছে তারা। প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোট তো তাদেরই সৃষ্টি। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজ শেখ হাসিনাই করেছেন। বিএনপি মাগুরা মার্কা আর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছে। গণতন্ত্রে কোনোদিন তাদের আগ্রহ ছিল না।’

গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) আয়োজনে ৫দিন ব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী শেষে সাটিফিকেট বিতরন করা হয়।

সোমবার দুপুরে কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদ কায্যলয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক গাইবান্ধা এজিএম রবিনচন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্পাসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল ফৈরদাউস,রেজওয়ানুল ইসলাম প্রমুখ। ৫দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ শেষে ২৫ জন উদ্যোক্ত কে সাটিফিকেট বিতরন করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আরও ৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়ায় আরও তিনজনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার করা তিনজন হলেন- ময়মনসিংহ বিভাগের মো. নুর সালাম সরকার (ভাইস চেয়ারম্যান), ঢাকা বিভাগের এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া (ভাইস চেয়ারম্যান) ও রংপুর বিভাগ মো. তহিদুল আলম মন্ডল সুমন (চেয়ারম্যান)।

 

এর আগে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৪২ জনকে ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ৬২ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: ওবায়দুল কাদের
গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আরও ৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি
আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন স্থগিত
প্রিমিয়ার লিগে বিধ্বংসী বোলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন রাজা
দুদকের ‘ধাওয়ায়’ বিদেশ পালিয়েছেন বেবিচকের ৭ কর্মকর্তা
জনগণকে কবর দিয়ে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়: রিজভী
‘মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে রিয়াল মাদ্রিদ’
আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি : হানি সিং
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের গৃহকর্মীর বাসায় টাকার পাহাড়
স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু
এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ
অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ
টাইটানিকের সেই ক্যাপ্টেন বার্নার্ড হিল আর নেই