মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

জনসংখ্যানীতি,উন্নয়ন এবং 'থ্রি জিরো এজেন্ডা'

দেশে 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২' এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে আমরা দেখেছি, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি। এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেতে হয়তো আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে।

স্বাধীনতার পর থেকেই জনমিতি যে প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ইতিবাচক বলে আমি মনে করি। কিন্তু জনসংখ্যাকে শুধু সংখ্যার নিরিখে দেখলেই চলবে না। একে জনসম্পদ হিসেবে রূপান্তর ঘটানোর জন্য উন্নয়নের দিকটি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে আমাদের ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইসিপিডি লক্ষ্যমাত্রার দিকে নজর ফেরানো আবশ্যক।

সম্প্রতি পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার-পিপিআরসি এবং ইউএনএফপিএর যৌথ আয়োজনে রাজধানীতে আমরা একটি কর্মশালার আয়োজন করি। এর উদ্দেশ্য ছিল ওই কনফারেন্সের আলোকে আগামী দশকের মধ্যে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দেওয়া।

বস্তুত আমলাতান্ত্রিক ধারণা থেকে বেরিয়ে জনসংখ্যা নীতিকে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে ১৯৯৪ সালে স্থির করা আইসিপিডি লক্ষ্যমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৯ সালে ওই কনফারেন্সের ২৫ বছর পূর্তিতে আইসিপিডি ২৫-এ কর্মপরিকল্পনা পরিবর্তন করে 'থ্রি জিরো এজেন্ডা' বা তিন ক্ষেত্রে হ্রাস করার পরিকল্পনা স্থির করে। এর লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে-পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে (১) অপূরণকৃত চাহিদাকে শূন্যে নামিয়ে আনা; (২) প্রতিকারযোগ্য মাতৃমৃত্যুর হারকে শূন্যে নামিয়ে আনা এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে দূরীকরণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বাল্যবিয়ে নিশ্চিহ্নকরণ।

বলা বাহুল্য, জনসংখ্যানীতির এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা এখনও বিদ্যমান। বিশেষ করে কভিড-১৯ মহামারি সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করে তুলেছে। জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য অর্জনে অব্যাহত প্রতিশ্রুতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব থেকেই বাল্যবিয়ে এবং অপরিকল্পিত গর্ভধারণের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।

একইসঙ্গে দায়মুক্তির সংস্কৃতি এবং সুষ্ঠু বিচারের অভাবের ফলে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেমে নেই। আমাদের জাতীয় জনসংখ্যানীতি ২০১২-এর কিছু দিক সংশোধন জরুরি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য থাকলেও বর্তমানে এই খাত লক্ষ্য অর্জনে অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা নীতি নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির ওপর একমাত্রিক জোর দেওয়ার সঙ্গে বিশ্ব গড়ের তিন গুণ সিজারিয়ান জন্মহারকে মিলিয়ে দেখাও জরুরি।

তবে লক্ষ্য করার বিষয়, আমরা প্রথমবারের মতো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক (২০২০-'২৫) পরিকল্পনায় দেখেছি, জনসংখ্যা-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় উন্নতি, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট ও বয়স, জনসংখ্যা ফ্রন্টের চ্যালেঞ্জ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুফল পাওয়ার পথ প্রশস্তকরণ। এ পরিকল্পনায় জনসংখ্যানীতির ক্ষেত্রে যেসব অগ্রাধিকার গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো যথার্থ বলে মনে করি। যৌন শিক্ষা ও প্রজনন স্বাস্থ্য কর্মসূচিকে শক্তিশালী করা হয়েছে।

বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জেলা, গ্রামীণ দরিদ্র ও শহুরে বস্তিবাসীকে টার্গেট করে যেভাবে পরিবার পরিকল্পনার আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে সক্ষম। একইসঙ্গে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন; ক্লিনিক ও হাসপাতালের সংখ্যা এবং প্রশিক্ষিত জনশক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রশিক্ষিত জনশক্তি দ্বারা ৫৯ থেকে ৭২ শতাংশ সন্তান প্রসবের পরিকল্পনা আইসিপিডি লক্ষ্যমাত্রার আলোকে গুরুত্বপূর্ণ।

তবে এখানেও মূল প্রশ্ন-কাগজে এসব ভালো পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবায়ন কৌশল আসলে কতটুকু কাজে দিচ্ছে। আশঙ্কার পরিসংখ্যান হচ্ছে, মাতৃমৃত্যু হ্রাস করার হার স্থবির হয়ে আছে। কিশোরী গর্ভধারণের হার বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে বৈ কমছে না এবং মানসম্মত কর্মসংস্থান উপযোগী শিক্ষার অভাবে অত্যধিক শিক্ষিত বেকারত্ব বিরাজমান, যা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অর্জনের অন্তরায়।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: অর্থনীতিবিদ ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

 

Header Ad
Header Ad

যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!

তাপস, বুবলী। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতা ও বৈচিত্র্যময় উপস্থিতি দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ‘দেয়ালের দেশ’, ‘প্রহেলিকা’র মতো গল্পনির্ভর সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি কেবল বাণিজ্যিক ধারার নায়িকাই নন, বরং একজন পরিপূর্ণ অভিনয়শিল্পী। পাশাপাশি মডেলিংয়েও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি।

তবে সিনেমার বাইরেও এক সময় আলোচনায় আসে বুবলীর ব্যক্তিজীবন। গুঞ্জন ওঠে—গানবাংলা টিভির প্রধান নির্বাহী ও সংগীতব্যক্তিত্ব কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন বুবলী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও আলোচনা ছড়ায়।

সম্প্রতি উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি সাক্ষাৎকারে তাপসকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, বুবলীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর কারণ কী? উত্তরে তাপস বলেন, “প্রেমটাকে অস্বীকার না করে বরং কাজের প্রতি প্রেম বলা ভালো হবে। বুবলী একজন মেধাবী অভিনেত্রী, তার মধ্যে একটি ‘ম্যাজিক’ আছে, যা প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ করে। ভবিষ্যতেও তাকে নিয়ে কাজ করতে আমি আগ্রহী ও আনন্দিত থাকবো।”

তবে এই প্রেমের গুঞ্জনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “গানবাংলায় আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই নানা ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়ানো শুরু হয়। আমার কাজ বা সিনেমা আলোচনায় এলেই এসব নোংরামি শুরু হয়। আমি আমার কাজ আর পরিবার নিয়েই ব্যস্ত থাকি। তাপস ভাই ও মুন্নি ভাবির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক, সৌজন্যপূর্ণ এবং পেশাদার। আমাকে কোথাও বাজে আড্ডায় পাওয়া যাবে না।”

 

বুবলী, তাপস। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বুবলী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নতুন সিনেমা ও মডেলিং নিয়ে। অন্যদিকে, কিছুদিন ধরে গানবাংলা টিভির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়, দুই পক্ষই তাদের সম্পর্ককে কাজ ও পারস্পরিক সম্মানের জায়গায় রাখতেই সচেষ্ট। গুঞ্জনের বাইরে তারা একে অন্যের প্রতি পেশাদার শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির কথাই জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আগামী বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে অবহিত করেছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ টেলিফোনালাপে এ বিষয়টি উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মার্কো রুবিও বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কর্মসূচি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য ও রেমিট্যান্সের অন্যতম শীর্ষ উৎস, ফলে দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করা সময়ের দাবি।

দুই নেতার মধ্যে এই টেলিফোন আলোচনা চলে প্রায় ১৫ মিনিট। আলোচনায় উঠে আসে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট এবং নিরাপত্তা-সহ নানা বিষয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও নিশ্চিত করেছে, ফোনালাপে উভয় পক্ষ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন কমিশন বর্তমানে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে, যা আগের সরকার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে আমাদের অনেক তরুণই প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের আগে মার্কো রুবিওর বাংলাদেশ সফর তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্পষ্ট বার্তা পৌঁছাবে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে সফল বৈঠক করেছেন। দুই দেশই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী। এছাড়া পারস্পরিক শুল্ক ব্যবস্থা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

রোহিঙ্গা ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সর্ববৃহৎ দাতা হিসেবে কাজ করছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বাস্তব সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উজ্জ্বল।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফোনালাপের বিস্তারিত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।”

এই সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই দেশের গভীর সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

Header Ad
Header Ad

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিক ও উপস্থাপক সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। মঙ্গলবার (১ জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে এই দায়িত্ব পালন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন তিনি।

সামি জানান, তিনি নিজের উদ্যোগে নয়, বরং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আহ্বানে উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী পদ। কোনো সম্মানি বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয়, শুধুমাত্র ক্রিকেটের উন্নয়নে সহযোগিতার উদ্দেশ্যেই এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি বিশেষ গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। সামির ভাষায়, “সেদিনই (দায়িত্ব ঘোষণার দিন) থেকে একটা মহল আমার রেপুটেশন খারাপ করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। কেন, তা আমি জানি না। আমি তো প্রেসিডেন্টের চাওয়াতেই এসেছিলাম।”

 

সামি জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেন। অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল নিয়ে প্রথম বৈঠকে অংশ নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রস্তাব দেন—যেমন পেসার হান্ট প্রতিযোগিতা, প্যারেন্টাল কোচিং গাইডলাইন, শিশুদের জন্য টেস্ট ক্রিকেটভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি। পরবর্তীতে দেশের চারটি বিভাগে ঘুরে গিয়ে মাঠ পর্যায়ের সমস্যা চিহ্নিত করে তা বিসিবির বিভিন্ন বিভাগে জমাও দেন।

তবে মাঠপর্যায়ের কাজের পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সামি জানান, তার পেশা হচ্ছে কনটেন্ট তৈরি, আর সেটাই বিসিবি জানত। তবুও একটি গোষ্ঠী তার কাজকে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বলে প্রচার করতে থাকে। অথচ, তিনি নিজ খরচে ক্যামেরাম্যানসহ কনটেন্ট তৈরি করেছেন এবং এর জন্য বিসিবির কোনো অর্থও গ্রহণ করেননি।

এই বিতর্কে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নিজেই—এমন মন্তব্য করে সামি বলেন, “একটা সফল কার্যক্রমের দিনশেষে প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে হাসি উড়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র আমাকে ঘিরে গড়ে ওঠা একটি কৃত্রিম সংকট তাকে ডিস্ট্র্যাক্ট করছে।”

সামি আক্ষেপ করে লেখেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই, বড় ব্যবসায়ী নই, বড় কোনো ব্যাকআপও নেই। ডার্টি পলিটিক্স আমার কাজ না। আমি শুধু কাজটাই করতে পারি—রিসার্চ, হোমওয়ার্ক, ডে রিপোর্ট, মাঠপর্যায়ে ঘুরে ঘুরে সমস্যা চিহ্নিত করা, সমাধানের চেষ্টা করা।”

তিনি বলেন, তার এই কাজের মনোভাবই গত ১০ বছর যমুনা টেলিভিশনে স্থিতিশীল ক্যারিয়ারের পেছনে মূল কারণ। সব টিভি চ্যানেল তাকে স্পোর্টস প্রোগ্রামে রাখে তার হোমওয়ার্ক ও এফোর্টের কারণে।

 

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। ছবি: সংগৃহীত

নিজের সরে দাঁড়ানোর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে সামি দেখান বিসিবি সভাপতির স্বচ্ছ, দেশপ্রেমিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি না করাই। তিনি বলেন, “বুলবুল ভাই দেশের ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের সূচনা করেছেন। আমি থাকলে হয়তো উনার পথ আরো কঠিন হয়ে যাবে। আমি বিতর্কের কারণ হতে চাই না।”

ফেসবুক পোস্টের শেষাংশে সামি লেখেন, “একটা বাস্তবতার শিক্ষা আমার স্ত্রী আমাকে বারবার দিতেন—‘বাংলাদেশে শুধু মেধা বা ট্যালেন্ট দিয়েই সব হয় না।’ আজ আবার মনে হলো, Wife is always right।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!
আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস
বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ
বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল