রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

খেলাপি ঋণ রোধে শৃঙ্খলা ও সুশাসনের ঘাটতি আছে

যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটা স্বকীয়তা আছে, স্বাধীনতা আছে। তাদের কতগুলো বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হয়। মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান দায়িত্ব। এ কাজে সাধারণত অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করে না। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও দায়িত্বও তাই এবং এজন্য আইনিভাবে বাংলাদেশ ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া আছে। এটা ঠিক যে সব দেশের রাজনীতিবিদেরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পরামর্শ দেন, চাপও দিতে পারেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো, এর মধ্যে থেকেই যথাযথ কাজ করে যাওয়া। আমরা যারা বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বে ছিলাম, আমরাও সেভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। আমাদের সময়েও বিভিন্ন চাপ ছিল। তবে কৌশল করে চলতে হয়েছে।

এমনিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষতা নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। তবে এখন দেখছি, আর্থিক শৃঙ্খলার যে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিধিবিধান আছে, তা পরিপালন হচ্ছে না। যে নিয়মকানুন করা হচ্ছে, তা ভেবেচিন্তে করা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব বিবেচনায় এসব প্রজ্ঞাপন জারি করছে বলে মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশের যেকোনো খাতের চেয়ে আর্থিক খাতে কিছুটা শৃঙ্খলা বজায় ছিল। সবাই টের পেত বাংলাদেশ ব্যাংক বলে একটা প্রতিষ্ঠান আছে, ব্যাংকিং খাতে তাদের কিছু ভূমিকা আছে। কিন্তু দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য যে নিয়মকানুন ও আইন আছে, তা পরিপালনে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না।

আমাদের ব্যাংকিং খাতে অনেক সমস্যা আছে। সেটা খেলাপি ঋণ, শাসনব্যবস্থা ও আইন নিয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিজের দক্ষতা দিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেবে, প্রয়োজনে নিজেদের পরিচালনা পর্ষদে আলোচনা করবে। এরপর বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রভাব পর্যালোচনা করে সরকারকে নিজেদের মতামত জানাতে পারে। এরপর সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা ও সুশাসন ধরে রাখা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাজ। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হচ্ছে এসব ক্ষেত্রে কোনো বিচ্যুতি হলে তা শক্তভাবে ধরা। কিছু ঘটলে অতি দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া। অথচ দেখা যাচ্ছে, অনেক ঘটনা ধরা পড়েও পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ‘আমরা দেখছি।’ কিন্তু কী দেখছে? ব্যাংক তো অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো না। ব্যাংক তো গাড়ি, বাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান না। ব্যাংকগুলো চলে জনগণের টাকায়। তাই হঠাৎ করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেক পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। ব্যাংকের উপর জনগণের আস্থায় নড়চড় হলে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে।

নিজের স্বাধীনতা বাংলাদেশ ব্যাংককেই রক্ষা করতে হবে। বাইরের সিদ্ধান্ত যদি তারা মানতে না চায়, কেউ নিশ্চয়ই গিয়ে চাপ দেবে না। নিজে থেকে শক্ত হলে তাহলে তো কেউ ঢুকতে পারবে না। তা ছাড়া, বাইরের প্রভাব যদি কমানো না যায়, তাহলে ব্যাংক খাত কখনোই ভালো হবে না। ব্যাংক পরিচালকদের চাপে যে আইন পরিবর্তন হয়ে গেল, এটা একেবারেই ঠিক হয়নি। ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অনেক ঘাটতি আছে। আবার পরিচালকেরা অনেক সময় রাজনীতিকে ব্যাংকের পর্ষদে নিয়ে আনছেন, এটা একেবারেই ঠিক নয়। আর্থিক খাতে যখন কোনো সমস্যা হয়, তখন অন্য খাতে তা সংক্রামক ব্যধির মতো ছড়িয়ে পড়ে। যেমন সমস্যাগুলো সরকারি ব্যাংক থেকে বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। এরপর এসব সমস্যা অন্য খাতে চলে যাবে। সেটা উৎপাদনশীল খাতে গিয়ে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানেও বড় প্রভাব পড়বে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে অনেক সময় লাগবে।

১৯৩০ সালের মহামন্দায় উৎপাদনশীল খাতে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এ কারণে ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়েছিল। ২০০৮ সালে আর্থিক খাতের সংকট থেকে যে বৈশ্বিক মন্দার সৃষ্টি হয়, তার মূল কারণ হচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা। সে সংকট থেকে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং খাত এখনো বের হতে পারেনি। আমেরিকা কিছুটা পেরেছে। ফ্রান্স ও জার্মানি ছাড়া অন্য দেশের ব্যাংকগুলো এখনো ধুঁকছে। আমাদের এমন কিছু হলে আমরা উঠে দাঁড়াতে পারব না। সুতরাং যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে এর সমাধান করতে হবে।

সমস্যার কথা সবার জানা। এমনকি সমাধানও অজানা নয়। কিন্তু দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। এই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যতই ক্ষমতা দেওয়া হোক, কোনো লাভ হবে না। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই নীতিনির্ধারকদের থেকে ভালো নির্দেশনা আসবে। এর ফলে যারা কাজ করবেন, তারা সাহস পাবেন। এখন যেমন ভালো ব্যাংকার, ব্যবসায়ী সবাই চুপ হয়ে গেছেন। খারাপরা সামনে চলে এসেছেন। তাদের কেউ কিছু বলছেনও না।

ব্যাংকিং খাত ঠিক করতে অস্থায়ী ভিত্তিতে হলেও একটা ব্যাংক কমিশন করা যেতে পারে। স্থায়ী কমিশন হতে হবে, এমন নয়। অস্থায়ী কমিশন গঠন করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা প্রয়োজন। সময় এসেছে কমিশন গঠন করে সব নীতি পর্যালোচনা করার। দক্ষ ব্যক্তিরা বসে আলাপ–আলোচনা করে ঠিক করবেন নতুন কোনো নীতির প্রয়োজন আছে কি না বা ঠিক কী কী করতে হবে। এভাবে ব্যাংক খাতের সমস্যার একটা সমাধান হতে পারে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসএন

 

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন