মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আর্থিক খাতের সুশাসন

বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বৈদেশিক চ্যালেঞ্জ আছে। অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জগুলোও প্রতীয়মান হচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরেরও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাংকের একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। কারণ ব্যাংক হলো যেকোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল চালিকাশক্তি। সেটা সুস্থ থাকলে সব অর্থনৈতিক খাত সুস্থ থাকে। আর্থিক কর্মকাণ্ডগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। এই সময়ে আমরা যদি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও উজ্জীবিত করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে ব্যাংকিং সেক্টরের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

এখন যদি ব্যাংকিং সেক্টরে আমরা সুশাসন নিশ্চিত না করতে পারি, সংস্কার করে এটাকে আরো গতিশীল না করি, দক্ষতা বাড়াতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করি, তাহলে আমাদের অসুবিধা হবে। সুতরাং ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শক্তিশালী ব্যাংকব্যবস্থা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিচয় বহন করে। রুগ্ণ ও দুর্বল ব্যাংকব্যবস্থা দুর্বল অর্থনীতির প্রমাণ দেয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক বা ব্যাংকব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ধরে রাখা দরকার। আস্থা যদি নষ্ট হয়, তাহলে কিন্তু ব্যাংকিংয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অর্থনৈতিক অন্যান্য ব্যবস্থায় ধস নামবে।

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে যদি আমরা তিনটা পর্বে ভাগ করতে পারি-একটা পর্ব হলো ১৯৭২ থেকে ১৯৮০ সাল। দ্বিতীয় পর্ব হলো ১৯৮০ থেকে ২০০০ এবং তৃতীয় পর্ব হলো ২০০০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত। ১৯৭২ থেকে ১৯৮০-এই সময়ে সব ব্যাংক ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত। তখন তারা সীমাবদ্ধ ছিল সরকারের নির্দেশিত শর্তাবলি পালন করতে। ১৯৮০ সাল থেকে প্রাইভেট ব্যাংক কাজ শুরু করল। শিল্প, কৃষি ও ব্যবসার সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও প্রাইভেট ব্যাংকগুলো কাজ করে। আবার ২০০০ সাল থেকে এখন নানা রকম সংস্কার হচ্ছে। বিভিন্ন পর্বে নানা রকম সমস্যা ছিল। প্রতিটি সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রয়োজন সংস্কার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ ও সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে। সেখানে ব্যাংকগুলোর যথেষ্ট সহযোগিতা রয়েছে। ব্যাংকগুলো যথারীতি তাদের নিজস্ব কর্ম সঠিকভাবে পালন করেছে।

এখন বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়ে আছে। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে পরিচালনা ব্যবস্থাপনা সংকট এবং অনিয়ম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের সুশৃঙ্খলা, সুশাসন তেমনভাবে হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে কিন্তু খুব শক্তভাবে এগুলোর প্রতিকার করছে না। তারা যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটা দৃশ্যমান হচ্ছে না।

অনেক সময় অনিয়ম পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তের নামে দীর্ঘসূত্রতা করে অনেক কিছু দৃষ্টির আড়ালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সমস্যার সমাধান হয় না, এতে সমস্যা বাড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেখতে হবে, যেসব নিয়ম-নীতি আছে, ব্যাংকের আইন আছে, তার বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার আছে, সেগুলো কতটা মানা হচ্ছে। দেশের সাধারণ কতগুলো আইন আছে। আবার আন্তর্জাতিক কতগুলো মান আছে। এর বাইরে আবার বাংলাদেশের ভেতরে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট আছে। সব কিন্তু ব্যাংকিং, আর্থিক অবস্থা, ডিসক্লোজার, নানা খুঁটিনাটি বিষয় নির্দেশ করে। এগুলো আন্তর্জাতিক মানের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যাংকগুলো এসব পরিপালন করছে কি না। এগুলো পরিপালন করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথা, সেটা কি তারা নিচ্ছে? কোনো সমস্যা দেখা দিলে তারা কি দ্রুত যথাযথ সমাধান দিতে পারছে? এখন আইএমএফ এসেছে। তারা কিছু শর্ত দিয়েছে। সংস্কার করার কথা বলেছে। সংস্কারগুলো বেশির ভাগ ব্যাংকিং খাত নিয়ে। কর ব্যবস্থা কী করতে হবে, জ্বালানি খাতে কী করতে হবে-এসব বিষয়ে আইএমএফ কতগুলো পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটটাকে আরও সুশৃঙ্খল করার কথা বলা হয়েছে।

মোটাদাগে ব্যাংকিং খাত, পুঁজিবাজার ও আর্থিক সংস্থার উপর বেশি নজর দিতে হবে। এখন যদি আমরা সংস্কার না করি, মানুষের আস্থা কিন্তু কমে যাবে। এবং এই যে অর্থনৈতিক সংকট বা অর্থনৈতিক গতির যে মন্থরতা, এই সংকটের সময়ে আমাদের জনগণের বিশ্বাস, আস্থা এবং অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা পাওয়া দরকার। কিন্তু আস্থা না থাকলে জনগণের সহযোগিতা পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে ব্যাংকিং সেক্টরে এখন যারা আমানত রাখছে, তারা আমানত রাখবে না। একটা ব্যাংকে সমস্যা দেখা দিলে অন্য ব্যাংকেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে। যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, তাদেরও আস্থা থাকতে হবে। এই বিশ্বাস তৈরি করতে হবে যে যদি আমরা ঋণ পরিশোধ করি, তাহলে ব্যাংক আমাদের ঋণ দেবে। যারা খেলাপি, তাদের কথা আলাদা। তারা সুযোগ নেয় এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ করে। যারা দুর্নীতি বা নানা রকম বেআইনি কাজ করে তাদের কারণে ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসা এবং ভালো উদ্যোক্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অতএব সার্বিকভাবে শৃঙ্খলা আনতে হলে এখনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি বাড়াতে হবে।

আমরা দেখছি যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কিন্তু নানা রকম আর্থিক বিপর্যয় হচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধসে যাচ্ছে। ২০০৭-০৮ সালে আমরা দেখেছি যে যুক্তরাষ্ট্রে বহু ভালো বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বহু ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, মানে বিনিয়োগকারী ব্যাংকের পতন হয়েছে। মানে তারা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকের বেল আউট করতে সরকারি টাকা ইনভেস্ট করতে হয়েছে। একই ঘটনা ইউরোপে ঘটেছে, অন্যান্য দেশে ঘটেছে; কিন্তু আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ আমরা সেভাবে কোনো আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়িনি। এখন অনেক দিন পর সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বড় ব্যাংক একবারে বসে গেছে। তাদের আইন অনুযায়ী এদের দায়িত্বভার নিচ্ছে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)। এই দুটি ব্যাংক কতগুলো লেনদেন করছিল এবং আইটি ও অন্যান্য বড় খাতে ইনভেস্টমেন্টও করেছিল। অনেক ক্ষেত্রে তাদের ব্যাংকিং ছিল আগ্রাসী। দুটি কারণে তারা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। একটা হলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ঠিকভাবে করতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, তারা নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ভালোভাবে মনিটর করেনি বা তাদের তথ্য তারা ভালোভাবে পায়নি। অন্যদিকে বিনিয়োগ নেওয়া প্রতিষ্ঠানও কিন্তু অনেক সময় তথ্য লুকিয়ে রেখেছে বা তথ্য দেয়নি। ফলে ব্যাংকের ডিপোজিটে চাপ পড়েছে। বড় আমানতকারীরা টাকা তুলে নেওয়ায় ছোটখাটো আমানতকারীরাও টাকা উঠিয়ে নিয়ে যায়। তার মানে, এখানে ব্যাংকের উপর একটা আস্থা কমে গেছে।

এই দুটি ব্যাংক থেকে সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে আমাদের কিছু শেখার আছে। আমি মনে করি যে এই ব্যাংকগুলো নিয়ে প্রচারণা করার প্রয়োজন নেই। কারণ তাদের পরিস্থিতি আলাদা এবং ওই দুটি ব্যাংকের ইকোনমির ছোট অংশ তারা কাভার করে। এটার প্রভাব অন্য সেক্টরে পড়বে না। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় চাপ সৃষ্টি করবে না।
বাংলাদেশের মানুষ আবার অনেক সময় গুজবে বিশ্বাস করে। অন্যদের কথায় ভাবে যে আমাদের দু-একটা ব্যাংক খারাপ হয়ে যেতে পারে। মানে অন্য ব্যাংকের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে আগ্রাসী বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। কারণ, আমাদের অর্থনীতির তুলনায় ব্যাংক অনেক বেশি। মোটামুটি দু-একটা ব্যাংক যদি ঝামেলা করে এটা কিন্তু অন্যান্য ব্যাংকের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মানুষের আস্থায় টান পড়বে। এমনিতে মানুষ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে অনেকটা সংশয়ের মধ্যে আছে।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে নানা রকম অনিশ্চয়তা আছে, কোভিড আছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আছে। তারপর নিজস্ব এই সমস্যাগুলো যদি থাকে, তাহলে কিন্তু সামনের দিকে যেতে পারব না। আমাদের উন্নয়ন পিছিয়ে পড়বে। অতএব মানুষের আস্থা রাখতে হবে এবং দৃষ্টি থাকতে হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটা সুবিধা আছে, ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স আড়াই লাখ ডলার। আমাদের আড়াই কোটি টাকার মতো। বাংলাদেশের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স মাত্র দুই লাখ টাকা। যেটা বাংলাদেশ ব্যাংক ম্যানেজ করে। বাংলাদেশের লোক যখন জানবে, তাদের আড়াই কোটি আর আমাদের দুই লাখ টাকা, তাহলে তো সবাই ভয় পাবে। এখনই বাংলাদেশ ডিপোজিট ইনস্যুরেন্সের টাকা আরো বাড়াতে হবে। ডিপোজিটটা ইনস্যুরেন্স করার চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করা একটা ভালো দিক। এর আগে ডিপোজিট যেন বিপদে না পড়ে সে জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকের সুশাসন ঠিক করতে হবে। সরকারকে ব্যাংকিং খাতে হস্তক্ষেপ করতে হবে। প্রয়োজনবোধে ডিপোজিট ইনস্যুরেন্সের জন্য জামানতকারী স্বেচ্ছায় তাদের একটি অংশ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছে বিমা করার বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে।

আমাদের ছোট অনেক ব্যাংক আছে, যেগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। এগুলো উঠিয়ে আনা কষ্টকর হবে। সরকার যতই কনসেশন দিক, বাংলাদেশ ব্যাংক যতই তাদের উদ্ধার করে আনার চেষ্টা করুক, কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না। এখন সময় এসেছে ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনার। ছোটখাটো দু-একটা ব্যাংককে আরেকটা ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করে অথবা ভালো কিছু ফিন্যান্সিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে কিংবা বড় ব্যাংকের সঙ্গে যদি মার্জ করা হয়, তাহলে সমস্যা অনেক কমে যাবে। তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও সুপারভাইজ বা মনিটর করা সহজ হবে। শেষ কথা হচ্ছে, আমাদের আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা দরকার।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

Header Ad
Header Ad

যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!

তাপস, বুবলী। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতা ও বৈচিত্র্যময় উপস্থিতি দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ‘দেয়ালের দেশ’, ‘প্রহেলিকা’র মতো গল্পনির্ভর সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি কেবল বাণিজ্যিক ধারার নায়িকাই নন, বরং একজন পরিপূর্ণ অভিনয়শিল্পী। পাশাপাশি মডেলিংয়েও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি।

তবে সিনেমার বাইরেও এক সময় আলোচনায় আসে বুবলীর ব্যক্তিজীবন। গুঞ্জন ওঠে—গানবাংলা টিভির প্রধান নির্বাহী ও সংগীতব্যক্তিত্ব কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন বুবলী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও আলোচনা ছড়ায়।

সম্প্রতি উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি সাক্ষাৎকারে তাপসকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, বুবলীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর কারণ কী? উত্তরে তাপস বলেন, “প্রেমটাকে অস্বীকার না করে বরং কাজের প্রতি প্রেম বলা ভালো হবে। বুবলী একজন মেধাবী অভিনেত্রী, তার মধ্যে একটি ‘ম্যাজিক’ আছে, যা প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ করে। ভবিষ্যতেও তাকে নিয়ে কাজ করতে আমি আগ্রহী ও আনন্দিত থাকবো।”

তবে এই প্রেমের গুঞ্জনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “গানবাংলায় আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই নানা ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়ানো শুরু হয়। আমার কাজ বা সিনেমা আলোচনায় এলেই এসব নোংরামি শুরু হয়। আমি আমার কাজ আর পরিবার নিয়েই ব্যস্ত থাকি। তাপস ভাই ও মুন্নি ভাবির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক, সৌজন্যপূর্ণ এবং পেশাদার। আমাকে কোথাও বাজে আড্ডায় পাওয়া যাবে না।”

 

বুবলী, তাপস। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বুবলী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নতুন সিনেমা ও মডেলিং নিয়ে। অন্যদিকে, কিছুদিন ধরে গানবাংলা টিভির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়, দুই পক্ষই তাদের সম্পর্ককে কাজ ও পারস্পরিক সম্মানের জায়গায় রাখতেই সচেষ্ট। গুঞ্জনের বাইরে তারা একে অন্যের প্রতি পেশাদার শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির কথাই জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আগামী বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে অবহিত করেছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ টেলিফোনালাপে এ বিষয়টি উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মার্কো রুবিও বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কর্মসূচি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য ও রেমিট্যান্সের অন্যতম শীর্ষ উৎস, ফলে দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করা সময়ের দাবি।

দুই নেতার মধ্যে এই টেলিফোন আলোচনা চলে প্রায় ১৫ মিনিট। আলোচনায় উঠে আসে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট এবং নিরাপত্তা-সহ নানা বিষয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও নিশ্চিত করেছে, ফোনালাপে উভয় পক্ষ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন কমিশন বর্তমানে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে, যা আগের সরকার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে আমাদের অনেক তরুণই প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের আগে মার্কো রুবিওর বাংলাদেশ সফর তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্পষ্ট বার্তা পৌঁছাবে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে সফল বৈঠক করেছেন। দুই দেশই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী। এছাড়া পারস্পরিক শুল্ক ব্যবস্থা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

রোহিঙ্গা ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সর্ববৃহৎ দাতা হিসেবে কাজ করছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বাস্তব সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উজ্জ্বল।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফোনালাপের বিস্তারিত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।”

এই সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই দেশের গভীর সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

Header Ad
Header Ad

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিক ও উপস্থাপক সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। মঙ্গলবার (১ জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে এই দায়িত্ব পালন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন তিনি।

সামি জানান, তিনি নিজের উদ্যোগে নয়, বরং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আহ্বানে উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী পদ। কোনো সম্মানি বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয়, শুধুমাত্র ক্রিকেটের উন্নয়নে সহযোগিতার উদ্দেশ্যেই এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি বিশেষ গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। সামির ভাষায়, “সেদিনই (দায়িত্ব ঘোষণার দিন) থেকে একটা মহল আমার রেপুটেশন খারাপ করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। কেন, তা আমি জানি না। আমি তো প্রেসিডেন্টের চাওয়াতেই এসেছিলাম।”

 

সামি জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেন। অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল নিয়ে প্রথম বৈঠকে অংশ নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রস্তাব দেন—যেমন পেসার হান্ট প্রতিযোগিতা, প্যারেন্টাল কোচিং গাইডলাইন, শিশুদের জন্য টেস্ট ক্রিকেটভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি। পরবর্তীতে দেশের চারটি বিভাগে ঘুরে গিয়ে মাঠ পর্যায়ের সমস্যা চিহ্নিত করে তা বিসিবির বিভিন্ন বিভাগে জমাও দেন।

তবে মাঠপর্যায়ের কাজের পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সামি জানান, তার পেশা হচ্ছে কনটেন্ট তৈরি, আর সেটাই বিসিবি জানত। তবুও একটি গোষ্ঠী তার কাজকে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বলে প্রচার করতে থাকে। অথচ, তিনি নিজ খরচে ক্যামেরাম্যানসহ কনটেন্ট তৈরি করেছেন এবং এর জন্য বিসিবির কোনো অর্থও গ্রহণ করেননি।

এই বিতর্কে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নিজেই—এমন মন্তব্য করে সামি বলেন, “একটা সফল কার্যক্রমের দিনশেষে প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে হাসি উড়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র আমাকে ঘিরে গড়ে ওঠা একটি কৃত্রিম সংকট তাকে ডিস্ট্র্যাক্ট করছে।”

সামি আক্ষেপ করে লেখেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই, বড় ব্যবসায়ী নই, বড় কোনো ব্যাকআপও নেই। ডার্টি পলিটিক্স আমার কাজ না। আমি শুধু কাজটাই করতে পারি—রিসার্চ, হোমওয়ার্ক, ডে রিপোর্ট, মাঠপর্যায়ে ঘুরে ঘুরে সমস্যা চিহ্নিত করা, সমাধানের চেষ্টা করা।”

তিনি বলেন, তার এই কাজের মনোভাবই গত ১০ বছর যমুনা টেলিভিশনে স্থিতিশীল ক্যারিয়ারের পেছনে মূল কারণ। সব টিভি চ্যানেল তাকে স্পোর্টস প্রোগ্রামে রাখে তার হোমওয়ার্ক ও এফোর্টের কারণে।

 

বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। ছবি: সংগৃহীত

নিজের সরে দাঁড়ানোর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে সামি দেখান বিসিবি সভাপতির স্বচ্ছ, দেশপ্রেমিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি না করাই। তিনি বলেন, “বুলবুল ভাই দেশের ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের সূচনা করেছেন। আমি থাকলে হয়তো উনার পথ আরো কঠিন হয়ে যাবে। আমি বিতর্কের কারণ হতে চাই না।”

ফেসবুক পোস্টের শেষাংশে সামি লেখেন, “একটা বাস্তবতার শিক্ষা আমার স্ত্রী আমাকে বারবার দিতেন—‘বাংলাদেশে শুধু মেধা বা ট্যালেন্ট দিয়েই সব হয় না।’ আজ আবার মনে হলো, Wife is always right।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!
আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস
বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ
বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল