সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে বিজ্ঞান ও তারুণ্য মেলার উদ্বোধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

“জ্ঞান-বিজ্ঞানে করবো জয়, সেরা হবো বিশ্বময়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বিরামপুর উপজেলা পরিষদের মুক্ত মঞ্চ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনের সভাপতিত্বে এবং একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিয়া নওরিন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল কুমার চক্রবর্তী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায়, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অদ্বৈত কুমার, বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী, কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলাম, বিরামপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক শাহ্ আলম মণ্ডল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সুধীজনসহ আরও অনেকে।

বিজ্ঞান মেলায় উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৭টি স্টল তাদের উদ্ভাবনী বিষয়গুলো নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবনী বিষয়গুলো পরিদর্শন করেন।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার যোগসাজসে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার যোগসাজসে বাংলাদেশের সীমান্তের ১৬০টি জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক দোয়া মাহফিলে সীমান্তে ভারতীদের অপকর্মের কথা তুলে ধরতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী রিকসা ভ্যান-অটো রিকশাচালক শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আশু রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিল হয়।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যেভাবে ভারতকে সুবিধা দিয়েছে, সেই সুবিধার কারণে অসম যে কাজগুলো যেটা দুইটি স্বাধীন দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে করা যায়, সেটা না করে জোর করে কাঁটাতারের বেড়া লাগিয়েছে। আপনাদেরকে আমরা বলে রাখি যে, ১৬০টি জায়গায় শেখ হাসিনার শুধুমাত্র সুবিধা দেওয়ার কারণে আমাদের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত।

তিনি বলেন, আমাদের যে সীমান্ত চার হাজার ৬০০ কিলোমিটার, তার মধ্যে তিন হাজারের বেশি কিলোমিটার জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। ৮৫৬ থেকে ৮৫৭ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া বাকি আছে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক যে নিয়ম-বিধি-বিধান এবং দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে, আলাপ-আলোচনা হয়েছে, সেটাও মানছে না ভারত। শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজ সীমানার মধ্যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা হবে না। হতে গেলেও দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে হবে, সেটাও না মেনে তারা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে লারমনিরহাটসহ বিভিন্ন জায়গায়।

রিজভী বলেন, ‘এর জন্য যে জনগণ দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীর প্রতিরোধের সঙ্গে, এই দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার আমলে শেখ হাসিনা করতে দেয়নি। ফ্যাসিজম দিয়ে, তার নির্দয়তা দিয়ে, তার নির্মমতা দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতের সেবাদাস হয়ে কাজ করেছেন। উনি একটা কথা বলতেন, নিজের দলের লোকদেরও বলেছেন, যে আমার দলের লোকদের মধ্যে অনেককে কেনা যায় কিন্তু শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না। আরে আপনাকে তো সবার আগে কেনা যায়… ভারত আপনাকে সবার আগে কিনেছে… কেনার কারণে আপনার নিজের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গৌরবকে আপনি পদদলিত করে আপনি ভারতকে অসম কাজ করার সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী রিকসা ভ্যান-অটো রিকশাচালক শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আশু রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিল হয়।

Header Ad
Header Ad

ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেই আসছে পেঁয়াজ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৫ লাখ টন হলেও যথাযথ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অভাবে ২০-২৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দেশীয় উৎপাদন চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়। এতদিন পেঁয়াজ আমদানির নির্ভরযোগ্য উৎস ছিল ভারত।

তবে রফতানি নিষেধাজ্ঞা এবং সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপড়েনের কারণে বিকল্প উৎস খুঁজছেন ব্যবসায়ীরা। গত ছয় মাসে ভারত ব্যতীত আমদানি হওয়া পেঁয়াজের ৪৭ শতাংশই এসেছে পাকিস্তান থেকে।

২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, মিসর, চীন, মিয়ানমারসহ আটটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য, কারণ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় দেশটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প উৎসে পরিণত হয়েছে। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে জুলাইয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ টন এবং সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৩৩৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

দেশীয় বাজারে বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫৫-৬০ টাকা এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে রফতানিমূল্য বাড়ানোর কারণে বিকল্প দেশগুলোর প্রতি ঝোঁক বেড়েছে।

বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে ভারত থেকে আমদানি কমে গেলে পাকিস্তান, মিসরসহ বিকল্প উৎসগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। পেঁয়াজের মতো পচনশীল পণ্যের সহজ পরিবহনের কারণে ব্যবসায়ীরা সীমান্তবর্তী দেশগুলোর ওপরই বেশি নির্ভরশীল থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে বিজ্ঞান ও তারুণ্য মেলার উদ্বোধন
শেখ হাসিনার যোগসাজসে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত: রিজভী
ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেই আসছে পেঁয়াজ
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী
ভ্যাট বাড়ানোর কারণ জানালেন খাদ্য উপদেষ্টা
মাহফিলে ‘তুমি’ সম্বোধন করা নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন আজহারী
ঝগড়ায় ভালোবাসা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, বলছে গবেষণা
শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে
রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্ন, এক ডলারে ৮৬ রুপি
যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি, বিএনপির দুঃখ প্রকাশ
নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর
রাজনৈতিক চাপের মুখে বিএমডিএ, নিয়োগ বাতিল হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কর্মচারীর!
সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের বর্বরতা, ১ দশকে নিহত ২৮৯ বাংলাদেশি
১০ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
সায়ান এফ রহমান ব্রিটিশ রাজার দাতব্য সংস্থায় ‘আড়াই লাখ পাউন্ড’ দান করেন  
জবির গেটে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা
বাবা হারালেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী
অতিবৃষ্টিতে সবুজ হচ্ছে সৌদির মরুভূমি, যা কেয়ামতের আলামত
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়: ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত