অর্থনীতি
স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরিতে বেড়েছে ৬ হাজার ৯০৫ টাকা
দেশের বাজারে আবারও রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। সব রেকর্ড ভেঙে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিপ্রতি নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকা, যা এতদিন ছিল ২ লাখ ২ হাজার ১৯৫ টাকা। অর্থাৎ ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৬ হাজার ৯০৫ টাকা। দেশের ইতিহাসে এত বড় বৃদ্ধি এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কিছুটা কমলেও স্থানীয় বাজারে চাহিদা ও উৎপাদন ব্যয়ের পরিবর্তন বিবেচনা করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এ সমন্বয় আনা হয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী—
২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি: ২,০৯,১০০ টাকা
২১ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি: ১,৯৯,০০৪ টাকা
১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি: ১,৭১,৪৩০ টাকা
সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের ভরি: ১,৪৩,৪৭২ টাকা
একইসঙ্গে রুপার দামেও এসেছে ঊর্ধ্বগতি। ২২ ক্যারেট রুপার ভরি এখন ৪,৯৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৪,৬৫৮ টাকা। অর্থাৎ ভরিপ্রতি রুপার দাম বেড়েছে ৩২২ টাকা।
নতুন দরের তালিকা অনুযায়ী—
২১ ক্যারেট রুপার ভরি: ৪,৪৪৫ টাকা
১৮ ক্যারেট রুপার ভরি: ৩,৮০৫ টাকা
সনাতন পদ্ধতির রুপার ভরি: ২,৮৫৮ টাকা
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে ওঠানামা এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে দেশীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। ফলে বাজুসকে ঘন ঘন দাম সমন্বয়ের পথে হাঁটতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি ও আমদানি ব্যয়ের চাপের কারণে ক্রেতা পর্যায়ে স্বর্ণের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলেও বিয়ের মৌসুমকে সামনে রেখে বাজারে চাহিদা কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
বর্তমান দামে স্বর্ণ কিনতে সাধারণ মানুষের আগ্রহ কমলেও বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের আকর্ষণ আগের মতোই অটুট রয়েছে। তারা মনে করছেন, ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত থাকতে পারে।