রাজনীতি

বিকালে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া


নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ :৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১১:১৭ পিএম

বিকালে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
ফাইল ফটো

বিএন‌পি চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসাধীন। এখন শারী‌রিকভা‌বে সুস্থ হ‌য়ে উঠছেন। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়া‌রি ) বিকা‌ল ৪টার দি‌কে তি‌নি হাসপাতাল থে‌কে গুলশা‌নের বাসভবন ফি‌রোজায় যাবেন বলে জানা গেছে। এভার‌কেয়ার হাসপাতা‌লের এক‌টি নির্ভরশীল সূত্র ঢাকাপ্রকাশ‌কে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষ‌য়ে খা‌লেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শায়রুল ক‌বির ঢাকাপ্রকাশ‌কে ব‌লেন, ‘আজ সন্ধ্যার দি‌কে সা‌বেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএন‌পি চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া‌কে হাসপাতাল থে‌কে বাসায় নি‌য়ে আসার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে।’

গত ১৩ ন‌ভেম্বর থে‌কে খালেদা জিয়া এভার‌কেয়ার হাসপাতা‌লের কখনো আইসিইউতে, সি‌সিইউতে আবার কখনো কে‌বিনে ভ‌র্তি থেকেছেন।

রোববার (৩০ জানুয়া‌রি) দুপু‌রে খা‌লেদা জিয়ার চি‌কিৎসা বো‌র্ডের সদস্য ও বিএন‌পির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জা‌হিদ হো‌সেন ঢাকাপ্রকাশকে জা‌নি‌য়ে‌ছি‌লেন, ‘করোনাভাইরাস ঝুঁকির মধ্যে খালেদা জিয়ার জন্য হাসপাতালে চি‌কিৎসাধীন থাকাটা নিরাপদ। তি‌নি এখ‌নো অসুস্থ, হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসাধীন। সুস্থ হ‌লে ত‌বেই বাসায় ফির‌বেন। প্রতিনিয়ত চিকিৎসার পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। যখন যে উপসর্গ বাড়ে তার চিকিৎসা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, শারীরিক অবস্থা ভালো হলে মেডিকেল বোর্ড উনাকে হাসপাতালে থাকতে বলতেন না। উনারা মনে করেছেন, বাসা থেকে হাসপাতাল ‘বেটার’। তাই হাসপাতালে রেখেছেন। আর তারা যখন সিদ্ধান্ত দিবেন তখনি বাসায় ফিরে যাবেন।

গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিনই লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুতই করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) তে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ৯ জানুয়ারি (রোববার) রাতে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে খালেদা জিয়ার বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে–আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ব্লাড-সুগার, সোডিয়াম, হিমোগ্রোবিন, স্টুল, ইউরিন ও করোনাভাইরাস।

গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া দরকার। তবে সরকার এবং আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।

এমএইচ/এসএ/