ঢাকাপ্রকাশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন।
ফাইল ছবি
ঢাকাপ্রকাশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন।
ফাইল ছবি
ঢাকাপ্রকাশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন।
সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডকে ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ইস্যু করা চেক বাউন্স করায় ব্যাংকটি এই আইনি পদক্ষেপ নেয়।
আইনি নোটিশে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সমগ্র ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে বিষয়টি গত সপ্তাহে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়। জানা যায়, ২০১৭ সালে ব্যবসার মূলধন হিসেবে প্রথমে ১ কোটি এবং পরে আরও দেড় কোটি টাকা ঋণ নেয় সাকিবের প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে এ ঋণ মেয়াদী ঋণ সুবিধায় রূপান্তর করা হয় এবং ঋণের পরিমাণ ২ কোটি ৪২ লাখ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
২০২৩ সালে ঋণটির পরিমাণ ৯৫ লাখ টাকায় পুনর্গঠন করা হয়। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাগ্রো ফার্ম দুটি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার দুটি চেক ইস্যু করে। তবে, গত ২০ অক্টোবর উভয় চেক বাউন্স করে, কারণ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সাকিব পুরো আর্থিক সুবিধাটি গ্রহণ করলেও ঋণ অনুমোদনের চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে সুদসহ বকেয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংক দাবি করেছে, সাকিব ইচ্ছাকৃতভাবে ও অসৎ উদ্দেশ্যে চেকগুলো ইস্যু করেছেন, যা দায়িত্বশীলতার লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধের শামিল। তাছাড়া পর্যাপ্ত তহবিল ছাড়া চেক ইস্যু করা একটি বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন।
এ বিষয়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মুস্তাকের প্রতিক্রিয়াও এ বিষয়ে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাকিব তার সংসদ সদস্য পদ হারান এবং দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার মূল্য নিয়ে কারসাজি করার অভিযোগে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
আইএফআইসি ব্যাংকের দেয়া এ আইনি নোটিশ সাকিবের জন্য নতুন একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা তার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় গোষ্ঠী আদানি পাওয়ারের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রবিবার সন্ধ্যায় ফরেস সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রেমিট্যান্সের গতি বেড়েছে। ফলে এখন সেন্ট্রাল রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছি। ভারতের আদানি গ্রুপের বকেয়া পরিশোধের গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেই সক্ষমতা সরকারের আছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানি গ্রুপ অর্থ পায়, তা সত্য। তাদের অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। যে ব্যাকলগ (পূর্বের বিল) আছে, তার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল ফাইল অব ব্যাকলগ রেখে গিয়েছিল।
প্রেস সচিব বলেন, আদানি গ্রুপকে গত মাসে আমরা ৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি, যা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো রিজার্ভে হাত না দিয়েই করতে পারছি। ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাকি আছে। তাও দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে পারব।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বছরে ১৬-১৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছিল, টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারে অর্থ পাচারের এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই অর্থ ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। কত অর্থ পাচার হয়েছে, তা বের করতে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।
আসিয়ান সদস্যপদ পেতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চান ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্যপদে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিকে বাংলাদেশিদের ব্যবসার জন্য আরও সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো তেজগাঁওস্থ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘আমি আশা করি ইন্দোনেশিয়া আমাদের আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে সাহায্য করবে। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে আরও জানান, তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আগামী জানুয়ারিতে মালেশিয়া আসিয়ানের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে।
রাষ্ট্রদূত সুবোলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থন জানান।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া আসিয়ান সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আবেদন নিবিড়ভাবে অনুসরণ করবে।
‘ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি এটি উভয় দেশের জন্য উপকারী হবে,’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ক্ষুদ্রঋণ প্রচারের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় তার একাধিক সফরের কথা স্মরণ করেন। তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসার খুব কম উপস্থিতি দেখেছেন বলেন জানান।
‘একটা বিষয় সবসময় অনুশোচনার যে, ইন্দোনেশিয়ায় খুব বেশি বাংলাদেশি নেই। বাংলাদেশিরা সর্বত্র আছে কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় নেই,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া বৃহত্তম মুসলিম দেশ। কিন্তু সে দেশের মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন জানেন না। আমরা খুব বেশি যোগাযোগ করছি না। আমাদের কাছাকাছি আসার জন্য অবশ্যই একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি ইন্দোনেশিয়াকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিসহ বাংলাদেশি চিকিৎসক নিয়োগ এবং বাংলাদেশ থেকে ওষুধপত্র আমদানি করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত সুবোলো বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মাতারবাড়ি এবং অন্যান্য এলাকায় সোলার পিভি বিনিয়োগ প্রকল্পের বিষয়ে পারটামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়া এবং কোল জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ানতোকে তার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।