শিশুদের মেজাজের উপর ভিত্তি করে আচরণের বৈচিত্রতা

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:৩৭ এএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০১ এএম


শিশুদের মেজাজের উপর ভিত্তি করে আচরণের বৈচিত্রতা

বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাচ্চা জন্মের পর বাচ্চার আচরণের ধরন অনুযায়ী পরিবর্তনগুলো বাবা-মাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন করে ফেলে। বিশেষ করে নতুন বাবা-মা যারা হয়েছেন তারা বাচ্চাদের আচরণগত পরিবর্তনসমূহ বুঝতে পারেন না।

প্রতিটি শিশু তাদের নিজস্ব আচরণগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে। যা সে তাদের জন্মের পর নানা রকম মেজাজের উপর ভিত্তি করে আচরণ সমূহ প্রকাশ করে থাকে। বাচ্চাদের জন্মগত মেজাজের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে শিশুদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

কঠিন প্রকৃতির শিশু : এসব শিশুদের ঘুম,খাওয়া-দাওয়া, প্রস্রাব অন পায়খানা অনিয়মিত হয়। এরা অল্পতেই কান্নাকাটি করে এবং সহজে কান্না থামানো যায় না।

সহজ প্রকৃতির শিশু : এসব শিশুদের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, প্রস্রাব পায়খানা নিয়মের মধ্যে থাক। এরা নমনীয় প্রকৃতির হয় যা তাদের যেকোনো নতুন পরিবেশে বা পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। এই শ্রেনীর শিশুরা সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে, সহজে ওদের কান্না শান্ত করা যায়।

মিশ্র প্রকৃতির শিশু : এ শ্রেণীর শিশুদের সাধারণত কঠিন প্রকৃতি ও সহজ প্রকৃতির শিশুর বৈশিষ্ট্য গুলোর মিশ্র অবস্থায় থাকে।

সাধারণত মা এবং শিশুদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া না হলে শিশুর গঠন এবং আচরনে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেক বাবা-মা নিজেদের অবস্থান থেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। শিশুকে ঘুম পাড়ানো থেকে শুরু করে খাওয়ানো কান্না থামিয়ে শান্ত করানো ইত্যাদি নিয়মিত কাজে সমস্যা হলে বাবা-মা নিজেদেরকে দায়ী করে থাকেন এবং অনুশোচনায় ভোগেন। তাই প্রথমেই যদি বোঝা যায় আপনার শিশুটির কোন প্রকৃতির সেক্ষেত্রে শিশুর লালন পালন সহজ হয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রথমেই বোঝার চেষ্টা করতে হবে শিশুটি কঠিন মেজাজের কিনা।
বেশিরভাগ কঠিন প্রকৃতির শিশু পরবর্তীতে নানা রকম মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

একটি শিশুর আচরণ গড়ে ওঠে তার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে। যা শিশুর নিজস্ব মেজাজ এবং আচরণ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিহেভিয়ার অ্যাপ্রোচে দেখা যায় যে, শিশুদের ভালো এবং খারাপ ব্যবহার পরিবর্তন করা যায় বিহেভিয়ার মেথড ব্যবহার কর। দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন বিহেভিয়ার মেথড ব্যবহার করে শিশুদের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহার ৫০℅ থেকে ৯০% কমানো সম্ভব হয়েছে।

 

লেখক: বয়স্ক ও শিশু মনরোগ বিশেষজ্ঞ


বিভাগ : স্বাস্থ্য



মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৮ এএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৮ এএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

অনুসরণ করুন