মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মার্কিন গাড়ি আমদানিতে ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা কানাডার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

শুল্ক আরোপ ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে তার নতুন শুল্ক নীতি। এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা নির্দিষ্ট কিছু গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে কানাডা।

প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেছেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সমস্ত যানবাহনের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা CUSMA (যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) মেনে চলে না।"

এর আগে, বুধবার ট্রাম্পের ঘোষিত বৈশ্বিক শুল্ক নীতির আওতায় কানাডা অব্যাহতি পেয়েছিল। তবে নতুন নীতির ফলে মোটরগাড়ি শিল্প, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামসহ অন্যান্য পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এবার পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা।

ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে ভেঙে ফেলবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপিত বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছিল, যার এখন অবসান ঘটছে।"

তিনি আরও বলেন, "৮০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনৈতিক নেতৃত্ব ধরে রেখেছিল, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু এই শুল্ক নীতির মাধ্যমে সেই অধ্যায় শেষ হচ্ছে।"

এদিকে, শুল্ক ইস্যুতে গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কার্নি। আলোচনায় তারা আগামী ২৮ এপ্রিল কানাডার নির্বাচনের পর ওয়াশিংটনে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকে বসার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

কাতারের বিমান উপহার প্রস্তাব ‘ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ’: ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের রাজপরিবারের উপহার প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, কাতারের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের জন্য একটি বিলাসবহুল জাম্বো বিমান উপহার দেয়ার প্রস্তাব ছিল শুধুমাত্র ‘আন্তরিকতা এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।’

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, বোয়িং নির্মিত পরবর্তী প্রজন্মের এয়ার ফোর্স ওয়ান তৈরি বিলম্বের মুখে পড়ায় কাতার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। কাতার চেয়েছে যেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালনে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।

তবে এই বিমান উপহার প্রসঙ্গটি সামনে আসতেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সমালোচকদের দাবি, বিদেশি সরকারের কাছ থেকে এমন উপহার গ্রহণ করা অনৈতিক এবং সম্ভবত অসাংবিধানিক।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর ও সিনেটের সংখ্যালঘু নেতার দায়িত্ব পালনকারী চাক শুমার এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে পোস্টে লেখেন, “কাতারের সৌজন্যে প্রাপ্ত এয়ার ফোর্স ওয়ান-এর মতো কিছুই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে বেমানান হতে পারে না।”

এই বিতর্কের জবাবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, “বিদেশি কোনো সরকার যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উপহার দিতে চায়, তাহলে তা সর্বদা প্রযোজ্য আইন অনুসারে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের মাধ্যমেই গ্রহণ করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসন স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

উল্লেখ্য, মার্কিন ফেডারেল আইন অনুযায়ী, বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া উপহার সরাসরি গ্রহণ করা আইনসিদ্ধ নয়। এ বিষয়ে পার্লামেন্টীয় কমিটির অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় নথিভুক্তি আবশ্যক।

এই ঘটনাটি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও তার নেতৃত্বের মূল্যায়নে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র: আল জাজিরা

Header Ad
Header Ad

মিয়ানমারে স্কুলে জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ২০

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী সোমবার দেশটির সাগাইং অঞ্চলের দেপেইন শহরে একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে অন্তত ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ছায়া সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (এনইউজি)। এই মর্মান্তিক হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ২০ জন।

ঘটনাস্থল দেপেইন শহরটি বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি এলাকা, যা সম্প্রতি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি।

এনইউজির মুখপাত্র নে ফোন লাত জানান, “রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে এবং ২০ জন আহত হয়েছে। স্কুল ভবনটি বিমান হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”

রয়টার্সের পক্ষ থেকে জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক সহিংসতা ও দমন-পীড়নের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। জান্তা সরকার বিরোধীদের দমন ও জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং এনইউজি-সমর্থিত প্রতিরোধ আন্দোলন দমনে আক্রমণাত্মক অবস্থান গ্রহণ করেছে। তবে বর্তমানে তারা নানা এলাকায় প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সামনে পিছিয়ে পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই সাম্প্রতিক হামলা মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের ভয়াবহতা এবং বেসামরিক নাগরিক, বিশেষত শিশুদের ওপর এর করুণ প্রভাব আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

সূত্র: রয়টার্স

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম

সাবেক এমপি মমতাজ বেগম। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সোমবার দিবাগত রাতের দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, ডিবির একটি দল ধানমন্ডি থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিংবা গ্রেপ্তারের পেছনে কী কারণ রয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, মমতাজ বেগম একজন খ্যাতিমান লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন এবং একাধিকবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নতুন এই গ্রেপ্তারের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কাতারের বিমান উপহার প্রস্তাব ‘ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ’: ডোনাল্ড ট্রাম্প
মিয়ানমারে স্কুলে জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ২০
রাজধানীতে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ
জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: নির্বাচন কমিশন
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের হেড কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি
৮৪ বছর পর নাৎসি ইতিহাসের গোপন দলিল মিলল আর্জেন্টিনায়
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড, বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবে না: এ্যানি চৌধুরী
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর রিশাদকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক পলাতক
কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারতই করেছে, পাকিস্তান করেনি’
টাঙ্গাইলে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ দলের নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইট
চুয়াডাঙ্গায় কমেছে তাপমাত্রা, স্বস্তিতে জনজীবন
বুর্জ খলিফায় বেনজীরে স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি