
'দুঃখজনক হলেও সত্য সংসদ ভবন অঙ্গনে স্বাধীনতাবিরোধীর কবর আছে'
২৬ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩০ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:২২ এএম

বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা, মহিয়সী বীরাঙ্গনা মা-বোনসহ অগণিত মানুষের অসামান্য আত্মত্যাগ ও ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের সোনার বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অমূল্য সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য রক্ষার নিরিখে বর্তমানে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম এক সংগঠন 'রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ৭১'। বিশেষ এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংগঠনটির মূল আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী সংগঠনটির কাঠামো, আদর্শ ও পরিকল্পনার বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক আলোকপাত করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শোনার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। যা তাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে।
প্রশ্ন: আপনারা কবে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেই প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করবেন কী?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণভাবে ভুলুণ্ঠিত হয়। দেশ ফিরে যায় পাকিস্তানি ভাবধারায়। আমাদের একটা দীর্ঘ দুঃসময় গেছে যখন আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া ছিল দুঃসাধ্য। সেই অবস্থা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ও সেই মর্মে দেশের ইতিহাসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে আসছেন।
করোনা মহামারিকালে আমিসহ কয়েকজন সহযোদ্ধা হাতিয়া বিএলএফ কমান্ডার রফিকুল আলম, নৌ কমান্ডো মোশাররফ হোসেন, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের আবদুল হালিম খান, যুদ্ধাহত আবদুর রাজ্জাক, ফেনীর রফিকুল আলম একটি সংগঠন শুরুর পরিকল্পনা করি। গত ২২ জানুয়ারি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে করোনা মহামারির মধ্যে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে সংগঠনের খসড়া ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করি।
ঘোষণাপত্রে সংগঠনের আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়। ঘোষণাপত্রের আলোচনায় অনেক সহযোদ্ধা অংশ নেন এবং তাদের মূল্যবান পরামর্শ তুলে ধরেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, করোনা মহামারি সহনীয় পর্যায়ে আসলে ও রমজানের পর বড় আকারে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় সাধারণ সভায় সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়া পর্যন্ত রাজজাকুল হায়দার চৌধুরীকে আহ্বায়ক, মোশাররফ হোসেন ও আবদুল হালিম খানকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শামসুল আলম শামসকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কবি জাহিদুল হক, প্রবীণ সাংবাদিক শামীম আক্তার চৌধুরী।
প্রশ্ন: আপনাদের সংগঠনের মাসিক ও সাপ্তাহিক কোনো আয়োজন বিষয়ক পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিবেন কী?
উত্তর: আমাদের এই সংগঠন শুরুর পর থেকে আমরা প্রতিমাসে আলোচনা সভা আয়োজনের চেষ্টা করছি। যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক বিষয়গুলো আলোচিত হয়।
প্রশ্ন: আপনারা সংগঠনটি পরিচালনা করতে কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন?
উত্তর: স্বাভাবিকভাবেই একটা সংগঠন পরিচালনা করা খুব সহজ নয়। বিশেষ করে তা কিছুটা কঠিন হয় প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। আমরা অনেকেই বয়সের ভারে বেশ ন্যুব্জ। ইতোমধ্যে অনেক সহযোদ্ধা মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে অনেকেই চলাচল শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তবে এই সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি সভায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতি দেশপ্রেমের বিশুদ্ধ আদর্শে লালিত আশাব্যঞ্জক দিকগুলো তুলে ধরে।
প্রশ্ন: বর্তমানে আপনাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বিষয়ে কিছু বলবেন কী?
আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর দর্শন, প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া। আমরা ইতোমধ্যে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্বলিত গল্প বলা শুরু করেছি। এটাকে দেশব্যাপী বিস্তৃত করার কাজ শুরু হয়েছে। আর আমরা সহযোদ্ধারা অবিরতভাবে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব। দেশব্যাপী অনেক মুক্তিযোদ্ধার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসন সংক্রান্ত বাস্তবভিত্তিক অনেক কাজ অপূর্ণ আছে।
প্রশ্ন: আপনাদের সাংগঠনিক-অর্থনৈতিক দিকগুলো কীভাবে পরিচালিত হয়? আপনাদের সদস্য কত? মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া স্কল মুক্তিযোদ্ধা কি এতে অংশ নিতে পারেন?
উত্তর: আমাদের সকল সদস্যদের ব্যক্তিগত অবদানের মাধ্যমে এই সংগঠনের বিভিন্ন ব্যয়ভার পরিচালিত হয়। বর্তমানে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ২০০। সদস্যদের জন্য একটি অন্যতম শর্ত হলো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী এবং বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ। অন্যথায় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হলেও আমাদের সদস্য হতে পারবেন না।
আলোচনার শেষপর্যায়ে রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী বেশ দুঃখ মিশ্রিত স্বরে বলেন, 'একটি দুঃখজনক হলেও সত্য দিক হলো আমাদের জাতীয় সংসদ ভবন অঙ্গনে কয়েকজন বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী নেতার কবর আছে। আন্তর্জাতিক স্থপতি লুই কানের নকশা অনুযায়ী সংসদ ভবন অঙ্গনে কোনো কবর থাকার প্রশ্নই উঠে না, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের করব তো নয়ই। এসব কবর সরানোর জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধা, নতুন প্রজন্ম ও প্রগতিশীল শক্তিকে এক করে একটা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলব।
মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন, যাদের অসামান্য ও রক্তক্ষয়ী আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের সোনার বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ চিত্র, আমাদের স্বাধীনতা। তাদের সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম সংগঠন 'রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা ৭১' বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস বিনির্মাণে আগামীর সফল অগ্রযাত্রায় আমার আন্তরিক শুভকামনা।'
এসজি

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।