বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘বর্তমান পরিস্থিতি অতিক্রম করে পূর্বের অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করছি’

ড. ফা হ আনসারী। দেশের বৃহত্তম করপোরেট প্রতিষ্ঠান এসিআই (অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ) শিল্প গ্রুপের এসিআই মোটরস লিমিটেড, এসিআই এগ্রোলিংক, প্রিমিয়ারফ্লেক্স প্লাস্টিকস ও এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সুইজারল্যান্ডের কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিনজেনটায় চাকরি শুরু করে ৩৮ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছেন তিনি।

কৃষি সেক্টর কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, কৃষি শিল্পের রূপান্তর, কৃষিতে এসিআই কী অবদান রাখছে? ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন ফা হ আনসারী। গত রবিবার (২৮ আগস্ট) এসিআই এর তেজগাঁও অফিসে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর সিনিয়র রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম।

ঢাকাপ্রকাশ: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি আপনাদের ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে?

ফা হ আনসারী: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে দেশেও পেট্রোল, ডিজেলের দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে কারখানা চালাতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। কারণ ডিজেল দিয়ে কারখানা চালাতে হচ্ছে। ধানের দাম বৃদ্ধির কারণে চালের দাম বেড়ে গেছে। আমদানি খরচ বেড়েছে, উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। ধান ও গমের কারণে চাল, আটার দামও বেড়ে গেছে। তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয়ও বেড়ে গেছে। সামগ্রিকভাবে দেশে সব জায়গায় প্রায় সব জিনিসের দাম বেড়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়ে একই অবস্থা। প্রায় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তাই আমাদের পণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে। সর্বসাকুল্যে যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে তাতে আমাদের ব্যবসাকে হার্ড করছে। তার মানে এই নয় যে, আমাদের ব্যবসা কমে গেছে। বরং আমাদের ব্যবসা বেড়েছে। তবে লাভটা কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ভয় পাই না। আমাদের টিমকে সেভাবে শক্তিশালী করছি। কাস্টমার বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। এই পরিস্থিতিকে অতিক্রম করে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। 

ঢাকাপ্রকাশ: এসিআই কীভাবে কৃষকদের সহায়তা করছে?

ড. ফা হ আনসারী: আমরা (এসিআই) কমপ্লিট এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন নিয়ে কাজ করি। ভ্যালু চেইনের মধ্যে টেকনোলজি, সিড, ফার্টিলাইজার, ক্রপ প্রটেকশন, অ্যানিম্যাল হেল্থ, গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের জন্য সিমেন উৎপাদন ও এক্সপোর্ট করছি। আমাদের ফ্লাওয়ারমিল, রাইসমিল করা হয়েছে। ফুড প্রসেস করি। এসব পণ্য স্থানীয়ভাবে বিক্রি করি। রপ্তানিও করি। আমাদের ‘স্বপ্ন’কে দেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল শপিং সেন্টার করা হয়েছে। কমপ্লিট এগ্রিকালচার ও ফুড ভ্যালু চেইন নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষকের সম্পদ বৃদ্ধি করা। কৃষককে ফোকাস করা। বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ হচ্ছে কৃষক। তাই এসিআই দেশে সবচেয়ে বড় কোম্পানি হিসেবে কৃষকের সম্পদ বৃদ্ধিতে সব কিছু করার চেষ্টা করছে। এতে কৃষকের আরও উন্নয়ন হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এসিআই কীভাবে কৃষি থেকে শিল্পপণ্যে রূপান্তর করছে?

ড. ফা হ আনসারী: গত চার দশকে কৃষিতে একটি বিপ্লব সাধিত হয়েছে। এরফলে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। যেহেতু এ দেশের অর্ধেক মানুষ গ্রামে বাস করে। আমরা তাদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছি। যাতে কৃষি পণ্য উৎপাদন করে কৃষকরা লাভ করতে পারে। এতে কৃষকের খরচ কমে যায়। আমরা এক্সটেনশন ওয়ার্ক করি। আমাদের হাজার হাজার কর্মী মাঠে কাজ করছে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম আছে। সব ফার্মারকে কানেক্ট করছি। কৃষকের উৎপাদন খরচ কমাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে দেশের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে টেকনিক্যাল সহযোহিতা দিচ্ছি। কৃষকের দোড় গোড়ায় সব সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। জমিতে বীজ উৎপাদন করছি। সারাদেশে আমাদের ১০ হাজারের বেশি কন্ট্রাক্ট ফার্মিং আছে। তারা আমাদের বীজ সরবরাহ করে। আমরা কৃষকের পণ্য কিনে প্রক্রিয়াজাত করে তা দেশের বাজারে বিক্রি করি, রপ্তানিও করি। আমরা কৃষকদের অ্যানিম্যাল হেল্থ, এগ্রিমেশিনারিজ সাপ্লাই দিই। ফার্মাসিউটিক্যিাল প্রডাক্ট, ভ্যাকসিনও সাপ্লাই দিই।

ঢাকাপ্রকাশ: করোনার প্রভাব কেটে বর্তমানে কোনো পর্যায়ে এসেছে এসিআই?

ড. ফা হ আনসারী: করোনা আমাদের ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। ১৩ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার। আমাদের বেশির ভাগ কাঁচামাল আমদানি করা হয়। এ ছাড়া ডলারের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। ৮৬ থেকে বাড়তে বাড়তে ১১৮ টাকায় চলে এসেছে। এতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিপণ্য কীভাবে কৃষকের উপর প্রভাব ফেলেছে?

ড. ফা হ আনসারী: আমরা বাজারে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি। কৃষিযন্ত্রপাতিতে আমরা বাংলাদেশে প্রথম অবস্থানে। আমরাই বাংলাদেশে প্রথম কমবাইন্ড হারভেস্ট মেশিন নিয়ে এসেছি বাজারে। এর মাধ্যমে কৃষক বাড়িতে বসে দেখতে পায় কতটুকু জমির ধান কাটা হচ্ছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না তা জানতে পারছে। সেচ পাম্পও কৃষকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে প্রায় কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে কৃষকের কাছে। তাদের সমাধান দিচ্ছি। শুধু সসমাধান দিলে হবে না, তাদের সার্ভিসও দেওয়া হচ্ছে। প্রকৌশলীদের সেভাবে কন্ট্রাক্ট করে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাক্টর সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সেভাবে সেবাও দেওয়া হচ্ছে। মোটরসইকেলের ক্ষেত্রে আড়াই ঘন্টার মধ্যে সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন আর কোনো পণ্য আনার উদ্যোগ নিয়েছেন কি?

ড. ফা হ আনসারী: আমরা কৃষি সেক্টরের জন্য নতুন করে আরও মেশিন আনার চিন্তাভাবনা করছি। এগুলো ট্রায়াল স্টেজে আছে। আমরা কনস্ট্রাটশনের মধ্যে ক্রেন, মিক্সার মেশিন বিক্রি করি। মেশিনারিজ ব্যবসার মধ্যে আমরা মোটরসাইকেল বিক্রি করি। তা উৎপাদনও করছি। এসিআই মোটরস নামে রাজেন্দ্রপুরে কারখানা আছে।

এনএইচবি/এসএন 

 

ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব খাতভুক্ত শূন্য পদে ১৪তম গ্রেডে ২৩৮ জনকে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ৩০ এপ্রিল থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: সার্ভেয়ার।
পদসংখ্যা: ২৩৮।
যোগ্যতা: স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন সার্ভে ইনস্টিটিউট থেকে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) পাস।
বেতন স্কেল: ১০,২০০–২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড–১৪)।

যেসব জেলার প্রার্থীর আবেদন করার প্রয়োজন নেই- মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, কুষ্টিয়া ও পটুয়াখালী। তবে এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: ১ মে ২০১৪ তারিখে সাধারণ প্রার্থী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি–নাতনিদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর।

আবেদন যেভাবে করতে হবে: আগ্রহী প্রার্থীদের এ ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এ ওয়েবসাইট বা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আবেদনের সময়সীমা: ৩০ এপ্রিল থেকে ৩০ মে ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

শিল্পী সমিতিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সমিতি। আর সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নির্দেশনা ও উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে সিনে সাংবাদিকরা।

১ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন খল অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্ত। এছাড়া ন্যক্কারজনক ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে কালো দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।

বৈঠকে শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। বৈঠক শেষে জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দেন বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

এ বিষয়ে সাংবাদিক লিমন আহমেদ বলেন, ঘটনার তদন্তে বৈঠকে আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারো কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‌‘জয় চৌধুরীকে নিয়ে শিল্পী সমিতি যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে। ’

বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

লিমন আহমেদ ছাড়াও ওই বৈঠকে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না।

এছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। এক সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান অভিনয়শিল্পীরা। এতে সাংবাদিকসহ প্রায় ১০ জন আহত হন।

বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

ছবি:সংগৃহীত

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবন সহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছেন। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছে। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছে। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে।

এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।

পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আব্দুল মুকিম।

সাপাহার উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওই মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. ওমর ফারুক। পোরশা উপজেলার নিতপুর শ্রীকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাপানিয়া ফাজিল মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা হযরত আলী।

ধামইরহাট উপজেলার ডিগ্রী কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা আস-আদুল্লাহ। রানীনগর উপজেলার শেরে বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা মোস্তফা আলামিন।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।

ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শারিয়তের পরিভাষায় অনাবৃষ্টির সময় আল্লাহর রাসুলের সুন্নত অনুসরন করে খোলা প্রান্তরে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করাকে সালাতুল ইসতিসকা বা ইসতিসকার নামাজ বলা হয়।

নামাজে অংশ নেয়া শহীদুল ইসলাম ও শাহারিয়ার শান্ত বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বইছে। অসহ্য গরমে জনজীবন হাসফাস অবস্থা। কোথায় গিয়ে স্বস্থি মিলছে না। শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকা নামাজে অংশ নিয়েছে। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ জমিন শীতল করে দিবেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন
জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি