বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৮ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পণ্য থাকলেও কেনার সামর্থ্য থাকবে না মানুষের: ড. জাহিদ

বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা উড়িয়ে না দিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে বললেন বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া মোবাইল সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে আর ডলারের যে পরিস্থিতি তাতে এমন একটা সময় আসতে পারে দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য থাকলেও মানুষের কেনার সামর্থ্য থাকবে না। তাই এখন থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আশঙ্কার কথা বলেছেন তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

ঢাকাপ্রকাশ: দুর্ভিক্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা বেশ কিছুদিন ধরে বলছেন সরকার প্রধান। আসলেই কি পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন ৪৫টি দেশের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশও আছে। তা ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) তারাও এরকম একটা আশঙ্কার কথা বলেছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। অন্যদিকে ব্লাক সি ব্লকেডের কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুদ্ধের কারণে। তাই বিশ্বব্যাপী একটা সংকট আছে। আবার বৈরি আবহাওয়ায় অনেক খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে যেমন পাকিস্তানে বিশাল বন্যা হয়েছে। ভারতেও কিছু এলাকায় বন্যা হয়েছে। ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া, যুদ্ধ, সরবরাহে সমস্যা, এগুলোর কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

দেখেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকলে। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে— যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি আছে। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু’কারণে হতে পারে, একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে, মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশে কি সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?

ড. জাহিদ হোসেন: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যোগানের দিকে এপ্রিল মাসে আগাম বন্যার কারণে আউশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন একটা দীর্ঘ খরার মধ্যে দিয়ে গেছে। এখনো খরাটা কাটেনি। কাজেই আমন তো একটা বড় ফসল। ফলে নরমালি যে পরিমাণ আমন উৎপাদন হয় এ বছর হয়ত ততটা হবে না। তা ছাড়া বোরো হচ্ছে সেচ নির্ভর, সার নির্ভর। দেশে বিদ্যুতের যে অবস্থা, ডিজেল সরবরাহের যে অবস্থা। ঢাকাতেও দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং, ঢাকার বাইরের কী অবস্থা। যেখানে ডেসকো, ডেসা, সামাল দিতে পারছে না, পিডিবি সামাল দিতে পারছে না, আরইবি কীভাবে সামাল দেবে? বিদ্যুৎ যদি সেচে ব্যবহার না করতে পারি, ডিজেল যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে তো বোরো উৎপাদনেও ধাক্কা আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার বিকল্প হলো আমদানি। আমদানির ক্ষেত্রে বড় বড় সরবরাহকারী দেশগুলো যেমন— ফিলিপিনস, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম। এইসব দেশ কিন্তু চাল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা হয় শুল্ক বাড়াচ্ছে নয়তো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চায়। যেটা স্বাভাবিক।

ঢাকাপ্রকাশ: সরকার তো বিকল্প উৎস থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির পরিকল্পনাও করেছিল। তা দিয়ে কি মোকাবিলা করা সম্ভব?

ড. জাহিদ হোসেন: সরকার আমদানির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। আমদানির জন্য ব্যক্তি খাতে শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। এমনকি ২/৩টা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। সেগুলোর কি অবস্থা জানি না। আমদানি যদি সময় মতো দেশে এসে না পৌঁছায় তাহলে তো যোগানে একটা ঘাটতি দেখা দেবে। এখন মূল্যস্ফীতি তো ৯ শতাংশের উপরে। সেখানে তো মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে, ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সব বিবেচনা করেই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটা।

ঢাকাপ্রকাশ: এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী?

ড. জাহিদ হোসেন: বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর তো কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। দেখা যাবে খাদ্যপণ্য পাওয়া গেল কিন্তু কেনা গেল না। ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরণের ছিল। প্রথমে আগস্টে বন্যা হলো, সেপ্টেম্বরে আবার বন্যা তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’। যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন এক নম্বর প্রায়োরিটি ছিল। উৎপাদন নরমালের চেয়ে অনেক বেশি করতে হবে। সেজন্য পানি, সার, কীটনাশক এবং যন্ত্রের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করার জন্য শতভাগ অ্যাফোর্ট দরকার ছিল। আমাদের বোরো ধানের চাষটা ওভাবেই দেখতে হবে। আমন-আউশের ক্ষতি কীভাবে বোরো দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারি ভাবতে হবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহারটা কোথায় অগ্রাধিকার দেবেন সেটা নির্ধারণ করতে হবে। দেখা গেল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য ডিজেল, এলএনজি, কিনব না, সেটা না কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে ঘাটতি সেটার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা লোকসান হবে বেশি। উৎপাদনে ঘাটতি হলে চাল আমদানি করা লাগতে পারে, সুতা আমদানি করতে হতে পারে।

ব্যবসায়ীরা এলএনজি আমদানির জন্য প্রস্তুত। তাতে মাসে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। এটা না আনলে একদিকে দৃশ্যমান সাশ্রয় দেখা যাবে। বাস্তবে যে ক্ষতিটা দৃশ্যমান না সেটা হলো আমদানিতে ক্ষতি হবে। ব্যবসায়ীরা বিটিএমই থেকে সুতা না কিনে চায়না থেকে কিনবে। সেখানে তো আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে।

আমাদের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। শ্রীলঙ্কা সার এর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য। তাতে তাদের ৪০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হলো। কিন্তু ওটা না করার ফলে যে চাল আমদানি করতে হলো তাতে তাদের ব্যয় হলো ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। সে সময় সার ও অন্যান্য কীটনাশক পর্যাপ্ততা না থাকায় চায়ের উৎপাদন কমে গেল। সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়টা কমে গেল, তাতে কি হলো হিতে বিপরীত। বিদ্যুৎ উৎপাদন যেহেতু সব খাতকে প্রভাব ফেলে- সরাসরি সেখানে কৃষি, সেবা, শিল্প খাত তো বটেই। গ্যাসের সরবরাহ যাতে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, ডিজেল সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং সেচের জন্য যেন থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা তো প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক বিক্রি করছে। সেগুলো কিসের জন্য বিক্রি করছে? প্রতিদিনই তো ৬০, ৭০ কোনো দিন ১০০ মিলিয়ন ডলার করে বিক্রি হচ্ছে জরুরি আমদানির জন্য? ডিজেল কী জরুরি আমদানি না? সার কী জরুরি আমদানি না? এলএনজি কী জরুরি আমদানি না? সেগুলোকে যদি অগ্রাধিকার না করি তাহলে তো লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে মানুষ কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: এখনই যেসকল মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে আছে, তারা অনেক কষ্টে আছে। এখন ওদের তো দুর্ভিক্ষের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, ওরা এরইমধ্যে কষ্টে আছে। সরকার ফ্যামিলি কার্ড সিস্টেম চালু করেছে। কথা হচ্ছে, যে মানুষগুলো কষ্টে আছে তারা কী পাচ্ছে? এক কোটি পরিবারের জন্য করা হচ্ছে। কিন্তু দরিদ্রের সংখ্যাটি তো অনেক বেশি। তারা এখন জীবিকার যুদ্ধে আছেন। তাই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

টেকনাফে নাফ নদী থেকে ছয় বাংলাদেশি মাঝিকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি দুটি ট্রলারসহ ছয় বাংলাদেশি মাঝিকে অপহরণ করেছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ।

আবদুর রশিদ জানান, টেকনাফের ঘাট থেকে ইট, বালি ও সিমেন্টবোঝাই দুটি ট্রলার সোমবার বিকেলে ছয় মাঝি নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তবে নাফ নদীর জোয়ার-ভাটার কারণে ট্রলার দুটি শাহপরীর দ্বীপে রাত কাটায়। পরের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা আবার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে বুধবার সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়নি, যা সন্দেহের সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ছয় মাঝিসহ ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান আবদুর রশিদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, টেকনাফস্থ ২ নম্বর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, "ট্রলারসহ মাঝিমাল্লা ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এছাড়া এ বিষয়ে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অবহিতও করেননি।"

Header Ad

ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিবাদের প্রধান ভারতে অবস্থান করছেন আর ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর কালিবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এখানে খুব ভালো কাজও সম্ভব, আবার খুব ভয়ঙ্কর কাজও সম্ভব। বাংলাদেশের যে অর্জন সেটিকে ধ্বংস করার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কিছু ব্যক্তি চেষ্টা করছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা আরেকটা বিপর্যয় এফোর্ড করতে পারি না এই মুহূর্তে।

তিনি বলেন, আমাদের মাথার ওপর সবচেয়ে বড় বিপদ এখনো আছে। ফ্যাসিবাদের যিনি প্রধান হোতা তিনি ভারতে অবস্থান করছেন এবং ভারত কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সবসময় একটা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলোতে আমরা সচেতন না হলে জাতি হিসেবে অনেক বড় বিপদ ফেইস করবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ একটা কাজ খুব সফলভাবে করেছে, তা হলো আমাদের জাতিকে বিভক্ত করেছে। এই বিভক্তি দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। রাজনৈতিক মতামত ভিন্ন থাকবে, কিন্তু ঐক্য থাকবে মৌলিক কিছু বিষয়ে। যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে, বাংলাদেশর মানুষের অধিকারের বিষয়ে। এই ঐক্য রাখার ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি।

নতুন উপদেষ্টা নিয়োগে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এত বড় একটি দেশ পরিচালনা করার জন্য কাকে উপদেষ্টা নিয়োগ দেবে এটি নির্ভর করে প্রধান উপদেষ্টার উপর। এখানে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। তারা চাইলে করতেই পারে। আমি বলবো তারা যেন সতর্ক থাকেন। যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নেবেন তারা যেন বিতর্কিত না হন। আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ সরকারকে সফল করার দায়িত্ব আমাদেরও। কারণ আন্দোলন আমরাও করেছি। সুতরাং আমাদের সহনশীল হতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত সাবেক এমপি জাহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

Header Ad

দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগের আহ্বান ড. ইউনূসের, জলবিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনার ওপর জোর

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ সহযোগিতা বাড়াতে নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের জন্য একটি আঞ্চলিক বিদ্যুৎ গ্রিড তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। আজারবাইজানের বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সোশ্যাল বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ও ভুটানের মধ্যে এমন একটি গ্রিড স্থাপন করা হলে হিমালয়ের দেশগুলোর বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা কার্যকর করা সম্ভব হবে। নেপালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য কম কার্বন নির্গমনশীল শক্তির উৎস হতে পারে।

ড. ইউনূসের মতে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল মাত্র ৪০ মাইল দূরে হওয়ায় দেশটি থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি সহজ এবং পরিবেশবান্ধব হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা দেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

উল্লেখ্য, দেশের যুব উন্নয়ন ও শিক্ষার সংস্কারেও অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক টি-টোয়েন্টি বিপিএল টুর্নামেন্টের সাথে তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করা হবে। এতে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং আইওসি প্রেসিডেন্ট টমাস বাখের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। নারী ফুটবলের জন্যও একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ড. ইউনূস আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে চলমান সংস্কার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টেকনাফে নাফ নদী থেকে ছয় বাংলাদেশি মাঝিকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি
ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগের আহ্বান ড. ইউনূসের, জলবিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনার ওপর জোর
পুরুষ না নারী, কে বেশি ঘুমায়?
ভারতের কাছে পাকিস্তানে না যাওয়ার লিখিত ব্যাখ্যা চায় পিসিবি
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রোজি কবির মারা গেছেন
তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
ভারতে অনুপ্রবেশের সময় শার্শা সীমান্তে ৩ বাংলাদেশী নারী আটক
খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে মুখ খুললেন বরুণ
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনে নতুন নেতৃত্বে তারেক রহমান, ২৩ সদস্যের কমিটি গঠন
‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে ফেসবুক- কেন এত সমর্থন?
মিষ্টি পান চাষে জহুরুলের বাজিমাত, অল্পদিনেই সংসারে ফিরেছে দারুণ স্বচ্ছলতা
ঝুহাইয়ে প্রাইভেটকারের চাপায় ৩৫ জনের মৃত্যু, আহত ৪৩
বশির উদ্দিন ও ফারুকীকে সরাতে আইনি নোটিশ
ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে : আইন উপদেষ্টা
বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে
মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব আল হাসান