মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পণ্য থাকলেও কেনার সামর্থ্য থাকবে না মানুষের: ড. জাহিদ

বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা উড়িয়ে না দিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে বললেন বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া মোবাইল সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে আর ডলারের যে পরিস্থিতি তাতে এমন একটা সময় আসতে পারে দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য থাকলেও মানুষের কেনার সামর্থ্য থাকবে না। তাই এখন থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আশঙ্কার কথা বলেছেন তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

ঢাকাপ্রকাশ: দুর্ভিক্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা বেশ কিছুদিন ধরে বলছেন সরকার প্রধান। আসলেই কি পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন ৪৫টি দেশের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশও আছে। তা ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) তারাও এরকম একটা আশঙ্কার কথা বলেছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। অন্যদিকে ব্লাক সি ব্লকেডের কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুদ্ধের কারণে। তাই বিশ্বব্যাপী একটা সংকট আছে। আবার বৈরি আবহাওয়ায় অনেক খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে যেমন পাকিস্তানে বিশাল বন্যা হয়েছে। ভারতেও কিছু এলাকায় বন্যা হয়েছে। ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া, যুদ্ধ, সরবরাহে সমস্যা, এগুলোর কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

দেখেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকলে। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে— যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি আছে। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু’কারণে হতে পারে, একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে, মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশে কি সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?

ড. জাহিদ হোসেন: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যোগানের দিকে এপ্রিল মাসে আগাম বন্যার কারণে আউশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন একটা দীর্ঘ খরার মধ্যে দিয়ে গেছে। এখনো খরাটা কাটেনি। কাজেই আমন তো একটা বড় ফসল। ফলে নরমালি যে পরিমাণ আমন উৎপাদন হয় এ বছর হয়ত ততটা হবে না। তা ছাড়া বোরো হচ্ছে সেচ নির্ভর, সার নির্ভর। দেশে বিদ্যুতের যে অবস্থা, ডিজেল সরবরাহের যে অবস্থা। ঢাকাতেও দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং, ঢাকার বাইরের কী অবস্থা। যেখানে ডেসকো, ডেসা, সামাল দিতে পারছে না, পিডিবি সামাল দিতে পারছে না, আরইবি কীভাবে সামাল দেবে? বিদ্যুৎ যদি সেচে ব্যবহার না করতে পারি, ডিজেল যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে তো বোরো উৎপাদনেও ধাক্কা আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার বিকল্প হলো আমদানি। আমদানির ক্ষেত্রে বড় বড় সরবরাহকারী দেশগুলো যেমন— ফিলিপিনস, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম। এইসব দেশ কিন্তু চাল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা হয় শুল্ক বাড়াচ্ছে নয়তো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চায়। যেটা স্বাভাবিক।

ঢাকাপ্রকাশ: সরকার তো বিকল্প উৎস থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির পরিকল্পনাও করেছিল। তা দিয়ে কি মোকাবিলা করা সম্ভব?

ড. জাহিদ হোসেন: সরকার আমদানির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। আমদানির জন্য ব্যক্তি খাতে শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। এমনকি ২/৩টা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। সেগুলোর কি অবস্থা জানি না। আমদানি যদি সময় মতো দেশে এসে না পৌঁছায় তাহলে তো যোগানে একটা ঘাটতি দেখা দেবে। এখন মূল্যস্ফীতি তো ৯ শতাংশের উপরে। সেখানে তো মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে, ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সব বিবেচনা করেই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটা।

ঢাকাপ্রকাশ: এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী?

ড. জাহিদ হোসেন: বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর তো কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। দেখা যাবে খাদ্যপণ্য পাওয়া গেল কিন্তু কেনা গেল না। ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরণের ছিল। প্রথমে আগস্টে বন্যা হলো, সেপ্টেম্বরে আবার বন্যা তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’। যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন এক নম্বর প্রায়োরিটি ছিল। উৎপাদন নরমালের চেয়ে অনেক বেশি করতে হবে। সেজন্য পানি, সার, কীটনাশক এবং যন্ত্রের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করার জন্য শতভাগ অ্যাফোর্ট দরকার ছিল। আমাদের বোরো ধানের চাষটা ওভাবেই দেখতে হবে। আমন-আউশের ক্ষতি কীভাবে বোরো দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারি ভাবতে হবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহারটা কোথায় অগ্রাধিকার দেবেন সেটা নির্ধারণ করতে হবে। দেখা গেল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য ডিজেল, এলএনজি, কিনব না, সেটা না কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে ঘাটতি সেটার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা লোকসান হবে বেশি। উৎপাদনে ঘাটতি হলে চাল আমদানি করা লাগতে পারে, সুতা আমদানি করতে হতে পারে।

ব্যবসায়ীরা এলএনজি আমদানির জন্য প্রস্তুত। তাতে মাসে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। এটা না আনলে একদিকে দৃশ্যমান সাশ্রয় দেখা যাবে। বাস্তবে যে ক্ষতিটা দৃশ্যমান না সেটা হলো আমদানিতে ক্ষতি হবে। ব্যবসায়ীরা বিটিএমই থেকে সুতা না কিনে চায়না থেকে কিনবে। সেখানে তো আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে।

আমাদের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। শ্রীলঙ্কা সার এর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য। তাতে তাদের ৪০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হলো। কিন্তু ওটা না করার ফলে যে চাল আমদানি করতে হলো তাতে তাদের ব্যয় হলো ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। সে সময় সার ও অন্যান্য কীটনাশক পর্যাপ্ততা না থাকায় চায়ের উৎপাদন কমে গেল। সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়টা কমে গেল, তাতে কি হলো হিতে বিপরীত। বিদ্যুৎ উৎপাদন যেহেতু সব খাতকে প্রভাব ফেলে- সরাসরি সেখানে কৃষি, সেবা, শিল্প খাত তো বটেই। গ্যাসের সরবরাহ যাতে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, ডিজেল সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং সেচের জন্য যেন থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা তো প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক বিক্রি করছে। সেগুলো কিসের জন্য বিক্রি করছে? প্রতিদিনই তো ৬০, ৭০ কোনো দিন ১০০ মিলিয়ন ডলার করে বিক্রি হচ্ছে জরুরি আমদানির জন্য? ডিজেল কী জরুরি আমদানি না? সার কী জরুরি আমদানি না? এলএনজি কী জরুরি আমদানি না? সেগুলোকে যদি অগ্রাধিকার না করি তাহলে তো লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে মানুষ কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: এখনই যেসকল মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে আছে, তারা অনেক কষ্টে আছে। এখন ওদের তো দুর্ভিক্ষের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, ওরা এরইমধ্যে কষ্টে আছে। সরকার ফ্যামিলি কার্ড সিস্টেম চালু করেছে। কথা হচ্ছে, যে মানুষগুলো কষ্টে আছে তারা কী পাচ্ছে? এক কোটি পরিবারের জন্য করা হচ্ছে। কিন্তু দরিদ্রের সংখ্যাটি তো অনেক বেশি। তারা এখন জীবিকার যুদ্ধে আছেন। তাই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন