
মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমছে: ড. মোয়াজ্জেম
২৪ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০২ পিএম

সরবরাহ চেইন নষ্ট হলে নেতিবাচক পরিস্থিতির দিকে যেতে পারে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডির) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, খাদ্য সংকটের নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সরকার প্রধান হয়ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এখনো আমাদের সেরকম পরিস্থিতি হয়নি যে এটাকে দুর্ভিক্ষ বলা যবে। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সব কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা।
ঢাকাপ্রকাশ: প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু দিন ধরেই বলছেন দুর্ভিক্ষ আসতে পারে। তার এই আশঙ্কার কারণ কী বলে মনে করেন?
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ যাচ্ছে। খাদ্য সরবরাহ রয়েছে, কিন্তু খাদ্য কেনার ক্ষমতা আস্তে আস্তে মানুষের কমে যাচ্ছে। ফলে এই বিষয়টাই অনেক সময় দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে যায়। বাজারে হয়ত পণ্য থাকবে কিন্তু পণ্য কেনার ক্রয় ক্ষমতা মানুষের থাকবে না। আগের দুর্ভিক্ষগুলোর ঐতিহাসিক ইঙ্গিত তাই দেয়। তবে এখনো আমাদের সে রকম পরিস্থিতি হয়নি, যে এটাকে দুর্ভিক্ষ বলা যাবে। বরং এই মুহূর্তে উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য মানুষের খাদ্য কেনায় সংকোচন করতে হচ্ছে, পুষ্টি নিরাপত্তায় আঘাত পড়ছে, খাদ্য নিরাপত্তায় আঘাত পড়ছে। এরমধ্যে দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতির জন্য দারিদ্রও বাড়ছে। এরকম পরিস্থিতির জন্য, আগামী বছরের জন্য যে ধরনের অবস্থা দাঁড়াতে পারে, আমাদের যে সমস্ত পণ্য আমদানি করতে হয় বা খাদ্যের জন্য যেসমস্ত কাঁচামাল আমদানি করতে হয় সেগুলোর সরবরাহ যদি আস্তে আস্তে সংকুচিত হয়, কোনো কারণে বা সেগুলোর যদি মূল্য বেড়ে যায় বা ডলারের যে রিজার্ভ তার কারণে যদি আমদানি পর্যাপ্তভাবে না করতে পারি তাহলে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
সেই প্রেক্ষাপটেই আগাম সতর্ক বাণী দিয়ে রাখা। যদি মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকে এবং খাদ্য সরবরাহ যদি এখনকার মতো না থাকে তার জন্য আগাম প্রস্তুতি দরকার। সেটার জন্য যেন মানুষ এখনই সতর্ক হয়। সতর্ক অনেকভাবে করা যায়। যারা উৎপাদন করে তারা যেন যার যতটুকু জমি আছে সেটাতেই যেন তারা উৎপাদনে যায়। যার আয় আছে, আয় থেকে কম ব্যয় করে সঞ্চয় করা।
ঢাকাপ্রকাশ: এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারের কী করা দরকার?
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: সরকারের দরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আরও বাড়ানো। যদি এরকম পরিস্থিতি হয় তার জন্য দরকার হলে অর্থের ব্যবস্থা রাখা। আমদানির প্রয়োজন হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো। বৈদেশিক উৎস ঋণ করা যেতে পারে। এই প্রস্তুতিগুলোর অংশ হিসেবে আগাম সতর্কবাণী হয়ত দিয়ে রাখা। নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য সকলে যেন প্রস্তুত থাকে। সরকার প্রধান হিসেবে তিনি এরকম একটা মেসেজ আগাম দিয়ে রাখতে চাচ্ছেন, যেন সকলে এখনই প্রস্তুত থাকেন। হঠাৎ করে যদি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে তখন যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আমাদের জন্য কষ্ট হবে।
এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাজারে শুধু খাদ্য সরবরাহ থাকলে চলবে না, খাদ্য কেনার সামর্থ্য থাকতে হবে। খাদ্য মূল্য যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে ফলে আগামী বছর ওই চ্যালেঞ্জটা আবারও বাড়বে। খাদ্য উৎপাদন যতটুকু হয় ততটুকুই হয়ত হবে, কিন্তু উচ্চ মূল্যের জন্য মানুষ হয়ত কিনতে পারবে না। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আরও বাড়ানো দরকার হতে পারে। সরকারকে নিজের উদ্যোগে আমাদনি করে সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। এজন্য বৈদেশিক ঋণের সাহায্য নেওয়ার মাধ্যমে রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। টাকার যত অবমূল্যায়ন হবে তত আমদানি ব্যয় বাড়বে, তত খাদ্য মূল্য বাড়বে। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার থাকা দরকার। প্রয়োজনবোধে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ করা যেতে পারে।
এনএইচবি/আরএ/

তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:২০ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।
এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।
তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।
এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?
এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:২৯ এএম

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।
দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।

অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:২৬ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।
তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।
তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।