রাতের বেলা পরিমানে কম খাওয়ার যত উপকারিতা

১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৭ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৮ এএম


রাতের বেলা পরিমানে কম খাওয়ার যত উপকারিতা
ছবি সংগৃহিত

‘সকালে খাবেন রাজার মতো। দুপুরে খাবেন প্রজার মতো। আর রাতে খাবেন ভিক্ষুকের মতো’—এমন প্রবাদ নিশ্চয়ই শুনেছেন? বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীর ভালো রাখতে রাতে হালকা খাবার খাওয়া বেশ উপকারী। এ অভ্যাস শরীরের অনেক সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

২০১৩ সালে জার্নাল ওবেসিটির প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে খাবারের জন্য সঠিক সময় নির্বাচন বেশ বড় ভূমিকা পালন করে। যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাঁদের এ বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে রাতে হালকা খাবার খেলে কী উপকার হয়, সে কথা।

রাতে ভারী খাবার খাওয়া, পরিমাণে বেশি খাওয়া অথবা বেশি রাতে খাবার খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়। এর পরিবর্তে দিনের শুরুতে চাহিদার বেশির ভাগ ক্যালরি গ্রহণ করে রাতে হালকা খাবার এবং পরিমাণে কম খেয়ে ঘুমানো উচিত। রাতে কম খাওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘আর্লি টাইম-রেস্ট্রিক্টেড ফিডিং’ বা ‘ইটিআরএফ’। এর অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতাও রয়েছে।

ভালো হজম করে

রাতে ভারী খাবার খাওয়া হজমে গণ্ডগোল করে। হালকা খাবার সহজে হজম হয়ে যায় এবং পেটের জন্য আরামদায়ক হয়। রাতে হালকা খাবার খাওয়া এসিডিটি, পেট ফোলা ভাব, বুক জ্বালা-পোড়ার সমস্যা রোধে সাহায্য করে। রাতে হজমের সমস্যা পরবর্তী দিনের কার্যক্রমের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। তাই রাতে হালকা খাবার খাওয়া এবং তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

সঠিক ওজন বজায় থাকে

রাতে পরিমাণে কম খাবার খেলে দেহে ক্যালরি কম পোড়ায়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কেননা রাতে হজমের জন্য শরীরকে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ভারী খাবার পাকস্থলীতে চাপ সৃষ্টি করে।

সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে এবং যারা ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে চায়, তাদের উচিত রাতে কম খাওয়া। কেননা রাতে হালকা খাবার রক্তে সুগার লেবেলকে নিয়ন্ত্রণে বেশ সাহায্য করে।

সার্কাডিয়ান ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে

আমাদের দেহে প্রাকৃতিক সার্কাডিয়ান রিদম বা ছন্দ রয়েছে, যা বিপাকসহ বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। কিছু গবেষণা বলছে, এই সার্কাডিয়ান ছন্দের সঙ্গে খাবারের সময়কে মেলানো ভালো। এতে বিপাকীয় স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

মেদ কম জমায়

শরীরে চর্বি কম জমাতে চাইলে রাতে হালকা খাবার খাওয়া ভালো। আপনি যদি ভুল খাবার ভুল সময়ে খান, তবে এটি মেদ বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেহেতু রাতে আমরা কম কাজ করি, নড়াচড়া কম করি, তাই ভারী খাবার খেলে ক্যালরি কম পোড়ে।

ঘুম ভালো হয়

গভীর রাতে ভারী খাবার খেলে ঘুমের গুণমান ব্যাহত হয়। অন্যদিকে গবেষণা বলছে, সন্ধ্যার দিকে হালকা খাবার খেয়ে ঘুমালে রাতে ভালো ঘুম হয়, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

রাতে দেরি করে খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ কার্বোহাইড্রেট বা চিনিযুক্ত খাবার খেলে এমনটি বেশি হতে পারে। রাতের খাবার সীমিত করলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে

রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে ভারী খাবার খেলে এসিড রিফ্লাক্স, বদহজম হয়ে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ জন্য সন্ধ্যার পরপরই খেয়ে নেওয়া ভালো।

শক্তি বাড়ায়

রাতে হালকা খাবার খাওয়া মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে ভালো রাখে এবং মেজাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া এবং হালকা খাবার খাওয়া পরবর্তী দিনের জন্য শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

 


বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪১ পিএম


বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন
বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

সকাল থেকেই টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত তাই বেরসিক বৃষ্টির কাছে হার মেনে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল চলমান মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা।

এ কারণে ম্যাচের তৃতীয় দিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে আধঘণ্টা খেলা বেশি হবে। ম্যাচ শুরু হবে ৯টা ১৫ মিনিটে, দিনের শেষেও বাড়তি খেলা হবে ১৫ মিনিট। দুদিক মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ ওভার খেলা হবে।

আগের দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা আগে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল সোয়া নয়টায়। কিন্তু এদিন ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিনে পিচ থেকে কখনোই কাভার সরানো হয়নি। ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন আড্ডায়। দুয়েকজন অবশ্য ইনডোরে গিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে আসেন। তবে মাঠে আর ক্রিকেট ফিরতে পারেনি।

এর আগে বুধবার প্রথম দিন ছিল বোলারদের দাপট। দু দল মিলিয়ে এদিন ১৫ উইকেট নেন। বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ১৭২ (জয় ১৪, জাকির ৮, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, শাহাদাত ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম ১৩*, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০; সাউদি ৫.২-৫-০-১, জেমিসন ৪-২-৮-০, এজাজ ১৭-৬-৫৪-২, স্যান্টনার ২৮-৭-৬৫-৩, ফিলিপস ১২-১-৩১-৩)।

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫ (ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১২*, ব্লান্ডেল ০, ফিলিপস ৫*; শরিফুল ১-১-০-০, মিরাজ ৬-১-১৭-৩, তাইজুল ৫.৪-০-২৯-২)।


প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪১ পিএম


প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, শুক্রবার সকাল ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শাহ রেজওয়ান হায়াত আরও জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সামগ্রী এরইমধ্যে জেলায় পাঠিয়েও দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫ এবং কক্ষের সংখ্যা ৮১৮৬।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে।


১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম


১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক
ছবি: সংগৃহীত

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোর উদ্দেশে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাড়ির উঠোনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানের রিফাত আরিফ । কিন্তু অর্থের অভাবে রিফাতের কাছে ছিল না কোনো শিক্ষক কিংবা ভবন । কিন্তু মনোবল ছিল অটুট । আজ সেই মনোবল স্বপ্নকে পুঁজি করেই রিফাত আরিফ এখন সারা বিশ্বের শিক্ষকের কাছে আইকন। অর্থের অভাবে যিনি স্কুল চালাতে পারছিল না । তিনিই আজ কোটিপতি বনে গেলেন ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, রিফাত আরিফ ‘সিস্টার জেফ’ নামেও পরিচিত। এই নারী শিক্ষাবিদের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। স্কুল চালানোর অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পর সন্ধ্যায় স্কুলে ফিরে এসে চার ঘণ্টা ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। রিফাতের এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর তাঁর স্কুলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে শিক্ষা দেন।

রিফাত আরিফের স্কুল । ছবি: সংগৃহীত

রিফাতের এই মহানুভবতার জন্য গত মাসে তিনি ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল টিচার’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রিফাত বলেন, শিক্ষকতা নিছক কোনো পেশা নয়। এটি এমন এক পেশা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে। আসুন, আমরা প্রতিটি শিশুকে শেখার সুযোগ দেই, স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেই এবং তাদেরকে ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে দেই।

পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ ডলার পেয়েছেন রিফাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। পুরস্কারের এই পুরো অর্থই তিনি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক ছোট শহরে পর্যাপ্ত স্কুল নেই, শিক্ষক নেই। অনেক শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

রিফাত আরিফ বলেছেন, পুরস্কারের এই অর্থ দিয়ে তিনি অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।

অনুসরণ করুন