শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান

স্বার্থসচেতন লোক একটা।

মালান বলল, আমিই সেই লোক। এরপর দুজনই হাসিতে ফেটে পড়ল। আমার বয়স তখন অল্প। তার সম্পর্কে বিভিন্নজনের কাছ থেকে বিপরীতধর্মী এমন সব তথ্য পেলাম যে, তার সম্পর্কে আমার নিজের ধারণাই বিভ্রান্ত হয়ে গেল। তাকে আমি ভালোবাসি কি না সে বিষয়েই আর নিশ্চিত থাকতে পারলাম না। শেষে আরেক মহিলাকে বিয়ে করলাম।

কিন্তু আমার প্রেক্ষিত তো আলাদা: আমি তো আর দ্বিতীয় কাউকে বাবা হিসেবে পেতে পারি না।

না, পাওয়া যায় না এবং সেটাই সৌভাগ্যের বিষয়। একজনই যথেষ্ট। আমার অভিজ্ঞতা থেকে সে সিদ্ধান্তই আসে।

ঠিক আছে। যে করেই হোক কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে হবে। তার সঙ্গে দেখা হলে সুযোগ আসতে পারে। আমি তোমার সঙ্গে কথা বললাম, বিশেষ করে কারণ আমার মন বিক্ষিপ্ত ছিল আমার অনুকূলে বয়সের পার্থক্য থাকার কারণে।

হ্যাঁ, আমি বুঝতে পারছি।

করমারি মালানের দিকে তাকাল।

মালান বলল, নিজেকে বলো, তিনি বৃদ্ধ হননি। তিনি সেই যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন। সেও অনেক দিন হয়ে গেছে।

বেশ কিছু সংখ্যক আনন্দের যোগও আছে তাতে।

হ্যাঁ, তুমি জীবনকে ভালোবাসো। যেহেতু তুমি সেটাই বিশ্বাস করো জীবনকে তোমার ভালোবাসতেই হবে। মালান একটা ছাপা সুতি কাপড়ের ইজি চেয়ারে ধপাস করে বসে পড়ল। একটা অপ্রকাশ্য বিষাদময়তা তার সারা মুখে ছড়িয়ে পড়ল।

ঠিকই বলেছ। আমি জীবনকে ভালোবেসেছি। আমি জীবনের জন্য ক্ষুধার্ত। একই সময়ে জীবনকে ভয়ঙ্কর আর অপ্রবেশ্যও মনে হয়। সে কারণেই আমি বিশ্বাসী, আবার একই সঙ্গে সংশয়বাদীও। হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করতে চাই; আমি চিরকাল বেঁচে থাকতে চাই। একথা বলার পর সে নীরব হয়ে গেল।

পয়ষট্টি বছর বয়সে প্রত্যেকটা বছরই যেন ফাঁসির জন্য অপেক্ষমাণ সময়। আমি শান্তিতে মারা যেতে চাই। মৃত্যু আমাকে আতঙ্কিত করে তোলে। আমি এ পর্যন্ত নিজের মতো করে কোনো কিছুই সম্পন্ন করতে পারিনি।

পার্থিব জীবনকে অনেকেই প্রমাণ করে দেন। তাদের উপস্থিতি দিয়েই তারা অন্যদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন।

হ্যাঁ, অবশ্যই এবং তারা মৃত্যুবরণ করেন।

দুজনই চুপ হয়ে গেল। ঘরের চার পাশে বাতাস যেন আরো জোরে বইতে থাকল।

মালান বলল, জ্যাক, তোমার কথাই ঠিক। যাও, যতদূর অনুসন্ধান করতে পারো, দেখো। এখন তোমার নিজের জন্য তো আর বাবার দরকার নেই। নিজেকে একাই এতদূর নিয়ে এসেছ। এখন যেহেতু তুমি জানো কিভাবে ভালোবাসতে হয়, তুমি তাকে ভালোবাসতে পারো। তবে...., বলেই মালান একটু থেমে গেল। কিছুটা দ্বিধায় থেকে আবার বলল, আমাকে দেখতে এসো। আমার সময় খুব বেশি নেই। আর আমাকে ক্ষমা করে দিও।

তোমাকে ক্ষমা করতে বলো? আমার সবকিছুর ঋণ তো তোমার কাছে।
না, আমার কাছে তোমার তেমন ঋণ নেই। আমি তোমার ভালোবাসার প্রতি মাঝে মধ্যে সাড়া দিতে পারিনি। সেজন্য ক্ষমা করে দিও।

টেবিলের ওপরে ঝুলন্ত প্রাচীন বাতিটার দিকে তাকিয়ে রইল মালান। তার কণ্ঠটা ফাঁকা শোনাল যখন সে করমারিকে তার শেষ কথাগুলো বলল; করমারি চার পাশের জনশূন্যতার বাতাসে বার বার শুনতেই থাকবে সেই কথাগুলো: আমার ভেতরে ভয়ঙ্কর এক শূন্যতা, ভয়ঙ্কর এই বৈরাগ্য আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।

৪. বালকের খেলা

একটা সংক্ষিপ্ত তরঙ্গবিক্ষোভ জুলাই মাসের কড়া তাপের মধ্য দিয়ে জাহাজটাকে গড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার কেবিনে অর্ধনগ্ন অবস্থায় শুয়ে জ্যাক করমারি ঘুলঘুলি পথে সমুদ্রের ওপর ভেঙে পড়া সূর্য-রশ্মির প্রতিফলন দেখছে। হঠাৎ লাফিয়ে উঠে জ্যাক কেবিনের ফ্যানটা বন্ধ করে দেয়; বুকের ত্বকে সুরসুরি তৈরি করার আগেই ফ্যানের বাতাসে লোমকূপের ঘাম শুকিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, ঘেমে যাওয়াটা তেমন খারাপ না, ভালোই তো। সরু এবং শক্ত মঞ্চকের ওপর আরাম করে শুয়ে পড়ে সে। বিছানা এরকম শক্তই হওয়া উচিত। বিশাল সেনাবহিনীর অবিরাম মার্চ করে যাওয়া শব্দের মতো জাহাজের গভীর তলদেশ থেকে ইঞ্জিনের চাপা কম্পনের একঘেয়ে ভোঁতা শব্দ ছড়িয়ে পড়ছে। এরকম বড় স্টিমারের তৈরি দিন রাত অবিরাম শব্দ এবং জীবন্ত আগ্নেয়গিরির ওপর হেঁটে বেড়ানোর মতো অনুভূতিও তার বেশ পছন্দ, বিশেষ করে যখন দৃষ্টির সামনে বিশাল সমুদ্রের এই খোলা দৃশ্যপট ভেসে আসে। তবে ডেকের ওপরে খুব গরম পড়েছে। ডেকের যেটুকুর ওপরে ছাউনি আছে সে জায়গাটাতে চেয়ারে ঢলে পড়েছে যাত্রীরা: দুপুরের খাবারের প্রতিক্রিয়া নেশার মতো তাদের কাবু করে ফেলেছে। কিংবা কেউ কেউ ডেকের নিচে চলাচলের রাস্তার দিকে দৌড়ে চলে গেছে দিবানিদ্রার ব্যবস্থা খুঁজতে। দিবানিদ্রা জ্যাকের পছন্দ নয়। আলজিয়ার্সে থাকাকালীন নানি তাকে তার সঙ্গে দুপুর বেলা ঘুমোতে বাধ্য করতেন।

ছোটবেলায় নানি তাকে উদ্ভট একটা উপাধিতে ডাকতেন। সেই উদ্ভট বেনিডোর নামটা কাঁটার মতো মনে পড়ে যায়: আলজিয়ার্সের ওই বাড়িটার তিনটা রুমই সযত্নে ফেলা ঝাঁপের আড়ালে বন্ধ থাকত। বাইরে ধূলিময় রাস্তা যেন সূর্যের প্রখর তাপে ভাজা ভাজা হতো। আর ঘরের মধ্যে আধো আলোয় দুয়েকটা বিশাল আকৃতির মাছি বের হয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আপ্রাণ চেষ্টায় উড়োজাহাজের মতো উড়ড়ে উড়তে ভনভন করতে থাকত। এত গরমে পারদাইলান কিংবা ল’ইন্ট্রিপাইড পড়া যেতো না। কখনও কখনও নানি বাড়িতে না থাকলে কিংবা প্রতিবেশির সঙ্গে আলাপে ব্যস্ত থাকলে ছোট জ্যাক রাস্তার দিকে মুখ করা শোবার ঘরের ঝাঁপের ফুটোয় নাক গলিয়ে দিত। রাস্তা তখন জনমানবহীন। রাস্তার ওপারে জুতার দোকান এবং জামাকাপড়ের দোকানের সামনে লাল আর হলুদ রঙের মোটা খড়খড়ি নামানো থাকত। তামাকের দোকানের সামনে বিভিন্ন রঙের গুটিগুটি নকশার পর্দা ফেলা থাকত। জাঁর ক্যাফেটেরিয়া থাকত একেবারে ফাঁকা; ঘুণ-ঢাকা মেঝে আর ধূলিময় ফুটপাতের মাঝখানে দরজার চৌকাঠের ওপর একটা বিড়াল ঘুমিয়ে থাকত; দেখে মনে হতো বিড়ালটা মরে গেছে।

জ্যাক তখন ফিরে যেত সাদা রঙ করা রুমটাতে; সেখানে আসবাবপত্র বলতে খুব অল্পই ছিল: মাঝখানে একটা গোলাকার টেবিল, দেয়ালের পাশ ঘেঁষে একটা দেরাজ, আঁকিবুকি আর কালির দাগ লাগা একটা ডেস্ক, পাঁচটা চেয়ার আর মেঝের ওপরে কম্বলঢাকা একটা জাজিম–রাতে সেখানে জ্যাকের আধো-বোবা মামা ঘুমাত। এক কোণে দেয়ালের তাকে ছিল সরু গলাঅলা একটা ফুলদানি; এরকম ফুলদানি শুধু মেলায় দেখতে পাওয়া যায়। বাইরের প্রখর সূর্যালোক আর ভেতরের আবছা আবদ্ধ ঘরের মতো দুটো মরুভূমির মধ্যে আটকা পড়ে টেবিলটার চারপাশে দ্রুত পায়ে ঘুরতে ঘুরতে জ্যাক গির্জার পুরোহিতের মতো গাইত–আমি ক্লান্ত, আমি ক্লান্ত। সে ক্লান্ত; তবু তার ওই ক্লান্তি আর একঘেয়েমির মধ্যে একটা খেলা ছিল; এক ধরনের উত্তেজনা ছিল। কারণ নানি যখন তাকে বেনিডোর বলে ডাকতে ডাকতে ঘরে ঢুকতেন তখন তার ওপরে যেন বয়সের ভার নেমে আসত। তবে তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়ে যেত। নানি নয় জন ছেলেমেয়ে লালন পালন করেছেন। কীভাবে বাচ্চাদের বড় করতে হয় সে বিষয়ে তার নিজস্ব ধ্যান ধারণা ছিল।

এক ধাক্কাতেই নানি তাকে শোয়ার ঘরে ঢুকিয়ে দিতেন। শোয়ার দুটো ঘর উঠোনমুখী। তার মধ্যে ওটা একটা। অন্য ঘরটায় দুটো বিছানা: একটা তার মায়ের, আরেকটাতে থাকত তারা দুভাই। আর একটা ঘর ছিল নানির নিজের। কিন্তু নানি রাতে মাঝে মাঝে এবং দুপুরের ঘুমের সময় প্রতিদিনই তার ঘরে নিয়ে যেত। সেখানে ছিল কাঠের একটা উঁচু বিছানা। স্যান্ডেল খুলে উঠতে হতো সেই বিছানায়। একবার নানি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় জ্যাক চুপি চুপি নেমে গিয়ে টেবিলের চার পাশে ঘুরতে ঘুরতে পুরোহিতের গানের মতো তার সেই গান গাইতে শুরু করেছিল। সেই থেকে জ্যাকের জায়গা হলো বিছানার দেয়াল ঘেঁষা পেছন পাশটায়। সে বিছানায় উঠে শুয়ে পড়লে নানি পোশাক বদল করতেন: পরনের ফিতা দিয়ে বাঁধা পাটের তৈরি মোটা কামিজটা খুলে ফেলতেন। তারপর বিছানায় উঠে আসতেন। জ্যাকের নাকে লাগত বয়স্ক মানুষের মাংসের গন্ধ। নানির পায়ের বার্ধক্যজনিত কুৎসিত দাগ আর মোটা নীল শিরার দিকে তাকিয়ে থাকত জ্যাক। ঘুমাও বেনিডোর, বলে নানি খুব দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়তেন। আর জ্যাক খোলা চোখে রুমের ভেতরে বড় বড় মাছিদের যাওয়া আসা দেখত।

হ্যাঁ, সেই সময়ে বহু বছর এবং বড় হয়েও অনেক দিন জ্যাক ওই সময়ের অভিজ্ঞতাটা ঘৃণা করে এসেছে। খুব বেশি মাত্রায় অসুস্থ না হলে গরমের মৌসুমে বিছানায় হাত ছড়িয়ে কখনও শোয়নি জ্যাক। তারপরও যদি কখনও হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েছে তাহলে জেগে উঠেছে বিতৃষ্ণা নিয়ে। শুধু সাম্প্রতিক সময়ে রাতের অনিদ্রার কারণে দিনের বেলা আধাঘন্টার মতো ঘুমিয়ে সতেজতা এনেছে। বেনিডোর!

সূর্যের আলোর চাপে বাতাস মনে হয় পড়ে এসেছে। জাহাজ এখন মৃদু গড়িয়ে চলা থামিয়ে সোজা এগিয়ে চলছে। ইঞ্জিন এখন পূর্ণ গতিতে আছে। জাহাজের পাখা পানির গভীর তলদেশ খুঁড়ে চলছে। পিস্টনের শব্দ একটানা হচ্ছে বলে সমুদ্রের পানির ওপরে পতিত সূর্যের নরম আলো থেকে এই শব্দ আলাদা করা যাচ্ছে না। জ্যাক আধো ঘুম আধো জাগরণে; আলজিয়ার্সের পুরনো এবং হতদরিদ্র বাড়িতে ফিরে যাওয়ার বিষয়টা তাকে কিছুটা সুখি অস্থিরতায় ফেলে দিয়েছে। প্যারিস ছেড়ে আফ্রিকায় যাওয়ার সময় প্রতিবারই এরকম অনুভূতি কাজ করেছে তার মধ্যে: গোপন আনন্দে হৃদয় ভরে উঠেছে। পালানোর চেষ্টা সফলতায় পরিণত করার বিষয়টাও সন্তুষ্টির আবেশ তৈরি করেছে। আর পাহারাদারদের মুখের চেহারা মনে আসায় তার হাসি পাচ্ছে। ঠিক এভাবেই প্রতিবার বাসযোগে কিংবা ট্রেনে প্যারিসে ফিরে আসার পর তার মন বিষন্ন হয়ে যেত। কীভাবে এমন হতো সেটা তার জানার বাইরে থেকে গেছে। ওই সব দিনগুলোতে শহরের বাইরে অবস্থিত সামনে গাছপালাহীন বাড়িঘর হতভাগ্য ক্যান্সারের মতো কদর্যতা আর দারিদ্রের স্নায়ুগ্রন্থি পর্যন্ত পৌছে যেত যেন তার ওই পরবাসী শারীরিক অস্তিত্বকে একাত্ব করে নেয়ার জন্য এবং তাকে নগরের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ইট-কাঠের অরণ্য তাকে রাত দিন বন্দি করে রাখত।

এমনকি তার নিদ্রাহীনতাকেও আক্রমণ করত সেই অরণ্য। তবে ইট-কাঠের সেই অরণ্য তার মন থেকে মুছে দিত সেখানকার এক মঞ্চসজ্জা। অবশেষে সে পালিয়ে আসতে পেরেছে। সমুদ্রের বিশাল পৃষ্ঠদেশে সূর্যের দোলায় দোলায়িত ঢেউয়ের ওপর সে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। অবশেষে সে ঘুমাতে পেরেছে, যে বাল্যকাল থেকে সে কখনওই মুক্তি পায়নি সেখানে সে ফিরে আসতে পেরেছে, আলোর গোপন গহনে ফিরে আসতে পেরেছে, যে দারিদ্র তাকে সব বাঁধা অতিক্রম করার শক্তি দিয়েছে সেই উষ্ণ দারিদ্রের আলোর কাছে ফিরে আসতে পেরেছে। ঘুলঘুলির তামার ওপরে পতিত বিচুর্ণ প্রতিফলন এখন প্রায় অনড়; সেই প্রতিফলন এসেছে ওই একই সূর্য থেকে যে সূর্য সর্বশক্তি নিয়ে সেই অন্ধকার রুমের ঝাঁপের ওপর পতিত হতো। সেই অন্ধকার রুমে ঘুমিয়ে থাকতেন নানি। আর ঝাঁপের ধাতুপাতে হঠাৎ উত্থিত গ্রন্থি-সৃষ্ট একটা ফুটো দিয়ে অন্ধকারের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতেন একটা সরু তরবারি। মাছিগুলোকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। মাছিগুলো জ্যাকের স্বপ্নপ্রয়াণের বাসিন্দা হয়নি কিংবা স্বপ্নপ্রয়াণকে পুষ্টিদান করেনি। সমুদ্রে মাছি নেই। তা ছাড়া শব্দ তৈরি করার কারণে যে মাছিগুলোকে বালক জ্যাক ভালোবাসত সেগুলো তো মৃত; ওই জগতের সব জীবনধারী গরমের কারণে চেতনানাশিত। আর শুধু সে নিজে ছাড়া সব মানুষ এবং প্রাণী যার যার কুক্ষির ওপরে অসাড় হয়ে পড়ে থাকত। সত্যিই দেয়াল আর নানির মাঝখানে বিছানার সরু ওই জায়গাটাতে সে এপাশ ওপাশ করতে থাকত আর বেঁচে থাকার আকাঙ্খা পোষণ করত। মনে হতো, ঘুমের সময়টাকে যেন তার বেঁচে থাকার সময় আর খেলার সময় থেকে বিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে। খেলার সঙ্গীরা নিশ্চয়ই তার জন্য রিউ প্রিভোষ্ট-পোরাডোলে অপেক্ষা করত। পানি ঢালার কারণে পাশের বাগান থেকে সন্ধ্যার সময় সোঁদা গন্ধ বের হতো ওখানে। পানি ঢালার কারণে হোক আর না-ই হোক মৌমাছির চাকের গন্ধও পাওয়া যেত; কারণ ওখানে যত্রতত্র মৌমাছির চাকও তৈরি হতো। নানি জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জ্যাক দৌড়ে বের হয়ে যেত রিউ ডি লিওনের দিকে; তখনও সেখানে ডুমুর গাছের নিচটা ফাঁকা। তারপর দৌড়ে প্রিভোষ্ট-পোরাডোলের ফোয়ারার কাছে গিয়ে ঢালাই লোহার হাতল ঘুরিয়ে পানির ধারার নিচে মাথা এগিয়ে দিত। নাকের ছিদ্র, কান, শার্টের খোলা গলা এবং পেটের ওপর দিয়ে গড়িয়ে তার পায়ের স্যান্ডেল পর্যন্ত গিয়ে ঠেকত পানি।

পায়ের তলার ত্বক আর স্যান্ডেলের চামড়ার মাঝখানে পানির প্যাচপেচে অনুভূতি তার মনে আনন্দের আমেজ ছড়িয়ে দিত। জ্যাক তখন দৌড়তে থাকত পিয়েরে এবং অন্যদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য। ওরা রাস্তার ধারের একমাত্র দোতলা বাড়ির ঢোকার পথে একটা হল রুমে অপেক্ষা করত। জ্যাক ওখানে পৌঁছে দেখত, ওরা সিগারের আকৃতির কাঠের একটা টুকরো ঘষে ঘষে সমান করছে; ব্যাডমিন্টনের ব্যাটের মতো কাঠের একটা ব্যাট আর ওই টুকরোটা দিয়ে তারা কানেত্তি ভিঙা খেলত।

(চলবে)

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশে জিরো করলেও লাভ নেই। কারণ আমরা কার্বন নিঃসরণ কম করি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হই বেশি। আমরা উন্নয়নের পাশাপাশি সেটাকে টেকসই করতে চাই। আমরা শুধু উন্নয়নে নয় বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। একইসাথে তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, তথ্য কমিশনে আইন আছে। আমি তাদের সাথে বসেছি কয়েকদিন আগে। আমার উপলব্ধি হয়েছে দুইদিকে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমি দেখেছি তথ্য চাইলেই সরকারি অনেক কর্মকর্তা খুব ডিফেন্সিভ হয়ে যায়। তথ্য কেন চাইবে এমন একটা বিষয় দাঁড়ায়। আসলে এটা তাদের দোষ নয়। আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার প্রভাব এটা।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আমরা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ বিষয়টি আরও সহজতর করবো। এছাড়া তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরাও যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একইসাথে ফ্যাক্ট চেক নিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) এর র‍্যাংকিংয়ের উদ্যোগ খুব ভালো। তবে তাদের নিকট অনুরোধ, পদ্ধতিগত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা সবসময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। এরপর আমাদের অবস্থান বা র‍্যাংকিং যা হয় হবে। তবে তারা বারবার ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো।

খাবারে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে শিক্ষকের বাসায় চুরি

বাসায় লুটপাটের পর এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে আসবাবপত্র। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে এক প্রধান শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এতে চোরচক্র বাসার আলমিরা ভেঙে নগদ এক লাখ টাকাসহ ও ২ থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে। নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো খাবার খেয়ে শিক্ষকসহ তার পরিবারের তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

শনিবার (০৪ মে) সকালে এমন খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) মো. শরিফুল হক ও ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

গত শুক্রবার রাতে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা গ্রামের শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমানের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি নিকরাইল পলশিয়া রানী দিনমনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অসুস্থরা হলেন- শিক্ষক মতিয়ার রহমান (৫৬), তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী দোলন (২৮) ও তার মেয়ে মারিয়া জাহান মুন্নী (২২)।

অসুস্থ মেয়ে মারিয়া জাহান বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে আমিসহ আমার বাবা ও ভাবি খাবার শেষে নিজ নিজ রুমে ঘুমাতে যাই। অন্যান্য দিন আমরা টিভি বা মোবাইল দেখে ১২ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু সেদিন রাতে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ঘুম ঘুম ভাব আসে। পরে কখন ঘুমিয়ে যাই তা জানা নেই। রাত ৩ টার দিকে বাসায় শব্দ হলে ঘুম ভেঙে যায়। পরে কয়েকজন লোক রুমে প্রবেশ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে লুটপাট করে। তাদের মুখ ডাকা ছিল। যার কারণে তাদের চিনতে পারেনি।

ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত শুক্রবার রাতে বাবা, ছোট বোন ও আমার স্ত্রী তারা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায় ও আমিও ঘুমিয়ে পড়ি। পরে ভোরে ঘুম ভাঙলে দেখি বাবা, ছোট বোন ও স্ত্রী তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং বাসার সবকিছু এলোমেলো। পরে ডাক-চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাবাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বোন ও স্ত্রীকে বাসাতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) মো. শরিফুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এনিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আগে অভিজাত পরিবার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টেনিস খেলতো। এখন আর সেরকম জৌলুস নেই। একজন টেনিস খেলোয়াড় ১০০ জনকে পথ দেখাবে। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা মিলে খেলোয়াড় তৈরি করবেন। এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে।

শনিবার (৪ মে) ঢাকায় বিজয়নগরস্থ হোটেল ৭১এ বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ফুটবল খেলোয়াড়রা একসময় উন্মাদনা তৈরি করেছিল। সেই উন্মাদনা আমাদেরকে মাঠে নিয়ে যেত। আমরা বয়স ভিত্তিক টেনিস খেলাকে গুরুত্ব দিয়েছি। সাধারণকে টেনিস মাঠে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি। উপজেলা পর্যায়ে টেনিস খেলা চলে গেছে। টেনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। প্রচারণার সেই জায়গাটাই নিয়ে যেতে চাই। টেনিসের প্রতি যাদের প্রেম, ভালবাসা আছে তাদেরকে আগামীতে নির্বাচিত করবেন। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা মিলে খেলোয়াড় তৈরি করবেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, টেনিস ফেডারেশনকে জবাবদিহিতার জায়গায় রাখতে চাই। সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো দূর করে টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। মানব কাঠামো তৈরি হচ্ছে না। এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংস্কৃতি ও ক্রীড়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছেন। ক্রিকেটে ওডিআই ও টেস্ট স্ট্যাটাস তার সময় এসেছে। ক্রিকেট এখন সমীহ জাগানো বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স আধুনিক করে দিয়েছেন।

সভায় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার সাধারণ সম্পাদকের এবং কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদ সালাহউদ্দিন কোষাধ্যক্ষ এর রিপোর্ট পেশ করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
খাবারে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে শিক্ষকের বাসায় চুরি
একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়
ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয় চক্রটি
রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন
বাড়ি ফিরলেই বিয়ে, হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল আশিকের
অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
নোয়াখালীতে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, সেনা সদস্যসহ নিহত ৪
‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট
হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে : গবেষণা
নওগাঁয় ট্রলির চাপায় সড়কে প্রাণ গেল এনজিও কর্মীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা