সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫

বিষাদ বসুধা

আরেফিন জ্বরে কাতর। তিনি থরথর করে কাঁপছেন। তিনি নিজের কপালে হাত দিয়ে দেখেছেন, শরীরে জ্বরের মাত্রা একশ’ তিন চারের কম হবে না। জ্বরটা মাপতে পারলে ভালো হত। কিন্তু তার কোনো উপায় নেই। শেষ রাতের দিকে কাঁপিয়ে জ্বর আসে তার। তখনই তিনি বিছানা থেকে উঠে দুটি প্যারাসিটামল খেয়েছেন। কিন্তু তাতে পুরোপুরি জ্বর সারেনি। তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। এখন আবার বেড়েছে।

জ্বরের কাঁপুনিতে তার ঘুম ভেঙে যায়। জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। মাথাটা মনে হচ্ছে ছিড়ে যাচ্ছে। বিছানা থেকে মাথা তুলতে পারছেন না। মাথায় পানি দিতে পারলে হয়ত জ্বরের মাত্রাটা কমতো। সেজন্য তিনি কয়েকবার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু মাথার যন্ত্রণা এমন বেড়েছে যে, বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না। তাছাড়া শরীরের কাঁপুনিও অনেক বেড়েছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হয় তার।

আরেফিন লেপ গায়ে দিয়ে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে। তার মাথায় নানা রকম চিন্তা ঢুকেছে। তিনি মনে মনে ভাবেন, এখন জ্বর মানে করোনা। করোনা হলে আপনজনরাই কাছে আসে না। আর হোটেলের লোকজন তো আসবেই না। হোটেল কক্ষেই মরে পড়ে থাকবো! হায় হায়! এ রকম মৃত্যু খোদা-তায়ালা আমার কপালে লিখল! না না! এ রকম মৃত্যু আমি চাই না!

আরেফিন মাকে ডাকছেন। বাবাকে ডাকছেন। মোহিনীর কথাও বার বার মনে পড়ছে। সবাইকে ছেড়ে তিনি চলে যাবেন! পৃথিবী থেকে শেষ বিদায়ের দিনেও প্রিয়জনরা তার মুখ দেখতে পারবেন না! এটা কিছুতেই মানতে পারেন না আরেফিন। বিছানা থেকে উঠার চেষ্টা করেন আরেফিন। উঠতে গিয়েও উঠতে পারেননি তিনি। তার শরীরে এক রতি বলও নেই। তার কাছে মনে হচ্ছে তিনি শূন্যে ভাসছেন। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। কিন্তু সেই চিৎকারের শব্দ যেভাবে বের হচ্ছে তা খুবই আজব ধরনের। আর তার শব্দ কক্ষের বাইরে কেউ শুনতেও পাবে না। কাউকে ডাকলে হয়ত আসত। তার ভালোমন্দ খোঁজখবর নিত। জ্বরের কথা জানার পর হয়ত চলে যেত। কিন্তু হোটেলের লোকজনকে তো জানতে হবে, আরেফিন গভীর সংকটে পড়েছেন!

আরেফিনের প্রচণ্ড পানির পিপাসা লেগেছে। তার দুই ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তটা সে দেখতে পাচ্ছে। তার মানে মানুষের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মৃত্যুর সময়টা! আর সেই সময়ই কি আরেফিনের সামনে সমাগত! আরেফিনের কাছে তাই মনে হচ্ছে। মৃত্যু চিন্তা তাকে কাতর করে তুলেছে। তার ধারণা, মৃত্যু আসবে বলেই তাকে করোনায় ধরেছে। মৃত্যুদূতের তো একটা অজুহাত লাগবে! তা না হলে জান-কবজ করবে কি করে? এখন তার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। বাঁচার কোনো আশা নেই।

বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন আরেফিন। তিনি যে একদিক থেকে আরেকদিকে ঘুরবেন তাও পারছেন না। শরীর মোটেই সায় দিচ্ছে না। তার মানে কি আজরাইল তার গায়ের উপর চেপে বসেছে? মাথাটা মনে হচ্ছে কেউ লোহার শিক দিয়ে বেঁধে রেখেছে। মোটেই নাড়াতে পারছে না। এটাই কি তার শেষ মুহূর্ত! সে কি মুখে একটু পানিও দিতে পারবে না! বিছানার পাশের টেবিলে পানির বোতল থাকার কথা। পাশ ফিরে না দেখতে পারলে তো বুঝতে পারবে না! অনেক চেষ্টার পর তিনি তার মাথাটা ডানদিকে ঘুরিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এদিকে কোনো পানির বোতাল নেই। কথায় বলে, অভাগা যেদিকে তাকায় সাগর শুকিয়ে যায়। আরেফিনের অবস্থা সে রকমই হয়েছে। এক ফোটা পানির জন্য তার কাতর অবস্থা। অথচ পানি মুখে দেওয়ার মতো অবস্থায় তিনি নেই।

এবার আরেফিন অন্যদিকে মাথা ঘোরাবে বলে মনস্থির করেছেন। কিন্তু এখন তার শরীরের যে অবস্থা; তাতে মনে হচ্ছে, তার ইচ্ছায় এখন আর শরীর চলে না। শরীরের ইচ্ছায় তাকে চলতে হয়। শরীর সায় দিলে সে চলে। সায় না দিলে তিনি মরার মতো পড়ে থাকে। এখন তিনি মাথা ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। কতক্ষণে পারবেন তা বুঝতে পারছেন না। গলা লোহার মতো শক্ত হয়ে আছে।

আরেফিন মনে মনে ভাবেন, আজরাইলের কি কোনো মায়াদয়া বলতে কিছু নেই! এতো কষ্ট দেয় মানুষকে! অবশ্য মায়াদয়া থাকলে তো জানকবজই করতে পারত না। তাকে দোষ দিয়ে লাভ কি। সৃষ্টিকর্তা তাকে ওভাবেই তৈরি করেছে। সে শুধু আল্লাহর নির্দেশ পালন করবে। কখন তাতে তুলে নিতে হবে তা নির্ধারিত। তাকে রোধ করার সাধ্য কারো নেই। বিজ্ঞানীরা এতো এতো অস্বাভাবিক এবং বিস্ময়কর জিনিস আবিষ্কার করছে। এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে যাচ্ছে। অন্য গ্রহে বসাবাসের চিন্তা করছে। অথচ তারা মানুষের মৃত্যু রোধ করতে পারছে না। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি ভাইরাস; যা চোখে দেখা যায় না। সেই ভাইরাসের ভয়ে সারাবিশ্বের মানুষ তটস্থ। সে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। একজন মানুষ আরেকজন মানুষের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছে। সন্দেহ করছে। সামাজিকতা, পারিবারিক আচার-অনুষ্ঠান সব বন্ধ হয়ে গেছে। হোটেল রেস্তোরাঁগুলো খাঁ খাঁ করছে। কোথাও কোনো আড্ডা নেই। গল্প নেই। আলোচনা সমালোচনা নেই। মানুষে মানুষে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ। কী এক আজব সময় পার করছি আমরা!

আরেফিন এক দুঃসহ যন্ত্রণার সময় কাটাচ্ছেন। এ যে মৃত্যু যন্ত্রণার চেয়েও কঠিন। মৃত্যু চিন্তা যখন মাথায় ঢোকে তখন সব মানুষই হয়ত এমন যন্ত্রণাদায়ক সময় পার করে। তার মাথায় নেতিবাচক চিন্তাগুলো ঢুকতে থাকে। সেগুলো তাকে সারাক্ষণ খোঁচাতে থাকে। তার অঙ্গপ্রতঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে।

আরেফিন অনেক চেষ্টার পর অন্যপাশে ফিরেছেন। তিনি খাটের পাশের ছোট্ট টেবিলে একটি পানির বোতল দেখেছেন। বোতলটা হাতের নাগালের বাইরে। দুইতিন হাত সামনে না আগালে তিনি বোতলটা হাতে পাবেন না। তিনি আস্তে আস্তে সামনের দিকে আগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার শরীর ব্যথায় টুকরো হয়ে আছে। হাত-পা নাড়াতে পারছেন না। এক রাতের জ্বরের শরীর এতো দুর্বল হয় কী করে! সে ভাবনাও তার মাথায় ঘুরপাক খায়। তিনি কি সত্যিই মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তটা পার করছেন!

টানা দুদিন মৃত্যুদূতের সঙ্গে যুদ্ধ করেন আরেফিন। তার প্রতিটি মুহূর্ত কাটে আশা আর দূরাশার দোলাচলে; বাঁচা আর মরার সঙ্গে যুদ্ধ করে। সে এক কঠিন যুদ্ধ। এক এক করে জীবনের সব আলো যখন নিভে যায় তখন টানেলের এক টুকরো আলোও তার মনে বাঁচার আশা জাগায়। আরেফিন মনে মনে ভাবেন, পৃথিবীর মায়া যেভাবে আমাকে টানছে তাতে হয়ত মরতে মরতে বেঁচে যাব আমি! ফিরে যাব আমার ভালোবাসার কাছে; আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে। ফিরে যাব মা বাবার কাছে। যারা আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। তা না হলে হয়ত দেখাই হত। কিংবা দেখা হত অন্যভাবে। অন্য কোনো পরিবেশে। অন্য কোনো পরিবারে। তাতে পৃথিবীকে উপলব্ধি করার মতো কোনো অনুসঙ্গ খুঁজে পেতাম না। এ যাত্রায় বেঁচে গেলে আমি আমার প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাব। তারা নিশ্চয়ই অধীর আগ্রহে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমাকে যেতেই হবে। তা নাহলে যে সবার স্বপ্নভঙ্গ হবে। আমার নীরব প্রস্থানের মধ্যদিয়ে সবার স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনাশ হবে তা নিশ্চয়ই প্রকৃতি কিংবা বিধাতা কেউই চাইবেন না। যে পৃথিবীকে আমি এতো ভালোবাসি; সেই পৃথিবী আমাকে এভাবে বিদায় দেবে! না না; তা কিছুতেই হতে পারে না।

আরেফিন ঘোরের মধ্যেই তার মা বাবার সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছে ক্ষমা চান। ভুলত্রুটির ক্ষমা। তাদের জন্য কিছু না করতে পারার ক্ষমা। তাদের কারণে অকারণে কষ্ট দেওয়ার ক্ষমা। তার প্রিয়তমা স্ত্রী মোহিনীর কাছেও তিনি ক্ষমা চান। তিনি বলেন, এই জীবনে তো তোমার সঙ্গে আমার সময়টা ভালো গেল না! পরজনমে যেন তোমায় পাই। তুমি কথা দাও। পরজনমে তুমি আমারই থাকবে। আমি ছাড়া তোমাকে এতোবেশি ভালোবাসা কেউ দেবে না; কেউ না। তুমি দেখ। আমি যে কত ভালোবেসেছি তোমাকে; তা তুমি টের পাবে। নিশ্চয়ই টের পাবে। আমার শারীরিক উপস্থিতি হয়ত তখন থাকবে না। কিন্তু তোমার জীবনের পরতে পরতে আমার উপস্থিতি টের পাবে।
আরেফিন হয়ত শেষ নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তেই বললেন, বিদায় পৃথিবী; বিদায়!

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সোমবার (৬ মে) টিআইবির ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (প্রথম ধাপ) হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। যেখানে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ জন কোটিপতি। এছাড়া ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ১৭ জন ও ৪৩৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৬ কোটিপতি প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পেশা হিসেবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বলে মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’ এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলটি স্থানীয় প্রার্থীদের আটকাতে পারেনি। আগ্রহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন।

টিআইবি বলছে, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টির প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি আটটি করেনি। ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন- ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন তালিকায়।

বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান।

টিআইবি জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা চতুর্থ নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৬.৫৯ শতাংশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪.৩৭ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৫২ শতাংশই নিজেকে গৃহিণী গৃহস্থালি কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। আয় নেই ১২ শতাংশের, ৩৯ শতাংশ নিজেদের আয়ের কোনো স্বীকৃত উৎস দেখাননি।

৫ বছরে একজন চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩৩১৯ শতাংশ, ১০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১৮২৩ শতাংশ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪২৫১ শতাংশ।

স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১২৪০ শতাংশ। ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে এ হার সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ৪২০০ শতাংশের বেশি।

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিয়েছেন এক পাষণ্ড মা। ৬ বছর বয়সী ওই ছেলেকে ডান্ডেলি তালুক নদীতে ফেলা দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকে। রোববার (৫ মে) পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

জন্মের পর থেকে বড় ছেলে কোনো সাড়া শব্দ করেনি। এ নিয়ে এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই মারামারি এবং ঝগড়া হতো। তাদের দুই বছরের আরও এক ছেলে রয়েছে।

সাবিত্রীর ২৭ বছর বয়সী সামী প্রায়ই তার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। কেন সে প্রতিবন্ধী ছেলে জন্ম দিয়েছে তার জন্য তাকে মারধরও করা হতো। কখনও কখনও তার স্বামী ছেলেকে ফেলে দিতে বলত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, ছেলেকে নিয়ে শনিবার বিকালে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে সাবিত্রী ছেলেকে বাধ্য হয়ে নদীতে পেলে দেয়। ওই নদীতে কুমির রয়েছে।

প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে ঘটনা জানানোর পরই ছেলেটিকে খুঁজে পেতে স্থানীয় ডুবুরিদের নিয়ে ওই নদীতে তল্লাশি চালায় হয়। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে দিন রোববার সকালে পুলিশ ওই ছেলেটির ছিন্নভিন্ন দেহ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, এর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র: এনডিটিভি

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলগুলো গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে;

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না;
৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না;

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্স এ ইন্সটল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

৫) দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;

৬) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করিতে পারিবে না”। এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অতএব, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৭) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (২) এ উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারিবে না”। অতএব আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৮) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪ (১)-এ উল্লেখ আছে, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিবে না”। অতএব, লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না;

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে;

১০) আইন বা নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলগুলো গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে;

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না;
৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না;

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্স এ ইন্সটল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

৫) দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;

৬) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করিতে পারিবে না”। এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অতএব, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৭) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (২) এ উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারিবে না”। অতএব আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৮) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪ (১)-এ উল্লেখ আছে, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিবে না”। অতএব, লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না;

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে;

১০) আইন বা নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান
ফের পেছালো রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২
সারাদেশে ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু
হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ