শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে লাগবে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর বিদ্যমান নীতিমালা যুগোপযোগী করে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে ন্যূনতম পাঁচ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মেয়াদ হবে তিন বছর। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা ২০২৫ এ এসব নীতিমালার কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ নীতিমালা ‘প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা-২০২৫’ নামে অভিহিত হবে। সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ বা প্রচারের কাজে নিয়োজিত দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নীতিমালাটি প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে (আজ থেকে) কার্যকর হবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানের নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের অনুকূলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু, নবায়নের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিয়োজিত কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিলসহ নাম ও পদবি উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে প্রধান তথ্য অফিসার বরাবর আবেদন পাঠাতে হবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির জন্য তথ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত আবেদন ফরমের সংশ্লিষ্ট স্থানে এতদুদ্দেশ্যে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিয়োজিত কর্মকর্তার সুপারিশকৃত হতে হবে। গণমাধ্যম এতদুদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ সুপারিশ করলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের আবেদন বিবেচনা করা হবে না। আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে ন্যূনতম ৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি মিডিয়ায় প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রথম প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে তথ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত আবেদন ফরমে সুপারিশের স্থানে আবেদনকারীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন থাকতে হবে। এছাড়া নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল প্রত্যয়ন/নিয়োগপত্র নিয়োগকারীর অফিসিয়াল ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

এ ধরনের কার্ড নবায়নের ক্ষেত্রেও কার্ড ইস্যুর অনুরূপ শর্তাবলি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় কার্ড নবায়ন করা হবে না। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমিটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু, নবায়ন অথবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, যে-কোনো সময় আবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যেকোনো তথ্য চাইতে পারবে। অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি প্রয়োজন মনে করলে নিরাপত্তা প্রশ্নে পুলিশ ভেরিফিকেশন করাতে পারবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড হারিয়ে গেলে নিকটবর্তী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে এবং এর অনুলিপি সংযুক্ত করে পুনরায় কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে, পুনরায় কার্ড ইস্যুর বিষয়টি প্রধান তথ্য অফিসার বিবেচনা করবেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ১ মাসের মধ্যে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড আবশ্যিকভাবে তথ্য অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে। সময়ের ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কার্ডধারীর অনুকূলে কোনো প্রকার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু বা নবায়ন করা হবে না।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে প্রতি বছর ৭ জানুয়ারির মধ্যে ন্যূনতম (ছয়) মাসের জন্য সাংবাদিকদের অপরিবর্তনীয় হালনাগাদ তালিকা পাঠাতে হবে। বছরের অবশিষ্ট সময়ের জন্য ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সাংবাদিকদের অপরিবর্তনীয় হালনাগাদ তালিকা পাঠাতে হবে। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মুদ্রিত হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলে তার বর্তমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তিনি নতুন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী ব্যক্তি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে বিরত থাকলে অথবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত না থাকলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রধান তথ্য অফিসারকে লিখিতভাবে তা জানাবেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে ইস্যুকৃত প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড তথ্য অধিদপ্তরে ফেরত পাঠাবেন। অন্যথায় ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

কোনো গণমাধ্যমের প্রকাশনা বা সম্প্রচারের লাইসেন্স/নিবন্ধন বাতিল করা হলে কিংবা বন্ধ হলে অথবা ডিএফপি মিডিয়া তালিকা থেকে বাদ গেলে কিংবা গণমাধ্যম প্রতিনিধির মৃত্যু হলে বা তিনি মিডিয়া থেকে চাকরিচ্যুত হলে অথবা পদত্যাগ করলে উক্ত গণমাধ্যমের প্রতিনিধির অনুকূলে প্রদত্ত প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ব্যবহার করে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রধান তথ্য অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি অ্যাক্রিডিটেশন কমিটিতে পাঠাবেন।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী কর্মরত সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত ‘কোড অব কনডাক্ট’ বা এই নীতিমালার কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে কমিটি তার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করবে এবং তথ্য অধিদপ্তর তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে অথবা অন্য কোনো যৌক্তিক কারণে প্রধান তথ্য অফিসার কার্ড বাতিলের জন্য প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির নিকট সুপারিশ করতে পারবেন।

রাষ্ট্রীয় কোনো কর্মসূচির নিউজ কাভারেজ কিংবা অন্য কোনো পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আগত বিদেশি সাংবাদিকদের সাময়িকভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া যাবে। তবে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন শেষে ৭ দিনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে উক্ত কার্ড প্রধান তথ্য অফিসার বরাবর ফেরত দিতে হবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের সুবিধাপ্রাপ্ত সাংবাদিক সরকারের বিভিন্ন সংবাদ উৎস, তথ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক ইস্যুকৃত সংবাদ ম্যাটেরিয়াল, স্থিরচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ও লিখিত তথ্য প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের বিধান অনুসরণ করে প্রবেশাধিকার পাবেন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু বা বাতিল প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি করবে। কারও কার্ড বাতিল হলে বা কমিটির কোনো সিদ্ধান্তে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি আপিল কমিটিতে আপিল করতে পারবেন। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু ও বাতিলের ক্ষেত্রে আপিল কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তবে প্রধান তথ্য অফিসার যৌক্তিক কারণে কোনো কার্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন যা পরবর্তী সময়ে কমিটি কর্তৃক অনুমোদন করতে হবে।

কোনো আবেদনকারী বা গণমাধ্যম প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অসত্য, প্রতারণামূলক/জাল তথ্য বা প্রমাণক সরবরাহ করলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে ওই আবেদনকারী বা মিডিয়া প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন ২ বছর হতে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবে। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী কোনো ব্যক্তি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের অপব্যবহার করলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

তবে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ব্যাবহার করে গুরুতর অপরাধ করলে প্রধান তথ্য অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড স্থগিত করতে পারবেন, যা পরবর্তী সময়ে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে ইস্যুকৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডটি স্থগিত থাকবে এবং বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কার্ডটি বাতিল হবে। তবে আপিল আদালতে বা চূড়ান্তভাবে নির্দোষ সাব্যস্ত হলে তিনি পুনরায় কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড হবে ডিজিটাল।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানের নিয়মাবলি বিষয়ে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ সম্পাদক, বরেণ্য সাংবাদিক/কলামিস্টগণ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাবেন। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকগণ পেশাগত এবং প্রধান তথ্য অফিসার নির্ধারিত অন্যান্য তথ্যাদি প্রদান সাপেক্ষে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্য হবেন।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমে কমপক্ষে ২০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং মূলধারার গণমাধ্যমে বছরে অন্তত ১০টি প্রতিবেদন প্রচার বা প্রকাশের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। প্রতিবেদনগুলো প্রধান তথ্য অফিসার যাচাই সাপেক্ষে কমিটিতে উপস্থাপিত হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে কর্মরত সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, উপসম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, প্রতিবেদক, আলোকচিত্রী ও ভিডিওগ্রাফারদের মোট সংখ্যার আনুপাতিক হারে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা হবে। তবে কার্ড প্রদানের সংখ্যা কোনোক্রমেই মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি হবে না এবং একক কোনো প্রতিষ্ঠান ১৫টির বেশি কার্ড পাবে না।

উল্লিখিত ব্যক্তিদের তালিকা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্যাডে সিলসহ প্রদান করতে হবে। এই তালিকায় উল্লিখিত সাংবাদিকের বেতন ও নিয়োগ প্রাপ্তির প্রমাণাদিসহ অন্য যেকোনো তথ্য অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি প্রয়োজন মনে করলে যাচাই-বাছাই করবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের তথ্যে ভুল পাওয়া গেলে সেই প্রতিষ্ঠানের কার্ড প্রাপ্তির যোগ্যতা সর্বনিম্ন ২ বছর হতে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত স্থগিত করা যাবে।

Header Ad
Header Ad

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

যদিও সাক্ষাৎটি ‘সৌজন্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এর আগে, ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওই বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যদি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, তাহলে ২০২৬ সালের পবিত্র রমজানের আগের সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সে লক্ষ্যে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এদিকে, আগাম নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন চায় কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটেই সিইসির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য আলোচনার সূচনা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবুও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগাম ভোটের সম্ভাবনা ঘিরে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।

Header Ad
Header Ad

খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার

এসআই সুকান্ত কুমার দাস। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাংচুরসহ ৪টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত  পুলিশের আলোচিত উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত কুমার দাসকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকালে সদর উপজেলা আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। 

গ্রেপ্তার সুকান্ত কুমার দাস খুলনার ডুমুরিয়া থানার কালিকাপুর গ্রামের শত্রুঘ্ন দাসের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন। ছুটিতে তার নিজ বাড়িতে খুলনায় অবস্থানকালে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। চিকিৎসা শেষে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিলে খুলনায় তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন চলে।

চুয়াডাঙ্গা আদালত পরিদর্শক নাসির উদ্দিন জানান, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় দায়ের করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সুকান্ত। তিনি স্বেচ্ছায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হলে  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তাকে সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

Header Ad
Header Ad

বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ‘বিশেষ সুবিধা’ চালু হচ্ছে আগামী ১ জুলাই থেকে। অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট হারে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে এ ভাতা ১ হাজার ও ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও, পরে তা বাড়িয়ে চাকরিতে থাকা কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের জন্য ন্যূনতম ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার এই সিদ্ধান্তের বিস্তারিত জানান। তারা বলেন, কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ১ থেকে ৯ গ্রেডে আছেন, তারা মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন। আর ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের মধ্যে থাকা কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ হারে।

এই বিশেষ সুবিধা পিআরএলে (অবসর-উত্তর ছুটি) থাকা কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তাদের বেতন বিবেচনায় নেওয়া হবে পিআরএলে যাওয়ার আগের মূল বেতন অনুযায়ী।

একজন ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তা যার মূল বেতন ৭১ হাজার ২০০ টাকা, তিনি নতুন নিয়ম অনুযায়ী পাবেন ৭ হাজার ১২০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৩ হাজার ৫৬০ টাকা। অর্থাৎ তার ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে একজন ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারী, যাঁর মূল বেতন ১৭ হাজার ৫২০ টাকা, তিনি পাবেন প্রায় ২ হাজার ৬২৮ টাকা। এ ক্ষেত্রে পূর্বের নির্ধারিত ১ হাজার টাকার তুলনায় ভাতাটি ১ হাজার ৬২৮ টাকা বাড়ছে।

এছাড়া নিয়মিত পেনশনভোগীরাও এই সুবিধা পাবেন। তাদের পেনশনের ওপর গ্রেড অনুযায়ী একই হারে বিশেষ ভাতা হিসাব করা হবে। তবে যারা গ্রস পেনশনের শতভাগ তুলে নিয়েছেন এবং এখনো পুনঃস্থাপনের আওতায় আসেননি, তাদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তরা তাদের পূর্ববর্তী মূল বেতনের ভিত্তিতে এই সুবিধা পেতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে পেনশন ও চুক্তিভিত্তিক বেতনের মধ্যে যেটা বেশি, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারীরা বরখাস্তের আগে প্রাপ্ত মূল বেতনের ৫০ শতাংশের ওপর এই সুবিধা পাবেন। তবে যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন, তারা এই ভাতার আওতায় আসবেন না।

স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির কর্মচারীরা, যারা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত, তারাও এই বিশেষ সুবিধা পাবেন। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার সরকার বহন করবে না, বরং নিজেদের বাজেট থেকেই এ ব্যয় মেটাতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি