বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

এক অভূতপূর্ব নাটকীয়তায় দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই, লুঙ্গি, গেঞ্জি ও মাস্ক পরে গভীর রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছান তিনি। একে ‘নিরাপদ দেশত্যাগের গোপন অভিযান’ বললেও অত্যুক্তি হবে না। রাষ্ট্রপতির মতো একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির এমন ছদ্মবেশে দেশত্যাগের ঘটনা জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।

বুধবার রাত প্রায় ১২টা ৪৫ মিনিট। আবদুল হামিদের ব্যক্তিগত গাড়ি পৌঁছায় শাহজালালের ভিআইপি টার্মিনালে। সেখানে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে আরোহীদের পরিচয় জানতে চান। চালক জানান, গাড়িতে রয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবার। তখনও স্পষ্ট করা হয়নি, তিনি নিজেই গাড়িতে রয়েছেন। কিছুক্ষণ পর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন এবং জানান, তার বহির্গমনের অনুমতি রয়েছে।

আবদুল হামিদ প্রথমে লুঙ্গি, গেঞ্জি এবং মাস্ক পরে ছিলেন, যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কক্ষের ভেতর নিয়ে যাওয়ার আগেই গাড়ির মধ্যেই তিনি ছদ্মবেশ থেকে বেরিয়ে সাধারণ প্যান্ট-শার্ট পরে নেন। এমন গোপনীয়তা সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা মিশন বা নিরাপত্তা-হুমকির সময় দেখা যায়, অথচ এবার তা ঘটল সাবেক একজন রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে।

সব ধরনের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশন প্রটোকল এড়িয়ে, কোনও রকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই আবদুল হামিদকে বিমানে তুলে দেওয়া হয় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (TG340)। বিমানটির অবস্থান পরিবর্তন করে ভিআইপি টার্মিনালের কাছে এনে রাখা হয় যাতে তাকে সরাসরি বিমানে নেওয়া যায়। তিনি বিমানে ওঠার পর কিছু সময় পর তার ছেলে রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ডা. এনএম নওশাদ খানও বিমানে ওঠেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি দেশ ত্যাগ করেন কূটনৈতিক মর্যাদার ‘লাল পাসপোর্ট’ (নম্বর D00010015) ব্যবহার করে, যেটি তার রাষ্ট্রপতি থাকার সময় ২০২০ সালে ইস্যু করা হয়েছিল। এই পাসপোর্টটির মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত। উল্লেখযোগ্যভাবে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হলেও আবদুল হামিদের পাসপোর্ট বাতিল হয়নি, যা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিমানবন্দরের একাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কেউ কোনো বাধা দেননি। পুলিশ, এভসেক, সিভিল এভিয়েশন কিংবা ইমিগ্রেশন—সব পক্ষই ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। এমনকি ইমিগ্রেশনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তিকে সরাসরি উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, কিন্তু আবদুল হামিদের ক্ষেত্রে সেটাও অনুসরণ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ইমিগ্রেশন অফিসারদের সামনে হাজির করা হয়নি—কারণ অনেকেই ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানে।

তথ্য অনুযায়ী, আবদুল হামিদের টিকিট ছিল দিল্লি পর্যন্ত, যদিও ফ্লাইটের রুট ব্যাংকক হয়ে। ১৬ জুন তার ফিরে আসার একটি টিকিট কনফার্ম করা রয়েছে। তবে আদৌ তিনি ফিরবেন কি না—তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।

এখনো পরিষ্কার নয়, কেন সাবেক রাষ্ট্রপতির এমন গোপন ও নাটকীয় প্রস্থান ঘটল। অনেকেই বলছেন, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত নিরাপদ বহির্গমন—সম্ভবত নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় তার ভূমিকার কারণে। আবার কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, তিনি হয়তো কোনো বিশেষ মিশনে বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যেই দেশ ছাড়লেন। তবে সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান

ছবি: সংগৃহীত

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আপিল দায়েরের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মাফ করেছিলেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মাফের পর ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের আগস্টে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।

পরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আপিলের শর্তে জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে সরকার।

Header Ad
Header Ad

গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় এক রাতে অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজায় দুটি হাসপাতাল লক্ষ্য করে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন ৩০ জন, আর উত্তর গাজায় মধ্যরাতের পর থেকে হামলায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন।

বুধবার (১৪ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপিয়ান ও নাসের হাসপাতালের ওপর চালানো হামলায় নিহতদের মধ্যে এক সাংবাদিকও রয়েছেন, যিনি চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও যুদ্ধনীতি চরমভাবে লঙ্ঘন করে বলেও উল্লেখ করেন মানবাধিকার কর্মীরা।

এরপরপরই উত্তর গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী, যেখানে চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী ৪৫ জন নিহত হন।

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৯০৮ জন, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন—এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে (১৮ মার্চ থেকে ১৪ মে) নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৮০ জন, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন।

জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এ অঞ্চলের প্রায় সব অবকাঠামো হয় ধ্বংস হয়েছে, নয়তো ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ)-এ গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।

এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ চললেও ইসরায়েল এখনো হামলা অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে অর্থনীতির অগ্রগতি অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এই বন্দরকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন সম্ভব নয়।”

বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে আগে শুধু লেখালেখি করেছি। এবার সরেজমিনে দেখে কাজ শুরু করার সুযোগ পেয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করছি চট্টগ্রাম বন্দরের কাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটিয়ে এটিকে একটি সত্যিকারের আন্তর্জাতিক মানের বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার।”

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিদেশি অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস। তিনি জানান, এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছান ড. ইউনূস। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার প্রথম চট্টগ্রাম সফর। সফরসূচি অনুযায়ী তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ ও কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান
গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে অর্থনীতির অগ্রগতি অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ নয়, কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
সাম্য হত্যায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি এনসিপি নেতা হাসনাতের
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে সার্বভৌমত্ব প্রতি সম্মান জানানোর কথা বললেন প্রেস সচিব
ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ২
গ্যাস কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ: চলছে প্রস্তুতি, বাড়ছে সম্ভাবনা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
নওগাঁ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
কৃষি সচিবের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, বাকৃবিতে ফের রেলপথ অবরোধ
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আবারও বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩
জাপান যেতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর, জেনেন নিন খুঁটিনাটি
জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জুলাই ঐক্যের
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত, দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ
খাদ্য অধিদপ্তরে ১৭৯১ পদে বিশাল নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে
চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাখেত থেকে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার
চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, বাংলাদেশে আঘাত হানবে কবে?