ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ২

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন, সেখান থেকেই তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায়।
ঘটনার বিষয়ে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দিরের পাশে মোটরসাইকেল ধাক্কাকে কেন্দ্র করে তিন যুবকের সঙ্গে সাম্যের কথা-কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় হামলাকারীরাও আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং পরবর্তীতে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে যান। সেখান থেকেই পুলিশ দুইজনকে আটক করে। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। হামলায় জড়িত আরও একজন পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ওয়াসী তামী জানান, নিহত সাম্য সংগঠনের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মধ্যরাতেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও চত্বরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এ ঘটনায় ছাত্রসমাজ ও সহপাঠীদের মাঝে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন।
