বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গোপন নথি নিয়ে উধাও বিমানের দুই কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন গোপন নথি চুরি করে পালিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন ও বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদ।

এ ঘটনায় গত সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মাছুদুল হাছান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিস করেছেন আনোয়ার হোসেন। তবে পৌনে ৪টার দিকে কাউকে কিছু না বলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ কানাডার টরন্টোগামী বিজি-৩০৫ ফ্লাইটে ওঠেন। তার অফিস ত্যাগের পর থেকেই পাওয়া যাচ্ছে না বিমানের গোপনীয় বিভিন্ন এগ্রিমেন্ট, আরআই পলিসি ও সফটওয়্যার সম্পর্কিত স্পর্শকাতর নথিপত্র।

একইভাবে বিভিন্ন গোপন নথি চুরির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদের বিরুদ্ধেও। তবে এ কর্মকর্তা দেশেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তিনি গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র দিয়ে কর্মস্থল ছাড়েন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানাধীন হরিয়ায়। সপরিবারে তিনি রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন ৭ নম্বর সেকশনে বসবাস করতেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই দেশ ছেড়েছেন। আর সোহান আহমেদ সপরিবারে রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র দিয়ে কর্মস্থল ছাড়েন।

অভিযুক্ত দুজনই বিমানের বিভিন্ন গোপনীয় নথিপত্রের তথ্যাদি পাচার করতে পারেন বলে শঙ্কা রয়েছে, যা বিমানের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি সই

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরকালে বিশাল অঙ্কের এক অস্ত্র বিক্রয় চুক্তি সই হয়েছে। রিয়াদে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প ১৪২ বিলিয়ন (১৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের অস্ত্র চুক্তিতে সই করেন। হোয়াইট হাউস এই চুক্তিকে প্রতিরক্ষা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো দেশের সবচেয়ে বড় চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চুক্তির আওতায় এক ডজনেরও বেশি মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান, মহাকাশ প্রযুক্তি এবং সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। এতে সৌদি বিমান বাহিনী, স্থলবাহিনী এবং তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের পাশাপাশি সমুদ্র ও উপকূলীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে।

চুক্তিতে সৌদি সেনাদের প্রশিক্ষণ, সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামরিক চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, গ্যাস টারবাইন, বিমান প্রযুক্তি, ও নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তিও হয়েছে।

সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে উভয় দেশের মধ্যে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তিও সই হয়। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানান, সৌদি বিনিয়োগ আগামী মাসগুলোতে বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ‘অসাধারণ একজন মানুষ’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “সৌদি আরব একটি চমৎকার জায়গা। এখানে চমৎকার সব মানুষ বসবাস করেন। তার (বিন সালমান) মতো মানুষ হয় না।”

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও টাইম

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদল নেতাকর্মীদের টার্গেট বানিয়ে হত্যা করা হচ্ছে : নাছির

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের টার্গেট বানিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। সাম্য হত্যার দায় উপাচার্যকে নিতে হবে। বুধবার (১৪ মে) রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এ সময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও প্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টদের সরিয়ে নেয়ার দাবি তোলেন তিনি।

ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যার বিচার দাবিতে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাত্রদলের ডাকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন শত শত শিক্ষার্থী। সমাবেশে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের জানাজা বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, সকালে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে ছাত্রদল। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সাম্য নিহত হন। শিক্ষার্থী সাম্যকে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল।

Header Ad
Header Ad

পলিথিনের বিকল্প পাট-কাপড়ের ব্যাগ সুলভে দিতে চায় সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে সরকার পাট ও কাপড়ের ব্যাগ সুলভ মূল্যে বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি জানান, পলিথিনের পরিবর্তে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ সাধারণ মানুষের নাগালে এনে ব্যবহার অভ্যাসে পরিবর্তন আনাই সরকারের লক্ষ্য। এজন্য উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেওয়া হবে এবং যুবসমাজ ও পাটকল উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে এসব ব্যাগ বাজারে সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে ‘PLEASE’ প্রকল্পের জাতীয় জ্ঞান বিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “বড় বড় শপিং মলগুলো বলে, ক্রেতারা ৪০ টাকা দিয়ে পাটের ব্যাগ কিনতে চায় না। অথচ বিদেশে গিয়ে তারা ৩-৪ ডলার দিয়ে একই ধরনের ব্যাগ কেনেন। দেশে কেন তারা কিনতে চায় না, সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভ্রান্ত যুক্তি।”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে। আমাদের সামগ্রিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবস্থা করুণ, তবে সরকার এর উন্নয়নে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে বাজার থেকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধ করতে পারলে জাতি হিসেবে দায়িত্বশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আফ্রিকার দেশ তানজানিয়া ও রুয়ান্ডা পেরেছে, তাহলে আমরা কেন পারব না?” তিনি জানান, জুনের পর যেসব একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সহজ বিকল্প আছে, সেগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

উন্নত বিশ্বের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ইউরোপে যেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত, সেখানেও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কারণ, এগুলো সহজে রিসাইকেল করা যায় না। অনেক আফ্রিকান দেশও জানে, অন্যান্য বর্জ্য একসময় পঁচে যায়, কিন্তু পলিথিন বা প্লাস্টিকের বর্জ্য সহজে নিঃশেষ হয় না।

এ সময় তিনি বলেন, সরকারের উদ্যোগ সফল করতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে অংশ নিতে হবে। জনগণ সচেতন হলে এবং সরকার আইনের প্রয়োগে সক্রিয় হলে, তখনই বাস্তব পরিবর্তন আসবে। সুপারশপ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হওয়াকে তিনি ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন।

তিনি বাংলাদেশ ফরেস্ট রিসার্চ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিএফআইডিসি)-কে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য উৎপাদনের নির্দেশনা দেন এবং রাবারের বদলে বাঁশ ও বেত দিয়ে পণ্য তৈরিতে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস, ইউএনওপিএসের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধারণ এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি সই
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের টার্গেট বানিয়ে হত্যা করা হচ্ছে : নাছির
পলিথিনের বিকল্প পাট-কাপড়ের ব্যাগ সুলভে দিতে চায় সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
সাউণ্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাসে ছত্রভঙ্গ জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ
জানা গেল ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয়
বেনাপোল কাস্টমসে কলমবিরতি শুরু, স্থবির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম
ইশরাককে মেয়র পদে শপথ করানোর দাবিতে নগর ভবন ঘেরাও
ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা
দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান
গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে অর্থনীতির অগ্রগতি অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ নয়, কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
সাম্য হত্যায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি এনসিপি নেতা হাসনাতের
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে সার্বভৌমত্ব প্রতি সম্মান জানানোর কথা বললেন প্রেস সচিব
ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ২
গ্যাস কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ: চলছে প্রস্তুতি, বাড়ছে সম্ভাবনা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
নওগাঁ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন