সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ই-বর্জ্য মারাত্মক হুমকি

ই-বর্জ্য সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আবার যাদের ধারণা আছে তাদের অনেকেই বিষয়টিকে খুব সহজভাবে নিচ্ছেন। এটি যে পরিবেশ ও জলবায়ুর জন্য মারাত্মক হুমকি তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। জানা নেই এর প্রভাবে যে মানুষের মৃত্যুও ঘটতে পারে সেই তথ্যও। ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানার আগে আমরা জেনে নেই এটি আসলে কী ধরনের বর্জ্য।

ই-বর্জ্য হচ্ছে, ইলেকট্রনিক বর্জ্য। যেমন–পরিত্যক্ত টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, এয়ারকন্ডিশনার, মাইক্রোওভেন, সিএফএল বাল্ব, ওয়াশিং মেশিন, মুঠোফোন, ডিভিডি প্লেয়ার, ইলেকট্রনিক খেলনাসামগ্রী ইত্যাদি। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যবহারের পরে যখন নষ্ট হয়ে যায়, তখনই এটি বর্জ্যে পরিণত হয়, যা ই-বর্জ্য নামে পরিচিত। সাধারণ দৃষ্টিতে এগুলোকে চিরাচরিত বর্জ্য মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়।
ই-বর্জ্যের রয়েছে মারাত্মক রেডিয়েশন, যা বিভিন্নভাবে পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে আমাদের ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক সামগ্রীতে নানা ধরনের উপাদান থাকে। যেমন–ক্যাডমিয়াম, লিড অক্সাইড, সিসা, কার্বন, সিলিকন, বেরিলিয়াম, ফাইবার গ্লাস, পারদসহ নানা ধাতব উপাদান। ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেলেও উপাদানগুলো নিঃশ্বেষ হয় না, বর্জ্যের মধ্যেই থেকে যায়। এগুলো পচনশীল নয় বিধায় পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করে। ফলে মাটি, গাছপালা, ফসল ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। যে প্রভাবের কারণে জলবায়ুর পরিবর্তনও ঘটতে থাকে ধীরে ধীরে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, পুরনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী যখন ভাঙাড়ির দোকানে স্থান পায়, তখন দোকানির প্রয়োজনে এ বর্জ্যগুলোকে রোদের তাপে শুকিয়ে নেয়। অথবা অনেকে বর্জ্যগুলোকে দোকানে না রেখে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। বিপদ তখনই ঘটতে থাকে। রোদের তাপে ‘ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট’ যেটি আমাদের কাছে ‘আইসি’ নামে পরিচিত, তা থেকে মারাত্মক বিকিরণ নির্গত হতে থাকে। শুধু রোদেই নয়, এটি মাটির নিচে চাপা দিলে কিংবা পানিতে ফেলে দিলেও ক্ষতিকর বিকিরণ নির্গত হতে থাকে। শুধু তা-ই নয়, এক চা চামচ পরিমাণ পারদ ২০ একরের একটি জলাশয়ের পানি আজীবনের জন্য ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলতে পারে। আর যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে ই-বর্জ্যের রেডিয়েশন রিসাইকেলের মাধ্যমে মানবদেহে দ্রুত প্রবেশ করে। পরবর্তীতে মানুষের ত্বক, কিডনি, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, যকৃত, মায়েদের স্তন ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় জানা যায়, দেশে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে জাহাজ ভাঙা থেকে ৮০ শতাংশ বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে, বাকি ২০ শতাংশ দেশে উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মুঠোফোন সেট থেকে বেশি ই-বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের দেশে ই-বর্জ্যের রিসাইক্লিং ব্যবস্থা না থাকাতে এসব বিষ ফোঁড়ায় পরিণত হচ্ছে। আবার উন্নত বিশ্বে রিসাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও লোকজন কৌশলে দরিদ্র দেশে ই-বর্জ্য পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাদের ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রী একটু নষ্ট হলে কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সেটি মেরামত না করেই বাড়ির সামনের ডাস্টবিনে ফেলে রাখে। আর সেগুলো দরিদ্র দেশের লোকেরা কুড়িয়ে সামান্য মেরামত করে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেন। অনেক সময় মেরামতেরও প্রয়োজন পড়ে না। যারা এমনটি করছেন, ঘুণাক্ষরেও টের পাচ্ছেন না দেশের মানুষের কী ক্ষতিটা করছেন তারা।

শুধু কুড়িয়ে পাঠানোই নয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রিকন্ডিশন গাড়ি, কম্পিউটার কিংবা অন্যান্য ইলেট্রনিক সামগ্রীর খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করা হচ্ছে, যার অধিকাংশই থাকে মেয়াদোত্তীর্ণ। অথচ সেসব পণ্যসামগ্রী আমাদের দেশে দিব্যি ব্যবহৃত হচ্ছে। যার প্রভাবে ধীরে ধীরে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে, জলবায়ুরও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে; যা আমরা তাৎক্ষণিক টের পাচ্ছি না, দেখছি না খালি চোখে, পারছি না সহজেই উপলব্ধি করতেও। অর্থাৎ অনেকটাই মোবাইল ফোন টাওয়ার থেকে নির্গত অদৃশ্য দূষণের মতো। ক্ষতি হচ্ছে; কিন্তু কারণ নিরূপণ করা যাচ্ছে না। সোজা কথা, ই-বর্জ্যের রেডিয়েশনে আমরা মারাত্মক রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও সেটি চাপা থেকে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকরাও আমাদের সতর্ক করতে পারছেন না। কারণ বিষয়টি তিনি নিশ্চিত নন, রোগ শনাক্ত করতে সক্ষম হলেও রোগের উৎপত্তি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে ওই রোগী কিছুটা সুস্থ হলেও পরিবেশ বিনষ্ট ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ হচ্ছে না; পাশাপাশি আবার নতুন করে অন্যজনও রোগাক্রান্ত হচ্ছেন। যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই মনে করছেন অনেকেই।

বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে দ্রুত। ই-বর্জ্যের রেডিয়েশন-দূষণ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের খুব দ্রুত রিসাইক্লিং কারখানা গড়ে তুলতে হবে। যে কারখানায় ই-বর্জ্য প্রসেস করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী যন্ত্রাংশ তৈরি করা যাবে।

উল্লেখ্য, দেশে ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং কারখানা হাতেগোনা কয়টি মাত্র, যা আমাদের ই-বর্জ্যের চেয়ে সংখ্যায় অপ্রতুল। অথচ ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং কারখানা হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় শিল্পও। শিল্পটির বিস্তার ঘটলে দেশে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে যেমন, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট রোধ হবে। রোধ হবে জলবায়ুর পরিবর্তনও। আমরা তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ই-বর্জ্যের মজুত ও প্রসেসিং নীতিমালা তৈরির জন্য।
কামনা করছি, ই-বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য অন্তত প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ঝুঁকিমুক্ত ডামপিং স্টেশন নির্মাণের। যা নির্মাণে ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক (উৎপাদিত) কোম্পানিকে অর্থ প্রদানের জন্য সরকার বাধ্য করবেন। পাশাপাশি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি পরিবেশ অধিদপ্তর ‘ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা-২০১৮’ শিরোনামে পুরনো বা ব্যবহৃত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য। তাতে করে জলবায়ু সংকট প্রতিরোধ হবে, পরিবেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচবে, অদৃশ্য দূষণ থেকে রক্ষা পাবেন সর্বসাধারণ।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

এসএ/

Header Ad

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী

ছবি: সংগৃহীত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্থিনের গাজা এলাকার ৫০ জন ছাত্রীর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ বৃত্তির অধীনে ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারে একাডেমিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ সাপেক্ষে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃত্তিসহ ১ জুলাই ২০২৪ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস.ওয়াই রমাদান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) পরিদর্শন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হন। তার এ পরিদর্শনকালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বৃত্তির এই ঘোষণা দেয়।

বৃত্তির এই সিদ্ধান্ত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মহিলা আবাসিক হলগুলিতে আবাসনের সুবিধা দেবে। শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের সাইকো সোশ্যাল সাপোর্টও নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের জীবিকা নির্বাহের বিষয়ে, ডিআইইউ ক্যাম্পাসে তাদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অধ্যয়নের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত স্পনসর খুঁজতে একসঙ্গে কাজ করবে বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড.এম লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তবৃত্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাসুম ইকবাল, হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলী এবং আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব

সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় - সাকিব আল হাসান। নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে সমীহ আদায় করেছেন। একক নৈপুণ্যে অনেক ম্যাচ জেতালেও ক্যারিয়ারে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেননি এই ক্রিকেটার। ফের নতুন বিতর্কে জড়াল এই তারকা ক্রিকেটারের নাম। আবারও মেজাজ হারালেন সাকিব।

ক্রিকেট মাঠে ব্যাটে বলের নৈপুণ্যে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একক নৈপুণ্যে অনেক ম্যাচ জেতালেও ক্যারিয়ারে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেননি এই ক্রিকেটার। ফের নতুন বিতর্কে জড়াল এই তারকা ক্রিকেটারের নাম। আবারও মেজাজ হারালেন সাকিব।

সোমবার (৬ মে) খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ডিপিএলে লড়ছে প্রাইম ব্যাংক আর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ম্যাচ শুরুর আগে মাঠের পাশে প্রাইম ব্যাংক কোচ সালাহ উদ্দিন ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলেন সাকিব। এ সময় হঠাৎ সেলফি তুলতে যান এক ভক্ত। প্রথমবার মানা করলেও সাকিবের কথা শোনেননি সেই ভক্ত। আর তখনই মেজাজ হারান সাকিব। এ সময় বাধ্য হয়েই তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাকিব। তেড়ে গিয়ে সেই ভক্তের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং মারতে উদ্যত হন। তাকে (ভক্ত) চড় মারতে গিয়েও থেমে যান তারকা অলরাউন্ডার। শেষমেশ সেই ভক্তকে মাঠ থেকে বের করে দেন তিনি।

সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

বিষয়টি নজর এড়ায়নি উপস্থিত গনমাধ্যমকর্মীদেরও। এখানেই শেষ নয়, সকালে স্টেডিয়ামের প্রবেশের সময়ও মেজাজ হারান সাকিব। তখনও এক ভক্ত সেলফি তোলার জন্য ফোন নিয়ে এগিয়ে আসলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে হাত দিয়ে দূরে সরিয়ে দেন সাকিব। সবমিলিয়ে ম্যাচের আগে বেশ আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।

এমন ঘটনার পর মাঠে ভক্তদের এমন অবাধ বিচরণে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অনেক সমর্থক সাকিবের সেই ভক্তের সময়ের জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কেউ কেউ জানান, সেই ভক্ত নিরাপত্তা ভেঙে প্রবেশ করে আদতে নিয়ম ভাঙলেন। অনেকে আবার সাকিবের এমন আগ্রাসী ভূমিকায় নিন্দা জানাচ্ছে। তাদের মতে, ভক্তদের সঙ্গে এমন ব্যবহার সাকিবের থেকে মোটেই কাম্য নয়।

অবশ্য সাকিবের ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে ভক্তদের ওপর মেজাজ হারিয়েছেন তিনি।

হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। এদিকে তীব্র এই গরমে হিট স্ট্রোকে সারাদেশে গত ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও দুজন নারী রয়েছেন।

এদিকে সোমবার (৬ মে) সকাল ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও তিনজন হিট স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নড়াইলের বাসিন্দা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন হিট স্ট্রোক করেছেন। মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও দুজন নারী।

তবে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২২ এপ্রিল থেকে, অর্থাৎ তাপদাহ বয়ে যাওয়ার ২০ দিন পর থেকে এই তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।

এবারই প্রথম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিট স্ট্রোক সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছে। এর আগে ডেঙ্গু ও করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ সংবাদ

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ
টাইটানিকের সেই ক্যাপ্টেন বার্নার্ড হিল আর নেই
সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান
ফের পেছালো রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২
সারাদেশে ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু
হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর